নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এস এম মাসুদ ভুবন।

শামীম মোহাম্মাদ মাসুদ

আমি খুব সাধারন একটা ছেলে বেড়ে উঠা গ্রামে, আর ভালোবাসি বাংলাদেশ। পড়তে খুব পছন্দ করি, মাঝে মাঝে লিখারও চেষ্টা করি।

শামীম মোহাম্মাদ মাসুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজনৈতিক আলাপ

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৪১

এদেশের রাজনীতিবিদরা সিভিল সোসাইটি বা সুশীল সমাজকে একদমই পছন্দ করে না। মনে হয় এই শ্রেণির মানুষ তাদের দুই চোখের বিষ। শেখ হাসিনা তো একদমই দেখতে পারতো না। সিভিল সোসাইটির লোকদের নিয়ে প্রায়ই আজেবাজে কথা বলতো, প্রায় প্রতিদিনই এদের আক্রমণ করে বক্তব্য দিতো। এখন দেখছি বর্তমান সরকারের লোকজনও একই কাজ করছে। সরকারে গেলেই সিভিল সোসাইটির সমালোচনা এদেশের কোন দলের রাজনৈতিক নেতারাই নিতে পারে না।

অথচ গত বছর শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর যখন সারাদেশের আওয়ামিলীগ এর সমস্ত লোকজন পালিয়ে গেলো, কোথাও ন্যায় বিচার কিংবা কথা বলার স্পেস পেলোনা তখন সর্বপ্রথম এই সিভিল সোসাইটির মানুষই আওয়ামিলীগের সাথে হওয়া অন্যায় নিয়ে টেলিভিশনে, টকশোতে, পত্রিকায়, সামাজিক মাধ্যমে কথা বলা শুরু করেছিলো। এরা মামলা বানিজ্য নিয়ে কথা বললো, মিথ্যা মামলা নিয়ে কথা বললো, বিচার বহির্ভূত হত্যা নিয়ে কথা বললো, মব নিয়ে কথা বললো। মজার ব্যপার হলো, এসব নিয়ে বলতে গিয়ে এবার সরকার পক্ষের লোকের গাল খাওয়া শুরু করলো এরা।

এতদিন এই লোকদের আওয়ামিলীগ গালাগালি করতো, অশ্লীল ভাষায় আক্রমণ করতো এখন সরকার পক্ষের লোকেরা করে। অথচ এখন যারা সিভিল সোসাইটির বিরোধিতা করছে তারা বেমালুম ভুলে গেছে গত জুলাইয়ের আন্দোলনে সবচেয়ে শক্ত ভুমিকা রেখেছিলো এই সিভিল সোসাইটি। বিগত আওয়ামিলীগ এর আমলে সবচেয়ে বেশি আওয়ামীলীগের সমালোচনা করেছে এই সিভিল সোসাইটি। যা ক্ষমতায় গেলে সবাই ভুলে যায়।

এদের পছন্দ না করার একটাই কারন হতে পারে, সিভিল সোসাইটির মানুষ রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধাচারণ করে, তারা সত্যটা বলতে চায়, প্রশংসার চাইতে সমালোচনা করে বেশি। এই কারনে এই শ্রেণীকে রাজনীতিবিদরা ভয় পায় অথবা চাপে রাখতে চায়। রাজনৈতিক নেতারা চান সবসময় তাদের চাটুকারিতা করা হোক, উঠতে বসতে সালাম দেয়া হোক। কিন্তু এদেশে শুধু এই একটা শ্রেণীই আছে যাদেরকে রাজনীতিবিদেরা সালাম দিতে হয়।

সিভিল সোসাইটিতে যারা থাকেন, যারা কথা বলেন, লেখালেখি করেন তারা জ্ঞানে, বুদ্ধিতে, যোগ্যতায়, দক্ষতায় এসকল নেতাদের চাইতে এগিয়ে থাকায় তারা এদের হিংসা করে, হীনমন্যতায় ভুগে। এদেশের বর্তমান রাজনীতিবিদদের মন নিশ্চয়ই এত বড় এখনো হয়নাই যে তারা তার চেয়ে বেশি যোগ্য কাউকে মেনে নিবেন।

তবে সত্য কথা হলো, রাজনীতিবিদেরা একসময় হারিয়ে যায়, পালিয়ে যায় সিভিল সোসাইটি কিন্তু সবসময় কথা বলে যায়, সমালোচনাও করে যায় আবার ভালো কাজের প্রশংসাও করে যায়। এদের বেশিরভাগই কোন সরকারের সুবিধাভোগী নয়, নেতাদের থেকে স্বার্থের চিন্তা করে না। মন্ত্রীর পিছনে ধান্ধার জন্য তেলবাজি করে না। কিছু কিছু ব্যতিক্রম থাকে যারা নিজেদের বিকিয়ে দেয়, তবে তাদের অবস্থা বা পরিণতিও শেষমেশ রাজনীতিবিদদের মতই হয়৷

রাজনৈতিক আলাপ
©শামীম মোহাম্মদ মাসুদ।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:২৩

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সিভিল সোসাইটি পাওয়ার পেলে কি করে এবার দেখছি আমরা। থিওরি দিয়ে দেশ চলে না ।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:২৯

শামীম মোহাম্মাদ মাসুদ বলেছেন: সিভিল সোসাইটি কি পাওয়ারে গেছে? ছাত্ররা দেশ চালিয়েছে, কেউ তাদের ভয়ে কাজ করেনি।

২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: রাজনীতি থেকে দূরে থাকাই ভালো।

৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৭

বিজন রয় বলেছেন: পঁচা মস্তিস্ক দিয়ে আর কি বের হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.