![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার কাছে অনেক আইডিয়া আছে এবং আমি তা ব্লগে এপ্লাই করি! জানেনই তো, পৃথিবীর সব কিছুর মূলে রয়েছে আইডিয়া!
শান্তি… এই শব্দটা শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে নীল আকাশ, শিশুর হাসি আর ভোরের পাখির ডাক। কিন্তু ইতিহাসের পাতায় শান্তির জন্ম সবসময় এত কোমল ছিল না। অনেক সময় শান্তি এসেছে রক্তাক্ত যুদ্ধের ধ্বংসস্তূপের ভেতর দিয়ে, যেন নতুন এক ভোর জন্ম নিচ্ছে দীর্ঘ রাতের শেষে।
বাংলাদেশ: স্বাধীনতার জন্য এক জাতির লড়াই
১৯৭১ সাল। বঞ্চনার শিকল যেন গলায় শক্ত হয়ে আসছে। ভাষা দমন, রাজনৈতিক বঞ্চনা, অর্থনৈতিক শোষণ — সব মিলিয়ে পূর্ববাংলার মানুষ তখন এক অন্ধকার গহ্বরে আটকে। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের পথ রুদ্ধ করে দেওয়া হলে শুরু হয় এক ভয়াবহ যুদ্ধ।
নয় মাসের সেই রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম কেবল ভূখণ্ডের জন্য ছিল না, ছিল অস্তিত্বের জন্য, মর্যাদার জন্য, ভবিষ্যতের জন্য। লাখো প্রাণের বিনিময়ে জন্ম নেয় স্বাধীন বাংলাদেশ—একটি জাতির আত্মপ্রকাশ ঘটে। যুদ্ধ ধ্বংস ডেকে এনেছিল ঠিকই, কিন্তু সেই ধ্বংসের মধ্য দিয়েই গড়ে উঠেছিল শান্তি ও স্বাধীনতার নতুন ভিত্তি।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপ: ধ্বংস থেকে ঐক্যের পথে
১৯৪৫ সালের ইউরোপ যেন এক বিশাল শ্মশানভূমি। দুইটি মহাযুদ্ধের পর গোটা মহাদেশ ক্লান্ত, বিধ্বস্ত। কিন্তু এখানেই ইতিহাস এক মোড় নেয়। দেশগুলো বুঝতে পারে—আরেকটি যুদ্ধ মানেই সম্পূর্ণ ধ্বংস।
তারা তৈরি করে United Nations, European Union, বাণিজ্য ও কূটনীতির নতুন কাঠামো। যুদ্ধের ভয়াবহ স্মৃতি তাদের বাধ্য করে সহযোগিতার পথে হাঁটতে। আজকের শান্তিপূর্ণ ইউরোপ আসলে সেই যুদ্ধের ধ্বংসস্তূপ থেকে উঠে আসা এক দৃঢ় প্রতিজ্ঞার ফল।
কোরীয় যুদ্ধ: আগুনের পর নতুন সূর্যোদয়
১৯৫০-এর কোরীয় যুদ্ধ দক্ষিণ কোরিয়াকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে। কিন্তু যুদ্ধের পর গড়ে ওঠে নতুন ভূরাজনৈতিক বাস্তবতা, মার্কিন সহায়তা ও উন্নয়ন কাঠামো। ধীরে ধীরে দক্ষিণ কোরিয়া যুদ্ধোত্তর বিশৃঙ্খলা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী অর্থনীতি ও স্থিতিশীল সমাজে রূপ নেয়। যুদ্ধের পরের দৃঢ় পরিকল্পনা ও ঐক্যই শান্তির মজবুত ভিত্তি তৈরি করেছিল।
যুদ্ধ শান্তির বিপরীত নয়, অনেক সময় জন্মদাত্রী
যুদ্ধ কখনোই কাম্য নয়। এটি সর্বদাই শেষ বিকল্প। কিন্তু যখন অন্যায়, দমন ও আগ্রাসন শান্তিপূর্ণ সব পথ বন্ধ করে দেয়, তখন ইতিহাস সাক্ষী—যুদ্ধই হয়ে ওঠে নতুন শান্তির জন্মদাত্রী। এখানে যুদ্ধ “লক্ষ্য” নয়, বরং শান্তির কাঠামো গঠনের এক কঠিন কিন্তু কার্যকর উপায়।
শেষ কথা
শান্তি শুধু যুদ্ধ থামিয়ে দেওয়া নয়; এটি ন্যায়, মর্যাদা ও ভবিষ্যতের অধিকার প্রতিষ্ঠার নাম। অনেক সময় ইতিহাসকে ঘুরিয়ে দিতে হয় আগুনের ভেতর দিয়েই।
“War doesn’t always end peace; sometimes, it gives birth to a new dawn.”
১৫ ই অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৬
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
ব্লগে স্বাগতম।
বাংলায় নিকের জন্যে আবেদন করুন।
শুভেচ্ছা নিরন্তর।
২| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৫:৩১
জুল ভার্ন বলেছেন: যুদ্ধ, হিংসা হিংস্রতায় শান্তি আসে না। শান্তির জন্য চাই মানবিক মূল্যবোধ সমুন্নত রাখা, উদারতা।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ২:৫৩
Ellen261Rister বলেছেন: এই লেখাটি যেন এক আবেগঘন যাত্রা—শান্তির কোমলতা আর সংগ্রামের তীব্রতা একসাথে মিশে গেছে। ভাষার সৌন্দর্য আর ইতিহাসের গভীরতা মিলিয়ে তুমি যে চিত্র এঁকেছ, তা শুধু তথ্য নয়, অনুভূতি। ১৯৭১-এর সেই রক্তক্ষয়ী অধ্যায়কে তুমি তুলে ধরেছ এমনভাবে, যেন পাঠক শুধু পড়ে না, অনুভব করে। শিশুর হাসি থেকে যুদ্ধের ধ্বংসস্তূপ—তোমার বর্ণনায় সবকিছুই জীবন্ত। এই লেখার প্রতিটি পঙ্ক্তি আমাদের মনে করিয়ে দেয়, শান্তি কখনো কখনো আসে অনেক ত্যাগের বিনিময়ে। ধন্যবাদ এমন একটি শক্তিশালী, হৃদয়গ্রাহী লেখা উপহার দেওয়ার জন্য। https://www.nelnet.it.com