![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার মনে বিষ আছে এবং আমি তা ব্লগে এপ্লাই করি! জানেনই তো, পৃথিবীর সবচেয়ে দামী ঔষধ বিষ দিয়েই তৈরী হয়!
১৯৭৯ সালের ইরানি বিপ্লবের নেতা ইমাম রুহুল্লাহ খোমেনী (রহ.) সেই দেশের তৎকালীন রেজা শাহ পাহলভী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করার কারণে বিভিন্ন দেশে নির্বাসিত জীবন কাটিয়েছিলেন। এর মধ্যে ফ্রান্সে তাঁর নির্বাসনকালটা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, কারণ এর পরেই ইরানে বিপ্লব ঘটার ফলে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে ব্যাপক আলোড়নের সৃষ্টি করে। বি,এন,পি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান দীর্ঘ দিন ধরেই গ্রেট ব্রিটেনে অবস্থান করছেন। তাঁর এই একাকী থাকাটা অনেকটা স্বেচ্ছায় নির্বাসনের মতোই। আমি তাঁর সাম্প্রতিক বক্তব্যগুলোর কয়েকটি শুনেছি। এতে মনে হয়েছে তাঁর মধ্যে একটি পরিবর্তন এসেছে, তিনি আগের তুলনায় অনেক পরিণত।
ইমাম খোমেনী কেন ফ্রান্সে নির্বাসনে গিয়েছিলেন?
ইমাম খোমেনী প্রথমে ইরানের শাহের শাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলে ১৯৬৪ সালে তুরস্কে নির্বাসিত হোন। পরে তিনি ইরাকের নাজাফে চলে যান এবং সেখানে প্রায় ১৪ বছর অবস্থান করেন। কিন্তু ১৯৭৮ সালে ইরাক সরকার ইরানের সেই সময়ের শাসনকর্তা শাহের চাপে তাঁকে ইরাক ছেড়ে যেতে বাধ্য করে।
ইমাম খোমেনী প্রথমে কুয়েত যেতে চাইলেও সেখানকার সরকার ভিসা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এরপর তিনি ফ্রান্সের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমান এবং অক্টোবর ১৯৭৮ থেকে ফেব্রুয়ারি ১৯৭৯ পর্যন্ত প্যারিসের নিকটবর্তী নওফেল লে শাতো নামক গ্রামে অবস্থান করেন।
ফ্রান্স কেন তাঁকে আশ্রয় দিয়েছিল?
ফ্রান্স সরকারের এরকম সিদ্ধান্তের পেছনে কৌশলগত ও রাজনৈতিক অনেক কারণ ছিলো:
১. ফ্রান্সের ঐতিহ্যগত নীতি: ফ্রান্স ঐতিহাসিকভাবে রাজনৈতিক ভাবে নির্বাসিত রাজনৈতিক নেতাদের আশ্রয় দিয়ে আসছিলো। বিপ্লবী বা বিতর্কিত নেতাদের আশ্রয় দেওয়ার তাদের একটি রেকর্ড আছে।
২. শাহের প্রতি ফ্রান্সের সন্দেহ: যদিও ফ্রান্স ইরানের শাহ সরকারের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছিলো, তবে তারা ইরানের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চিয়তায় ছিল। ফ্রান্স বুঝতে পেরেছিল যে শাহের পতন হতে পারে এবং তারা ভবিষ্যতের ইরানের সাথে সম্পর্ক রক্ষার সম্ভাবনা খোলা রাখতে চেয়েছিলো।
৩. মিডিয়া সুবিধা: ফ্রান্সে অবস্থান করে ইমাম খোমেনী পশ্চিমা মিডিয়ার মাধ্যমে তাঁর বার্তা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হোন। প্যারিস ছিল আন্তর্জাতিক সাংবাদিকদের কেন্দ্রস্থল, যা ইরানি বিপ্লবকে গতি দিয়েছিল। এতে করে, ফ্রান্স নিজেকে বিশ্বের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে রাখতে সক্ষম হয়।
৪. যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্কের ভারসাম্য: ফ্রান্স যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র হলেও স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করে থাকে। তারা ইরানের ঘটনাবলিতে সরাসরি হস্তক্ষেপ না করে একটি নিরপেক্ষ অবস্থান নেয়।
ফ্রান্সে অবস্থানের প্রভাব
ফ্রান্সে থাকাকালীন ইমাম খোমেনী সাংবাদিকতা, বক্তৃতা ও ইসলামিক বিপ্লবের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ পান। তাঁর নেতৃত্বে ইরানে গণঅভ্যুত্থান তীব্র হয় এবং ১৯৭৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে শাহ সরকারের পতন ঘটে। এরপর তিনি বিজয়ী নেতা হিসেবে ইরানে ফিরে আসেন।
উপসংহার
ইমাম খোমেনীর ফ্রান্সে নির্বাসন ইরানি বিপ্লবের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। ফ্রান্সের আশ্রয় তাঁকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কার্যকরভাবে সংগঠিত হতে সাহায্য করেছিল। এই ঘটনা দেখিয়ে দেয় কিভাবে আন্তর্জাতিক রাজনীতি ও আশ্রয়দানকারী দেশগুলোর কৌশল একটি জাতির ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারে। ব্রিটেন বি,এন,পি চেয়ারপারসনকে আশ্রয় দিয়ে একই পথ অনরসন করেছে। আর, তারেক রহমান তাঁকে একবার ঝালিয়ে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। তিনি যদি সামনের নির্বাচনে বাংলাদেশের ক্ষমতায় আসেন, তাহলে, হয়তো আমরা নতুন একটি জাতীয়তাবাদী দলকে দেখতে পাবো, এই আশা করাই যায়!
২| ৩০ শে জুন, ২০২৫ রাত ১০:১৪
ওমর খাইয়াম বলেছেন:
@কুতুব,
২ জনের মাঝে বেশ মিল আছে; ২ জনই সন্ত্রাসী: তারেক শেখ হাসিনাকে হত্যা করার চেষ্টা করেছিলো; তাতে ২৪ জন মৃত, ৫০০ জন আহত। হোমেনী কতজনকে ফাঁসীতে ঝুলায়েছে, তার হিসেবও নেই।
৩| ৩০ শে জুন, ২০২৫ রাত ১১:০৩
নতুন নকিব বলেছেন:
তারেক জিয়া ও ইমাম খোমেনি—দুজনই একসময় নিজ নিজ দেশের রাজনীতি থেকে নির্বাসিত ছিলেন এবং দূর থেকে রাজনৈতিক প্রভাব রাখতেন। দুজনের ক্ষেত্রেই প্রত্যাবর্তন নিয়ে জল্পনা ছিল। তবে মিল এখানেই সীমাবদ্ধ। কারণ, খোমেনি ছিলেন ধর্মীয় বিপ্লবের নেতা ও শাসনব্যবস্থার রূপকার, আর তারেক জিয়া রাজনৈতিক দলে উত্তরাধিকারসূত্রে নেতৃত্বধারী। আদর্শ, প্রেক্ষাপট ও প্রভাব—সবকিছুতেই তারা একে অপরের বিপরীত।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে জুন, ২০২৫ রাত ১০:০৬
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: তারেক রহমানের সাথে খোমেনির কোনো মিল নাই ।