নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জ্ঞান দুনিয়া দুর্বল ছাএ।

সাহনিয়াজ

সমকাল,সমাজ ও রাজনীতি মানুষের জীবনকে নানাভাবে প্রভাবিত করে। নিত্যদিনে নিত্যনতুন প্রতিবেশ ও পরিবেশ থেকে যে শিক্ষা গ্রহন করি তা দিয়ে চলমানতার উপযোগী করে তুলি। সমকাল যাপন করি সমাজ কে দেখি আর রাজনীতি কে উপভোগ করি __

সাহনিয়াজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মিডিয়া কেন বিএনপি কে ট্রায়াল করে

২২ শে মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩৭

বাংলাদেশের রাজনীতি কংগ্রেস ও মুসলিম লীগের পারিবারিক বলয় থেকে বেরিয়ে আসে মাওলানা ভাসানীর হাত ধরে। মুসলিম লীগ তথা আ.লীগের মানুষেরা রাজনৈতিক নেতৃত্বের স্বাদ পায়। কিন্তু তাদের আদর্শিক জ্ঞান চর্চা বালাই ছিলো না।ব‍্যতিক্রম ছিলো কমিউনিস্ট পার্টি।তারা শিক্ষিত সচেতন মানুষ একএিত করে। স্বাধীনতার পরে ন‍্যাপ ও জাসদ এই ধারায় সঙ্গী হয়। শিল্প - শিল্পকলা-সাহিত‍্য - সাংবাদিকতা ক্ষেএে বামপন্থী নেতা-কর্মীরা নেতৃত্ব দিতে থাকেন।

৯০ দশকে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে পড়লে বাম দলগুলো হতাশ ও এতিম হয়ে পরে । পরে তারা আপন রাজনৈতিক আদর্শ বিলীন করে নিজের ব‍্যক্তিত্বের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে আওয়ামীলীগের ভাবধারায় মিলে।

খোঁজ নিলে দেখা যাবে—— (১) দেশের চৌদ্দ আনা সংবাদপএের সম্পাদক,বার্তা সম্পাদক এ শ্রেনীর বামজাত আ.লীগ বা আ.লীগের সমর্থক। এর ফলে অধিকাংশ বাংলাদেশর গনমাধ্যম প্রকাশ্যে ও প্রচ্ছন্নভাবে আ.লীগ সমর্থক ও বিএনপি বিরোধী।

(২) আওয়ামী লীগ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান প্রবর্তিত বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ দর্শন ও তার রাজনৈতিক দল বিএনপি সহ নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার ও মিডিয়া প্রপাগান্ডা চালিয়ে যাচ্ছে। কারন আওয়ামীলীগ পরদেশী (ইন্ডিয়া) রাজনৈতিক আনুগত্যের ঠিকানাকে পরিবর্তন করে বাঙালি জাতীয়তাবাদ কে বাদ দিয়ে গনতান্ত্রিক মনমানসিকতা ও বিধিব‍্যবস্থার প্রতি রাজনৈতিক বিশ্বাস স্থাপন করে বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে আওয়ামী লীগ রাজনীতি কে পরিচালনা করতে মানসিকভাবে প্রস্তুত নয় এবং দেশের স্বার্থে কোন বিকল্প রাজনীতি তৈরী করতে পারেনি। এ কারনে আওয়ামী লীগ অব‍্যহাত মিডিয়া প্রপাগান্ডা চালায় বিএনপি কে প্রতিহত করতে ।

“হাউয়া ভবন” মিডিয়ার টার্গেট হওয়ার পেছনে কারন হাওয়া ভবন ২০০১ সালে নির্বাচনে বিপুল ভূমিকা ও সফলতা ।১/১১ সময় প্রিয় নেতা তারেক রহমানের নামে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ আনলে আ.লীগ পন্থী গনমাধ্যম কর্মীরা উল্লাস হয়ে উঠে,শেখ হাসিনার চাদাবাজি মামলা সামনে এলে চুপসে যায়। সে সময় শেখ হাসিনার অসুস্থত ইস্যু গুরুত্ব যতটা পেয়েছিলো । তারেক রহমান - আরাফাত রহমান কোকো ততটা অবহেলা পেয়েছিলো।

আওয়ামী লীগ ও সরকারের দেশের স্বার্থ বিরোধী আধিপত্যবাদী ভূমিকা পর্যবেক্ষণ কবি আবুল হাসানের ১৯৭৪ সালে রচিত একটি কবিতার কয়েকটি লাইন——
“আমার মৃত‍্যুর আগে সব বলে যেতে চাই
সুধীবৃন্দ ক্ষান্ত হোন,গোলাপ ফুলের মতো শান্ত হোন
কী লাভ যুদ্ধ করে ? শত্রুতায় কী লাভ বলুন
আধিপত্য এতো লোভ ?
পএিকাতো কেবলি আপনাদের ক্ষয়ক্ষতি,ধ্বংস
আর বিনাশের সংবাদে ভরপুর “ ।


পরিশেষ দেশের অগনিত বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ তরুন যুবক সমাজ যারা তারেক রহমান কে অভ‍্যর্থনা দিতে অধীর আগ্রহী তাদের উদ্দেশ্যে— রেনেসাঁর কবি ফররুখ আহমদ কবিতার দুটি লাইন —-
“শুনছি আবার নোনা দরিয়ায় ডাক
নতুন পানিতে সফর হে মাঝি জিন্দাবাদ “ ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.