![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার মনে বিষ আছে এবং আমি তা ব্লগে এপ্লাই করি! জানেনই তো, পৃথিবীর সবচেয়ে দামী ঔষধ বিষ দিয়েই তৈরী হয়!
اِنَّ اللّٰہَ یُحِبُّ الَّذِیۡنَ یُقَاتِلُوۡنَ فِیۡ سَبِیۡلِہٖ صَفًّا کَاَنَّہُمۡ بُنۡیَانٌ مَّرۡصُوۡصٌ
অর্থ : বস্তুত আল্লাহ তাদেরকে ভালোবাসেন, যারা তাঁর পথে এভাবে সারিবদ্ধ হয়ে যুদ্ধ করে, যেন তারা সিসাঢালা প্রাচীর। (সূরা সফ, আয়াত : ৪)
‘বুনইয়ানুম মারসুস’ পবিত্র কোরআনের সূরা সফ-এর চার নম্বর আয়াতের অংশ। এর অর্থ, সিসাঢালা প্রাচীর। সূরা সফের আয়াতের এই অংশটি একটি বিশেষ ঘটনার প্রেক্ষিতে নাজিল হয়েছে। মহানবী (সা.) এর যুগে একবার কয়েকজন মুসলমান পরস্পরে আলোচনা করলেন যে, আমরা যদি এমন কোন আমল জানতে পারি, যা আল্লাহর কাছে খুবই প্রিয়, তবে আমরা তা বাস্তবায়িত করব। আল্লাহ তায়ালা সূরা সফ নাজিল করে তাদের জানালেন, সেই আমল হচ্ছে জিহাদ।
আল্লাহ তায়ালা যখন জিহাদের আয়াত নাজিল করেছিলেন, তখন অনেকের কাছে ব্যাপারটি দুরূহ হয়েছিল। আবার অনেকেই উহুদের যুদ্ধে মুশরিক বাহিনীর আক্রমনের সামনে টিকতে না পেরে যুদ্ধ ছেড়ে চলে এসেছিলেন। তাদের উদ্দেশ্যে আল্লাহ তায়ালা এই সূরার দুই ও তিন নম্বর আয়াতে বলেছেন—
তোমরা এমন কথা কেন বল, যা কর না? তোমরা যা কর না, তা বলা আল্লাহর কাছে খুবই অসন্তোষজনক। আল্লাহ তায়ালা তো তাদেরকে (বিশেষভাবে) পছন্দ করেন, যারা তাঁর পথে সারিবদ্ধভাবে লড়াই করে যেন তারা সিসা ঢালা প্রাচীর (অর্থাৎ সিসা গলানো প্রাচীর যেমন মজবুত, অপরাজেয় হয়ে থাকে, তেমনি তারা শত্রুর মুকাবিলায় পশ্চাৎপদ হয় না। তারাই আল্লাহর প্রিয় এবং পছন্দের।
যারা এসব কথা বলেছিলেন, তাঁদের মধ্যে হজরত আবদুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা আনসারী (রা.)-ও একজন ছিলেন। যখন এই আয়াত অবতীর্ণ হলো এবং জানা গেল যে, জিহাদ হলো সবচেয়ে উত্তম আমল তখন তিনি প্রতিজ্ঞা করলেন যে, মৃত্যু পর্যন্ত তিনি নিজেকে আল্লাহর পথে ওয়াকফ করে দিলেন। নিজের প্রতিজ্ঞার উপর অটল থাকেন তিনি এবং আল্লাহর পথে শহীদ হন।
হজরত আবু সাঈদ খুদরী (রা.) থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তিন প্রকারের লোককে দেখে আল্লাহ তায়ালা হেসে থাকেন। (এক) যারা রাত্রে উঠে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ে, (দুই) নামাজের জন্য যারা কাতারবন্দী বা সারিবদ্ধ হয় এবং (তিন) যুদ্ধের জন্যে যারা সারিবদ্ধ হয়। (মুসনাদে আহমাদ)
হজরত সাঈদ ইবনে জুবায়ের (র,) বলেন যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) স্বীয় সেনাবাহিনীকে সারিবদ্ধ না করা পর্যন্ত শত্রুদের সাথে যুদ্ধ শুরু করতেন না। সুতরাং কাতারবন্দী বা সারিবদ্ধ হওয়ার শিক্ষা মুসলমানদেরকে আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছে।
======
ঢাকা পোস্ট থেকে
=============
১৯ শে মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১৫
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
পড়ার জন্যে আপনাকে ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা নিরন্তর।
২| ১৯ শে মে, ২০২৫ দুপুর ২:৩২
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: চমৎকার আলোচনা করেছেন শাইয়্যান দা ভাল থাকবেন
১৯ শে মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১৫
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
ধন্যবাদ, লিটন ভাই। ভালো থাকুন নিরন্তর।
৩| ২০ শে মে, ২০২৫ সকাল ১০:০২
রাজীব নুর বলেছেন: পড়লাম।
ধর্মকর্ম তেমন একটা করা হয়নি। আফসোস। সময় চলে যাচ্ছে হু হু করে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে মে, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৫
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।