নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

.....

শূন্য সারমর্ম

কঠিন সত্য কি মানুষ বদলাতে পারে?

শূন্য সারমর্ম › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানুষ ধীরে ধীরে বৃক্ষের সিক্রেট ভাষা বুঝতে পারছে।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:৩৩






আমার দিকটা বলতে গেলে, সমুদ্র থেকেও পাহাড়-পর্বত,বন মানে গাছপালা আমায় টানে বেশি,বিভিন্ন জাতের বৃক্ষের আধিক্ষে ঝোপঝাড় /বনের মতন দেখা গেলে আমি খুব পছন্দ করি; এবং বৃক্ষ নিধন আমাকে মন খারাপ করে দেয় ;পরিচিত বিভিন্ন এরিয়ায় গিয়ে আগের মত বৃক্ষ দেখতে না পেলে মনঃক্ষুণ্ণ হই। ঢাকা শহরের রোডের পাশে গাছগুলোকে দেখলে আমার তাদের জন্মস্থান নিয়ে কথা বলতে ইচ্ছে করে।স্যার জগদীশচন্দ্র বসু প্রমান করতে পেরেছিলেন যে বৃক্ষের অনুভুতি আছে, যা ছোটবেলায় জেনেছি সাথে এও জেনেছি মার্কনী উনার রেডিও প্যাটেন্ট নিজের করে নেয়।


ইকোসিস্টেমে মাটি, ফাঙ্গাস ও প্লান্টের যে কানেকশন সেটা ১৮ শতকের শেষ দিকে একজন বুঝতে পেরেছিলেন যা তৎকালীন সময়ে তেমন গুরুত্ব দেয়া হয়নি, পরে দেখা যায় উনি সঠিক বলেছিলেন, ৯০ শতাংশ প্লান্ট ফাঙ্গাসের নেটওয়ার্কে থেকে বড় হয়,ফাঙ্গাস মাটি থেকে পানি ও পুষ্টি নিয়ে আসে প্লান্টের জন্য। কিন্তু এ ফাঙ্গাস নেটওয়ার্কের বাহিরেও বৃক্ষ থেকে বৃক্ষের মাঝে একধরনের সম্পর্কে গড়ে উঠে যা ভাবতে বাধ্য করা হয় যে , বৃক্ষরা প্রতিযোগিতা করে টিকে থাকে না, সহযোগিতায় টিকে থাকে।


যেমন-বিজ্ঞানীরা ল্যাবে ফাঙ্গাস নেটওয়ার্ক সৃষ্টি করে দুটি পাইন গাছ রোপন করে ও একটিকে ফটোসিনথেসিসের ব্যবস্থা করে দেয়, সময়ের ব্যবধানে দেখা যায় যে পাইন সব সুযোগ পাচ্ছে সে শিকড়ের মাধ্যমে নেটওয়ার্কের ভিতর দিয়েও নিজের থেকে প্রাপ্ত সুযোগ-সুবিধা শেয়ার করছে। বিজ্জানীদের কিউরীসিটি থেকে তারা ল্যাবে বিভিন্ন প্রজাতির গাছে ভিন্ন ধরনের ফাঙ্গাস নেটওয়ার্কে এক্সপেরিমেন্ট করে দেখলো যে, প্রত্যেক প্রজাতিই অন্যপ্রজাতির জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়( রিসোর্স শেয়ার করে -অক্সিজেন,নাইট্রোজেন) যেনো ভালোমত বেঁচে থাকতে পারে ;এমনি নিজেদের মধ্য সিগনাল আদান প্রদানও হয় যখন বিভিন্ন ইনসেক্টস এট্যাক হয়, যাএক্সপেরিমেন্ট করা হয়েছে টমেটো গাছের উপর। এমনকি ইকোসিস্টেমে থাকা সবচেয়ে বড় ও বয়স্ক বৃৃক্ষ নিধন করলে পুরো সিস্টেম নেটওয়ার্কে যে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয় তা মোটামুটি পরিস্কার হচ্ছে, তাই এই ধরনের বৃক্ষ নিধনে দরকারী পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।


বৃৃক্ষদের মাটির নিচে এত সুন্দর সম্পর্ক জেনে আমি খুব অবাক হয়েছি, এবং একটু আগে ব্লগেই হাঁসের ফোয়া তৈরীর ব্যাপারটা জেনে খারাপও লেগেছে। সময়ের সাথে বৃক্ষের বির্বতনবাদী আচরণ বিজ্ঞানীরা ধীরে ধীরে বুঝতে পারছে, এবং ফাঙ্গাস নেটওয়ার্ক ন্যাচারালি কীভাবে কৃষিতে প্রয়োগ করা যায় যেন ফার্টিলাইজার ব্যবহার না করতে হয়।



মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৫৩

সোনাগাজী বলেছেন:


বাংগালীরা বৃক্ষকে ভালোবাসে আজকাল।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:২৭

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


ভালোবাসে কিন্তু টাকার গন্ধ পেলে একটু এদিক সেদিক তাকায়।

২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৩১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: হুমায়ূন আহমেদও মনে হয় গাছের ভাষা বুঝতে পারতেন। একবার একটা গাছের শিকরের নীচে খোঁড়ার নির্দেশ দেন তিনি। দেখা যায় নীচে পোকামাকড় হয়ে গাছটাকে প্রায় ধ্বংস করে ফেলছে। ওনার সাথে সম্ভবত জিন ছিল যারা তাকে এই খবর দিয়েছিল মনে হয়। ওনার আত্মজীবনীমুলক লেখায় এই ধরণের কিছু ইঙ্গিত ছিল। এখন বিস্তারিত মনে নাই। তাই বিস্তারিত বলতে পাড়ছি না। তবে আমার ধারণা ভুলও হতে পারে। এটা একান্তই আমার ব্যক্তিগত ধারণা।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৭

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


উনি কেমেস্ট্রির ছাত্র ছিলেন, তাই হয়তো বৃৃক্ষের কেমেস্ট্রি বুঝতে সুবিধা হয়েছে।

৩| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৪০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- আরো কত কিছু দেখা বাকি!!

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:১০

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


বেচে থাকলে দৃশ্যপট এমনিতেই সামনে আসবে।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ২:৪১

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

আপনি ফুল প্রেমী, ওদের সাহায্যপ্রথা বুঝুন।

৪| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:০৫

অনল চৌধুরী বলেছেন: পৃথিবীর সব মানুষ মরার পর আবার গাছ হয়ে জন্ম নেয়।
মৃতের শরীর মাটিতে মিশে যায়।
বৃষ্টির পানিতে শরীরের অংশ মাটিতে ছড়ি পড়ে।
মাটি থেকেই গাছ হয়।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৯

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

মৃত্যুর পর গাছ হয়ে জন্মাবো 'পূণর্জন্মে বিশ্বাস করাই যায়।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ২:৪৪

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


খারাপ মানুষগুলো গাছ হয়ে অন্য গাছকে সাহায্য করে শাপমোচন করার সুযোগ পায় মনে হয়।

৫| ১০ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:৪৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: "বৃক্ষরা প্রতিযোগিতা করে টিকে থাকে না, সহযোগিতায় টিকে থাকে" - চমৎকার একটি পর্যবেক্ষণ! অত্যন্ত শিক্ষণীয়। মানুষ যদি বৃক্ষের কাছ থেকে এ শিক্ষাটুকু গ্রহণ করতে পারতো!

আমার এক সদ্যপ্রয়াত ঘনিষ্ঠ বন্ধু গাছপালা এবং পাখির সাথে কথা বলতো। পঞ্চম তলায় বসবাসকারী এই আজীবন অকৃতদার বন্ধুটির বাসার উত্তর পাশে একটা কৃষ্ণচূড়া গাছ ছিল। জানালা খোলা রাখলে জানালা গড়িয়ে একটি ফুলসমেত ডাল কক্ষে প্রবেশ করতো। সে তা স্পর্শ করে করে তার সাথে কথা বলতো।


এই সেই কৃষ্ণচূড়া। ছবিটি মাত্র গতকাল সন্ধ্যায় তুলেছি। এখন পাতা ঝরে গেছে। যখন পূর্ণ পল্লবিত হয়, তখন এর ডালপালা জানালা গড়িয়ে কক্ষে প্রবেশ করে। বন্ধু এই গাছের সাথে নিয়মিত কথা বলতো। এই গাছে একটি পুরুষ দোয়েল বাস করতো। সেই পাখিটিকে একদিন একটা বানর অথবা বেড়াল মেরে ফেলে। এতে সে খুবই দু:খ পায়। দোয়েলটি তারই মতো নিঃসঙ্গ পুরুষ ছিল মনে করে সে তার সাথে বিস্ময়কর সখ্য গড়ে তুলেছিল।

পোস্টে প্লাস। + +

১০ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:২৫

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


আপনার কমেন্ট পোস্টকে আারেকটু সমৃদ্ধ করলো ; ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.