![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সমকাল,সমাজ ও রাজনীতি মানুষের জীবনকে নানাভাবে প্রভাবিত করে। নিত্যদিনে নিত্যনতুন প্রতিবেশ ও পরিবেশ থেকে যে শিক্ষা গ্রহন করি তা দিয়ে চলমানতার উপযোগী করে তুলি। সমকাল যাপন করি সমাজ কে দেখি আর রাজনীতি কে উপভোগ করি __
সবচেয়ে বড় বিতর্ক হচ্ছে—- তত্বাবধায়ক সরকার। ত্ত্বববধায়ক সরকার অ নির্বাচিত ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত হওয়ায় তা সংবিধান এর মৌলিক চেতনা গনতান্ত্রিক কাঠামো বিরোধী, রায়ের নির্দেশ থাকার কারনে। অথচ জাতির ঘাড়ে আওয়ামীলীগ সরকার যে অ-নির্বাচিত জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের চাপিয়ে দিলো,যে পৌর প্রশাসকদের নিয়োগ দিলো,প্রধানমন্ত্রী উপদেষ্টাগের শপথ বিহীন মন্ত্রী পদ মর্যাদা দিলো কিংবা ঢাকা সিটি কর্পোরেশন বিভক্ত করে অনির্বাচিত প্রশাসকদের চড়িয়ে দিলো। সে ব্যাপারে আদালতের প্রতিক্রিয়া অত্যন্ত বরফ শীতল।
এক্ষেএে ১৯৯৫-৯৬ সালে সারা দেশে জ্বালাও পোড়াও মানুষ মারার সহিংস আন্দোলনকারীদের (আ.লীগ) তত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা দাবীতে যে বহুল কথিত বক্তব্যটি হচ্ছে “ সংবিধান জনগনের জন্য,জনগনের প্রয়োজনে সংবিধান,সংবিধানের জন্য জনগন নয়” এই যৌক্তিকতা আওয়ামীলীগ কোন কম্বলের নীচে চাপা দিলেন ?
আমাদের মনে রাখতে হবে তত্বাবধায়ক সরকার শুধুমাএ একটি আইনী প্রক্রিয়া নয়। এটি একটি সামাজিক রাজনৈতিক চুক্তিও বটে।শুধু আইন দিয়ে এটি ভাঙ্গা বা পরিবর্তন করা যাবে না।
বাংলাদেশে এখন যে নির্বাচনের প্রয়োজন তা নির্বাচন কমিশন দিয়ে সম্ভব নয়।নির্বাচন কমিশন শতভাগ আন্তরিক হলে হয়তো শেখ হাসিনা সরকার এক সময় বহুল আলোচিত “সূক্ষ্ম কারচুপি “ ঠেকানো সম্ভব কিন্তু কথিত কারচুপি ঠেকানো সম্ভব নয়। তাই অনিবার্য বাস্তবতা হলো নির্বাচনকালীন তত্বাবধায়ক সরকার
আরেকটি বিষয় অত্যন্ত তাত্পর্যপূর্ণ যে বাংলাদেশে বাকশাল প্রবর্তনে কুখ্যাত ৪র্থ সংশোধনী পাশ হয়েছিলো ২৫ জানুয়ারী ১৯৭৫ এ। আবার ৫ম সংশোধনী পাশ হয়েছিলো ২৫ জানুয়ারী বর্তমান সংসদের প্রথম অধিবেশন বসেছিলো ২৫ জানুয়ারী ২০০৯। গনতন্ত্র হত্যা করে বাকশাল পাশ হয়েছিলো ৪র্থ সংশোধনীতে ভোট পড়েছিল ২২৯ ভোট । আবার তত্ববধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল ৫ম সংশোধনীর পক্ষে ভোট পড়েছে ২২৯।
নির্লজ্জ ভাষায় ধারাবাহিক অশ্লীলতার উপাদান দিয়ে লিখিত “লজ্জা” উপন্যাস এর বিতর্কিত লেখিকা যদি অজান্তে ছোট একটা ভুলের জন্য নেপালের মতো পরদেশের কাছে নিজের কৃতকর্মের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাইতে পারে — তাহলে স্বদেশবাশীর কাছে ভুল স্বীকার করে জাতীয় নির্বাচনে তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুন:প্রবর্তনে আওয়ামীলীগ কেন লজ্জা পাবে ? তারাতো বাংলাদেশের প্রাচীনতম দল। প্রকৃতির নিয়মে তো বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথেই বাড়ে শুভ বুদ্ধির পরিধি। দেশ বাসী অপেক্ষায় থাকলাম সেই শুভবুদ্ধি উদয় হোক ।
কুপি বাতির গনতন্ত্র
©somewhere in net ltd.