নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

[email protected]

শ।মসীর

At present I am living in the consequences of a choice made earlier বেঁচে আছি এটাই আনন্দের.........।। ইচছা হয় সারাদিন ঘুরি পথ থেকে পথে ঘোরা হয়না..............................।।

শ।মসীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাড়িওয়ালির অশরীরি মেয়ে- ১৬-১৭ তম পর্ব

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৫২



দরজা খুলে ঘরে ঢুকতেই পেছন থেকে মেয়েটি বলে উঠে কেমন আছেন । হঠাত করে একটু চমকে গিয়েছিল শানু । পেছন ফিরে অশরীরি মেয়েটিকে দেখে হালকা হাসি ফুটে উঠে তার মুখে ।

কি ব্যাপার কিছু না বলে হঠাত কই হাওয়া হয়ে গিয়েছিলেন ।
না মনে এই একটু কক্সবাজার ঘুরতে গিয়েছিলাম ।
যাওয়ার আগে তো বলে যেতে পারতেন, আমি নিশ্চয় আপনার সাথে যেতে চাইতামনা ।
হাহাহা ইচ্ছে করেই বলেনি ..
কেন ?
এমনিতেই.....
কেন আপনি কি ভেবেছেন আপনি বলে না গেলে আমি খুব রাগ করব, আমার রাগ দেখে আপনার খুব মজা লাগবে, টিভি নাটকের মত !
হুমমম তুমি কোন রাগ করোনি দেখে আমি আসলেই অবাক হয়েছি, আমিত ভেবেছিলাম তুমি দুচারদিন রাগ করে দেখা দিবেনা ।
আহা কি ভাবনা আপনার ! আমি আপনাদের মত জলজ্ব্যন্ত মানুষনা, যে রাগ করব কেউ বলে না গেলে । আমাকে বলে গেলেই বা কি আর না বলে গেলেই বা কি ।
এইত তুমি দেখি রাগ করে আছ, তোমার কথার স্বরে বুঝা যাচ্ছে ।
উহু কিছু বুঝা যাচ্ছেনা, আপনি আমাকে না বলে গেলে আমি রাগ করব কেন ।
তাও কথা, রাগ করার কি আছে ।


কেমন ঘুরলেন, কি কি করলেন, কে কে গেলেন ?
ঘুরি নাই, সারাক্ষন সাগরের সামনে বসে ছিলাম, শুয়ে ছিলাম । দারুন সময় কেটেছে সাগরের সাথে । অজস্র তারা দেখেছি সাগরের পাড়ে শুয়ে শুয়ে । একাই গিয়েছিলাম। বন্ধুরা কেউ সময় করতে পারেনি । সবচেয়ে বড় কথা নিজের একটা শখ পূরন করেছি ।
কি শখ..
প্লেনের চড়ার শখ ।

আপনার প্লেনে চড়া আর সাগর দেখা, কোনটাই আমি করি নাই, তাই বুঝবোওনা কেমন ।
তুমি কখনও সাগর দেখোনি ?
না নদী পাড়ের মেয়ে আমি, কেবল নদীই দেখেছি জীবনে , সাগর আর দেখা হলোনা । আচ্ছা প্লেনে চড়তে কেমন লাগে ।
অন্যদের কেমন লাগে জানিনা, তবে আমার কাছে সেইরকম বিশাল কিছু মনে হয় নাই, উড়ে উড়ে তাড়াতাড়ি যায় এই আর কি । ঐ এসি বাসের মতন হা হা হা ।
ভয় লাগেনা ।
ভয় লাগবে কেন, উড়া শুরু করার সময় আর নামার সময় নিজেকে বেল্ট দিয়ে বেঁধে নিতে হয় যাতে ঝাকিতে পড়ে যেতে না হয়, এর বাইরে আর তেমন কিছু টের পাবার মত নেই । বাস রাস্তায় চড়ে আর প্লেন আকাশে , পার্থক্য এতটুকুই !!
এইটা কোন কথা হইল, সবাই প্লেনে চড়লে কত গল্প করে, কি দারুন মজা নাকি প্লেনে চড়াই ।
হা হা হা সবাই গল্প করে তাদের কাছে, যারা কখনো চড়ে নাই । যে একবার চড়েছে সে আর গল্প করবেনা , করলেও যারা একবার চড়েছে তাদের সাথে করবেনা ।
আমার জন্য কি এনেছেন !
হা হা হা তোমার জন্য কি আনব, আর আনলেই বা সেটা তুমি কি করবা , তুমিত ব্যবহার করতে পারবানা ।
তা ঠিক, আমার জন্য আনারত কোন মানে নাই । ইশ কক্সবাজারের বার্মিজ আচারগুলা কি যে মজা । ভেতরে একটা লবণ মরিচের ছোট প্যাকেট দিয়ে দিত আচারের সাথে, সেটা মিশিয়ে খেতে কি যে দারুন ছিল । পায়ে আলতা মেখে বারান্দায় বসে বসে এই আচার খেতাম আমি , চাচা-আম্মা গেলে নিয়ে আসতেন ।
এইটা তোমার পছন্দ জানলেত নিয়ে আসতাম, খেতে পার আর না পার এখন ।
আহা, আমাকে বলেই গেলেন না, আর আপনি আনতেন আচার ।
তোমাকে বলে যাই নাই ইচ্ছে করে, এর আগে কয়েকদিন আমি তোমার অপেক্ষায় বসে থাকতে থাকতে ঘুমিয়ে পড়েছি তাও তুমি দেখা দাও নাই , তাই ।
আমিত দেখা দেই নাই আপনার ক্ষতি হবে ভেবে । সারারাত গল্প করলে সকালে ঠিকমত অফিস করতে পারবেননা এই চিন্তা করে ।
বাহ, আমি তোমার গল্প শোনার জন্য অপেক্ষা করতাম আর তুমি ভাবতা আমার অফিস নিয়ে !
হুমমম।

আমি চল্লাম, আপনি ঘুমিয়ে পড়েন, কালকেত অফিস আছে ।

শানু তাকিয়ে দেখে সামনে শূন্য, কেউ নেই সেখানে । বুঝল মেয়েটি চলে গেছে এখন আর যতই সে অপেক্ষা করুক এই মেয়েটির দেখা পাওয়া যাবেনা । ফ্রেশ হয়ে শানু শুয়ে পড়ল ।


অশরীরি মেয়েটি লেবু গাছের পাশে গিয়ে দাঁড়াল । ঢাকার আকাশেও এখন অনেক তারা দেখা যাচ্ছে । তারা গুলোর দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে তার মনটা কেমন খারাপ হয়ে গেল । শানু তাকে ইচ্ছে করে বলে যায়নি, এই জন্য তার মনটা একটু বেশী খারাপ হয়েছে । সে ভেবেছিল হয়ত জরুরি কোন প্রয়োজনে বাড়ি গিয়েছে । কোনদিন সাগর দেখা হলোনা, প্লেনে চড়াও হলোনা , আর কোনদিন এইসব হবেওনা । সে নিজ হাতে নিজের সব স্বপ্ন গুলোকে হত্যা করেছে । ইদানিং তার খালি নিজের উপর ই রাগ হয় । শানুর উপর তার কেন রাগ হচ্ছে, এইটার যে কোন মানে নাই, এইটা ভেবে তার নিজের উপর রাগ আরো বেড়ে যাচ্ছে ।

তার খুব আলতা পায়ে দিতে ইচ্ছা করছে । সাদা শাড়ি পড়ে লাল আলতা পায়ে দিয়ে বসে থাকতে ইচ্ছা করছে । এটা তার বেশ পছন্দের পোশাক ।












১৭
রাত প্রায় নয়টা বাজে । শানু একা একা ছাদে পায়চারি করছে । পায়চারি করার পেছনে কারন হচ্ছে সে অশরীরি মেয়েটার জন্য অপেক্ষা করছে । এতদিন ধরে তারা গল্প করছে, কিন্তু মেয়েটিকে নিজে থেকে ডাকার কোন উপায় তার জানা নেই । মেয়েটিও তাকে এই ব্যাপারে কিছু শিখায়নি , সে ও জানতে চায়নি, আকরন শানু সন্ধ্যার বেশ পরেই বাসায় ফিরে, আর তার কিছুক্ষন পরে মেয়েটিই এসে হাজির হয় । বাইরে আড্ডা দিয়ে কিছুক্ষন আগেই সে ফিরেছে । শানু জানে মেয়েটি ঠিকি তাকে দেখছে, তবে তার নিজের ইচ্ছা না হওয়া পর্যন্ত সে শানুর সামনে আসবেনা । ইদানিং পুরো ছাদটাই শানুর, চিলেকোঠার অন্য ফ্ল্যাটটি বেশ কিছুদিন ধরে খালি, ব্যাপারটা শানুর খুব ভাল লাগছে । সে তার মনের মত করে ছাদে ঘুরে বেড়াতে পারছে, মাঝ রাতে সে আর অশরীরি ছাদে হাঁটতে হাঁটতে গল্প করে বেড়ায় ।

এমন সময় হুড়মুড় করে ছাদে এসে হাজির হল সাত তালার মেয়েটি, ক্লাশ সিক্স কিংবা সেভেনে পড়ে সে , এর আগে তাকে বেশ অনেকবার ছাদে দেখেছে শানু, কথা ও হয়েছে । তার সাথে সবসময় বাসার গৃহকর্মীটিও থাকে । দুজনেরই বয়স প্রায় কাছাকাছি । নিয়তির পরিক্রমায় দুজনের অবস্হান ভিন্ন হলেও তাদের মাঝে বেশ সখ্যতা, বয়সের ব্যবধান কম হবার কারনে হয়ত । তাদেরকে দেখে শানু কিছুটা বিরক্ত হলই বটে, হাতের সিগারেট টাও ফেলে দিল, ছোট বাচ্চাদের সামনে সিগারেট খাওয়াটা খুবই বাজে দেখায় তার কাছে । তাদের এই অনাহুত আগমনে বিরক্ত হলেও শানু হাসি মুখে তাদের সাথে কথা বলল । তারপর নিজের রুমে গিয়ে বসল।

মেয়ে দুটি ছাদের এমাথা ও মাথা হেঁটে বেড়াচ্ছে আর নিজেদের মাঝে গল্প করছে । কি টপিক তা নিয়ে শানুর কোন আগ্রহ নেই, তবে মাঝে মাঝে তাদের হাসির শব্দ সে শুনতে পাচ্ছে , ফলে তার বিরক্তি আরও বেড়ে যাচ্ছে । মনে মনে সে এদের চলে যাওয়ার অপেক্ষায় আছে । তারাও যেন শানুর এই চাওয়ায় সাড়া দিল, কিছুক্ষন পর গৃহকর্মী মেয়েটিকে সে বলতে শুনল, অনেকক্ষন ছাদে হাঁটছি, চল এবার নিচের থেকে কতক্ষন রাস্তায় ঘুরে আসি । কিশোরি মেয়েটি প্রথমে না না বললেও পরে রাজি হয়ে তারা দুজন নেমে গেল । শানুর দরজায় উঁকি দিলে দেখতে পেত তার মুখে কেমন একটা হাসির আভা ছড়িয়ে পরেছে ।
ওরা নেমে যেতেই শানুর অপেক্ষার অবসান হল । দরজায় এসে হাজির হল সে । সোজাসুজি অশরীরি শানুকে জিজ্ঞেস করল বলেনত ঐ মেয়ে দুটি এত রাতে ছাদে এসে ঘুরছিল কেন ?
শানু চকিত জবাব দেয় আমি কি করে জানব । ওদের হয়ত ইচ্ছা হয়েছে একটু ছাদে ঘুরার তাই মাকে বলে ঘুরতে এসেছে ।
না ওদের ইচ্ছা অনিচ্ছার কোন ব্যাপার নেই, ওদের মা চেয়েছে তাই ওরা ঘুরতে বেরিয়েছে ।
ওদের মার এত রাতে এইরকম চাওয়া হবার কোন কারন খুজে পেলনা শানু ।

ঐ মহিলা বেসিকালি খুবই খারাপ চরিত্রের মহিলা । তার সাথে এক পুরুষ রাজনৈতিক নেতা দেখা করতে এসেছে, তাই সে মেয়েদেরকে ছাদে পাঠিয়ে দিয়েছে । এমন আরো বেশ কয়েকজন আসে । বেশীর ভাগই দিনের বেলায় আসে, মেয়েটা স্কুলে থাকে, তখন কাজের মেয়েটিকে সে বাইরে পাঠিয়ে দেয় । রাতে অমন কেউ আসলে কাজের মেয়েটিকে বলা আছে, সে যেন তার মেয়েকে নিয়ে ঐ সময় ছাদে বা নিচে ঘুরতে চলে যায় ।

বল কি ? এই বিল্ডিং এ থেকে সে এসব করে বেড়াচ্ছে !

হ্যাঁ করতে পারছে, কারন আম্মা সব জেনেও চুপচাপ আছেন তাই, আম্মার বেশ কিছু কাজ সে করিয়ে দিয়েছে, এই কারনে চুপ । মহিলার কলেজ জীবন থেকে এক ছাত্র নেতার সাথে সম্পর্ক ছিল, শুরুতে সে এটাকে প্রেম হিসেবে নিলেও আসলে ঐ নেতা তাকে শুধু শরীরের জন্যই ভাল বেসেছিল । পরবর্তীতে সে দূরে সরে গেলেও ততদিনে মহিলার সাথে অনেক নেতা কর্মীদেরই পরিচয় হয়ে গিয়েছিল। এর মাঝে সে অন্য আরেক নেতাকে বিয়েও করে বসে । যার বাচ্চা হচ্ছে এই মেয়েটি । সে নেতার সাথে এক সময় ডিভোর্স হয়ে যায়, নেতাও মামলা টামলা এড়াতে বিদেশে চলে যান । তাই উনি সবাইকে বলে বেড়ান তার স্বামী বিদেশে । আসলে তাদের মাঝে কোন সম্পর্ক নাই, সেই লোক নিজের মেয়েরও কোন খোজখবর নেননা ।

তো এই মহিলা ধীরে ধীরে তদবিরের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন । অনেকের সাথে তার পরিচয় হয়ে গিয়েছিল ততদিনে । তিনি সে পরিচয় গুলোকে কাজে লাগিয়ে নানান তদবির নিয়ে কাজ করতেন । বিনিময়ে আর্থিক লেনদেনের পাশাপশি অনেকের সাথে তার সুগভীর রিলেশনও তৈরি হয়ে যায় । এসবই তার পুঁজি । তার নিজস্ব কিছু কর্মীবাহিনীও আছে, যারা বিভিন্ন কাজের জন্য সাহায্যপ্রত্যাশী লোকজনদেরকে তার কাছে নিয়ে আসে আর তিনি তার লিংক ব্যবহার করে সে কাজ উদ্ধার করে দেন । মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী লেভেলেও তার যোগযোগ করার লাইনঘাট আছে, সেটা ব্যবহার করে আম্মা চেয়েছিলেন চাচার চাকরির মেয়াদ শেষে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের একটা ব্যবস্হা করতে । যদিও পারেন নাই, তবে আম্মার একটা জায়গা এই মহিলা গাজীপুরের পুলিশকে দিয়ে উদ্ধার করে দিয়েছেন , এই কারনেই আম্মা সব না দেখার ভান করে থাকেন । মহিলাও সে সুযোগে বিল্ডিং এর পরিবেশ নস্ট করে ফেলেছে ।

হা হা হা , তুমি দেখি বিল্ডিং এর কে কি করে বেড়াই সে খবর ভালই রাখ ।
কি আর করব, আমারতো অন্য কোন কাজ নেই ।
হুমমম তাও কথা , বলতো বাকি কোন ফ্ল্যাটের কি অবস্হা ।

আহা, খুব আগ্রহ বেড়ে গেছে দেখি ।
তাত গেছেই, এখন বাকি কে কেমন সেটাও খুব জানতে ইচ্ছা করছে ।

ঐ মহিলার মতন আরেকটা খারাপ ছেলে থাকে ছয় তালার ফ্ল্যাটে । তিন বন্ধু মিলে থাকে তারা । বাকি দুই জন প্রায়ই অফিসের কাজে ঢাকার বাইরে চলে যায় । এই সুযোগটা সে নেয় । তার প্রেমিকা আছে একটা, খুবই সুন্দরী , ভার্সিটিতে পড়ে, ছাত্রী হোস্টেলে থাকে । দুই বন্ধু যদি না থাকে তখন এই মেয়ে এইখানে এসে রাতে থাকে । ঐ ছেলে নতুন দারোয়ানটাকে ম্যানেজ করে ফেলেছে , মাঝে মাঝে টাকা দেয় । মেয়েটা যে এইখানে এসে থাকে তা কেবল ঐ দারোয়ানই জানে । ছেলেটা হচ্ছে শয়তানের শয়তান । সে মেয়েটার সাথে যা যা করে সবই ভিডিও করে রাখে , মেয়েটাও জানে । পরে সে একা একা এইসব ভিডিও দেখে । আমার কেন জানি মনে হয় এই ছেলে ঐ মেয়েটাকে বিয়ে করবেনা , উল্টা বড় কোন বিপদে ফেলবে ।

হা হা হা তোমার জন্য দেখি এই বিল্ডিং এর কেউ শান্তিমতন কিছুই করতে পারবেনা ।
মানে কি ?
মানে এই যে, কে কার সাথে কি না কি করে সবই ত তুমি দেখে ফেলছ ! তোমার কি দেখতে খুব মজা লাগে নাকি ?
হা হা হা আমার এই ধরনের কোন অনুভূতিই এখন আর নেই । কাজ কর্ম তো আর কিছু নেই, তাই মাঝে মাঝে মানুষদের কাজকর্ম দেখি আর কি !

আবার উল্টাও আছে । চার তালার পশ্চিম পাশের ফ্যামিলিটা হচ্ছে আদর্শ ফ্যামিলির উদাহরন । দুই ভাই তাদের বউ সহ একসাথে থাকে, সাথে তাদের মা । কি যে মিল পুরা পরিবারটার মাঝে, দেখলে আপনারও হিংসে হবে । এই যুগে এমনও সম্ভব । যেমন ভাইদের মাঝে মিল, তেমন বউদের মাঝেও । ওরা যে পরিমান সুখে আছে, সেটা জানলে আম্মার মাথা আরো খারাপ হয়ে যাবে, কয়েক কোটি টাকার বাড়ি, সাথে গাড়ি আর টাকা পয়সা থাকার পরও এর চার ভাগের এক ভাগ সুখও আম্মার নাই । বলতে গেলে কোন সুখই নাই ।

ছেলেটা যে লেখাপড়া শে না করে কি করে বেড়ায় কেউ জানেনা, বললে বলে তার আর পড়তে ভাল লাগতেছেনা, যখন লাগবে তখন লেখাপাড়া আবার শুরু করবে । মেয়েটা পড়ালেখা শেষ করে ভাল পরিচয় থাকার কারনে একটা ব্যাংকে চাকরি পেয়ে গেছে । আপা অনেক ভাল ছিল একসময়, পরে আম্মার পাল্লায় পরে, আম্মার আচার আচরন দেখে দেখে সেও কেমন ছোটলোক হয়ে গেছে । নাক উঁচু হয়ে গেছে, পা মাটিতে পরেনা টাইপ ব্যাপার । তবে সবচেয়ে ভয়ংকর ব্যাপার হল ঐ চিঠিতে লেখা বিষয়টা । আসলেই আম্মার কারনে আপার বিয়ে বারবার ভেঙ্গে যাচ্ছে । এলাকায় খবর নিতে আসলে সবাই আম্মার খারাপ দিক গুলাই মানুষকে জানাইয়া দেয় । মার আচার আচরন ভাল না শুনে আসলে আর কেউ আগায়তে চায়না । এরপরও এমন বাড়ি আছে আর টাকা পয়সা দেখে কেউ আগায়লে সেগুলা আপা দুই একদিন ছেলের সাথে কথাবার্তা বলে বাদ দিয়ে দেয় । আপা সিনেমার নায়কের মতন সুন্দর ছেলে না হলে নাকি বিয়ে করবেনা !

এলাকার লোকজন আসলে হয়ত এত খারাপ বলতোনা, এর পেছনে কারন হল তারা আসলে চাচারে দেখতে পারেনা । চাচা এলাকায় বাড়িমালিক সমিতির সভাপতি, এইকারনে অন্য অনেক বাড়িওয়ালাই তারে দেখতে পারেননা । বেশকিছু চাটুকার আছে ওনার, তারাই একরকম জোর করে ওনারে সভাপতি বানাই দিছে, যুক্তিছিল উনি সরকারি কর্মকর্তা, বিভিন্ন ব্যাপারে উনি ক্ষমতা কাজে লাগাতে পারবেন, সবার উপকার হবে । শুরুতে সবাই মেনে নিলেও পরে দেখা গেল উনি আসলে তেমন কোন কাজেরনা, উল্টা সবার সাথে ওনার একটা না একটা ভেজাল লেগেই যায় , সমাধান করার বদলে ঝামেলা আরো বাড়ে । যেকাজ হয়ত লোকজন ঘুষ দিয়ে করাইয়া ফেলতে পারত, দেখা যায় সে কাজে উনি ঐ অফিসে যাইয়া ঘোষনা দেন তার এলাকার কাজ করে দিতে হবে, কোন ঘুষ তিনি দিবেননা । পরে দেখা গেল যেকাজ পনের দিতে হত সেটা তিন মাসেও হচ্ছেনা । এই নিয়ে কয়েকজনের সাথে উনার ভেজাল হইছিল । ব্যাপারটা আরো খারাপ করে দিছেন আম্মা । তিনি ঐ সব লোকদের নামে অকথা কুকথা ছড়াইছেন উনার স্বভাবমতন , যেটা সবাই যেনে গেছেন । ফলে আম্মারে কেউ এখন দুচোখ দেখতে পারেনা, আম্মা হয়ে গেছেন বাড়িওয়ালাদের আড্ডার আলোচনার বিষয় ।

হাসতে হাসতে শানু জবাব দেয়, তোমার আম্মা যে টাইপ চিড়িয়া মহিলা, উনি আলোচনার টপিক হওয়াটাই স্বাভাবিক । উনার মতন শর্টসার্কিট ওয়ালা মহিলা মনে হয় না এই এলাকায় আর একটাও খুজে পাওয়া যাবে ।

তা ঠিক, আশে পাশে মনে হয়না এমন আর কেউ আছে, শানুর কথায় সায় দেয় অশরীরি ।



মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



এত কষ্ট করছেন, টাইপ করছেন, একজন অশরীরিকে নিয়ে; শরীরি মেয়ের কি অভাব হয়ে গেছে? মাথায় এসব ভাবনা কেন আসে?

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৫

শ।মসীর বলেছেন: হা হা হা :)

শরীরি কাউকে নিয়ে লেখা রিস্কিত !!!
এখনতো আসলে নিয়মিত না, পুরানা ব্লগের আমল হলে শরীরি কাউকে নিয়ে লিখলে সহব্লগাররা খুচিয়ে লাইফ ফানা ফানা করে ফেলত :)

অনেক ধন্যবাদ ।

২| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বাহ
বেশতো, এরকম অশরীরি বন্ধুবী থাকলেতো দেখী সব ঘরের খবর জেনে নেয়া যায় ;)
হা হা হা

দারুন টানটান আগ্রহ জাগিয়ে রেখেছন। একটানেই শেষ করলাম :)

+++

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৬

শ।মসীর বলেছেন: এমন থাকলে আসলেই কত মজা হত :)

৩| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: যখন আমি শুনি কেউ সাগর দেখেনি, আমি খুব অবাক হই।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৭

শ।মসীর বলেছেন: আমার কয়েক জন বন্ধু কেত সাথে করে নিয়ে সাগর দেখালাম তারা যখন জব এ ঢুকেছে তার পর !!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.