নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইদের শুভেচ্ছা

শামীম শাহ

শামীম আহমেদ

শামীম শাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মেয়ে হয়ে বাংলাদেশে জন্ম নেয়ায় যারা লজ্জিত, তাদের জন্য কিছু কথা

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:২৩

আমাদের জাতিগত একটা বদস্বভাব হলো,
উন্নত দেশগুলোর সাথে নিজেদের অবস্থানের তুলনা করে মাতৃভুমির সমালোচনা করতে পছন্দ করি বেশ।
কিন্ত আমাদের চেয়ে অনুন্নত দেশের সাথে তুলনা করে কখনো ভাবতে পারিনা, আমরা তাদের চেয়ে ভালো আছি।

নারী অধিকারের দাবীতে প্রতিবছর বাংলাদেশে যে হারে আন্দোলন হয়,
পত্র পত্রিকায় লেখালেখি হয়,
মনে হবে এইদেশে নারীদের অধিকার বলে কিছুই নেই !
নারীরা নির্যাতিতা, নারীদের মর্যাদা নেই, নারীরা সমাজে অবহেলিত উপেক্ষিত, নারীদের স্বাধীনতা নেই, নারীদের সুযোগ সুবিধা পুরুষের চেয়ে বহুগুনে কম।

আসলে বাস্তবতা কী...
বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের সমাজব্যাবস্থায়, রাষ্ট্রীয় আইনে নারীদের অবস্থান কেমন, সেটা অনেকেরই অজানা।
এই বিষয়ে বাংলাদেশে কোথাও আলোচনা করতে গেলে বিতর্ক এসে পড়ে।
বিতর্কটা আসে নারীদের পক্ষ থেকেই।

অথচ জাতিসংঘ জনসংখ্য তহবিল জরিপ অনুযায়ী নারী পুরুষের সমতার ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ৷

এই বক্তব্যের দ্বারা আমি বাংলাদেশের নারীরা সমান অধিকার ভোগ করছে সেটা বোঝাচ্ছিনা। নারীপুরুষের ক্ষমতার সমতায় বিশ্বজুড়েই বৈষম্য বিদ্যমান।
মোটের উপর আমরা কতটা ভালো আছি সেটাই আলোচনার মুল বিষয়।

আসুন জেনে নেয়া যাক মোটামুটি পরিচিত বিশ্বের কয়েকটি দেশে নারীদের অবস্থান কেমন...

আফগানিস্তান:


গড়ে প্রতি আধাঘন্টায় একজন নারী অত্যাচারিত হয়ে মারা যায় আফগানিস্তানে।
আফগানী পুরুষদের বহুল ব্যবহৃত বাহন গাধা আর নারী।
নারীশিক্ষাকে নিস্প্রয়োজন মনে করা হয় এবং ১৪-১৫ বছরের মধ্যেই আফগানী মেয়েদের বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হয়।
জনসংখ্যা জরিপে বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি এসিডদগ্ধ নারীর দেশ আফগানিস্তান।

ইরান:
কট্টর শিয়া ধর্মাবলম্বী ফতোয়াবাজদের আদেশে নারীদের পাথর মেরে হত্যা করার নজীর রয়েছে দেশটিতে। বিনা অপরাধে শুধুমাত্র ভিন্ন ধর্মবিশ্বাসের কারনে ১৯৮৩ সালের জুন দশজন নারীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়েছিলো।
তদুপুরি বাংলাদেশে ধর্মীয় ফতোয়ায় আজ পর্যন্ত কোনো নারীকে পাথর মেরে হত্যা করা হয়নি।
ইরানী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্রদের পাঠদানে নারী শিক্ষিকা রাখা হয়না।

ভারত:


ইউনিসেফের তথ্যানুযায়ী প্রতি ঘন্টায় দুজন ভারতীয় নারী ধর্ষনের শিকার হয়।
সম্প্রতি ভারত ধর্ষনের বিরুদ্ধে নতুন আইন জারী করেও ধর্ষনের হার কমাতে পারেনি।
ভারতে যৌতুক প্রথা প্রচলিত।
পাত্রী দেখতে এলে সর্বপ্রথম যৌতুকের দর কষা হয় আধুনিক সমাজের দাবীদার এই দেশটিতে।
মেয়ে জন্মের খবরে পিতার মুখে হাসি থাকেনা। মেয়েরা হয় তাদের পরিবারের বোঝা।
বিয়ের দিন কন্যাদানের সঙ্গে সঙ্গে পরিবার থেকে যেমন বিদায় করা হয়, একই সঙ্গে তার সমস্ত প্রাপ্য সম্পদ থেকেও তাকে বিদায় করে দেয়া হয়।
পরবর্তীতে বাপের বাড়ি আসে শ্রেফ মেহমান হয়ে।

তদুপরি বাংলাদেশে যৌতুকপ্রথা রাষ্ট্রীয় আইনে নিষিদ্ধ।
এছাড়া ভারত একটি ধর্মীয় কুসংস্কারাচ্ছন্ন দেশ। কুসংস্কারের বলি বানানো হয় নারীদেরই।

কাশ্মীর:
অধিকাংশ কাশ্মিরী মেয়েদের পুরুষের মতই কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতে হয়। এমনকি বিয়ের কিছুদিন পরেই পরিবারের অন্য সদস্যদের মতো ক্ষেত খামারের কাজে নেমে পড়তে হয় কাশ্মিরী বধুদেরও...

ইরাক:
বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে সংখ্যাগরিষ্ট যৌনদাসীর সংখ্যা ইরাকে। প্রতি দশজন নারীর মধ্যে অন্তত একজন আই এস জঙ্গীদের নির্যাতনের স্বীকার। নারীদের ধরে নিয়ে ক্যাম্পে বন্দী করে রাখা হয়। সুন্দরী মেয়েদের উচ্চমুল্য নির্ধারণ করে ধনী খদ্দেরদের কাছে বিক্রি করে বিপুল পরিমান অর্থ উপার্জন করে এই সন্ত্রাসী সংগঠনটি।
অবাধ্য নারীদের প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়।

মালী:
আফ্রিকার একটি দেশ। মেয়েদের খৎনা করানোর নিয়ম চালু আছে এই দেশে। কমবয়সে বিয়ে দেয়া, অশিক্ষা, রোগবালাই দুরীকরনের বলি হিসেবে নাবালিকা মেয়েদের উৎসর্গ করাসহ অসংখ্য কুসংস্কারে জর্জরিত মালী’র নারীরা।

কঙ্গো প্রজাতন্ত্র:
দরিদ্র দেশ কঙ্গোয় প্রত্যেক পরিবার থেকে একজন সদস্য সেনাবাহিনীতে যোগদান করা বাধ্যতামূলক। হোক ছেলে কিংবা মেয়ে। নারীদের কোনো ক্ষমতা নেই এদেশে।
পুরুষদের ইচ্ছের দড়িতেই জীবন নির্ভর করে কঙ্গোর নারীদের।

পাকিস্তান:


৭৫ শতাংশ পাকিস্তানী নারী পারিবারিক কলহে নির্যাতনের শিকার।
একাধিক বিয়ে করে পাকি পুরুষরা।
স্বামীর অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে খুব সহজেই তাদের তালাক দিয়ে দেয়া হয়। সরকারীভাবে এই সুযোগটা পুরুষদের জন্য দেয়া আছে।
পাকিস্তানী বিচারব্যবস্থায় নারী সাক্ষীর গ্রহনযোগ্যতা পুরুষের চেয়ে অর্ধেক।
অর্থাৎ দুজন নারী সাক্ষীর চেয়েও একজন পুরুষ সাক্ষীর মুল্যায়ন বেশি।

সামাজিকভাবেও নানাভাবে নারী অধিকার থেকে বঞ্চিত পাকিস্তানের গ্রামাঞ্চলের নারীরা।
মেয়েদের স্কুলে পড়া নিষেধ। হাসপাতালে গাইনী বিভাগের অধিকাংশ ডাক্তারই পুরুষ।
মেয়েদের বিয়েতে মতামত নেয়া হয়না। পরিবারের সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত।
পাকিস্তানের পেশোয়ারে প্রেমের সম্পর্ককে অবৈধ হিসেবে ধরে নেয়া হয়। অভিযোগ প্রমানে সর্বোচ্চ শাস্তি জনসম্মুখে পাথর ছুঁড়ে মৃত্যুদন্ড।

সুদান:
প্রায় ৬০ শতাংশ নারীদের পরিশ্রমে চলে সুদানীদের সংসার।
নারীবিদ্বেষী নানাবিধ বর্বরনীতি প্রচলিত আছে সুদানী সমাজে।
আইনী অধিকারও তাদের জন্য সীমিত।
ছোটবেলা থেকেই মেয়েদের সংসারের কাজে নামিয়ে দেয়া হয়।
নারীদের দলবদ্ধভাবে প্রতিবাদ করার অধিকার নেই। অভিযোগ প্রমানে জনসম্মুখে শাস্তি দেয় স্বয়ং সেনাবাহিনী সদস্যরা।

সোমালিয়া:
গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত সোমালিয়ায় নিহত নারীদের সংখ্যা পুরুষের তুলনায় দ্বিগুন।
অশিক্ষা আর যতসব সামাজিক কুসংস্কার শুধু নারীদের জন্যই। দেশে নারীদের পক্ষে বিচারব্যবস্থা ভালো না থাকায় যৌন নিপীড়ন, ধর্ষন, পুড়িয়ে হত্যাসহ নানাভাবে সোমালীয় নারীরা অত্যাচারিত হয়ে আসছে বছরের পর বছর।

চাদ প্রজাতন্ত্র:
আফ্রিকার একটি দেশ। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি এইদেশে মেয়েদের বিয়ের সর্বোচ্চ বয়স সীমা ৯-১১ বছর। চাদ প্রজাতন্ত্রে নারীদের মৃত্যুহার পুরুষের তুলনায় বেশি।

সৌদী আরব:
সৌদি আরবে নারী অধিকারের অবস্থা একেবারেই শোচনীয়। সৌদী নারীদের সম্পুর্ন নিয়ন্ত্রন পুরুষদের হাতে।
তাদের এমন কিছু কাজও করতে দেওয়া হয় না, যেসবের ক্ষেত্রে আইন কোনো বাধা নয়৷
ঘরে একাধিক বিবাহিতা স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও গৃহকর্মীদের সাথে যৌনসম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগ আছে সৌদি পুরুষদের বিরুদ্ধে। পুরুষরা ভিনদেশী মেয়েদের বিয়ে করার বৈধতা আছে কিন্ত নারীদের ক্ষেত্রে নেই।
নারীদের গাড়ি চালানো নিষেধ, একাকী চলাফেরা নিষেধ। খেলাধুলায় অংশগ্রহন করাও নিষেধ।
তবে এক্ষেত্রে রাজ পরিবারের নারীদের সুযোগ সুবিধা তুলনামূলকভাবে মোটামুটি ভালো।
অধিকার বঞ্চিত সৌদী নারীদের প্রতিবাদ করার সুযোগ নেই। নারী অধিকারের পক্ষে লেখালেখির অভিযোগে গতবছর (২০১৫) একজন নারী ব্লগারকে জনসম্মুখে শিরশ্ছেদ করা হয়েছে। ২০১৫ সালে সৌদী আইনে বিভিন্ন ধারায় অপরাধের সাজা হিসেবে মোট ৮৭ জন নারীকে হত্যা করা হয়।

ইথিয়পিয়া:
দলবদ্ধভাবে ক্ষেতখামারে কাজ করে ইথিয়পিয়ান নারীরা।
পুরুষের তুলনায় বরং নারীরাই বেশি পরিশ্রমী। তারা পরিশ্রম করে অবলীলায়।
এমনকি গর্ভকালীন সময়েও জীবিকার তাগিদে কাজ করতে হয় নারীদের।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই বললেই চলে।
ইথিয়পিয়ায় সামাজিকভাবে বিবাহবন্ধনের কোনো নিয়ম নেই।

ইসরায়েল:
ইহুদি আইন অনুযায়ী বিবাহবিচ্ছেদের অধিকার কেবল পুরুষের। নির্যাতন নিপীড়নের শিকার হলেও ইসরায়েলী নারীরা তার বিবাহিত স্বামীকে তালাক দেওয়ার অধিকার রাখেন না।

নাইজেরিয়া:
নাইজেরিয়ায় স্বামীর করা আঘাত যদি দৃশ্যমান ও যন্ত্রণাদায়ক না হয়, তাহলে তাকে কোনো অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয় না।
স্ত্রীকে সংশোধনের জন্য মারধোর করার আইনগত অধিকার স্বামীর রয়েছে।

ইয়েমেন:
ইয়েমেনী নারীরা তাদের স্বামীর অনুমতি ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হলে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্ত্রীকে তালাক প্রদানের সুযোগ রয়েছে।
আফগানিস্তানের মতো ইয়েমেনেও কিশোরী বয়সে মেয়েদের বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হয়।
স্বামী পছন্দের অধিকার নেই তাদের।

আরো অনেক দেশ আছে এমন।
জাতিসংঘ জরিপের ফলাফল অনুযায়ী নারী অধিকার বঞ্চিত ১৪৫টি দেশের শেষ থেকে কয়েকটি দেশের অবস্থান উল্লেখ করলাম মাত্র।

এবার আসুন উপরোক্ত দেশগুলোর তুলনায় আমাদের দেশে নারীদের অবস্থানটা কেমন দেখা যাকঃ

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী তথা প্রধানমন্ত্রী নারী, রাষ্ট্র-যন্ত্র পরিচালনার সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের চারটির তিনটি- প্রতিরক্ষা মন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী (২০০৯-১২), পররাষ্ট্র মন্ত্রী নারী।
তাছাড়া কয়েকটি মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী নারী। সংসদে স্পীকার, সরকার দলীয় নেত্রী, বিরোধীদলীয় নেত্রী, এবং সংসদ উপনেতা সবাই নারী। বিশ্বের ইতিহাসে এমন নজির আছে কিনা আমার জানা নেই। বাংলাদেশের নৈশকালীন চাকরিগুলো ব্যতীত অন্যকোনো প্লাটফর্ম নেই, যেখানে নারীরা সচরাচর অংশগ্রহন করতে পারবেনা। মেয়েদের শিক্ষার প্রতি আগ্রহ তৈরীর জন্য সরকারীভাবে নানান সুযোগ সুবিধা দেয়া আছে, যেটা ছেলেদের জন্য নেই।

রাষ্ট্রীয় আইনে একজন পুরুষের বিরুদ্ধে একজন নারীর দায়ের করা মামলাকে যতটা গুরুত্ব সহকারে গ্রহন করা হয়, একজন নারীর বিরুদ্ধে পুরুষের দায়ের করা মামলা ততটা গুরুত্বসহকারে নেয়া হয়না।
একজন নারীর বিপদে শ্রেনীবিভেদ ভুলে যতমানুষ এগিয়ে আসে, একজন পুরুষের বিপদে ততমানুষ এগিয়ে আসেনা।

দেশের ছোট বড় ব্যাবসা বাণিজ্যগুলোতে নারীরা অংশগ্রহন করছে। নিজ দায়িত্বে ব্যবসা পরিচালনা করছে। নামীদামি হাসপাতালগুলোতে পুরুষের সমানহারে নারী ডাক্তার রয়েছে।
পুলিশ বাহিনী, নৌবাহিনী, সেনাবাহিনীতে নারীরা প্রবেশ করছে।
আদালতে উকিল ব্যারিস্টার, এমনকি বিচারকের আসনেও নারী রয়েছে।
স্কুল কলেজ মাদ্রাসা, এমনকি কারিগরী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও পুরুষের সমানহারে নারী শিক্ষিকা রয়েছে।
ওয়ার্ড নির্বাচন থেকে শুরু করে দেশের সর্বোচ্চ রাজনৈতিক পদে নারীদের নির্বাচনের সুযোগ আছে...নারীরা নির্বাচিত হচ্ছে... দেশ পরিচালনায় ভুমিকা রাখছে।

যানবাহনে নারীদের জন্য আলাদা বসার ব্যবস্থা রাখা হয়। মেডিকেল কিংবা রেস্টুরেন্টেও নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা থাকে।

সর্বক্ষেত্রেই সম্মানিত করা হয়েছে নারীদের।
সর্বত্র নারীদের অবাধ বিচরণের সুযোগ সুবিধা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশে নারী অধিকার নেই বলে দেশের সমালোচনা করার আগে আত্মসমালোচনা করুন।
দৃষ্টিভঙ্গি বদলান...... আগে নিজেকে ঠিক করুন।

তবে হ্যাঁ,
এটা নিশ্চয়ই বলা যায়, একই প্রতিষ্ঠানে সমমানের কাজ করেও পুরুষের সমান পারিশ্রমিক নারীরা পায়না। এই বৈষম্য শুধু বাংলাদেশে নয়,
সারাবিশ্বেই..

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৩৪

আহলান বলেছেন: এসব তথ্য কি এই দেশে মেয়ে হিসাবে জন্ম গ্রহণ সৌভাগ্যের বলে মনে করাবে? দেশের তনু গং দের কাছে জিজ্ঞাসা কইরেন, উত্তর পেতে দেরী হবে না ....

২| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:০২

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ইসরায়েল:
ইহুদি আইন অনুযায়ী বিবাহবিচ্ছেদের অধিকার কেবল পুরুষের। নির্যাতন নিপীড়নের শিকার হলেও ইসরায়েলী নারীরা তার বিবাহিত স্বামীকে তালাক দেওয়ার অধিকার রাখেন না।


সেখানে এম্রেরিকা ও সাদা চামড়ার মানুষগুলো করেটা কি?

নাকি সেখানে খ্রিষ্টান ধর্মের প্রচারণার ব্যবসা লস্ খাবে বলে সেটা নিয়ে তাদের মাথা ব্যাথা নেই।

৩| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৪১

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: বাংলাদেশের নারী ও সংখ্যালঘুরা অনেক ভালো আছে। তারপরও একটু কিছু হলেই মিডিয়া কাভারেজ, জাতিসংঘে নালিশ সহ কত কিছু করে। আসলে এদের পেছনেও বিশ্ব মোড়ল এবং লোকাল মোড়লদের রাজনীতি আছে...

৪| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:০২

রাফা বলেছেন: আমরা চাই আমাদের দেশের নারীরা পৃথিবীর মধ্যে সবচাইতে ভালো থাকুক।খোদ আমেরিকাতে নারীদেরকে এখনও পণ্য হিসেবেই বিবেচনা করা হয়।অধিকাংশ বিবাহিত নারিদের স্বামিদের বয়স তাদের চাইতে দ্বিগুন।শুধু নারী হওয়ার কারনে হিলারি ক্লিনটন নির্বাচিত হতে পারেননি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.