নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সবার উপরে দেশ - আমার স্বদেশ। ভাল লাগে সততা, সরলতা। খারাপ লাগে নোংরামি, মিথ্যা, অহমিকা, কুটিলতা।
লিখার শুরুতেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি, কারণ আজ এমন কিছু বিষয় এ লিখায় উঠে আসছে যা কারো কারো আবেগে আঘাত হানতে পারে। কিন্তু বর্তমান বাস্তবতায় আমার কাছে যা সত্য মনে হচ্ছে তাই লিখার চেষ্টা করেছি।
বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রবনতায় পূর্বাভাস করা যায় আগামী ১০ বছরের মধ্যেই বাংলাদেশ ভারতের অষ্টম ইউনিয়ন টেরিটরি এবং ২০ বছরের মধ্যে ২৯তম রাজ্য হিসাবে স্হান করে নিবে ভারতের মানচিত্রে। দাবার চক সেভাবেই কষা হচ্ছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভারত যতটুকু প্রভাব বিস্তার করতে পারে সম্ভবত সে নিজে তার বর্তমান ৭ টি ইউনিয়ন টেরিটরীতেও এতবেশী প্রভাব বিস্তার করতে পারেনা। এই ৭টি ইউনিয়ন টেরিটরি সবগুলোই বিভিন্ন সিমান্ত অন্চলে অবস্হিত। এখানে দেখুনঃ http://en.wikipedia.org/wiki/Union_territory
শেখ হাসিনার মত ক্ষমতা অন্ধ, ভারত বান্ধব, এবং প্রধান দলের নেতা থাকলে ভারতের জন্যে এই কাজ খুবই সহজ। সেনাবাহিনীতে কু করে ক্ষমতায় আসা এরশাদ অনেক আগ থেকেই ভারতের আয়ত্বে। বাকী থাকে বিএনপি এবং জামাত। বিগত ৭ বছরে এই ২ দলের কোমর অনেকাংশে ভেংগে দেয়া হয়েছে। যে টুকু শক্তি এদের বাকী আছে তা আগামী ৬ মাসের মধ্যে নিঃশেষ করার প্রচেষ্টায় বিএনএফ গঠন করা হয়েছে। যুদ্ধাপরাধের বিচার বাস্তবায়ন করার মাধ্যমে জামাতের নিঃশেষ আমাদের অনেকেরই কাম্য।
সাম্প্রতিক রাজনৈতিক গতিপ্রকৃতির কারণে যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে আমার যে আবেগ এবং মোহ ছিল তা অনেকাংশে ভেংগে গেছে। একটি দেশের মূল শক্তি তার রাজনীতির সততা, নৈতিকতা, এবং বিশ্বাস যোগ্যতা। এই শক্তিই দেশের যাবতীয় শক্তিগুলোকে সংগঠিত করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যায়। সাম্প্রতিক বছর গুলোতে এ শক্তি ক্ষয়ে যেতে যেতে এখন প্রায় নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে। বিএনএফ এর আত্নপ্রকাশ সম্ভবতঃ দেশের ক্ষয়িষ্নু স্বাধীনতার শেষ প্রতিক।
খবরে প্রকাশ ৫ জন ব্যবসায়ীর মাধ্যমে বিএনএফকে হাজার কোটি টাকা দেয়া হচ্ছে বিএনপির সাবেক এবং বর্তমান মিলে ৫০ এর অধিক নেতাকে দলে ভিড়িয়ে নির্বাচন করার জন্যে। উদ্দেশ্য হচ্ছে ১৮ দলীয় জোট বিহীন নির্বাচনকে গ্রহনযোগ্যতা দেয়া। তবে এ টাকা সরবরাহ করছে পার্শ্ববর্তী একটি দেশের গোয়েন্দা সংস্হা। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্হিতি এবং বিএনএফ এর রেজিষ্ট্রেশন পাওয়ার পদ্ধতিতে মনে হচ্ছে এ খবর বিশ্বাসযোগ্য।
শেখ হাসিনার ধ্বংসাত্নক রাজনৈতিক পদক্ষেপ, ভারতীয় দুতাবাসের সরাসরী রাজনীতিতে জড়িয়ে যাওয়া, আর বিকলাংগ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ভূঁইফোড় বিএনএফ এর প্রসব এবং এসব কিছুর সাথে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্হার যোগাযোগ ভারত কর্তৃক বাংলাদেশ সম্পর্কে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনারই অংশ। ভারত যেভাবে বাংলাদেশের রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রন করছে, তাতে স্বাভাবিক ভাবে মনে হচ্ছে বাংলাদেশ আর স্বাধীন দেশ নেই।
ইদানিংকালে আমার কেন জানি মনে হচ্ছে বংগবন্ধুকে হত্যার পিছনেও ভারতের হাত ছিল। কারণ তাঁকে হত্যা পরিকল্পনা এবং হত্যা পরবর্তী সরকারে আওয়ামীলীগের লোকজনই অংশ নিয়েছিল। তাঁকে হত্যার অন্যতম কারণ সম্ভবত স্বাধীনতার পর তার স্টেটমেনশীপ ভারত বিরোধী ভূমিকা।
একটি দেশের স্বাংস্কৃতি ধ্বংস হলে তার স্বাধীনতা হুমকীর মুখে পড়ে। আর রাজনীতি ধ্বংস হলে দেশ স্বাধীনতা হারায়। বাংলাদেশের রাজনীতির বিশ্বাসযোগ্যতা অনেক আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল। সমসমায়িক কালে নৈতিকতাটুকুও শেষ হয়ে যাচ্ছে। আর এর জন্য প্রধানত দায়ী শেখ হাসিনা এবং এরশাদ। খালেদা জিয়া বা বিএনপির রাজনৈতিক ব্যার্থতাও কম দায়ী নয়।
রাজনীতির অসততা, অনৈতিকতা, এবং অবিশ্বাসকে গ্রহনযোগ্য করতে এই তথাকথিত রাজনীতিবিদ এবং তাদের চাটুকারেরা একটি বাক্য চালু করেছেন - "রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই"। এটা হচ্ছে রাজনীতির চুড়ান্ত অবক্ষয়কে মেনে নিতে বাধ্য করার একটি কৌশল মাত্র। মনে রাখতে হবে রাজনীতির অবক্ষয়কে মেনে নেয়া মানে স্বাধীনতার অবক্ষয়কে মেনে নেয়া। ৪০ বছর আগের প্রজন্মের স্বাধীনতার ভূমিকা দিয়ে আজ স্বাধীনতার পক্ষ বিপক্ষ বিচার করতে গেলে আমাদেরকে চুড়ান্ত পরিনতির জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:০২
সরলপাঠ বলেছেন: ধন্যবাদ বন্ধু। কিন্তু এতো সীমান্ত যুদ্ধ নয়। এ হচ্ছে সে ঘরের মত - যেখানে ঘরের পিলার গুলোকে ধ্বংস করে দিলে ঘরটি এমনিতেই ভেংগে পড়ে। বর্তমান রাজনৈতিক বিবেচনায় দেশের একটি বড় অংশ আগ্রাসন মেনে নিতে প্রস্তুত যদি তা দলীয় নেত্রীর নির্দেশ হয়।
দেশের বর্তমান রাজনীতি হচ্ছে - দিবে আর নিবে, মিলিবে আর মিলাবে।
২| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:০০
বেঈমান আমি. বলেছেন: ভোদাই
২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:০৩
সরলপাঠ বলেছেন: গালিদেন সমস্যা নেই, তারপরও একবার ভাবুন এবং সামনের দিকে তাকান। ধন্যবাদ।
৩| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:০২
রেজওয়ান করিম বলেছেন: হা এই ধরনের কিছু তথ্য মাঝেমধ্যে পত্রিকায় দেখা যায়। রিসেন্টলি যেটা পেলাম___ এটা
২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:০৮
সরলপাঠ বলেছেন: ধন্যবাদ, আপনার লিংক এর খবরটি পড়লাম। এখবরটিও দেখতে পারেনঃ Click This Link
৪| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:০৫
রাফা বলেছেন: ভারত যদি বাংলাদেশ নিয়ন্ত্রন করে তাহোলে এত চুক্তির প্রয়োজন কি?
আমরা তাহোলে ভারতের নাগরিক!
আমরা যেনো কোন সেন্চুরিতে আছি?মাথা কই পুরাই নস্ট হোয়ে গেছে?
২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:৪০
সরলপাঠ বলেছেন: সার্বিক বিবেচনায় হয়ত আপনার কথাই বিশ্বাস যোগ্য হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু আমার উদ্বেগ রাষ্ট্রিয় বৈশিষ্টের বিবেচনায়। ইউনিয়ন টেরিটরির সাথে আমাদের পার্থক্য শুধু ২ ভাবে - ১) তারা দিল্লির সরকার নির্বাচনে ভূমিকা রাখতে পারে, আমরা পারিনা। ২) আমাদের পন্য এবং মানুষ ভারতে অবাধে যেতে পারেনা।
হয়ত সে দিন বেশী দূরে নয় যখন আমরাই আগ বাড়িয়ে এই সুবিধা চাইব।
এটা একুশ শতক বলেই গ্লোবালাইজেশন নাগরিক ভাবনার পরিসরকে সংকির্ন করে ফেলেছে বৃহৎ পরিসরে।
আমার মাথা নষ্ট হোক, তারপরও যাদের মাথা সুস্হ আছে তারা ভাবুক নিজ দেশের স্বার্থ নিয়ে, সম্মান নিয়ে - এতেই আমি খুশি।
৫| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৫৫
ম্যাংগো পিপল বলেছেন: +++++++++++
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪০
সরলপাঠ বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৫৩
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: আমাদের স্বাধীনতায় ভারত হস্তক্ষেপ করবে সেটা একজন
বাঙালির নিকট বিন্দু পরিমান রক্ত থাকতে তা সম্ভব হতে দেবেনা ।।
জরুরী আওতায় সব এক হয়ে ভাল সম্পর্ক রাখবে সেটাই স্বাভাবিক ।।