নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হোক না কিছু অচৈতন্য বাক

অব্যক্ত কাব্য

এই প্রকৃতি,এই যে আকাশ! আমার মুগ্ধতায় তার ভিন্ন ভিন্ন বহিঃপ্রকাশ

অব্যক্ত কাব্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাতীয় সঙ্গীত বিতর্ক এবং আমার কিছু মতামত

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:৪০


গত দুইদিন ধরে চলছে জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে দেশব্যাপী আলোচনা সমালোচনা। ব্রিগেডিয়ার আযমীর "আমার সোনার বাংলা" কে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত থেকে বাদ দেয়ার প্রস্তাবনা থেকে এই তুমুল আলোচনা -সমালোচনা চলছে নেটিজেনদের মধ্যে।

মূলবিষয়ে আসি।
৫ আগষ্ট ছাত্র জনতার গণ বিপ্লবের মাধ্যমে প্রায় ১৬ বছরের আওয়ামী শাসনের অবসান হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে বাংলার আপামর জনসাধারন তাদের স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের স্বাধীনতা ফিরে পেয়েছে।
এখন যেকোনো ইস্যুতেই নেটিজেনদের মধ্যে তুমুল আলোচনা- সমালোচনা পরিলক্ষিত হচ্ছে।
এগুলোর মধ্যে গুরুতর কিছু আলোচনা -

১) জাতীয় সঙ্গীত শিরক করা হয়েছে।
কারণ গানটি রবীন্দ্রনাথ দূর্গা দেবীকে উৎসর্গ করে লিখেছেন। কেউ কেউ বলছেন কালী দেবীকে উৎসর্গ করে লিখেছেন।
যার প্রমান হিসেবে গানটির ২য়, ২৩ম এবং ২৪তম লাইনটিকে উদ্ধৃত করা হচ্ছে।

-- জাতীয় সঙ্গীতের "আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি!
চিরদিন তোমার আকাশ, তোমার বাতাস আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি!"
এই দুটি চরণ থেকেই বুঝা যায় বাংলাকে উদ্দেশ্য করে গানটি লেখা।
" মা, তোমার " এই সম্বোধনগুলো পুরো গানে যতবার ব্যবহৃত হয়েছে তা মূলত বাংলাকেই সম্বোধন করা বুঝায়।
এখানে অন্যকোন কিছুকেই সম্বোধন করার কোন যৌক্তিকতায়ই নেই তা প্রথম লাইন থেকেই প্রমানিত। দেবী দূ্র্গা, দেবী কালীতো নয়ই। তাই প্লিজ কেউ এখানে ধর্মীয় অপব্যখ্যা টেনে আনবেন না প্লিজ। যদি টেনে আনেন তাহলে বুঝবো আপনি বাংলা ভাষাই ঠিক মতো জানেন না। আপনি মূলত ভালোবাসেন উর্দু, ফারসি। আদতে আপনার উর্দু,ফার্সিতে আরো ত্রাহী ত্রাহী অবস্থা। আপনাদের জন্য কবি আব্দুল হাকিম বলেছেন,

'যে সবে বঙ্গেতে জন্মি হিংসে বঙ্গবাণী সে সব কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি'

২)এটি ভারতের কবি রবীন্দ্রনাথের লেখা। তাই এটি বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হতে পারেনা।

৩) ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে গানটি রচিয়িত হয়েছে।
এর প্রেক্ষাপট বঙ্গভঙ্গ। একশ বছর আগের গানটির সাথে বাংলাদেশ কোনভাবেই রিলেটেড নয়। তাই এটি বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত থেকে বাদ দিতে হবে।

-- দুই এবং তিন নম্বর পয়েন্টের ব্যাখ্যা একসাথেই দেয়া যায়।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের যেচে এসে বলেনি তোমরা আমার লেখা গানটিকে তোমাদের জাতীয় সঙ্গীত করো।
বরঞ্চ তার মৃত্যুর পর আমরা নিজেরাই নিজেদের প্রয়োজনে এবং নিজেদের জন্য যূৎসই মনে করে এই গানটিকে আমাদের জাতীয় সঙ্গীতের মর্যাদা দান করেছি। এতে রবীন্দ্রনাথ হিন্দু, মুসলিম, ভারতীয় না বাঙ্গালী তা মূখ্য বিষয় ছিলোনা।
এর প্রমান ১৯৭০ সালে মুক্তি প্রাপ্ত জীবন থেকে নেয়া সিনেমাটি।
এই সিনেমাতে মুক্তিযুদ্ধের আগেই গানটি চিত্রায়িত হয়েছে।


৪)
এমন একটা জাতীয় সঙ্গীত যা দেশের যুদ্ধক্ষেত্রে, আন্দোলনে, সংগ্রামে মানুষের শরীর মন জাগ্রত রাখার এক বিন্দু সক্ষমতা রাখে না, এমন এক রাষ্ট্রীয় সঙ্গীত যা শুনলে সংগ্রামী চেতনা উজ্জীবিত হবে তো দূরের কথা ঘুমিয়ে যাবে এমন সঙ্গীত নিয়ে আবেগ কোথা থেকে আসবে?

-- এটি একটি ডাহা মিথ্যে কথা। মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধের ময়দানে সমবেত কন্ঠে গানটি গাইতেন নিজেদের উজ্জীবিত রাখার জন্য। দেশপ্রেম নিজেদের মধ্যে সদা জাগ্রত রাখার জন্য। আত্মবলিদানে নিজেকে সপে দেয়ার জন্য। যারা অনেক ভিডিও আপনারা পাবেন। অনেক প্রমান আছে।
তাই ডাহা মিথ্যে কথা দিয়ে সত্যকে দমিয়ে রাখা যাবেনা।


বর্তমান অন্তর্বতীকালীন সরকার ছাত্র জনতার বিপ্লবের ফসল। বিপ্লবী সরকার চাইলেই রাষ্ট্রের ও জনগনের প্রয়োজনে যেকোন প্রকার সংস্কারের অধিকার রাখে। সেটি জাতীয় সঙ্গীত হোক আর জাতীয় পতাকা হোক কিংবা অন্য যেকোন সংস্কার।
বিপ্লব হয় আত্মবলিদানের মাধ্যমে।
তাই বিপ্লবীরা কখনোই সংকীর্ণ মনা হন না। তারা হন বীর দ্বীপ্ত চেতনার। তাই বিপ্লবীগন চাইলেই জাতির বৃহত্তর স্বার্থে যেকোন সংস্কার করতে পারেন।
সেটি হোক জাতীয় সঙ্গীত কিংবা অন্য কিছু।
যেহেতু আমাদের জাতীয় সঙ্গীত ভারতীয় কবির লেখা এবং বর্তমানে দেশে ভারত বিদ্বেষ তুঙ্গে। এবং বর্তমান চেতনার সাথে অসঙ্গতিপূর্ন(ভারতের ভূমিকার কারনে) তাই এটি চাইলে বাদও দেয়া যেতে পারে।
আবার যেহেতু মুক্তিযুদ্ধ পূর্ববর্তী, মুক্তিযুদ্ধকালীন এবং যুদ্ধ পরবর্তী এটি মুক্তিযোদ্ধাদের উজ্জীবিত করেছে তার প্রেক্ষিতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে এটিকেই বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে রেখে দিতে পারে।

মূলত জনমতই এখানে প্রধান ভূমিকা রাখতে পারে।
তাই এই বিষয় নিয়ে একটি গনভোটের আয়োজন করা যেতে পারে।
এবং সংখ্যা গরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে পরবর্তী করনীয় ঠিক করা যেতে পারে।

ছবিঃ ফেবু

© লেখক কর্তৃক সংরক্ষিত

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:৪৭

কাকভেজা সকাল বলেছেন: সত্যি বলতে এই গান এই যুগকে উজ্জীবিত করতে পারে নি । তাছাড়া এটি পরিবর্তন করলেও দেশের জিডিপি কমবে না ।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:৫৮

অব্যক্ত কাব্য বলেছেন: তাই যদি হয় তাহলে এখানেও সংস্কার সম্ভব। তবে অবশ্যই জনমতকে প্রাধান্য দিয়ে। মূলত যেকোনও সংস্কারই কঠিন।
পরিবর্তনের মতো কণ্টকাকীর্ণ পথ জগতে আর দ্বিতীয়টি নেই। বাধা আসবেই।
কারণ মানুষ হিসেবে আমরা কোন ব্যাপারে অভিযোজিত হয়ে গেলে সেটিকে আকড়ে ধরে বাঁচতে চাই। নতুন পথ, মতকে সুযোগ দিতে চাইনা। তাই জিডিপি এখানে মূখ্য নয়, মূখ্য হলো মনস্তাত্ত্বিক বিষয়।

২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৩:৩৫

রিফাত হোসেন বলেছেন: জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির প্রয়াত গোলাম আজমের মেঝো ছেলে। কিছু বোঝা যায়?

অপ্রয়োজনীয় বক্তব্য দিচ্ছেন উনি। এর থেকে জনগুরুত্বপূর্ণ অনেক কিছুই রয়েছে।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:২৮

অব্যক্ত কাব্য বলেছেন: তা ঠিক। এই সময়ে এটি খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ ছিলোনা।
তার উপর আমার মনে হচ্ছে তিনে এখনো ট্রমাগ্রস্ত। আমাদের আরো অনেক অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু রয়েছে।

৩| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ভোর ৬:৩৭

হাবিব ইমরান বলেছেন:

জাতীয় সঙ্গীতের চেয়ে আমাদের আরও বড় বড় অনেক কিছুই সংস্কার করতে হবে। যে দেশের বেশিরভাগ মানুষের মাথাপিছু ঋণ লাখ টাকার উপরে, সে দেশে জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে চিন্তা বিলাসিতা।
আর যদি বেশিরভাগ মানুষ চান এটি পরিবর্তন হোক, তাহলে পরিবর্তন করা হোক। এটি থাকলেও লাভ নাই, না থাকলেও লাভ নাই। একটা থাকতে হবে বলেই আছে।

যতটুকু জেনেছি, বিশ্বের কয়েকটি দেশ তাদের জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তন করেছে।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:৩১

অব্যক্ত কাব্য বলেছেন: বিশ্বে জাতীয় সঙ্গীত, জাতীয় পতাকা পরিবর্তনের নজির আছে বহু।
কিন্তু আমাদের জন্য এই মুহুর্তে এটি মোটেই গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমাদের এরচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ প্রচুর সংস্কার বাকি রয়েছে।

৪| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:৩৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: জাতীয় সঙ্গীত দেশের মানুষ ই নির্ধারণ করবে। সময়ের পরিবর্তনে বিবর্তনে যদি এমন কোন গান রচিত হয় যা সবাইকে আরও বেশি আলোড়িত করে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে বাংলাদেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে দেশের সিংহভাগ মানুষ তা গ্রহণ করে তবে সেটিও হতে পারে আমাদের জাতীয় সংগীত।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২০

অব্যক্ত কাব্য বলেছেন: কোনো কিছুই চিরস্থায়ী নয়। পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী। কিন্তু এই প্রেক্ষাপটে গনভোট আয়োজন করা যেতে পারে।
এতে জনমত প্রতিফলিত হবে।

৫| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:৪০

রানার ব্লগ বলেছেন: যারা জাতীয় সংগীত নিয়ে বেহুদা মন্তব্য করছেন তাদের বলছি মুখের দাত যত্নে রাখুন ওগুলা জনসম্মুখে বাহির করবেন না, একটাও আস্ত থাকবে না।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২২

অব্যক্ত কাব্য বলেছেন: সব ধরনের জনমতকে সাধুবাদ জানানো উচিৎ।
করণীয় জনতার রায়ে গনভোটের মাধ্যমে করণীয় ঠিক করা উচিৎ।

৬| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৩০

আলচুদুরওয়ালবুদুর বলেছেন: আর "আমার সোনার বাংলা" গানটা আরবীতে অনুবাদ কইরা গাওয়া যাইতে পারে, যেমন --

يا بنغالي الذهبي
أحبك

إلى الأبد، سماؤك
هوائك يضبط قلبي
كما لو كان مزمارًا

আর "বাংলাদেশ" নামের মধ্যেই কেমুন যানি একটা হিন্দুয়ানী হিন্দুয়ানী দুর্গন্ধ আছে। অনেকে কয় দেশের নাম চেঞ্জ কইরা "বাংলাস্তান" করা হউক। কিন্তু "বাংলা" শব্দটা আরবী বা ইসলামী কুন শব্দ না। প্রাচীন কালের আরবরা "বাংলা"রে কইত "বাঞ্জালা" (بانجالا)। আর "স্তান" শব্দটা আবেস্তানী (পশ্চীম সংস্কৃত/খারোষ্টী), সংস্কৃতেও একই রকম শব্দ আছে সেইটা হইল "স্থান", এর অর্থ হইল এলাকা বা দেশ। তার মানে এইডাও ইসলামী কিছু না। "বাংলাস্তান" "বাংলাদেশ" এর মত ১০০% অনৈসলামিক শব্দ। ১০০% হালাল করতে চাইলে দেশের নাম পালটাইয়া "দৌলত-উল-বাঞ্জালা" (دولة البانجالا) করা যাইতে পারে।

আর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মুসলিম না হইলেও উনি আছিলেন তাওহিদী মতবাদে বিশ্বাসী একজন ব্যক্তি। উনি ব্রাহ্ম সমাজের সদস্য আছিলেন। আর ব্রাহ্ম সমাজরা এক সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী। সুতরাং উনাকে ৫০% হালাল ধরা যাইতে পারে। কিন্তু সমস্যা হইলো উনার নাম, "রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর" -- এইডা খাস হিন্দুয়ানী মালাউনী নাম। কিন্তু সুখবর ইহলো এই নামরে আরবীকরণ করা যাইতে পারে। তখন রবীঠাকুররে পুরাই ১০০% হালাল করা যাইব।

যেমন,

রবীন্দ্রনাথ = রবি + ইন্দ্র + নাথ = সূর্য + ইন্দ্র + প্রভু = সূর্যের মহাপ্রভু = سيد الشمس العظيم (সাইয়িদুল-শামসুল-আযীম)
ঠাকুর = নেতা বা গুরু = الرئيس (আল-রইস)

তার মানে হইল,

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর = سيد الشمس العظيم الرئيس = সাইয়িদুল-শামসুল-আযীম আল-রইস

=p~ =p~ =p~

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:২১

অব্যক্ত কাব্য বলেছেন: হা হা হা!
আমাদের আর কি কি দেখার বাকি আছে!
সব দেখতে হবে মনে হচ্ছে

৭| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৫৬

আহলান বলেছেন: বর্তমান ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানকে প্রশ্ন বিদ্ধ, বিতর্কিত, ড ইনুসকে বিব্রত করার নিমিত্তে এতদল মোদির অনুসারীই দাড়ি টুপি পরে মোল্লা সেজে জাতীয় সঙ্গীতের পিছনে লেগেছে - এটা আমার ধারণা।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:২৪

অব্যক্ত কাব্য বলেছেন: আদতে সেটি আর দাড়ি টুপি পরাদের মাঝে সীমাবদ্ধ নেই।
মোল্লা থেকে শাহবাগী, জামাত থেকে লীগ সব জায়গায় সমান তালে আলোচিত হচ্ছে ।
সমালোচিত হচ্ছে বিভিন্ন দৃষ্টিকোন থেকে।

৮| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:১৭

আলচুদুরওয়ালবুদুর বলেছেন: বর্তমান ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানকে প্রশ্ন বিদ্ধ, বিতর্কিত, ড ইনুসকে বিব্রত করার নিমিত্তে এতদল মোদির অনুসারীই দাড়ি টুপি পরে মোল্লা সেজে জাতীয় সঙ্গীতের পিছনে লেগেছে - এটা আমার ধারণা।

অবাক হবোনা, হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার পর তাদের প্রোপাগান্ডার তীব্রতা এবং বিস্তৃতি দেখেই বুঝেছিলাম ওদের পেছনে প্রচুর টাকা ঢালা হয়েছে।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৫১

অব্যক্ত কাব্য বলেছেন: লেখক বলেছেন: টাকা ঢালার ব্যাপারটা প্রমানিত নয় তাই কিছু বলতে চাইনা। তবে এই একটি ব্যাপারকে কাজে লাগিয়ে সুযোগ নিয়ে বেনিফিটেড হওয়ার চেষ্টা চলছে সেটি নিঃসন্দেহে বলা যায় ।

৯| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৫৮

জটিল ভাই বলেছেন:
গণভোটে হয়তো সমাধান আসবে, কিন্তু সঠিকতা আসবে কি?

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:২৩

অব্যক্ত কাব্য বলেছেন: সেটাই ভাববার বিষয়।
বাংলাদেেশের প্রেক্ষাপটে সেই প্রশ্ন থেকেই যায়। তবে শিক্ষিত সমাজ এখনো "আমার সোনার বাংলা"র পক্ষেই বেশি।

১০| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:১০

নতুন বলেছেন: আমাদের গ্রামে একটা কথা আছে। " ভাত পাইনা চা খাই ছাইকেল দাবড়াইয়া াগবার জাই।"

আমাদের অবস্থা দেখছি এমনটাই হয়ে যাচ্ছে।

ফেসবুকে, ব্লগে জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে বিতর্ক।

তাও আর গোলাম আজমের ছেলের কথা নেচে নেচে!!!! -- সিরিয়াসলি???

দেশের লক্ষ সমস্যা ছাইড়া বাংলাদেশীরা এখন আলোচনা করতেছে কেন জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তন করতে হবে?

এই জাতীকে কেউই মানুষ করতে পারবে বলে মনে হয় না। ড: ইউনুস শুধুই তার সময় নস্ট করতেছেন। তিনি বিদেশে বিভিন্ন অনুস্ঠানে অংশগ্রহন করে সময় পার করলেই ভালো করতেন। :|

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৩৮

অব্যক্ত কাব্য বলেছেন: বাস্তবে পরিস্থিতি এমন দাড়াইছে আমরা কথা না বলে থাকার উপায় নেই।
সত্য জানা এবং সঠিত তথ্য তুলে ধরা দরকার। নয়তো আমাদের পলিটিক্স যেমন ব্যাকবেঞ্চারদের দখলে,মেধাবীরা জায়গা পায়না। তেমনি জাতীয় অর্জনগুলো ধ্বংস হয়ে যেতে পারে অযোগ্যদের দ্বারা দলিত হয়ে।

১১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:২১

জ্যাকেল বলেছেন: জাতীয় সংগীত বদলানো হোক দেশে নতুন সরকার নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা আসবার পরে।

ও মা তোর বদনখানি মলিন হলে -- এরপর সন্তান কি করবে? হাত পা এইগুলো অবশ করে রেখে নয়নজলে ভাসবে।

কি অকর্মন্য প্রতিবন্ধি মার্কা কথা!

ছিঃ

এরপরেও এই সংগীত জাতীয় সংগীত হিসাবে কেহ মন থেকে গ্রহণ করলে ঐ কুলাংগার সন্তানের জন্য জানাই ধিক্কার।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৪২

অব্যক্ত কাব্য বলেছেন: আমি জানিনা আপনি কতটুকু ভালো লেখেন, তবে একজন সর্বজন স্বীকৃত মানুষের সৃষ্টি নিয়ে এমন মন্তব্য বেমানান। আপনার যদি ভালো না লাগে অন্যকোন সঙ্গীত নির্বাচন করুন, লেখক আপনাকে তার সঙ্গীতকে জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে গ্রহনের অনুরোধ করেননি। তাই শুধু শুধু এসব অশোভন সমালোচনা না করে নিজেদেরকে মানুষের কাছে গ্রহনযোগ্য করে তুলুন।

১২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৪৮

নতুন বলেছেন: ভাই এখনো জাতীয় সঙ্গীত গাইতে গেলে গলাধরে আশে, চোখ ভিজে যায়।

যারা এটা পাল্টানোর কথা বলছে তারা কিভাবে দেশপ্রেমিক হয় বলুন?

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:২৬

অব্যক্ত কাব্য বলেছেন: জাতীয় সঙ্গীত গাইতে গেলেই এমনটা হওয়ার কথা। কারন দেশপ্রেমিক মাত্রই জাতীয় সঙ্গীতকে ভালোবাসে, সেটি যদি অসুন্দরও হয়ে থাকে!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.