নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্যদের সেভাবেই দেখি, নিজেকে যেভাবে দেখতে চাই। যারা জীবনকে উপভোগ করতে চান, আমি তাঁদের একজন। সহজ-সরল চিন্তা-ভাবনা করার চেষ্টা করি। আর, খুব ভালো আইডিয়া দিতে পারি।

সত্যপথিক শাইয়্যান

আমি লেখালিখি করি, মনের মাধুরী মিশিয়ে

সত্যপথিক শাইয়্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

উকদাহ ভ্যালীঃ এ যেন এক অপার্থিব জগত

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:২০



গতকাল রাতেই ঠিক করেছিলাম, আজ বেড়াতে বেরুবো। আমার ছোট ভাইয়ের অফিস আজ বন্ধ। তাই বলেছিলেম, আমাদের যেন একটু দূরে কোথাও নিয়ে যায়। আজকের বেড়াবার প্ল্যানটা তার উপরেই ছেড়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু, সে যে এরকম অপার্থিব সৌন্দর্যে ভরপুর একটা জায়গায় নিয়ে যাবে, তা বুঝি নাই!

আজ দুপুরে জোহর নামাজের পরে, প্রায় ১টার দিকে আমরা গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা হই। আমার ছোট ভাই ডাঃ রাইয়্যান বললো, যে এলাকায় যাচ্ছি তার নাম 'উকদাহ ভ্যালী'। এলাকাটা কাছেই। কিন্তু, অসাধারণ সুন্দর এ্কটা জায়গা। আল রাজি মসজিদ থেকে ১৫ মিনিট লাগে।



আকাশে সূর্যি মামা বেশ রোদ ছড়াচ্ছেন। এরই মাঝে আমরা উকদাহ ভ্যালীতে পৌঁছে গেলাম। গাড়ির জানালা দিয়ে প্রথমে কিছু বালুময় এলাকা আর পাহাড় চোখে পড়লো। গাড়ি রেখে আমার ছোট ভাই হাঁটা ধরলো। পিছু পিছু আমরা তিনজন।

এভাবে কিছু দূর আমরা হেটে চললাম। আমাদের আশে পাশে দিয়ে কয়েকটা গাড়ি চলে গেলো। বুঝলাম আমরা একা নই। আরবে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পিপাসু মানুষের সংখ্যা কম নয়।

বালুর দিকে তাকিয়ে হাঁটছিলাম, হঠাৎ আমার বিবিজানের জোরে শ্বাস টানার শব্দে সামনে তাকালাম। বুঝলাম, খোদার কি অপূর্ব সৃষ্টি আমাদের সামনে আবির্ভূত হয়েছে! বালুর মাঝে বের হয়ে রয়েছে সারি সারি পাহাড়ের সারি। সবই পাথরের! আমাদের ডান পাশ দিয়ে একটি লেইক বয়ে যাচ্ছে!





আমরা একটি পাহাড়ের ধারে দাঁড়াতেই দেখি আমার বিবিজান খাড়া পাহাড় বেয়ে উপরে উঠা শুরু করেছেন! কিছুক্ষণ করে আমি আমার সাড়ে তিন বছর বয়সী মেয়েকে নিয়ে বিবিজানের পিছু নিলাম। উপরে উঠে বুঝলাম, কি অসাধারণ দৃশ্য মিস হতো যদি উপরে না উঠতাম।





উপরে উঠে একটি পাথরে বসে মনে পড়লো, ছোটবেলায় পড়েছিলাম, পাহাড় সারীর দিকে আওয়াজ ছুড়ে দিলে তা প্রতিধ্বনি হয়ে ফিরে আসে। তাহলে, পরীক্ষা করে দেখা যাক! আমি পাহাড়ের দিকে তাকিয়ে চিৎকার দিতে লাগলাম। আমার বিবিজান বুঝতে পারলেন আমি কি করতে চাচ্ছি। তিনি বেশ মজা পেলেন। তিনিও চিৎকার করতে লাগলেন। সাথে সাথে আমার মেয়ে সোহানা!



আমাদের চিৎকার পাহাড়ে বাড়ি খেয়ে ফিরে এলো!!! সে কি যে এক রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা!







আমরা প্রায় এক ঘন্টা সেখানে বসে চারপাশের প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করে শহরের একটি দোকান থেকে 'আল বাইক' খেয়ে বাসায় ফিরে এলাম। মনে তখন একটি গান বাজছে -

"এই ঝির ঝির বাতাসে, কি গান ভেসে আসে,
সেই সুরে সুরে মন, নাচে উল্লাসে!"

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:২৪

এ পথের পথিক বলেছেন: আরব মানে রুক্ষ মরুভুমি, পাহাড় জানতাম, এখন দেখছি অপরূপ প্রকৃতি সেখানেও ।

২| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১২:৫০

এইচ এন নার্গিস বলেছেন: সুন্দর জায়গা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.