![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সমকাল,সমাজ ও রাজনীতি মানুষের জীবনকে নানাভাবে প্রভাবিত করে। নিত্যদিনে নিত্যনতুন প্রতিবেশ ও পরিবেশ থেকে যে শিক্ষা গ্রহন করি তা দিয়ে চলমানতার উপযোগী করে তুলি। সমকাল যাপন করি সমাজ কে দেখি আর রাজনীতি কে উপভোগ করি __
জিয়াউর রহমান বীর উওম হত্যাকাণ্ডের পরবর্তী সময়ে তাঁর জানাজায় লাখ লাখ মানুষের উপস্থিতি ওনার প্রতি জাতির অকৃত্রিম ভালোবাসার প্রমাণ। তখন জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগ-মুসলিম লীগ-জাসদ-ন্যাপ (মোজাফফর), রাশেদ খান মেনন, মো. তোয়াহা-সুরঞ্জিত সেনগুপ্তরা বিএনপির সঙ্গে মিলে সর্বসম্মত শোক প্রস্তাব গ্রহণ করেছিলেন। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছিলেন, ‘৩০ মে থেকে ৩ জুন পর্যন্ত যে লাখ লাখ জনতা শুধু ঢাকা নগরীতেই নয়, গোটা দেশে তাদের অনুভূতির মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন জিয়া বাংলাদেশের মানুষের কত কাছাকাছি এবং প্রাণপ্রিয় ছিলেন। এটুকু বলতে যদি কেউ কুণ্ঠাবোধ করেন, তবে সেটা তার মানসিক দৈন্য। গায়েবানা জানাজা এবং জানাজায় লাখ লাখ প্রাণের পরশ এসেছিল জিয়ার সততার প্রতি অভিনন্দন ও শ্রদ্ধা জানাতে।’
আজকে অনেক দলকানা জিয়াউর রহমান বীর উওম কে অবজ্ঞা করেন। কিন্তু পুরো বিশ্ব তখন শোকে মুহ্যমান এবং জিয়াউর রহমানের প্রশংসায় মুখর ছিল। বাংলাদেশে নিযুক্ত সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম বি মাইলামের মতে, ‘এটা কল্পনা করাও কঠিন যে জিয়া যদি ১৯৮১-এর বদলে ১৯৭৫-এ নিহত হতেন, তাহলে বাংলাদেশ খুব সহজেই আফগানিস্তান বা লাইবেরিয়ার মতো হতে পারত, জিয়া সেই পরিণতি থেকে দেশকে বাঁচিয়েছেন।’
লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকস অ্যান্ড পলিটিক্যাল সায়েন্সের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ মাহমুদ আলীর মতে, ‘স্বাধীনতা বাংলাদেশকে যে ভিতের ওপর দাঁড় করিয়েছে, অস্থিরতা সত্ত্বেও জিয়ার শাসন আমল এই রাষ্ট্রকে তার চেয়ে বেশি মজবুত ভিতের ওপর দাঁড় করিয়ে দিয়ে গেছে। আর শহীদ জিয়া বীর-উত্তম তাঁর প্রতিষ্ঠিত বিএনপির দলীয় সংগীত হিসেবে যে গানটি গ্রহণ করেছিলেন কাকতালীয়ভাবে তাঁর নিজের বেলায় একাকার হয়ে গেল। ‘প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ—জীবন বাংলাদেশ আমার মরণ বাংলাদেশ’-এর মতো জনগণের জিয়ার প্রথম পরিচয় চট্টগ্রাম বেতারে স্বাধীনতার ঘোষণায়, আবার জনতার জিয়ার শারীরিক সমাপ্তিও সেই বাংলাদেশের চট্টগ্রামের মাটিতে। তাইতো বলা হয়, সারা বাংলার ধানের শীষে—জিয়া তুমি আছ মিশে।
©somewhere in net ltd.