নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

[email protected]

শ।মসীর

At present I am living in the consequences of a choice made earlier বেঁচে আছি এটাই আনন্দের.........।। ইচছা হয় সারাদিন ঘুরি পথ থেকে পথে ঘোরা হয়না..............................।।

শ।মসীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আয়নাবাজি- হালকা রিভিউ :)

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১১



না বুঝি দুনিয়া, না বুঝি তোমায়,
আমার কি দোষ... খালি পাপ জমাই.....

সিনেমাটা মাত্র শুরু হলো, কয়েকটা দৃশ্য দেখে কেন জানি আমার মাথায় খালি ঘুরতে লাগল পাঁচ বছর আগে দেখা ব্ল্যাক হক ডাউন এর কথা !!! না সেটার কোন কপি দেখছি তা না, দৃশ্যায়নের কিছু সাদৃশ্যের কারনে হয়ত । অবশ্য সে অর্থে সাদৃশ্য বলাটাও যুক্তিযুক্ত হয়না, এ্যাকশান নির্ভর বেশীরভাগ হলিউড মুভীতেই এরিয়াল ভিউর অত্যাধিক একটা ব্যবহার থাকেই, টপ ভিউ বা বার্ডস আই ভিউ থেকে দেখানোর জন্য । । পরবর্তীতে আরেকটা দৃশ্যে একটা ছোট ছেলের পথ দেখানোর ভঙ্গীর কারনে ব্ল্যাক হক ডাউন যেন আরো বেশী মাথায় গেঁথে গেল , যদিও পুরোপুরি ভিন্ন ধারার দুটি মুভী -- না বুঝি দুনিয়া, না বুঝি তোমায়,আমার কি দোষ...:)

ফটোগ্রাফীতে ডেপথ অব ফিল্ড বলে একটা ব্যাপার আছে, যেটার কম বেশী করে সাবজেক্ট কে শার্প রেখে ব্যাকগ্রাউন্ড ব্লার করে দেয়া যায় কিংবা সবকিছুই শার্প করা যায় । ফটোগ্রাফীতে ব্যাকগ্রাউন্ড ব্লার করে দেয়ার এই বিষয়টি যারা নতুন নতুন শিখে, কিছুদিন দেখা যায় তাদের সব ছবিই এক রকম, কেবল সাবজেক্ট টা পরিষ্কার, আর আশে পাশে পুরা দুনিয়া ঝাপসা, সেটার প্রয়োজন হউক আর না হউক । আয়নাবাজির ভিডিওগ্রাফার কে নিয়েও একই কথা বলা যায় । তিনি সম্ভবত ব্যাকগ্রাউন্ড ব্লার করে দেয়ার এই বিষয়টিতে ব্যাপক মজা পেয়েছেন, না হলে একটা সিনেমার ৫০% দৃশ্য এমন হতে পারেনা । অনেক জায়গায় মনে হয়েছে অপ্রয়োজনীয় ভাবে ব্যাকগ্রাউন্ড ব্লার করে দেয়া হয়েছে, যেটার কোন দরকার ছিলনা, বরং ওপেন ফ্রেম হলেই দৃশ্যটা অনেক বেশী ভাল লাগত, ব্যাকগ্রাউন্ড পরিষ্কার থাকলে দৃশ্যায়নটা আরও সুন্দর হত । তবে ভিডিওগ্রাফার ওয়াইড এঙ্গেলে ঢাকা শহরের যে এরিয়াল ভিউগুলো নিয়েছেন কেবল মাত্র তা দেখার জন্য হলেও এই মুভীটা দেখা যেতে পারে । মনে হয়না আর কোন বাংলা মুভীতে এত সুন্দর করে এরিয়াল ভিউ এর ব্যবহার করা হয়েছে । । সদরঘাটের সেই রুফ টপে বসে (খাওয়া দাওয়ার চিন্তা করা না লাগলে ) একটা জীবন এমনিতেই পার করে দেয়া সম্ভব !!!

চঞ্চল - শুধু মাত্র এই ছেলেটার অভিনয় দেখার জন্য হলেও এই মুভীটা দেখতে পারেন । নায়ক হবার জন্য সবসময় সিক্স পেক আর ঠোঁটে লিপিষ্টিক লাগানোর দরকার পড়েনা, যদি গল্পটা ভাল হয় আর আপনি অভিনয় জানেন ! আয়নাবজির গল্প অবশ্যই চমতকার, নতুনত্ত্ব আছে , কিন্তু কেন জানি মনে হয়েছে পরিচালক গল্পের পেছনে তত সময় ব্যয় করেননি যতটা করেছেন দৃশ্যায়নের পেছনে । গল্পের গাঁথুনি অতটা শক্তিশালী না যতটা ডিরক্টর হিসবে অমিতাভ রেজা ! আমাদের পুলিশ আর যায় হউক বেকুবনা, খোলা রাস্তায় দিনের আলোতে আসামি বদলের মত বেকুব অন্তত বাংলার পুলিশ না । পুলিশকে এত বোকা দেখানোর জন্য নির্মাতাকে ধিক্কার :) ব্যাপারটা আরো স্মার্টলি দেখানো যেত ।

নায়িকার চরিত্রটিকেও পরিপূর্ণ মনে হয়নি, দর্শকের মনে নায়িকার সম্বন্ধে জানার যে আগ্রহ সেটা মেটানো হয়নি, কারন তাকে কখনো পাশের বাড়ির মেয়েও মনে হয়নি , অবশ্য পাশের বাড়ির মেয়েরা কেমন সেটাও আমার খুব একটা জানা নেই, আমার আশে পাশের বাড়িতে অমন কেউ কখনো ছিলনা :( । ট্রাফিক জ্যামে পড়ে নায়িকার বাবার মৃত্যু- পরিচালক কি আমাদেরকে সচেতন করতে চাইলেন, না এমনিতে নায়িকার বাবাকে মারা দরকার তাই মারলেন ব্যাপারটা ক্লিয়ার হলোনা । সিনেমার কিছু টেক এওয়ে মাঝে মাঝে খারাপনা, একবারে হুদাই একটা দৃশ্যায়ন এর থেকে সেটা ভাল । কে জানে পরিচালক হয়ত ছোট গল্পে যেমন পাঠকের জানার আকাংখা ধরে রেখে শেষ করে দেয়া হয়, তেমন কিছু করতে চেয়েছেন ।

নায়কের বাইরে পার্থর চরিত্রটিকে নিয়ে পরিচালকের কাজ করার চরম সুযোগ ছিল । এইখানেও কেমন যেন উদা সীনতা রয়ে গেছে । নায়কের পাশাপাশি এই চরিত্রটিকে আরো গুছিয়ে কাজ করার সুযোগ দেয়া যেত। সিনেমায় পুরোটা সময় জুড়ে দর্শক কে মোহগ্রস্ত করার মত কোন টুইস্ট ছিলনা ( তবে সিনেমা দেখার সময়টা আপনি আগ্রহ নিয়েই উপভোগ করবেন নিশ্চিত ) অথচ পার্থ আর আরেফীন শুভর চরিত্র দুটো দিয়ে পুরো অন্যরকম একটা টুইস্ট বানানো হয়ত সম্ভব হত । তাহলে শেষে ধুম করে এমন ভাবে ছবিটা শেষ করে দেয়া লাগতোনা ।

সিনেমাটা আরো অনেক ভাল করা যেত মানে এইনা যে এটা ভাল হয় নাই । আমাদের বর্তমান সিনেমা জগতের প্রেক্ষাপটে এইটা যথেষ্ঠ ভাল , নতুনত্ত্ব আছে অনেক খানি । অযথা পুরো গান শুনিয়ে সিনেমার দৈর্ঘ্য লম্বা করা হয় নাই, এইটা একটা ভাল জিনিস । গাড়িতে বসে নায়িকার গান শোনার দৃশ্যায়নটা আরো সুন্দর করা যেত, বিশেষ করে ঐ সময়ও ব্যাকগ্রাউন্ড ব্লার করে দেয়া দেখে সত্যি সত্যি মেজাজ খারপ হয়ে গিয়েছিল । পেপারের সম্পাদকের ভিডিও ক্লীপ চাওয়ার মত সস্তা রসিকতা না দেখালেও চলত, দর্শক আকর্ষন করার মত যথেষ্ঠ ভাল এই মুভী এমনিতেই চলবে।

আপনি টুইষ্টের অপেক্ষায় থাকবেন আর এর মাঝে ধুম করে সিনেমাটা শেষ হয়ে যাবে এইটাও এক ধরনের টুইস্টই বটে !!!

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৪

অপ্‌সরা বলেছেন: ভাইয়া !!!!!!


এক্সসেলেন্টো!!!!!!!!!

ছোট ছেলেটার পথ দেখানো বলে দিতে হয় না পরিচালকের মনে গেঁথে থাকা কোনো হলিউডি ম্যুভির দৃশ্য! তবে সব দেশে ক্রিমিনালরা ওমনি হয় হয়তো!

তবে ভিডিওগ্রাফার ওয়াইড এঙ্গেলে ঢাকা শহরের যে এরিয়াল ভিউগুলো নিয়েছেন কেবল মাত্র তা দেখার জন্য হলেও এই মুভীটা দেখা যেতে পারে । মনে হয়না আর কোন বাংলা মুভীতে এত সুন্দর করে এরিয়াল ভিউ এর ব্যবহার করা হয়েছে । । সদরঘাটের সেই রুফ টপে বসে (খাওয়া দাওয়ার চিন্তা করা না লাগলে ) একটা জীবন এমনিতেই পার করে দেয়া সম্ভব !!!

ঠিক ঠিক একদম ঠিক!


সিনেমাটা আরো অনেক ভাল করা যেত মানে এইনা যে এটা ভাল হয় নাই । আমাদের বর্তমান সিনেমা জগতের প্রেক্ষাপটে এইটা যথেষ্ঠ ভাল , নতুনত্ত্ব আছে অনেক খানি । অযথা পুরো গান শুনিয়ে সিনেমার দৈর্ঘ্য লম্বা করা হয় নাই, এইটা একটা ভাল জিনিস ।

এটাও ঠিক ঠিক !!:)

গাড়িতে বসে নায়িকার গান শোনার দৃশ্যায়নটা আরো সুন্দর করা যেত, বিশেষ করে ঐ সময়ও ব্যাকগ্রাউন্ড ব্লার করে দেয়া দেখে সত্যি সত্যি মেজাজ খারপ হয়ে গিয়েছিল ।

তবে ভাইয়া এটা তো ঠিকই আছে, গাড়িতে বসে বসে নায়িকা বুঝি আনমোনা হয়ে যায় না!!! তখন কি আর মনে থাকে চোখের সামনে কি! সবই তো ব্লার ব্লার থাকে!

কাজেই পরিচালক ইজ রাইট !!! :):):)

হা হা হা অনেক ভালো লাগলো ভাইয়ামনি!!

আমার পজিটিভ এ্যান্ড পজিটিভ রিভিউ পড়ে আসো শিগরি!!!!:)

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১:১৭

শ।মসীর বলেছেন: পরিচালক এত বেশী ব্লার দৃশ্য দেখিয়েছে যে পরে কোনটা ঠিক আর কোনটা বেঠিক সেটা না, দেখালেই পাশের বন্ধুকে বলেছি বেটা মনে হয় কাজটা নতুন শিখছে :)

২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:৪২

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: হল প্রিন্টটা পাইলে দেইখা ফালানো যাইত.... ;) :P

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১:২৪

শ।মসীর বলেছেন: আগে জানলে কপি কইরা নিয়া আসতাম ;)

৩| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৬:১৩

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
ব্লার করাটা আপনার বিরক্তি লাগলেও আমার এটাকে তেমন সমস্যা মনে হয়নি। হ্যাঁ, নতুন আঙ্গিকে কিছু শুরু করলে কিছুটা আড়ষ্ট ভাব থাকবেই।

তারপরও, মুভির গল্পের নতুনত্ব আমাকে বেশ মুগ্ধ করেছে।

আমার সমস্যা কিছু ফ্যাক্টস নিয়ে। যুক্তিগুলো ঠিক মিলেনি শেষে গিয়ে। সিক্যুয়েল করে বসে কিনা তারা সেটাই ভাবছি। পারফেক্ট সিকুয়েল সিচুয়েশনে শেষ হয়েছে। তবে, ফিনিশিং ঠিক ভাল হয়নি।

চঞ্চলের চরিত্রটা ছিল মূল। তাকে প্রাধান্য দিবে স্বাভাবিক ভাবেই। অবশ্য সে এর মূল্যও দিয়েছে ভালভাবেই। এত স্ট্রং এক্টিং সচারচর দেখা যায়। পুরোপুরি ন্যাচারাল অ্যাক্টর।
এর বাইরে চরিত্রগুলোও ভাল অ্যাক্ট করেছে। তবে চঞ্চলকে প্রাধান্য বেশি দিতে গিয়ে অন্যগুলোর উপর নজরটা ঠিকমত দেয়নি। এটা একটা বড় খুঁত।
নায়িকার চরিত্রটা ছাড়া সবাই ই খুব ভাল অ্যাক্টিং করেছে।

পার্থর কাজের ছেলেটা ছিল বেশি জোস।

এটা স্টার্ট। সমস্যা তাই আছে। আমাদের দায়িত্ব এগুলো তুলে ধরা। পরবর্তীতে আরো ভাল কিছু আসবে।

আপনার রিভিউটা ভাল হয়েছে।

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১:২২

শ।মসীর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপানর চমতকার মন্তব্যের জন্য । ।
একেকজনকে একেক রকম করে ভাবাবে এই টাই পরিচালকের স্বার্থকতা বলা চলে ।

৪| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৬:০৭

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: হালকা রিভিউ নয় বরং খুব গভীর (বা গম্ভীর) রিভিউই হয়েছে ! আপনার অবজারভেশন খুব ভালো ! এরকম চমৎকার একটি লেখার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ !

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:৫৮

শ।মসীর বলেছেন: আপনাকে ও অনেক ধন্যবাদ ।

৫| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৬:৩০

স্বপ্নের_ফেরিওয়ালা বলেছেন: আমার কাছে ভালো লাগেনি।।।
ভালো লাগতো বা কিছু শেখার ছিল।
যদি আয়নার ফাসি হতো,লোভে পাপ,পাপে মৃত্য।
কমেডি মুভি ব্যতিক্রম কিছু পেলাম না।

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:০০

শ।মসীর বলেছেন: সব কিছু থেকেই কি আর শিখতে হবে, কিছু কিছু ব্যতিক্রম ও ভাল নয় কি ??

৬| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:১৭

মেহেরুন বলেছেন: এখনো দেখিনি, তবে দেখার অপেক্ষায় আছি। রিভিউ হালকার উপরে বেশ ভালোই লাগলো। আশা করছি ভালো কিছু দেখবো।

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৮

শ।মসীর বলেছেন: দেখে আসুন, ভাল লাগবে........।

৭| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:০১

আমি তুমি আমরা বলেছেন: চতুর্থ ভাল লাগা :)

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:১৮

শ।মসীর বলেছেন: :) :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.