নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

[email protected]

শ।মসীর

At present I am living in the consequences of a choice made earlier বেঁচে আছি এটাই আনন্দের.........।। ইচছা হয় সারাদিন ঘুরি পথ থেকে পথে ঘোরা হয়না..............................।।

শ।মসীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাড়িওয়ালির অশরীরি মেয়ে -(২য় পর্ব)

০৮ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২২



সালামের উত্তর দিয়ে বাড়ি ওয়ালি শানু কেমন আছে জানতে চাইল, আর বলল ঝড়ের পর তার গাছগাছালির কি অবস্হা সেটা দেখার জন্য এসেছেন । ছাদে তার বেশ কিছু গাছগাছালি আছে। আমগাছ, লেবুগাছ, পেঁপে গাছ সহ বেশ কিছু শাকসবজির গাছও লাগানো হয়েছে । নিজের গাছ পালাগুলোর তেমন কোন ক্ষতি না হওয়ায় বাড়িওয়ালি সন্তোষ প্রকাশ করলেন । চান্স পেয়ে শানু তার চুরি যাওয়া গাছের গল্প শুনিয়ে দিল বাড়িওয়ালিকে ।

রাস্তায় এক ফেরিওয়ালা ডায়াবেটিস গাছ ডায়াবেটিস গাছ বলে হাঁক দিচ্ছিল। সে তার কাছ থেকে জানতে পারল ডায়াবেটিস গাছের গুনকীর্তন । দেখতে অনেকটা পাথরকুচি গাছের মত এই গাছের পাতা, ফেরিওয়ালার তথ্যমতে, প্রতিদিন সকালে এই গাছের একটি পাতা পরিষ্কার করে কাঁচা চিবিয়ে খেয়ে ফেললে ডায়াবেটিস আর গ্যাষ্ট্রিক এর যন্ত্রনা একদম লাঘব হয়ে যাবে। এই জিনিস প্রামনিত সত্য কিনা সে জানেনা, তবে তার বেশ কয়েকজন কলিগের কাছ থেকেও শুনেছে এই গাছের কথা । টব সহ একটা গাছ কিনে নিয়ে এসেছিল সে এই বাসায় উঠার পরপরই । তার বাবার ডায়াবেটিস আছে। ভেবেছিল পরেরবার বাড়ি যাবার সময় এটা সাথে করে নিয়ে যাবে। নিয়মিত পানি আর পরিচর্যায় গাছটাও বেশ বড় হয়ে উঠেছিল ।কিন্তু তিনচার দিন ধরে সে আর গাছটিকে খুজে পাচ্ছিলনা । কেউ এটাকে চক্ষু দান করেছে সেটা বুঝলেও কে করেছে সেটা কোন ভাবেই বুঝতে পারছিলনা ।

বাড়িওয়ালি সাথে সাথে রিপ্লাই দিল, আমি বুঝছি ছয়তালার ঐ মহিলা তোমার গাছ চুরি করছে । এমন উত্তর শুনে সেও থতমত খেয়ে গেল। বাড়িওয়ালি জিজ্ঞাসা করল তোমার টবের রং কি ছিল। লাল রং বলার সাথে সাথে তিনি বললেন, ঐ মহিলা যে গাছও চুরি করবে এটাত বুঝতে পারি নাই । এমনিতেই তার স্বভাব খারাপ। আমাকে ঐদিন তার বাসায় যাবার পর দেখাল সে নাকি ডায়াবেটিস গাছ কিনেছে । এইটা খেলে এই হয় ঐ হয় । আমি মনে মনে হাসি , দুনিয়ার ডাক্তাররা হাজার ঔষধ দিয়ে কিছু করতে পারে নাই, আর উনি আসছেন গাছের পাতা খাওয়াইয়া ডায়াবেটিস সারাইতে । এই গাছ এতদিনে তাহলে লাখ টাকা দামে বেঁচা বিক্রি হইত ।
তোমার ঐটা যে ডায়াবেটিস গাছ ঐ মহিলা জানল কেমনে । শানু জানাল একদিন বিকালে সে যখন গাছটাতে পানি দিচ্ছিল তখন ঐ মহিলা তার মেয়ে সহ ছাদে ঘুরতে এসেছিল, তখন তারা শানুর কাছ থেকে জেনেছিল এই গাছের গুনাগুন । শানু মনে মনে মনে ভাবছে, ঐ মহিলা এটা কি কাজ করল, তাকে বললেইত সে এমন আরেকটা গাছ এনে দিতে পারত, কিংবা চাইলে হয়ত সে তার টাই দিয়ে দিত ।
বাড়িওয়ালি সাথে থাকা কাজের মেয়েকে নির্দেশ দিল ছাদের দরজায় একটা তালা লাগিয়ে দেয়ার জন্য, যাতে সবাই আর যখন তখন ছাদে উঠতে না পারে। যারা ছাদে থাকে তাদেরকে একটা করে চাবি দিয়ে দিতে বললেন । এরপর শুরু করলেন তার গল্প বলা । ঐ মহিলা যে কত খারাপ মোটামুটি তার একটা বিশাল বর্ণনা দিয়ে দিলেন।

স্বামী বিদেশে থাকে বলে বাসা ভাড়া নিলেও বাড়িওয়ালি তার স্বামী থাকা নিয়ে যথেষ্ঠ সন্দিহান । ক্লাশ সেভেনে পড়ুয়া মেয়ে আর কাজের একটা মানুষ নিয়ে সে থাকে । কোন এক মন্ত্রী নাকি তার আত্মীয় । বাড়িওয়ালির ধারনা আসলে ঐ মন্ত্রীর তদবির ব্যবসা আসলে এই মহিলা পরিচালনা করে থাকেন। মহিলা নানা জনের তদবির তার কাছে নিয়ে যান, কোথায় কাকে পোস্টিং দিতে হবে , কারো ট্রান্সফার দরকার হলে, সব ধরনের কাজই এই মহিলা করে থাকেন । এমনকি গাজীপুরের এএসপিকে দিয়ে বাড়িওয়ালির দখল হয়ে যাওয়া জমিও উদ্ধার করে দিয়েছেন বস্তিবাসীদেরকে উচ্ছেদ করে । জমি ফিরে পেলেও বাড়িওয়ালি কিছুটা মনঃক্ষুন্ন , সেটাও জানালেন তিনি । তার ধারনা এই কাজে তার থেকে বেশী টাকা নেয়া হয়েছে, যেটা আসলে ঐ মহিলা মেরে দিয়েছেন। তারপরও যেহেতু জায়গা ফিরে পেয়েছেন , এটাই বড় কথা- শানু এই কথা বলে বাড়িওয়ালিকে স্বান্ত্বনা দেয়ার চেস্টা করল । মনে হয়না মহিলার মন গলেছে তাতে । তিনি উল্টা ঐ মহিলা কবে কার থেকে টাকা খেয়ে কি কি কাজ করেছেন সে গল্প বলে যেতে লাগলেন। শানু একবার ভাবল তিনি এত কিছু জানেন কিভাবে জিজ্ঞাসা করবে, সাহসের অভাবে সেটা করতে পারলোনা ।

কথায় কথায় বাড়িওয়ালি শানুকে জিজ্ঞেস করল তুমি আবার রাতে টুংটাং মেয়েলি আওয়াজ পাওনাত কিংবা কেউ তোমার দরজায় - জানালায় নক করে নাত । আচমকা এই কথায় শানু কিছুটা থতমত খেয়ে ভয় পেয়ে গেল । না , মানে - কি বলবে আসলে সে কিছু বুঝে উঠতে পারছেনা ।
বাড়িওয়ালি নিজেই বলা শুরু করল- আগে যে ভাড়াটিয়া ছিল সে একদিন বলল ছাদের মাঝে নাকি রাতের বেলা একটা মেয়ে দৌড়ে বেড়ায়, হাতের চুড়ির শব্দ শোনা যায়, সে মেয়ে নাকি আবার তার জানালায়ও টোকা দেয় । সাদা শাড়ি পড়ে নাকি ঐ মেয়ে ঘুরে । এইসব কথা শোনার পর আমি হুজুর ডেকে পুরু বাড়ি বনধ করেছি, বিভিন্ন জায়গায় দোয়া দরুদ লেখা কাগজ টানিয়েছি । এরপরও নাকি সে ঐ মেয়েকে দেখেছে, তার দরজায় নক করেছে । পরে তাকে বলেছি বাসা ছেড়ে দিতে, আমার ধারনা সে রাতের বেলা গাজা খাইত, কারন নিচের ফ্লোরের একজন গাজার গন্ধ পাবার কমপ্লেন করেছিল। গাজা খেয়ে খেয়ে সে হয়ত কি না কি স্বপ্ন দেখত, কল্পনা করত, দিনের বেলা সেটা নিয়ে ভাবত । নিচে দারোয়ান আর ড্রাইভারও মনে হয় তারে উল্টা সিধা কিছু বলেছিল হয়ত মজা করে ভয় দেখানোর জন্য ।

তোমারে কেউ কিছু বললে তুমি এসব কথা কানে তুলোনা , এইখানে ভয় পাবার কিছু নাই । এই বলে বাড়িওয়ালি চলে গেল । শানু বাড়িওয়ালি আর তার কাজের মেয়ের চলে যাওয়া পথের দিকে তাকিয়ে আছে । তার খুব ইচ্ছে করছে বলতে আপনারা আরো কিছুক্ষন থাকেন, কারেন্ট টা আসুক, আমার ভয় করছে । সে কিছুই বলতে পারলোনা । তার এখন কেমন জানি ভয় ভয় করছে । এতদিন একা একা কাটিয়ে দিয়েছে, রাতে ছাদে হেঁটেছে, তার মাথায় ভয় নামক কোন ব্যাপারই আসেনি, কিন্তু এখন কেমন জানি লাগছে । তার মনে হচ্ছে আড়াল থেকে সাদা শাড়ি পড়া কেউ একজন তার দিকে তাকিয়ে আছে ।

সে ঠিক একই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে, এদিক ওদিক তাকালেও নড়ছেনা একটুও । গা কেমন ছম ছম করছে । এমন সময় নিচের কোন এক ফ্ল্যাটের এক ভদ্রলোক ছাদে উঠে আসলেন। সাদা স্যান্ডো গেঞ্জি গায়ে দেয়া ঐ লোককে দেখেও হঠাত সে একটু ভড়কে গিয়েছিল । তখনই কারেন্ট চলে আসায় শানু স্বাভাবিক অবস্হায় ফিরে আসে । লোকটার দেখাদেখি সেও একটা সিগারেট ধরাল, কয়েকটান দেয়ার পর সে মোটামুটি স্বাভাবিক অবস্হায় চলে আসে । মনে মনে বাড়িওয়ালিকে আচ্ছামতন গালি দেয় সে, নিজে নিজেই বলে ঐ মহিলার মাথায় মনে হয় ছিট আছে, না হলে এই টাইপ ফাউল কথা কেউ বলে নাকি । এই কথা শুনলেত যে কেউই ভয় পেয়ে যাবে । যায় হউক মহিলার কথাটাকে মাথা থেকে উড়িয়ে দেয়ার চেস্টা করল সে । পকেট থেকে মোবাইল বের করে ক্লোজ এক বন্ধুকে ফোন দিয়ে গল্প করা শুরু করল সে ।
চলবে.............

১ম পর্ব
https://www.somewhereinblog.net/blog/shamseerblog/30310438

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: লেখায় রসকস কম। আকর্ষন করছে না।

০৯ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৮

শ।মসীর বলেছেন: অনেক দিনের না লেখার অভ্যাস !!!! আমিও বুঝতেছি :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.