নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

[email protected]

শ।মসীর

At present I am living in the consequences of a choice made earlier বেঁচে আছি এটাই আনন্দের.........।। ইচছা হয় সারাদিন ঘুরি পথ থেকে পথে ঘোরা হয়না..............................।।

শ।মসীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাড়িওয়ালির অশরীরি মেয়ে - ৭ম পর্ব

১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৪



জনাব তালুকদার সাহেব,

সালাম নিবেন । সালাম মানে শান্তি , আর আমি নিশ্চিত আপনি আসলেই শান্তিতে আছেন । আপনার বিল্ডিং এ প্রতিদিন যতসব ঘটনা ঘটে চলে তা জানলে কেউ এমন চুপচাপ বসে থাকতে পারার কথা নয় । আর জানার পর তার শান্তিতে থাকারও কোন কারন নেই । যেহেতু আপনি চুপচাপ আছেন, তার মানে আপনি জানেন না এবং শান্তিতেই আছেন । বিষয়গুলো আপনাকে সামনাসামনি বলার কোন সুযোগ নেই, কারন তাতে তিক্ততা বাড়বে এমনকি আমাকে বাসা ও ছেড়ে দিতে হবে । বাসা বদলানোর ঝামেলা পোহাতে ইচ্ছা করছেনা বলেই এই বেনামি চিঠি লেখা । চিঠি পড়ে কে লিখেছে সেটা না খুজে সমস্যার যৌক্তিক সমাধানে মনোযোগী হবেন মনে মনে এই আশা রাখছি ।

আপনি একজন সন্মানিত সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার । স্বাভাবিক ভাবেই ধরে নিয়েছিলাম আপনার স্ত্রীও আপনার পজিশনের সাথে সমঞ্জস্যপূর্ণ ভাবে নিজের অবস্হান রক্ষা করবেন । পুরোপুরি হতাশ হলাম এই ক্ষেত্রে । বিত্তের কোন অভাব আপানর থাকার কোন কারন নেই , আপনার স্ত্রীর জন্যও সত্য তা । এমনতর পারিবারিক স্ট্যাটাস যাদের আছে তাদের সাথে কোন ভাবেই আপনার স্ত্রীর আচার আচরন মিলেনা ।

সকালে ঘুম থেকে উঠেই তিনি দোতালা থেকে নিচে নেমে আসেন । স্বাভাবিক হাঁটাহাঁটির জন্য আসলেও একটা কথা ছিল । সবাই যখন অফিস আদালতের জন্য বের হয় তখন তিনি গ্রাউন্ডফ্লোরে শুরু করেন তার অশ্রীল রকম চিতকার চেঁচামেচি । মাঝে মাঝে লজ্জায় পড়ে যেতে হয় । একজন সচিবের স্ত্রী কি করে এত নোংরা গালাগালি করে যেতে পারেন বস্তিবাসীদের মতন অবলীলায় । দারোয়ান কে একবার গালি দেন, কাজের বুয়াকে একবার গালি দিন । কি যে করতে চান সেটা কেবল তিনিই জানেন । বেশীরভাগ সময় নিচে ঘোরাঘুরি করা আর ভাড়াটিয়াদেরকে নিয়ে উল্টাপাল্টা কথা বলাই তার কাজ । একজন অভিজাত মহিলা হলে যেখানে তিনি হয়ত নিচেই নামতেননা, সেখানে আপনার স্ত্রী উপরেই উঠেননা । অবশ্য নিজের বাড়িতে তিনি কি করবেন না করবেন সেটা সম্পূর্ণ আপনাদের ব্যাপার হলেও, উনার আচরন অশোভন পর্যায়ের ।
আমাদের শহুরে জীবনে গৃহসহকারি একটা অত্যাবশ্যকীয় প্রয়োজন, বলা যায় এটাই আমাদের দৈনন্দিন একটা বিলাসিতা । তাদেরকে ছাড়া ঘরসংসার সামলানো আসলেই কষ্টপূর্ণ। আপনার স্ত্রীর জন্য বিল্ডিং এর বসবাসকারিরা গৃহসহকারি তথা শহুরে পরিভাষায় বুয়া নিয়ে আছে ভীষন ঝামেলায় । আপনার বাসায় কোন বুয়া থাকতে পারেনা (দায়ী আপনার স্ত্রী ), তার জন্য অন্যদের বাসার বুয়া থাকাটাও উনার সহ্য হয়না । উঠতে নামতে এই বুয়াদের সাথে যা তা ব্যবহার করেন তিনি । তিনি বুয়াদের লিফটে চড়তে দিবেননা । ছয়-সাত-আট তালায় কাউকে বিনা কারনে হেঁটে উঠতে বাধ্য করা অমানবিক, আর তিনি এটাই করে চলেছেন । এমনকি বুয়ারা আপনার বিল্ডিং এর সিঁড়িতে সেন্ডেল পড়েও উঠতে পারেনা । আমার দৃঢ় বিশ্বাস আপনার স্ত্রী খুবই স্বল্প শিক্ষিত কিংবা অশিক্ষিতও হতে পারে । আপনি তাকে বিয়ে না করলে সমাজে যে সে কোন অবস্হানে থাকত এটা নিয়ে আমার ডাউট আছে । অশিক্ষিত অসভ্য মানুষ না হলে কেউ বুয়াদের সাথে এত বাজে আচরন করতে পারেনা । বুয়াদেরকে আপনার স্ত্রী নোংরা ভাষায় গালিগালাজ ও করে থাকে ।
দ্বিতীয়ত এই বিল্ডিং এর সিকিউরিটি বলতে কোন জিনিস ই নাই । এখানে কোন দারোয়ান দুই মাসও ঠিকমত থাকতে পারেনা । এর জন্যও দায়ী আপনার স্ত্রী । তিনি দারোয়ানের সাথে চরমমাত্রার খারাপ আচরন করে থাকেন । সুস্হ্য কারো পক্ষে ঐ ধরনের গালাগাল শুনে এইখানে থাকা সম্ভব নয় । নেহায়েত ভীতু বলে দারোয়ান গুলো চলে যাবার সময় আপনার স্ত্রীকে গালাগাল না করেই চলে যায় । আর এ কারনে বছরে চার পাঁচবার দারোয়ান বদল হয় আপনার বিল্ডিং এ, আপনি এসব দেখনে না, নাকি ইচ্ছা করে ইগনোর করেন সেটা আসলে বুঝিনা । এত সুন্দর একটা বিল্ডিং এর নিচে খুপড়ি রুম বানিয়ে তা বুয়া ড্রাইভার দের কাছে ভাড়া আর তাদের সাথে যাচ্ছেতাই হাউকাউ করা আপনার স্ত্রীর নিত্যদিনের রুটিন ।
আপানর বাসার সামনে প্রায়ই দামী গাড়ি অপেক্ষা করতে দেখা যায়, উচ্চপদস্হ লোকজন আপনার কাছে আসেন অতিথী হয়ে , জানিনা নিচে এইসব লোকের বসবাস দেখে তারা কি ভাবেন, হাজার কয়েক টাকার জন্য এইভাবে কেউ বাসা ভাড়া দেয় । তাদের স্ত্রীরাও আসেন, তাদের চালচলন দেখেও আপনার স্ত্রী কিছু শেখে বলে মনে হয়না । অভিজাত হতে হলে আচার আচরন ও অভিজাত হতে হয় । বাড়ি গাড়ি প্রচুর টাকা থাকলেই কেবল হয়না, আচার আচরন ও সুন্দর হতে হয় ।

বিল্ডিংটাকেও আপনারা বানিয়ে রেখেছেন খিচুড়ী । ফ্যামিলিও ভাড়া দেন, ব্যাচেলরও ভাড়া দেন, টাকাটাই আপনাদের কাছে সব । এই সব ব্যাচেলর পোলাপান লিফট টা পর্যন্ত ময়লা করে রাখে । রাত বিরাতে হইচই গান বাজনার কথা না হয় বাদই দিলাম । একটু চেস্টা করলেই আপনারা বিল্ডিংটাকে বাসযোগ্য করে রাখতে পারেন । আপনার বাসায় একটি বিবাহযোগ্য মেয়ে আছে । যদিনা সে প্রেম করে থাকে, তবে এ্যারেঞ্জ ম্যারেজ এর ব্যবস্হা করতে হলে নিশ্চিত ব্যাপারটা আপনার জন্য বিব্রতকর হবে । কারন ভাড়াটিয়া থেকে শুরু করে আশে পাশের কেউই মেয়ের মার সম্বন্ধে ভাল কোন কথা বলবেনা । আপনার স্ত্রী যে কি পরিমান নিন্মরুচির আর অশোভন স্বভাবের তা পুরো এলাকা অবগত । আশাকরি আপনি এ অবস্হা থেকে উত্তোরনের জন্য যথাবিহীত ব্যবস্হা নিবেন ।

এই চিঠি কে লিখেছে সেটা খোঁজার চেস্টা না করে বরং সমস্যাগুলোর সমাধানে মনোযোগী হলে সেটা সবার জন্যই কল্যাণ বয়ে আনবে । আপনি একজন স্বজ্জন ব্যক্তি, এটা সবাই জানে ।

বিনীত

আপনারই এক শুভাকাংখী ভাড়াটিয়া ।






বেগম তালুকদার সাহেবা,
আপনাকে শুরুতেই সালাম দিলামনা । সালাম মানে শান্তি আর আপনি শান্তিতে থাকতে পারেন এইটা আমি বিশ্বাস করিনা , এটাও নিশ্চিত আপনার আশে পাশের কেউ আপনার কারনে শান্তিতে নেই । একজন সচিবের স্ত্রী এত নিন্মরুচির আর স্বভাবে বস্তির অভব্য মহিলাদের মত হত পারে তা আপনাকে না দেখলে বিশ্বাস করতে পারতামনা । আমি অবাক হয়ে যায় ভেবে, কি করে আপনি বিভিন্ন সময় স্বামীর সাথে বিভিন্ন এলাকায় সরকারি কোয়াটারে ছিলেন । তখনকার স্বভাব আচার আচরন ও যদি এখনকার মতনই থাকে তবে কি অশান্তিতেই না আপনার স্বামীর জীবন কেটেছে তা ভেবে তার জন্য আমার কষ্ট হচ্ছে । অবশ্য তিনি আপনার সাথে কখনো শান্তিতে ছিলেন তা আমার মনে হয়না, থাকলে এই শেষ বয়সে এসে ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাটের দুই ফ্লোরে দুইজন থাকতেননা । কখনো চিন্তা করে দেখেছেন আপনার স্বামী কেন আপনার সাথে থাকেননা । কারন আপনি অত্যন্ত অসভ্য ইতর একটা মহিলা ।

আপনাদের আর কত টাকার দরকার আসলে, যেটার জন্য বাসার নিচের তালা কে বস্তির মত বানিয়ে ফেলেছেন । আশেপাশের ড্রাইভার, বুয়া, টেইলারের কাছে এই সব রুম ভাড়া দিয়েছেন । বাসায় বেড়াতে আসা কেউ কি আপনার কাছে জানতে চায় নাই এ নিয়ে কিংবা আপনার সন্তানেরা, নাকি তাদের রুচিও আপনার মতন ? বয়স হয়েছে, আর কয়দিনই বাঁচবেন, এখনও কি একটু শান্তিতে থাকতে ইচ্ছা করেনা । বুয়া , ড্রাইভার দারোয়ান এদের সাথে চিতকার চেঁচামেচি ছাড়া আপনার কি আসলেই আর কিছু করার নেই । ওদের সাথে থাকতে থাকতে আপনার পোশাক আশাক ও অনেকটা বুয়াদের মতই । কেউ না বলে দিলে বাইরে থেকে আসা কেউ সহজে বুঝতেও পারবেনা আপনি বাড়িওয়ালি !

বিভিন্ন বাসার কাজের বুয়াদেরকে আপনি লিফটে চড়তে দেননা, সিঁড়ি দিয়ে উঠার সময়ও নানা ঝামেলা করেন, জুতা খুলে রাখতে বলেন - এত অহমিকা কিসের আপনার । একবারও কি ভেবেছেন আপনি কি পরিমান ছোটলোক বলেই এসব করতে পারেন । শুনলাম আপনার পায়ে নাকি ভীষন ব্যাথা হয় মাঝে মাঝে, হাঁটতে পারেননা, শুয়ে থাকেন- একবারও মনে হয়না আপনার এটা ঐসব বুয়াদের দেয়া অভিশাপের ফল ।

বিল্ডিং এর সিকিউরিটি কি পরিমান খারাপ সেটা নিয়ে কি আপনার কোন মাথাব্যাথা আছে, কোন দারোয়ানই দুই-তিন মাসের বেশী থাকেনা, থাকতে পারেননা । তাদের সাথে আপনার এত কি সমস্যা । বস্তির মহিলাদের মত এইসব দারোয়ানের সাথে চিতকার করে বেড়ান আপনি । একটা যায় আর মনে হয় রাস্তা থেকে আরেকটা ধরে এনে বসিয়ে দেন । এগুলা না করতে পারে দারোয়ানি, না ঠিক আছে এদের আচার ব্যবহার । আশেপাশের মানুষজন তো আপনার এই দারোয়ান সমস্যা নিয়ে মজা করে বলে কোন দারোয়ান ও তালুকদারের বউকে খুশী করতে পারলোনা । খুবই নোংরা একটা কথা, যদি আপনি নিজে যে পরিমান নোংরা স্বভাবের মহিলা তার কাছে এটা কিছুই না । নিজেকে বদলান, এখনও সময় আছে , না হয় মরেও শান্তি পাবেননা । এই বাড়ি গাড়ি আর যাই হউক শান্তি দিতে পারবেনা ।
আপনার মেয়ের বিয়েশাদী না হবার পেছেনেও দায়ি আপনার এই অসভ্যতা । আশেপাশের সবাই জানে আপনি কি পরিমান নির্লজ্জ, বেহায়া, অসভ্য মহিলা । কেউ যখন আপনার মেয়ের ব্যাপারে খোজ নিতে আসে, সবাই আসলে আপনার চরিত্রেরই বর্ণনা দেয় । আপানর চরিত্র জানার পর সুস্হ মস্তিষ্কের কেউ আর যায় হউক আপনার সাথে আত্মীয়তা করতে পারেনা । এখনও সময় আছে নিজেকে শুধরে নিন । এইরকম অসন্মানের জীবন আর কতদিন । আপনার প্রতি অনুরোধ, নিজেকে বদলান, সবাইকে একটু শান্তিতে থাকতে দিন ।

যখন তখন ভাড়াটিয়াদের সাথে নানা বিষয়ে ঝগড়া লাগানো আপনার একটা প্রিয় কাজ মনে হয় । বাড়িওয়ালি, এই গরমে ভুলে যান এখানকার ভাড়াটিয়ারা প্রত্যেকেই যোগ্যতার বিচারে আপনার চেয়ে অনেক উপরে অবস্হান করছে । সচিবের বউ, এর বাইরে আপনার আর কোন যোগ্যতা কি আছে, মনে হয়না । লোকজন বাসা বদলানো একটা ঝামেলার কাজ মনে করে, তাই হয়ত আপনার সাথে কেউ ঝগড়া করতে উদ্যত হয়না , হলে আপনার মুখে থু থু দিয়ে আসত কেউ না কেউ । সবাই এখানে টাকা দিয়ে থাকে, এইটা মনে রাখবেন, টাকার গরম আছে বলেই তারা এত টাকা ভাড়া দিয়ে থাকতে পারে । নিজেকে বদলান, নিজের চরিত্রের খারাপ দিকগুলো শুধরে নিন, মানুষকে মানুষ মনে করতে শিখুন । তা আপনার জন্যও ভাল হবে, আপনার পরিবারের জন্যও ।

এটাও বুঝি, আপনার মত অসভ্য নিন্মরুচির মহিলার পক্ষে বদলানো সহজ কোন কাজ নয় । জানি চিঠি পাবার পরপরই নিচে নেমে বিশাল চিতকার চেঁচামেচি করতে থাকবেন আপনি। গালাগালির বন্যা বইয়ে দিবেন , কিন্তু তাতে কি আর হবে, আপনার মেয়ের বিয়েটাই আরো দীর্ঘায়িত হবে । মাঝখানে একবার শুনেছিলাম আপনার মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়েছে, বিয়ে যেহেতু হয়নি তার মানে সেটা ভেঙ্গে গিয়েছে । আমি নিশ্চিত ছেলে পক্ষ আপানর খবরাখবর পাবার পরই পিছিয়ে গিয়েছে । মা এমন বেয়াদব হলে মেয়ে কেমন হবে সেই ভাবনা ভাবাই স্বাভাবিক, যদি আপনার মেয়েকে কখনো কোন উল্টাপাল্টা আচরন করতে কেউ দেখেনি । নিজের পরিবারের কথা ভেবে হলেও আপনি ভাল হয়ে যান ।

আমি কে তা না খুজে, নিজেকে বদলান । স্বামীর সাথে সংসারও তখন সুখের হবে, সন্তানরাও আপনার ভাল থাকবে ।

বিনীত

আপনারই এক শুভাকাংখী ভাড়াটিয়া ।







হায় আল্লাহ ! চিঠিতে তো আম্মারে নিয়া একদম যা তা বলছে , উনার মাথাত পুরাই আউট হয়ে যাবার কথা ।
এই কথা গুলো ভেসে আসায় শানু যেন বাস্তবে ফিরে আসে । এতক্ষন সে এক ধরনের ঘোরের মধ্যে ছিল, টানা চিঠি পড়ে যাচ্ছিল কোন ধরনের বিরতি দেয়া ছাড়া ।

মেয়েটার কথায় সে মাথা তুলে সামনে তাকায়, মুখ দিয়ে অস্ফুট স্বরে উচ্চারন করে আম্মা !! পাশাপশি মেয়েটার দিকে তাকিয়ে আবার তার মধ্যে একধরনের ভীতি ভর করে । বেশ খানিকটা সময় যদিও বয়ে গেছে । এখনও খারাপ কিছু ঘটেনি । একথা ভেবে শানু মনে মনে কিছুটা সাহস সঞ্চার করে, নিজেকে প্রবোধ দেয় ভয় পেলে চলবেনা, জ্ঞান হারানো যাবেনা । এই কথাগুলোও সে হালকা শব্দ করেই উচ্চারন করে ফেলে ।

অমনি মেয়েটি বলে উঠে, কি বললেন । শানু থতমত খেয়ে বলে না কিছুনা ।
মেয়েটিও আর জানতে চাইনি ।
কিছুটা সাহস করে গলায় জোর দিয়ে শানু বলে আপনি কে ?
মেয়েটি ওর দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসে, শানুও ফেল ফেল করে চেয়ে থেকে হেসে ফেলে, জোর দিয়ে বলেছে ঠিকি, তবে কিছুটা কাঁপতে কাঁপতে ।
এই জন্যয় মেয়েটি হেসে ফেলে, ব্যাপারটা বুঝতে পেরে শানুও হাসে, ভয় পাওয়া হাসি।


ঠোঁটের কোনে মেয়েটির হাসি লেগেই আছে, আমি কে তা কি দেখতে পাচ্ছেন না !
শানু মেয়েটির দিকে তাকিয়ে থাকে, তার মুখ দিয়ে কোন কথা বের হয়না ।
মেয়েটি নিজে থেকেই বলে উঠে, দেখতেই পাচ্ছেন, আমি অশরীরি একটা মেয়ে ।
গলায় কথা আঁটকে যেতে যেতে শানু বলে, মানে কি !
মানে কিছুই না, আমি আপনাদের এই পৃথিবীর কেউ না । অনেক রাত হয়েছে, আগে ভাত খেয়ে নিন ।

এই বলে মেয়েটি যেন হাওয়ায় মিলিয়ে গেল । শানু দরজার দিকে তাকিয়ে আছে, সেখানে এখন কেউ নেই, বাতাসে হালকা লেবু পাতার একটা সুবাস লেগে আছে । এক ধরনের ঘোর লাগা অবস্হার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে শানু । বিছানা থেকে উঠে সে রান্না ঘরের দিকে এগিয়ে গেল.......







মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: বেশ রহস্যময় ভাব এনেছেন লেখায়।

১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৮

শ।মসীর বলেছেন: দেখা যাক কোন দিকে আগায় :)

২| ২০ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৪৩

মেহবুবা বলেছেন: কত পর্ব লিখে ফেলেছো । পরে পড়ব ।
ভাল আছো আশা করছি ।
ভ্রমনের কি অবস্থা?

০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৫২

শ।মসীর বলেছেন: :) কেমন আছেন । ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.