| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্যপথিক শাইয়্যান
আমার কাছে অনেক আইডিয়া আছে এবং আমি তা ব্লগে এপ্লাই করি! জানেনই তো, পৃথিবীর সব কিছুর মূলে রয়েছে আইডিয়া!
ভারতীয় ব্লগার ও ভ্লগাররা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অনবরতঃ বিষ বাক্য ছড়িয়ে যাচ্ছেন। ভারত এবং বিভিন্ন দেশ থেকে আওয়ামী কর্মী ও সাপোর্টাররা সেইসব লেখা এবং ভিডিও স্যোশাল মিডিয়াতে শেয়ার করে ঝড় তুলছেন। গোয়েবলসীয় কায়দায় মিথ্যাকে তাঁরা সত্য বানাচ্ছেন।
এদিকে, বাংলাদেশের ব্লগার ও ভ্লগারদের কি অবস্থা? নিজ দেশকে অপতথ্য থেকে বাঁচাতে কি করছেন? তথ্যপূর্ণ তেমন ব্লগপোস্ট কিংবাঁ ভ্লগ বানাতে পারছেন না বলেই মনে হচ্ছে। বররং, বাইরের এই মিডিয়া যুদ্ধে নিজেরা কিছু তো করছেনই না, বরং তাঁরা নিজেদের মাঝে মারামারিতে ব্যস্ত!
এই পর্যায়ে কি বাংলাদেশের ব্লগার ও ভ্লগাররা কি করতে পারেন? তাঁরা কেন প্রতিপক্ষকে সঠিক উত্তর দিতে পারছেন না? এই উত্তরের পেছনে রয়েছে স্ট্র্যাটেজিক দুর্বলতা, তথ্য-ব্যবস্থাপনার ঘাটতি, এবং সংগঠিত প্রচারের অভাব।
কেন বাংলাদেশি ব্লগার ও ভ্লগাররা পিছিয়ে?
১. সংগঠিত ন্যারেটিভ টিমের অভাব
ভারতে বড় বড় “ইকোসিস্টেম” আছে—রাজনৈতিক দল, মিডিয়া, থিঙ্কট্যাংক, সোশ্যাল-মিডিয়া টিম—সবাই মিলে ন্যারেটিভ তৈরি করে। বাংলাদেশে এই ধরনের সমন্বিত নেটওয়ার্ক নেই।
ফলে ব্যক্তিকেন্দ্রিক কাজ হয়, প্রভাব ছোট থাকে।
২. তথ্যভিত্তিক কনটেন্ট তৈরির দক্ষতার ঘাটতি
অনেক ব্লগার বা ভ্লগার আবেগ দিয়ে কথা বলেন, কিন্তু
ডেটা, রিপোর্ট, আন্তর্জাতিক সোর্স, তুলনামূলক বিশ্লেষণ—এসব ব্যবহার করেন না।
এতে কনটেন্টে বিশ্বস্ততা কম থাকে।
৩. পেশাদারিত্ব ও ধারাবাহিকতার অভাব
ইউটিউব, টিকটক, বা ফেসবুকে কনটেন্ট বানানোর নিয়ম—
SEO, থাম্বনেইল, স্ক্রিপ্ট, ব্র্যান্ডিং—সবকিছুর জন্য দক্ষতা দরকার।
ভারতে হাজার হাজার কনটেন্ট ক্রিয়েটর এসব শেখার জন্য ইনভেস্ট করে।
বাংলাদেশে তা কম হয়।
৪. নিজেদের ভেতর বিভাজন
ব্যক্তিগত আক্রমণ, দলাদলি, তুচ্ছ প্রতিযোগিতা—এসবই বাংলাদেশি কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের ভিতর দেখা যায়।
ফলে জাতীয় ন্যারেটিভের বদলে ব্যক্তিগত রাগ-ক্ষোভ প্রধান হয়ে ওঠে।
৫. গবেষণা-সমর্থিত মিডিয়া কনটেন্টের অভাব
ভারতীয় ভ্লগাররা কাজ করেন থিঙ্কট্যাংকের তথ্য, ডকুমেন্টারি, নীতি–বিশ্লেষণ দিয়ে।
বাংলাদেশে এগুলো করার জন্য প্রতিষ্ঠান বা ফান্ডিং–টু–প্রজেক্ট সংস্কৃতি নেই।
এখন বাংলাদেশের ব্লগার ও ভ্লগাররা কী করতে পারেন?
১. “ফ্যাক্ট–বেইজড মিডিয়া স্কোয়াড” গঠন করা
৫–২০ দক্ষ ব্লগার/ভ্লগার মিলে একটি SEO–অপ্টিমাইজড, তথ্য–সমর্থিত
ডিজিটাল ন্যারেটিভ টিম গঠন করতে পারেন।
যেখানে থাকবে:
গবেষক
সম্পাদক
ভিডিও স্ক্রিপ্ট লেখক
ডিজাইনার
তথ্য যাচাই টীম
এভাবে দলগতভাবে কাজ করলে প্রভাব বহুগুণ বৃদ্ধি পায়।
২. “ডেটা + ভিজুয়াল + স্টোরিটেলিং”–ভিত্তিক কনটেন্ট তৈরি
বিশ্বকে বিশ্বাস করানোর সবচেয়ে বড় অস্ত্র: তথ্য + গল্প।
যেমন:
বাংলাদেশ–ভারত বাণিজ্যগত তথ্য
পানি, আঞ্চলিক রাজনীতি, সীমান্ত ইস্যুর রিয়েল ডেটা
UN রিপোর্ট, বিশ্বব্যাংক/ADB ডেটা
ইনফোগ্রাফিক দিয়ে বোঝানো
৩ মিনিটের ডকুমেন্টারি স্টাইল বিশ্লেষণ
এই ধরণের কনটেন্ট ভারতীয় প্রোপাগান্ডাকে সহজেই কাউন্টার করতে পারে।
৩. ইংরেজি ভাষায় কনটেন্ট তৈরি করা
যে ন্যারেটিভ আন্তর্জাতিকভাবে গুরুত্ব পায়, তা ইংরেজিতে হয়।
বাংলাদেশি ব্লগার/ভ্লগারদের ১০–২০% কনটেন্ট ইংরেজিতে বানানো উচিত।
তাহলে আন্তর্জাতিক মিডিয়া নজর দেবে, বিদেশি দর্শক বুঝবে।
৪. “প্রপাগান্ডা নয়—এডুকেশনাল কনটেন্ট” তৈরি করা
প্রপাগান্ডার উত্তরে আরেক প্রপাগান্ডা নয়।
বরং এমন কনটেন্ট বানানো:
ব্যাখ্যামূলক
নিরপেক্ষ
তথ্য–সমর্থিত
শিক্ষামূলক
এতে বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ে।
৫. ব্যক্তিগত বিভাজন বাদ দিয়ে সাধারণ জাতীয় ইস্যুতে একসাথে কাজ করা
বাংলাদেশি কনটেন্ট ক্রিয়েটররা যদি
একটি শেয়ারড টেমপ্লেট, রেফারেন্স–ব্যাংক ও স্টোরিটেলিং ফ্রেমওয়ার্ক
ব্যবহার করেন, তাহলে সবার কনটেন্ট মানসম্মত হবে এবং একই ন্যারেটিভ তৈরি হবে।
৬. YouTube SEO, ট্রেন্ড অ্যানালাইসিস, ভিজুয়াল ব্র্যান্ডিং শেখা
একই বিষয়ের কনটেন্ট হলেও যাদের ব্র্যান্ডিং ভালো, ভিজুয়াল শক্তিশালী, SEO পরিপূর্ণ—
তাদের ভিডিও ভিউ পায় দ্রুত।
বাংলাদেশি ভ্লগারদের এই টেকনিক্যাল স্কিল আপগ্রেড করতে হবে।
৭. সরকার নয়—স্বাধীন নাগরিক কণ্ঠ হিসেবে কাজ করা
সরকারিভাবে কিছু করলে তা রাজনৈতিক মনে হয়।
কিন্তু স্বাধীন নাগরিক সাংবাদিকতা, ওপেন সোর্স অ্যানালাইসিস, স্যাটেলাইট ডেটা, অর্থনীতি বিশ্লেষণ—এসব করলে আন্তর্জাতিক ভাবে বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ে।
সংক্ষেপে করণীয়
✔ গবেষণা–ভিত্তিক কনটেন্ট
✔ দলগতভাবে ন্যারেটিভ তৈরি
✔ আন্তর্জাতিক ভাষায় প্রকাশ
✔ ভিজুয়াল ও ডেটা–অরিয়েন্টেড কাজ
✔ ব্যক্তিগত বিভাজন কমানো
✔ পেশাদার কনটেন্ট চালু
✔ স্বাধীন নাগরিক বিশ্লেষণ
যদি এই স্ট্র্যাটেজিগুলো অনুসরণ করা যায়, তাহলে বাংলাদেশি ব্লগার ও ভ্লগাররা ভারতীয় বিভ্রান্তিকর ন্যারেটিভের বিপরীতে একটা শক্ত, আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য তথ্য–ভিত্তিক ডিজিটাল ফ্রন্ট গড়ে তুলতে পারবেন।
১৮ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:৫৬
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
দেখুন, আমরা ইউনিফায়েড বাংলাদেশ চাই।
এজন্যে, এই নীতির সাথে মিলিয়ে, যাঁদের যাঁদের সাথে হাত মিলাতে হবে, আমরা তাঁদের সাথেই হাত মিলাবো।
জামায়াত এই দেশের একটি শক্তি। তাঁরা যদি ইউনিফায়েড বাংলাদেশ চান, আমরা তাঁদের সাথেও যোগাযোগ করবো।
বুঝার জন্যে ধন্যবাদ।
২|
১৮ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৪
মেঘনা বলেছেন: চাচা প্রোপাগান্ডায় জিতা কী করবেন, আসল যুদ্ধে জিতেন। পঞ্চাশ লাখ জামাত-শিবির তো রেডিই আছে।
১৮ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:৫৭
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
প্রথম কমেন্টের উত্তরে আমি কি লিখেছি পড়ুন।
ধন্যবাদ।
৩|
১৮ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:০৫
আমি নই বলেছেন: ভারতীয়রা রাষ্ট্রের প্রশ্নে সবাই এক হয়ে যায়, আর বাংলাদেশিরা দেশের চাইতে নেতার গুরুত্ব বেশি দেয়। নেতা যেই দেশের ভক্ত সেই দেশ প্রকাশ্যে ুটু মারলেও হাসিমুখে মেনে নেয়। দেশপ্রেম আমাদের নাই বললেই চলে।
১৮ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:৫৮
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
আমরা আমাদের স্বার্থে আগেও বহুবার এক হয়েছি।
৩৬ জুলাই এঁর প্রমাণ।
শুভেচ্ছা।
৪|
১৮ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:১২
রৌশন বলেছেন: ফ্যাক্ট চেকিং গ্রুপ গুলা তো আছেই?
১৮ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:৫৯
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
আমার পোস্টটি ভালো ভাবে পড়ুন।
অনেক দিক - নির্দেশনা আছে।
ধন্যবাদ।
৫|
১৮ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৩২
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এসব নিয়ে লিখে কোনো লাভ নেই । গুজব এপাড় এবং ওপাড় সব দিক থেকেই আসে ।
১৯ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:০৭
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
অবশ্যই লাভ আছে।
বাংলাদেশের সরকার এই নিয়ে চিন্তিত। বহুবার প্রবাদ করা হয়েছে।
ধন্যবাদ।
৬|
১৯ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১:১২
মাথা পাগলা বলেছেন: ভারতবিরোধীতা আসলে এক ধরনের মানসিক রোগ। এর শিকড় ধর্মীয় মৌলবাদে। জামাত এবং জামাত সাপোর্টাররা মূলত ভারতফোবিয়ায় ভোগে - তারা প্রায় সবকিছুতেই ভারত দেখে, "র" এর এজেন্ট দেখে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৫৯
কলাবাগান১ বলেছেন: চ্যাটজিপিটি আমাকেও সেইম পরামর্শ দিয়েছে যখন জিজ্ঞেস করলাম জামাত-শিবির এর........।