![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি লেখালিখি করি, মনের মাধুরী মিশিয়ে
.
..
...
১. পরিকল্পনার মূলনীতি:
এই পরিকল্পনা ইসলামি শরিয়াহ অনুযায়ী ওয়াকফ ফান্ড এবং মুদারাবা ও মুশারাকা ভিত্তিক ক্রাউডফান্ডিং পদ্ধতিকে কাজে লাগাবে। এতে দাতাগণ ও বিনিয়োগকারীরা ধর্মীয়ভাবে বৈধ উপায়ে সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থায়ন করতে পারবেন এবং তারা নির্দিষ্ট লাভ বা সুবিধা পেতে পারেন।
২. তহবিল সংগ্রহের উপায়:
২.১ ওয়াকফ ফান্ড গঠন
>>> সরকার ওয়াকফ বোর্ডের মাধ্যমে একটি বিশেষ ওয়াকফ ফান্ড তৈরি করবে।
>>> ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও ইসলামী সংস্থাগুলো এই ফান্ডে জমি, সম্পত্তি বা নগদ অর্থ দান করতে পারবেন।
>>> দানকৃত সম্পত্তি থেকে প্রাপ্ত আয় (ভাড়া, লিজ, ব্যবসায়িক মুনাফা) সরকার পুলিশের জন্য নতুন গাড়ি ক্রয়ে ব্যবহার করতে পারবে।
২.২ ইসলামী ক্রাউডফান্ডিং প্ল্যাটফর্ম
>>> মুদারাবা ও মুশারাকা ভিত্তিক বিনিয়োগ:
ক) দাতাগণ এবং বিনিয়োগকারীরা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সরকারের নির্দিষ্ট প্রকল্পে বিনিয়োগ করবেন।
খ) বিনিয়োগকৃত অর্থ লাভজনক খাতে পরিচালিত হবে, যেমন:
>পরিবহন খাতে পাবলিক বাস সার্ভিস চালু
>সরকার অনুমোদিত ব্যবসায়িক উদ্যোগ
>রিয়েল এস্টেট বা ওয়াকফ সম্পত্তির বাণিজ্যিক ব্যবহার
>নির্দিষ্ট সময় শেষে বিনিয়োগকারীরা লাভের অংশ পাবেন।
>>> সুকুক (ইসলামি বন্ড) ইস্যু করা:
ক) বাংলাদেশ ব্যাংক বা সরকারের অনুমোদিত সংস্থা শরিয়াহ-সম্মত সুকুক ইস্যু করতে পারে।
খ) বিনিয়োগকারীরা নির্দিষ্ট সময় পর মূলধন ও লাভ ফেরত পাবেন।
৩. বিনিয়োগকারীদের লাভ ও সুবিধা
৩.১ লাভের মডেল
ক) মুদারাবা মডেল: বিনিয়োগকারীরা ব্যবসা থেকে অর্জিত মুনাফার একটি অংশ পাবেন।
খ) মুশারাকা মডেল: বিনিয়োগকারীরা তাদের অংশ অনুযায়ী আয়ের ভাগ পাবেন।
গ) সামাজিক ও ধর্মীয় সুবিধা: দাতারা ওয়াকফ ফান্ডে দান করলে ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে সাদাকা জারিয়া পাবেন।
৩.২ কর সুবিধা ও প্রণোদনা
ক) সরকার দানকারীদের জন্য কর ছাড়ের সুবিধা দিতে পারে।
খ) বৃহৎ দাতাদের জন্য সম্মাননা ও বিশেষ স্বীকৃতি প্রদান করা যেতে পারে।
৪. বিতরণ ও ব্যবস্থাপনা
৪.১ অনলাইন প্ল্যাটফর্মের ভূমিকা
ক) একটি ডিজিটাল পোর্টাল চালু করা হবে যেখানে জনগণ ও ব্যবসায়ীরা সহজেই দান বা বিনিয়োগ করতে পারবেন।
খ) বিনিয়োগকারীদের জন্য স্বচ্ছ হিসাব ও লাইভ আপডেটের ব্যবস্থা থাকবে।
ইসলামি পদ্ধতিতে ৫০০ কোটি টাকা সংগ্রহের হিসাব:
যেহেতু ইসলামিক শরিয়াহ অনুসারে সুদ ও লটারি হারাম, তাই আমরা একটি ইসলামি ক্রাউডফান্ডিং ও মুদারাবা (লাভজনক অংশীদারিত্ব) ভিত্তিক পদ্ধতি ব্যবহার করবো।
সর্বমোট সংগ্রহের প্রয়োজনীয়তা
সরকারকে ৫০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করতে হবে। কিন্তু শুধুমাত্র ৫০০ কোটি টাকা তুললে, এটি কোনো বিনিয়োগকারী বা দাতার জন্য আকর্ষণীয় হবে না।
তাই, বিনিয়োগকারীদের জন্য লাভজনক ও টেকসই একটি মডেল তৈরি করতে হবে, যেখানে:
ক) একটি হালাল বিনিয়োগমুখী প্রকল্প থাকবে।
খ) দাতাদের একটি লাভজনক ও ন্যায্য রিটার্ন নিশ্চিত করতে হবে।
আমরা যদি গড়ে ১৫% থেকে ২০% বার্ষিক রিটার্ন প্রদান করি, তাহলে কোন পরিমাণ মূলধন সংগ্রহ করা দরকার তা হিসাব করা যাক।
প্রাথমিক মূলধনের প্রয়োজনীয়তা:
আমরা ৫০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করতে চাই বিনিয়োগ ভিত্তিক প্রকল্প থেকে, যেখানে দাতাদের জন্য রিটার্ন থাকবে।
ধরুন,
>>> ১৫% বার্ষিক লাভের মডেল অনুসারে আমাদের প্রয়োজন:
৫০০কোটি÷১৫%=৩৩৩৩.৩৩কোটি টাকা
>>> ২০% বার্ষিক লাভের মডেল অনুসারে আমাদের প্রয়োজন:
৫০০কোটি÷২০%=২৫০০কোটি টাকা
সংগ্রহের উপায়
ক) সরকারি ক্রাউডফান্ডিং প্ল্যাটফর্ম (হালাল)
খ) ওয়াকফ ও ইসলামিক এন্ডাওমেন্ট ফান্ড
গ মুদারাবা ভিত্তিক বিনিয়োগ প্রকল্প
ঘ) সাধারণ জনগণ ও ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণ
৫. উপসংহার
এই পরিকল্পনার মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার ৫০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করতে পারবে কোনো অতিরিক্ত কর বা ভ্যাট ছাড়াই। একইসঙ্গে এটি ধর্মীয়ভাবে গ্রহণযোগ্য, জনগণের জন্য লাভজনক এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়ক হবে।
========
আমার পূর্বের পরিকল্পনা ইসলামের নীতির সাথে সাংঘরষিক হওয়ায় এই নতুন আইডিয়া উপস্থাপন করলাম।
সবাই আশা করি, ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
=================================================================
©somewhere in net ltd.