নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রমজানে বেশিরভাগ ব্যবসায়ীকে বেপরোয়া হতে দেখা যায়। সবাই গালমন্দ ব্যবসায়ীকেই করেন। আপনি জানেন কি তাতে কোন ব্যবসায়ীই আপনার মুখের দিকেও তাকায় না? বরং মনে মনে একটা চরম গালিই দেয়! আপনি কি বললেন তাতে কারো কিচ্ছু আসে যায় না, জানেন আমি কোন পক্ষে? জ্বী হ্যাঁ আমি ব্যবসায়ী পক্ষে, আপনার মতো মেরুদণ্ডহীন সমালোচকের পক্ষে নই,কারণ আপনি সমালোচনা এবং প্রতিবাদের জায়গা জানেন না, চেনেন না, আপনি জায়গামতো চুপ থাকেন!
পোশাক শ্রমিকদের বেতন বাড়ানো নিয়ে একজন গার্মেন্টস ব্যবসায়ী বললেন। এনবিআর দ্বপ্তরকে বিশেষায়িত করে বিজেএমই তে দেয়া হোক ওয়ান স্টপ সার্ভিস সুবিধা দিয়ে। তাতে যে টাকা বাঁচবে সেই টাকা দিয়ে পোশাক শ্রমিকদের বেতন বাড়ানো হবে। দেশের একজন বিশিষ্ট উদ্যোগক্তা কেন সরকারি আমলাদের কাছে ছোট হবেন? তাদের দাপটের কাছে হারবেন? তাহলে আপনি কল্পনা করেন কি পরিমাণ বেশি টাকা একজন গার্মেন্টস ব্যবসায়ীকে গুণতে হয়?
এবার আসি পঞ্চগড় থেকে যেকোন একটা পণ্য আনতে রমজানি ব্যয়। উঠানো ২টাকা, ট্রেড ইউনিয়ন ৩টা, যমুনা সেতু হয়ে ১৪ জায়গায় ৩০০/২০০ করে ৩৬০০ টাকা, বিশেষ পুলিশী চাঁদা গাবতলী২০০, বগুড়া২০০, বাইপাইল২০০, রাতের অপেক্ষায় গাড়ি দাঁড়ানো ২০০ টাকা, খালাসের অপেক্ষায় ২০০,যমুনার সেতুর ট্যাক্স ৫০০, মাল ক্ষুয়া যাওয়া ১ টাকা, আড়ৎদারী পাল্লা প্রতি ১০ টাকা গেলে কেজি প্রতি ২ টাকা। তাইলে উঠানো+নামানো=৩টাকা+ট্রেড ইউনিয়ন ৩ টাকা+ রাস্তায় খরচ ৩+ মাল ক্ষুয়া যাওয়া ১ টাকা+ আড়ৎদারি ২টাকা+ খুচরা দোকানি ট্যাক্স ১+ পরিবহন ১ টাকা+ ভিটি খরচ ১+ চাঁদা ১ টাকা= ১৬ টাকা খরচের পর মালের খরচ, খুচরা বিক্রেতার লাভ। ধরেন ১ কেজি মূলা আসে ২ টাকায় + ১৬ + খুচরা বিক্রেতার লাভ +১২ = ৩০ টাকা।
তাহলে যেকোন ২ টাকার জিনিস ঢাকায় আসতে আপনার ১৬ টাকা থেকে ২০ টাকা নাই।
আপনি দোষ ধরেন ব্যবসায়ীর। আপনি কত কিউট চিন্তা করেছেন?
কাউকে দেখি না এ জায়গাগুলোকে চ্যালেঞ্জ করতে। একজন সবজি ও কাঁচা মাল বিক্রেতাকে কি পরিমাণ অসম্মান ও হেনস্থার শিকার হতে হয় আপনি জানেন? কখনো ইচ্ছে হয়েছে যে কাওরান বাজারে একটা রাত কাটাই। বাস্তবে সেখানে কি হয়? একটা দেশের সাপ্লাই চেইনে আচরণ এবং সাধুতা কেমন? মনে হয়েছে আপনার?
আসেন একজন মিথ্যােবাদী প্রধানমন্ত্রীর সাপোর্টার শ্রেণী দাঁড় করিয়ে রাখতে সরাসরি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছত্রছায়ায় কারা কারা কাঁচা বাজার গুলো ধরে আছে বিভিন্ন টাকা ক্ষুওয়ানো সাইটগুলো। আপনি গেলে দেখবেন চকচকে তকতকে ব্যাক্তিটিও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর সম্মেলনের দেয়া জীর্ণ শীর্ণ এক যুগ আগের গেঞ্জি পড়া ব্যাক্তিগুলো আড়ৎদার, কর্মী, কামলা, মিন্তি, গাড়িয়াল। কোথাও আপনি কথা বলবেন? আপনার মতো ভদ্রলোকের জমা টেনে খুলে ফেলবে এক মুহুর্তেই।
তাদের সুরক্ষায় নিয়োজিত আছে মন্ত্রী নিয়োজিত দারুণ সব হিরোইন, বাবা খাওয়া ক্যাডার বাহিনী। প্রকাশ্যে দিবালোকে চলে এগুলো, অর্ধশতাধিক মিডিয়া আছে কাওয়ান বাজার কেন্দ্রীক, তাতে কারো কিচ্ছু আসে যায় না। গত দেড়যুগে এগুলোই সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। জ্বী! আপনার নিরবতার অন্তরালে। একজন লোক বিএনপি-র মিছিলে শুধু যাওয়ার প্রমাণ পাবে পরেরদিন কাওরানবাজারে ব্যবসা করার লাল বাতি জ্বলে উঠবে। কেউ তাকে সুরক্ষা দিতে পারবে না।
তারপরও যে যে বিএনপি মতাদর্শের লোক টিকে আছে অবস্থা খুবই নাজুক।
তাহলে কি এখানে জামাত নেই? না নেই তেমন। জামাতী এ্যাক্টিভিস্ট এ রকম ছোট ব্যবসায়ী, ক্ষুদ্র উদ্যোগক্তায় নেই, কিছু কিছু সমর্থক আছে তবে সরাসরি তেমন জামাত বা লাঙ্গল বা অন্য দল নেই।
আমার কথাগুলো যতটা না সরকার বিরোধী তার চেয়েও বড় হলো ব্যবসা সাধারণের করা কতটা সংকুচিত শুধু ধারণাটা নেন। এবং সিন্ডিকেট কি মারাত্মক বিষয় হয়েছে গত দেড়যুগে শুধু কল্পনা করেন। একজন ব্যাক্তি দাম কমিয়ে ন্যায্য দামে বিক্রি করুক, তাকে হত্যাও করতে পারে। একজন ব্যাক্তিকে ন্যায্যমূল্যে বিক্রির কারণে কি পরিমাণ মার মেরেছিলো আমার চোখে এখনো ভাসছে। ভদ্রলোকের ভদ্রলোকি বের করে দিয়েছিলো। এগুলো আপনি অনুসন্ধানী সাংবাদিক দিয়েও বের করতে পারবেন না দুই/ এক মাসে।
আর সাংবাদিক তো ব্যস্ত বিরোধী মতের চরিত্র হননে।
আপনি তুতিয়া ভদ্রলোক আছেন দলবাজীতে। আমার কমেন্টে এখনো যে ব্যাক্তিটি দলবাজি করে কমেন্ট করতে আসে তাকে আমি খুবই নীচুমানের চিন্তাশীল মানুষ মনে করি। শুধু সাপ্লাই চেইনেই বোঝা যায় দেশটা কত খারাপ সিন্ডিকেটের খপ্পরে। এখন প্রতিটি দেশপ্রেমিক মানুষের প্রকৃতই সাহায্যের হাত বাড়ানো উচিত যেন বিএনপি-টা বাঁচে। তাতে দেশের ও দশের লাভ আছে। তাতে আপনার ঘর-বাড়ি ভাঙ্গলেও। এখনো হয়তো কিছু সুযোগ আছে, পরবর্তীতে এটিও থাকবে না। এখনই বহু সংকুচিত হয়ে আসছে একটি মানবিক বাংলাদেশ উত্তরণের।
আপনি যদি মনে করেন আপনার প্রগতি গেল বা যাবে? তাহলে আপনি আপনার প্রগতি ধুইয়ে ধুইয়ে পানি খান। মন্দের ভালো বেছে নিতে হবে আপনাকে। যদি মনে করেন আরো ভালো কেউ আসবে? তাহলে অপেক্ষা করেন ফেরেস্তা আসবে।
একজন টু-লেটের সাবলেট দিছে,
একজন সৎ, মেধাবী, ভালো, নামাজী, অধূমপায়ী, শিক্ষিত, মার্জিত, ভদ্র, নম্র, সহযোগিতার মানসিকতার, অবিবাহিত, চরিত্রবান রুমমেট চাই।
নিচে একজন লিখে দিয়ে আসছে ---
মানুষ পাবি না, ফেরেস্তা খোঁজ।
সবকিছুকে একটা পর্যায়ে আনতে হলেও প্রতিষ্ঠিত দুষ্ট প্লাটফর্মটা উলটপালট করে দেয়া দরকার। যদি আপনি এ সত্যতে বিশ্বাস না করেন, অপেক্ষা করেন ফেরেস্তা আসবে।
আপনার অপেক্ষা শেষ হবে না, প্রতিটি সেক্টর একই অবস্থা।
২| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৩৪
কামাল১৮ বলেছেন: দুঃখিত।আমি ভেবে ছিলাম আপনি আমাকে ব্লক করে রেখেছেন।বাংলা দেশের পতাকার নিকে অন্য একজন আমাকে ব্লক করে রেখেছে।
২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৪৬
আরেফিন৩৩৬ বলেছেন: আমি কাউকে ব্লগ করার নিয়ত নিয়ে লিখি না। যদি কেউ ব্লক খাওয়ার যোগ্যও হয়।
৩| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০৯
রাসেল বলেছেন: ধন্যবাদ, আমাদের দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা নিয়ে লেখার জন্য। তবে আমি মনে করি, যে রাজনৈতিক দলই সরকার গঠন করুক না কেন এই সমস্যা (দুর্নীতি, চাদাবাজি) চলতেই থাকবে। কারণ সঠিক নীতি, শিক্ষা, বিচার ব্যবস্থার অভাব। আমি আরও একটি সমস্যা যোগ করতে চাই। এই ব্লগের কিছু স্ব-ঘোষিত বুদ্ধিজীবী (!) খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে, তারা আপনার বলা সমস্যাকে গুরুত্ব দিচ্ছে না, ঐ দুষ্ট লোকগুলো সারা দেশেই আছে।। গুরুত্ব না দেওয়ার কারণ অবশ্যই ব্যক্তিগত লাভ অর্জন।প্রকৃত সমস্যা থেকে মনোযোগ সরাতে তারা একে অপরকে দোষারোপ করে ধর্মীয় সংঘাত বাড়াতে আগ্রহী। কিন্তু তারা সমাধানে আগ্রহী নয়।
২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:০৭
আরেফিন৩৩৬ বলেছেন: জানি না আপনার বয়স কত। আপনি কি বিএনপি সময়ের শিক্ষা ব্যবস্থার কথা স্মরণ করতে পারেন?শিক্ষায় একটি জাতীয় বিপ্লব হয়েছিলো। পরিবর্তন একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া, সেই প্রক্রিয়াটি শুরুর প্রথম এবং প্রধান ধাপ হলো এই স্বৈরাচার ব্যবস্থার পরিবর্তন। তারপর থেকে নতুন প্রক্রিয়া শুরু হবে। রাজনৈতিক দল কারো পরিবর্তন করে দেয় না, শুধু প্রক্রিয়াটা শুরু করে দেয়।
আমাকে আপনাকে তাদের চোরাবালিতে পড়া যাবে না যারা ধর্মীয় সংঘাত চায়, আমাদের একটি টেকসই বাংলাদেশ গঠনের শপথ নিতে হবে।
৪| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৪
নতুন বলেছেন: আমরা জাতীগত ভাবে ভন্ডামী রোগে আক্রান্ত।
আমাদের দুরপাল্লার ট্রাক ছিলো। দেশে প্রায় প্রতিটা জেলার ট্রাফিক এবং শ্রমিক পরিহবনের চান্দা ঠিক মতন দিলে ফিটসেন এবং কাগজপত্রা ছাড়াও ট্রাক চালানো যায়।
পরিহন খাতে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা চান্দা লেনদেন হয়। দিনের শেষে এই সব টাকার বোঝা ভোক্তাদের পন্যের দামের উপরেই চড়াও হয়।
২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১২
আরেফিন৩৩৬ বলেছেন: সব দায় জনগণের উপর যায়। করোনায় দেখা গেলো এত এত ট্রেড ইউনিয়ন ও শ্রমিক কল্যাণের সকল টাকা হওয়া।
৫| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:০৯
আরেফিন৩৩৬ বলেছেন: একদম। করোনায় দেখা গেলো এত এত শ্রমিক কল্যাণের শাঁদা হওয়া। পরিবহন শ্রমিক না খেয়ে মরে।
৬| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৫
ঢাবিয়ান বলেছেন: বিএনপি নিজেকে বাচাঁনোর চেষ্টা কোনদিন করেছে বলে চোখে পড়েনি। আপনার পোস্টে যে কথাগুলো আপনি বলেছেন তা যদি বিএনপি নেতারা জোড় গলায় বলে মানুষকে এক্ত্রিত করতে চাইতো তাহলে তা অনায়াসেই পারতো। কিন্তু তাদের সেই চেষ্টা কখনও চোখেই পড়ে নাই। জনগনের দাবী দাওয়া নিয়ে তাদের কখনই কথা বলতে শোনা যায়নি। নেত্রীর বিদেশে চিকিৎসা ও যেনতেন ভাবে ক্ষমতায় যাওয়ার অসীম লিপ্সা ছাড়া তাদের আর কোন এজেন্ডা আছে বলে কোণদিন মনে হয়নি। দেশের অগন্তান্ত্রিকতার দায় তাই অনেকটাই তাদের।
২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩১
আরেফিন৩৩৬ বলেছেন: দায় কেন শুধু বিএনপিকেই নিতে হবে?
৭| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৬
ফিনিক্স পাখির জীবন বলেছেন: সব দায় আমাদের। আমরা অন্যায়ের প্রতিবাদ করিনা। চুপ করে বসে থাকতে থাকতে গনতন্ত্র মরে গেল। এরপর একে একে সততা, আমানতদারী, মায়া-মমতা, স্নেহ-ভালোবাসা, শ্রদ্ধা, ন্যায়বিচার, শিক্ষা-দীক্ষা এরা সবাই মরে ভূত হয়ে গেল।
এখন সময় চাটুকারিতা, অসততা, অন্যায়, লোভ-লালসা, ঘুষ, দূর্নীতি, স্বৈরাচার ইত্যাদির।
আমাদের অনেকেও ইতিমধ্যে মরে গেছে।
২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১২:৫৩
আরেফিন৩৩৬ বলেছেন: দায় আমাদেরই
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৩০
কামাল১৮ বলেছেন: টেষ্ট।