নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

.....

শূন্য সারমর্ম

কঠিন সত্য কি মানুষ বদলাতে পারে?

শূন্য সারমর্ম › বিস্তারিত পোস্টঃ

অ্যান্টিবায়োটিক সাজেস্ট করা শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছে বাঙালীরা।

১৩ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:১৪



সারা দেশের ১০ হাজার প্রেসক্রিপশন এন্যালাইজ করে দেখা গেছে শতকরা ৫২ ভাগ অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করছে। আররকটা ব্যাপার, রোগ নির্ণয় ব্যতীত অ্যান্টিভাইরাল,অ্যান্টিফাঙ্গাল ও অ্যান্টিপ্যারাসাইটিক ওষুধও ব্যাবহার করছে চোখ বন্ধ করছে, নরমাল সিবিসি টেস্ট করার প্রয়োজনও বোধ করছে না। এত ভালো চিকিৎসক, এত অভিজ্ঞতা, এত এক্যুরেসি! বাহ! শতকরা ভাগ করলে অ্যান্টিভাইরাল ৮৪, ফাঙ্গাল ৮০, প্যারাসাইটিক ৭৭ ভাগ।

আপনি পড়াশোনা করে ডাক্তার হয়েছেন, ডিগ্রী আছে কিন্তু চেম্বারের চেয়ারে বসে দম না নিয়েই অ্যান্টিবায়োটিক সাজেস্ট করছেন, যা হিসেব আপনিও জানেন না ; সরকার জানে তা হচ্ছে ৮৪ ভাগ। অযোগ্য, ভূয়া ডিগ্রীহীনরা দেয় ৯২ ভাগ রোগীকে।

সময় আসবে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স দেখা দিবে, ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া হাই,হ্যালো করবে না ঔষধকে, প্লেসিবো কাজ করবে না, ঔষধের নামে ময়দার গুড়ি,চকের গুড়িই হবে ভরসা। দেশে রেজিস্ট্রার্ড চিকিৎসক আছে সোয়া লাখ। খবর আসে মাঝেমধ্যে, কয়েকটা ঔষধের নাম মুখস্ত করে চেম্বার নিয়ে বসে ঔষধ লিখে রোগ ভালো করে ফেলছে,ওয়ার্ড বয় সার্জারী করার সময় ইন্সট্রুমেন্ট সহ সেলাই করে দিচ্ছে।এভাবেই চলছে, চলবে তবে করোনার একটা ভ্যারিয়েন্ট বের হওয়ার দরকার ছিল,তা বিশ্বকে চোখ রাঙাতে পারতো; আমরা মুড়ির মত ঔষধ খাই।


আমাদের চিকিৎসকদের মান সম্পর্কে একটা ধারণা পেয়েছিলাম, হাটুর ইনজুরীর জন্য আমার পরিচিত একজন ফ্রান্সের ডক্টরকে দেখানোর সুযোগ পেয়েছিলো,ডক্টর হাটুর অবস্থা বুঝতে ২০/২৫ মিনিট হাটু নাড়া চাড়া করে বিভিন্ন টেস্ট করেও কনফার্ম হতে পারছিলো না ; তবে বাঙালী ডক্টররা দুইটা প্রশ্ন করে ৫/৬ পদের ঔষধ দিয়ে হাফ ছেড়ে বাঁচলো।বছরের পর বছর ভালো ডক্টরের সাথে থেকে নরমাল টেস্ট করা শিখলো না, সার্জারী পরের ব্যাপার।

মনে হচ্ছে, একটা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা দরকার বাঙালী ডক্টরদের নিয়ে 'কে কত কম সময়ে কত পদের অ্যান্টিভাইরাল,অ্যান্টিফাঙ্গাল ও অ্যান্টিপ্যারাসসাইটিক ঔষধ লিখে কাগজ ভরাট করতে পারে। কি বলেন?

মন্তব্য ২৯ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:৪৫

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ডাক্তারদের অবস্থা এমন যে চেম্বারে এক পা দেওয়ার আগেই দুটো ঔষধের নাম লিখে ফেলে তারপর নামধাম জিজ্ঞেস করে আরো কয়েকটা ঔষধ লিখে দূর করে দেয় রোগীকে। ডাক্তাররা অবশ্য রোগীকে দূরকরে দেওয়ার আগে কড়কড়া দুটো ৫০০ টাকার নোট অথবা একটা ১০০০ নোট নিতে ভোলেন না।



ব্লগে কয়েকজন ডাক্তার আছেন তারা আমার মন্তব্য দেখলে রেগে যাবেন। ;)

১৩ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:০৮

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

রেগে কোথায় যাবেন?

২| ১৩ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:৪৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বাঙ্গালী বিশ্বাস করে 'শরীরের নাম মহাশয় যা সওয়াবে তাই সয়'। প্লেসিবোর প্রভাবে বাঙ্গালী ওষুধের নামে আটার ট্যাবলেট খেলেও ভালো হয়ে যায়। ডাক্তাররাও বাঙ্গালী। ওনারা বাঙ্গালীর এই বৈশিষ্ট্য বুঝতে পারার জন্যই দ্রুত এন্টিবাইয়োটিক লিখে দেন। কাজও হয় মনে হয়। তা না হলে ঐ ডাক্তারের কাছে দ্বিতীয় বার কেউ যেত না।

১৩ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:৫২

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


কাজ হয়, তবে রেজিট্যান্স হয়ে অকাজ যখন শুরু হবে তখন পেছনে তাকানোর সময় পাবে না কেউ।

৩| ১৩ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:৫১

ইমরোজ৭৫ বলেছেন: আগের দিনের মানুষের পুকুরের পানি খেলেও পাতলা পায়খানা হতো না। আর এখন ফিল্টার পানি খেয়েও বাচ্চাদের পেট নষ্ট হয়।

১৩ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:৫৩

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

পুকুরের পানিকে আগে মানুষ পূজা করতো, এখন চন্চলের ফিল্টারের এড গোনায়ও ধরে না।

৪| ১৩ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:৩৪

রসায়ন বলেছেন: এইজন্য তো খেসারতও দিচ্ছে। হাসপাতালের আইসিইউর অনেক রোগী এখন এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট সুপারবাগের কারণে ইনফেকশনে মারা যাচ্ছেন

মুড়ির মতো এসব খাওয়া ও ডোজ কমপ্লিট না করার খেসারত দিচ্ছে মানুষ

১৩ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:৫৭

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

এই নীরব যুদ্ধে অটো পেনিসিলিন বিরোধীরা জয়ী হবে।

৫| ১৩ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:৪৭

জুল ভার্ন বলেছেন: পান বিড়ি সিগারেট এবং ফুটপাতের চা দোকান, মুদি দোকানেও এন্টিবায়োটিক ঔষধ কিনতে পাওয়া যায়!

১৩ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:৫৫

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

সিগারেট ও অ্যান্টিবায়োটিক মুড়ির মত খেলে কত বছর বাঁচার সম্ভাবনা?

৬| ১৩ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:৩৪

রায়হান চৌঃ বলেছেন: আমাদের দেশে আজকে যে শিশুটি জন্ম নিল তার শরীরে কম করে হলে ও ১৮ থেকে ২০ টি অ্যন্টিবড়ি নিয়ে জন্ম নিচ্ছে, মানে তার শরীরে ১৮ থেকে ২০ টি অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করবে না, ব্যপার টা কত টুকু ভয়ংকর এটা বুঝার মত ক জন মানুষ আছে আমাদের দেশে ?
চোখ বন্ধ করে ব্যপার টা এক বার ভেবে দেখুন, কি পরিমান হাহাকার আমাদের দিকে ধেয়ে আসছে...... আমি বিষয় টা নিয়ে আর ভাবতে পারি না..... আমার বুকের দড়পড় বেড়ে যায়।
আল্লাহ ছাড়া আর কোন উপায় নেই।

১৩ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:৪৩

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

অবস্থা ভয়ংকর তা ঠিক। তবে শিশুর জন্মের সাথে ১৮/২০ টি এন্টিবায়োটিক কাজ না করা একটু বুঝিয়ে বলবেন।

৭| ১৩ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:০৮

রায়হান চৌঃ বলেছেন:
ভাই আমি ডাক্তার নই, তবে যে বিষয় গুলো বুঝি তা হলো, অতি মাত্রায় অ্যান্টিবায়োটিক ( সরাসরি বা খাদ্যের সহিত যেমন ফার্মের মুরগী), ভেজাল খাদ্য এর জন্য বিশেষ করে দায়ি। এখন আপনি যদি বলেন আজকে যে বাচ্চা জন্ম নিল তার কি করে অ্যন্টিবড়ি তৈরি হচ্ছে, তা হলো বাচ্চার "মা, বাবা" ই এর জন্য দায়ি। আমাদের এখনকার যে জানারেশন, এদের বেশির ভাগ ই ২০/২২ টা অ্যন্টিবড়ি হয়ে আছি। বিশ্বাস না হলে ল্যব টেষ্ট করিয়ে দেখতে পারেন :)

দেখুন.... আমাদের ফার্মেসি গুলোতে আপনি চাইলেই অ্যান্টিবায়োটিক পাচ্ছেন, এটাকে ষ্ট্রিকলি কন্ট্রোল করতে হবে, ফর্মে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার আইন করে কমাতে হবে, যদি ও আমরা আইনকে বুড়ো আংগুল দেখিয়ে চলতে পছন্দ করি। তার পর ও যদি কোন এক সময় এর প্রচলন হয় এর আশায়। তা না হলে..... একজন পিতা কত টা অসহায় তা আপনাকে আমাকে ই দেখে যেতে হবে।

১৩ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:১৩

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


ভেজাল খাবারের মা থেকে ত্রুটিপূর্ণ শিশু।

৮| ১৩ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:১৪

রায়হান চৌঃ বলেছেন:
রসায়ন বলেছেন: এইজন্য তো খেসারতও দিচ্ছে। হাসপাতালের আইসিইউর অনেক রোগী এখন এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট সুপারবাগের কারণে ইনফেকশনে মারা যাচ্ছেন

মুড়ির মতো এসব খাওয়া ও ডোজ কমপ্লিট না করার খেসারত দিচ্ছে মানুষ

ধন্যবাদ ভাই রসায়ন কে, আপনি ও খুব ভাল বিষয় টি যোগ করেছেন বলে।

১৩ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:৩৫

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

আইসিউতে রেখে বিল তোলা হয় নাকি?

৯| ১৩ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:২১

মোগল সম্রাট বলেছেন: কইঞ্চেন দেহি ভাই আপ্নার পোষ্ট পইড়া জানে পানি পাইতাছি না। এহন থিকা হেকিমি দাওয়াখানা, অথবা কইলকাতা হারবালের উপ্রে ভরসা করা শুরু করুম। :``>>

১৩ ই জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৫

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


হারবা্ল ও হাকিমী মিক্স করে খেলে ডবল উপকার।

১০| ১৩ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:২৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: শূন্য সারমর্ম,




প্রসঙ্গটি যদিও পুরোনো তবুও এর আবেদন কমে নি মোটেও। বিশ্ব সংস্থাগুলো চিল্লিয়ে গলা ফাটালেও আমাদের মতো অনুন্নত
( শিক্ষা ও মানসিকতায়) দেশে এর কোনও আছর নেই।
এন্টিবায়োটিক প্রেসক্রিপশান করা বা সাজেস্ট করা শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছে বাঙালীরা, কথাটা সত্য বটে তবে তারচেয়েও সত্যটি হলো এই যে; অসুখ-বিসুখ, ঔষধ, স্বাস্থ্য সম্পর্কে আমাদের ধারনা হয় একেবারেই নেই বা মুষ্ঠিমেয়র থাকলেও তা "লে-ম্যান" পর্যায়ের।
এন্টিমাইক্রোবিয়ালস রেজিষ্ট্যান্স কি করে হয় , কেনই বা হয়, আইন করেও যখন তখন এন্টিমাইক্রোবিয়ালসের ব্যবহার রোধ করা কেন যাচ্ছেনা এটা আমাদের বেশীর ভাগ লোকেদেরই জানা নেই।
মন্তব্যগুলো পড়ে মনে হলো, কয়েকটি পর্বে এন্টিবায়োটিক সম্পর্কে বিশদ করে লেখা নিয়ে নীচের লিংকটিতে গেলে এ সম্পর্কে ব্লগারদের মধ্য থেকে দশ-পাঁচজন হলেও সচেতন হবেন। যদিও লেখাটি পোস্ট-রিপোস্ট হয়েছে তবুও আপনার এই পোস্টের সাথে মনে হয় এর সংযোগটি অনেক বেশী প্রাসঙ্গিক ---------------The world is running out of antibiotics...” এন্টিবায়োটিকের কথা।

ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা।

১৩ ই জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৬

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


শুভেচ্ছা ; আপনার এ লিখা পর্ব আকারে পড়েছিলাম আগে। দেয়াতে ভালো হলো,আবার পড়া যাবে।

১১| ১৩ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৮:৪৭

মিতু খাতুন মেঘলা বলেছেন: আমার এক বন্ধু কে গ্রামের এক ডাক্তার ২ দিন প্রতিদিন ২ টি করে অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করতে বলেছে, সাথে view this link। এটা কতটা সঠিক জানিনা।

১৩ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১০:৩৩

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


আপনার লিংকের ঔষধ "প্যারাসিটামল জীবনে সবাই একবার খায়ই।

১২| ১৩ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৯:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: আমি ডাক্তারের কাছে যাই না। ওষুধ খাই না।

মাথা ব্যথা করলে নাপা খাই।
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার জন্য- মেক্সপ্রো খাই। ব্যস শেষ।

১৩ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১০:৩৩

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


সবই ভালো ; ভিতরে টাইম বম্ব ফিট করা আছে কিনা চেক করিয়েন।

১৩| ১৩ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১০:৫১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
বাচ্চা বুড়া সকলকেই ইহাতে অভ্যস্ত করানো হয়ে গেছে।

১৩ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১১:১৪

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


আমি, আপনি সচেতন তো!

১৪| ২০ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:২৬

ফয়সাল রকি বলেছেন: ব্যাপক আকারে সচেতনতা মূলক প্রচার করতে হবে।

২০ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৮

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

মনে হয় না, মানুষ আজ সচেতন হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.