নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জ্ঞান দুনিয়া দুর্বল ছাএ।

সাহনিয়াজ

সমকাল,সমাজ ও রাজনীতি মানুষের জীবনকে নানাভাবে প্রভাবিত করে। নিত্যদিনে নিত্যনতুন প্রতিবেশ ও পরিবেশ থেকে যে শিক্ষা গ্রহন করি তা দিয়ে চলমানতার উপযোগী করে তুলি। সমকাল যাপন করি সমাজ কে দেখি আর রাজনীতি কে উপভোগ করি __

সাহনিয়াজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বনির্ভর বাংলাদেশ ও রাষ্ট্র নায়ক জিয়া——

০৬ ই জুন, ২০২৫ ভোর ৬:৫৯



স্বাধীন বাংলাদেশের সৃষ্টিতে রাজনৈতিক এবং যোদ্ধা নেতৃত্বের পাশাপাশি জিয়াউর রহমান বীর উওম একটি অবিচ্ছেদ্য নাম। তিনি স্বাধীন সার্বভৌমত্ব আত্মমর্যাদাশীল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতেন।জিয়াউর রহমান বীর উওম স্বপ্ন দেখিয়ে বিভোর থাকেননি, তিনি স্বপ্ন কে বাস্তব রুপ দিয়ে দেখাতেন। সেজন্য যথাযথ কার্যকরী প্রদক্ষেপ গ্রহন করেন। ১৯৭৭ সালে ২২ মে আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে ঘোষনা করেন “১৯ দফা”। তার উন্নয়নের কালজয়ী দর্শন ও মূলমন্ত্র ।

অন্ন,বস্ত্র,শিক্ষা ,বাসস্থান ও স্বাস্থ্য খাতে মানুষ কে স্বাবলম্বী করে শোষন মুক্ত সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে বুনিয়াদি কর্মসূচী ডাক দেল “ স্বনির্ভর আন্দোলন”।চারন কবির মতো হেঁটে বেড়িয়েছেন শত শত গ্রাম বাংলার পথ প্রান্তর মাইলের পর মাইল,মানুষের কথা শুনেছেন,কৃষকের সুখে ও দুখের বর্ননা শুনেছেন।গৃহস্থকে ,মহিলাদের উঠানোর পাশে গাছ লাগানো,হাঁস মুরগী গবাদীপশুর পালন করা,পুকুরে ও জলাশয়ে মাছ চাষ করে নিজেদের স্ব নির্ভরতা পরামর্শ দিতেন। তিনি বিশ্বাস করতেন গ্রামের উন্নয়ন ছাড়া টেকসই উন্নয়ন সম্ভব না। কৃষি উত্পাদনে উন্নয়নের মুল সমস্যা হিসেবে তিনি চিহ্নিত করেন শুকনো মৌসুমে পানির অভাব বর্ষা মৌসুমে বন্যা নিয়ন্ত্রন ।শুরু করেন খাল খনন।অর্থনীতির প্রানকেন্দ্র হাট বাজার উন্নয়নকল্পে বিভাগীয় উন্নয়ন বোর্ডগুলো মাধ্যমে জিয়াউর রহমান ৫সালা পরিকল্পনা গ্রহন করেন।কৃষকের সারের বন্টন ,কৃষি ব্যবস্থা সহজতর করার জন্য তিনি বানিজ্যক ব্যাংকগুলো কে কিছু নতুন উদ্বেগ নিতে উদ্বুদ্ধ করেন।জাতীয় অর্থনীতিতে পাটের গুরুত্ব অনুধাবন করে গবেষনার ক্ষেএে অগ্রাধিকার পায়।বেসরকারি খাতে পাট রপ্তানি দেয়া উল্লেখযোগ্য পরিমান পাট রপ্তানি হয়।১৯৭৭ সালে এই দেশে প্রতিটা ইউনিয়নে একটি গ্রাম স্বনির্ভর করার কর্মসূচী গৃহীত হয়।

গ্রামীন অর্থনীতি অবকাঠামো অপরিহার্য বিদুৎ পল্লী বিদুৎতায়ন বোর্ড তার অমর সৃষ্টি । পার্বত্য চট্রগ্রাম হাওর এলাকা উপকূলীয় অন্চলে দ্রুত উন্নয়নের আরোও তিনিটা বিশেষ বোর্ড গঠন করেন।শহীদ জিয়ার পল্লী উন্নয়ন বোর্ড কার্যক্রম এখনো মডেল হিসেব আফ্রিকাসহ অনেক দেশে চলমান।

তিনি চিকিৎসার ক্ষেএে ২৭৫০০ পল্লী চিকিৎসক নিয়োগ করে গ্রামীন জনগনের চিকিৎসার সুযোগ করেন দেন।।

ইউনিয়ন পর্যায় থেকে আরোও তৃনমূলে নিয়ে যেতে গঠন করেন গ্রাম সরকার।প্রশাসন বিকেন্দ্রীকরনে নিম্নতম পর্যায়ে জনগনের প্রতিনিধি প্রশাসন ও উন্নয়ন সুবিধা ছড়িয়ে দিতে গঠন করেন গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী বা ভিডিপি আনুমানিক ৬৫ হাজার গ্রাম সরকার গঠিত হয় ডিসেম্বর ১৯৮০ সালের দিকে। ইউনিয়ন পর্যায়ে জনগন কে স্থানীয় প্রশাসন ব্যবস্থা ও উন্নয়নের কর্ম কান্ডে সম্পৃক্ত করেন এবং তৃনমূল পর্যায় থেকে দেশ গড়ার কাজে নেতৃত্ব সৃষ্টির লক্ষ্যে স্বনির্ভর গ্রাম সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন।

দেশে উৎপাদন ও সমৃদ্ধি আনায়নে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের লক্ষে হাজার হাজার মাইল রাস্তাঘাট নির্মান করেন।বাংলাদেশ নদী মাতৃক দেশ হওয়াতে তিনি নদী গবেষনা ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি প্রথম সরকারি সহায়তা ট্রলার কিনে সমুদ্রে মাছ ধরা ও তা বিদেশে রপ্তানি করার ব্যবস্থা করেন।ফলে বৈদেশিক মুদ্রা আয় ও কর্মসংস্থানে ক্ষেএ তৈরী হয়।

তিনি প্রথম গ্রামীন ও শহরে নিম্ন আয়ের ও নি:স্ব মানুষের জন্য বিনা জামানতে সরকারি ঋন প্রাপ্তির ব্যবস্থা করেন।দেশে উৎপাদন ও উন্নয়নে তিনি তাঁত ও ক্ষুদ্র কুটির শিল্প উন্নয়নে ভূমিকা রাখেন। দেশের উন্নয়নে যেন যুবকরা প্রশিক্ষন কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে সে জন্য যুব কমপ্লেক্স গঠন করে এবং যুব মন্ত্রনালয় গঠন করেন।

প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উওম এর দূরদৃষ্টি সুদূরপ্রসারী ও আত্মনিবেদনের জন্য বলা হয় আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি ।স্বাধীনতার যুদ্ধের “WEREVOLT” এবং কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে আনুষ্ঠানিক প্রথম ঘোষণার ধারাবাহিকতায় সেনাবাহিনী প্রথম প্রতিষ্ঠানিক রুপ “জেড ফোর্স” ।জেট ফোর্স,সেক্টর কমান্ডার ও স্বাধীনতা যুদ্ধে সাহসী বীরের অবদানের জন্য “বীর উওম” খেতাবে ভূষিত হন।

স্বাধীনতাযুদ্ধে বিপর্যস্ত দেশ ও ৭২-৭৫ সাল পর্যন্ত আওয়ামীলীগের দু:শাসনে ভেঙ্গে পড়া দেশকে পুনগঠনে পদক্ষেপ নিয়ে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীরউওম সক্ষম হয়েছিলেন তলাবিহীন ঝুড়ির বদনাম থেকে দেশকে বের করে আনতে। দেশের উন্নয়নে এমন কোন সেক্টর নেই যেখানে প্রেসিডেন্ট জিয়ার উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি।



পৃথিবীতে বহু রাষ্ট্রপতি আসে যায়,সরকার প্রধান আসে যায় কিন্তু রাষ্ট্র নায়ক যুগে যুগে আসে না। জিয়াউর রহমান ছিলেন রাষ্ট্র নায়ক(Head of the stateman)।



বাংলাদেশের রাজনীতির ভবিষ্যৎ গতিরেখা চিনতে হলে জিয়াউর রহমানের রাজনীতিতে উত্থানকে পাঠ করতে হবে। বাংলাদেশের রাজনীতির গতি প্রকৃতির দিকে লক্ষ্য করলেই দেখতে পাই, যে যে ক্ষেত্রে শেখ মুজিবুর রহমান ব্যর্থ হয়েছেন ওই সব ক্ষেত্রেই জিয়াউর রহমানের সাফল্য আকাশচুম্বী।



৭৫ এর ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোকাবহ ঘটনার পর জিয়াউর রহমান বীর উওম হাল ধরেন। দেশ ও সমাজে স্থিতিশীল ফিরে আসে ।মুদ্রাস্ফীতি কমে আসে।বিএনপিও দারানোর মতো উর্বর জমি পেয়ে যায়।



বাংলাদেশের ইতিহাসে মধ্যে আগষ্টের বেদনা দায়ক ঘটনাবলির মাধ্যমে সামরিকতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীরউওম সামরিকতন্ত্র থেকে গনতন্ত্র চালু করেন এবং বাকশালের কফিন থেকে মৃত আওয়ামীলীগ কে পুনরায় জীবিত করেন ও রাজনীতি করার সুযোগ দেন।


জিয়াউর রহমান ও তাঁর হাতে গড়া দল বিএনপি এখন দেশের নাম্বার ওয়ান আকাশচুম্বী জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল জনগনের কাছে।বীর উওম জিয়া সার্বভৌমত্ব রক্ষা অপরিহার্য মনে করতেন গনতন্ত্র কে। বিএনপি কে যারা নেতৃত্ব দিবেন তারাই গনতন্ত্রের অন্যতম ধারক বাহক হবেন।


বাঙালি জাতিয়তাবাদের কারণে বঙ্গবন্ধুর সময় থেকেই পার্বত্য চট্টগ্রামে বিচ্ছিন্নাতাবাদ শুরু হয়। ভারতের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় পাকিদের এক সময়কার সহযোগি চাকমারা সশস্র আন্দোলন শুরু করে। সেটি মোকাবেলায় এবং বৃহত্তর ঐক্যের জন্যই শহীদ জিয়া, বাংলাদেশি জাতিয়তাবাদি রাজনীতি প্রবর্তন করেন।

শহর -নগর অবকাঠামো’য় জিয়ার অবদান: কেন্দ্র থেকে প্রশাসনের দেয়া নাগরিক সেবা দেশব্যাপি ছড়িয়ে দিতে জিয়াউর রহমান মন্ত্রীসভা বৈঠকগুলো অঞ্চল ভিওিতে অনুষ্ঠিত করার পদক্ষেপ নেন।এসব বৈঠক করে প্রশাসনিক আওয়াতাধীন এলাকাগুলোতে পরিবেশ প্রকৃতি জীববৈচিএ ফসল উৎপাদন নিরাপওা বেষ্টনী,বনায়ন ,বন্যা নিয়ন্ত্রন,ব্যাপক জমি সেচ ব্যবস্থাসহ টেকসই উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহন শুরু করেন।ঢাকা কে মেট্রো পলিটন নগর ঘোষনা করাসহ ঢাকা মেট্রো পলিটন পুলিশ ফোর্স গঠন করেন।মহিলা আনসার ব্যাটালিয়ান গঠিত হয়।নাটোরে উওরা গনভবন প্রতিষ্ঠা করেন।

চট্রগ্রাম শিপিং কর্পোরেশনের প্রধান কার্যালয়,বরিশালে আই ডব্লিউ টি এর প্রধান কার্যালয়,চট্রগ্রামে ড্রাই ডক প্রতিষ্ঠা এই প্রশাসন বিকেন্দ্রীকরণ এর শহর নগর ভিওিক ছোট ছোট উদাহরন মাএ। পার্বত্য চট্রগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড উপকূলীয় অঞ্চল উন্নয়ন বোর্ড ,হাওর উন্নয়ন বোর্ড এসব কর্মকান্ডের কয়েক নমুনা মাএ।

১৯৭৭ এ নির্বাচিত পৌর চেয়ারম্যান ও সদস্যদের জন্য উন্নয়ন বিষয়ক ট্রেনিং প্রোগ্রাম চালু করা হল।
বাংলাদেশের ক্যাপিটালিজম অফিসিয়াল যাএা শুরু হয়েছিলো শহীদ জিয়াউর রহমান বীরউওম হাত দিয়ে ,বিশ্ব ব্যাংক পূর্ন তৎপরতা আসে বীরউওম জিয়ার সময়ে ,দেশের সকল ছোট বড় ব্যক্তি মালিকানা বিনিয়োগ করার সাহস ও আগ্রহী হয়ে উঠে, দেশ থেকে প্রথম মানব সম্পদ রপ্তানি করেন যা বর্তমানে দেশের প্রথম আয়ের উৎস । ১৯৭৮ সালে প্রথম বিদেশে ১০ হাজার শার্ট রপ্তানি হয়ে গার্মেন্টস শিল্পের সূএপাত হয়েছিলো ।

শিল্পায়ন জাতীয় করণকৃত লোকসান শিল্প কল কারখানাগুলোকে বে সরকারি মালিকানায় ফিরিয়ে দিতে একটা উদ্যম তৈরী করে দেন জিয়া।বহু শিল্প প্রতিষ্ঠানে তখন এক শিফট এর স্থলে তিন শিফট এ উৎপাদন শুরু হয়।গার্মেন্টস শিল্পে বিশেষ প্রণোদনা উদ্দেশ্যে আমলাদের আপওি সত্বেও শহীদ জিয়া বীর উওম বন্ডেড অয়্যার হাউজ এবং ব্যাক টু ব্যাক এল সি র বিশেষ সুবিধা ব্যবস্থা করেন।দ্রুত বিকশিত হতে থাকে গার্মেন্টস শিল্পী।দেশের অর্থনৈতিতে বৈদেশিক মুদ্রার তহবিল বৃদ্ধি পেতে থাকে। রপ্তানিতে আসে বর্ধিত বৈশিক মুদ্রা ।

স্বাস্থ্য খাত প্রেসিডেন্ট জিয়ার ছোয়া ।১৯৮১ সালে ৩ এপ্রিল উদ্বোধন করেন জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল। ৫০ শয্যার ক্যান্সার ইন্সটিটিউট ও হাসপাতাল,শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল ,জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনবাসন প্রতিষ্ঠান , পিজি হাসপাতাল সি বক্ল ,জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট সহ চিকিৎসকদের জাতীয় প্রতিষ্ঠান বিএমএ ভবন ভিওিপ্রস্থর। কুমিল্লা ,দিনাজপুর,ফরিদপুর ,বগুড়া মেডিক্যাল কলেজ সহ ২০০ শয্যার নারায়নগন্জ হাসপাতালের ভিওিপ্রস্তর স্থাপন করেন।১৯৮১ সালে ৫ জানুয়ারী ঢাকা মহাখালী নার্সিং কলেজ সূচনা করেন।কলেরা হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন।

মানব-সম্পদ উন্নয়ন এবং বৈদেশিক কর্মসংস্থান: শহীদ জিয়াউর রহমান-ই প্রথম বাংলাদেশ থেকে আধা দক্ষ,অদক্ষ ছয় হাজার শ্রম শক্তি রপ্তানি করেন ইরাকে।মধ্যপ্রাচ্য সৌদি আরবসহ আরও কিছু দেশে কর্মসংস্হান ব্যবস্থা করেন তিনি ব্যক্তিগত কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় ।বাংলাদেশের বৈদেশিক মিশনগুলোতে “ লেবার এ্যাটাসে পদ সৃষ্টি করে প্রশিক্ষন কর্মসংস্থান এবং তাদের মাধ্যমে শ্রম শক্তি রপ্তানি করে জনসংখ্যা সমস্যা কে মানব সম্পদে পরিনত করেন জিয়াউর রহমান।



সফল পররাষ্ট্রনীতির অগ্রনায়ক-
জাপান কে হারিয়ে জাতিসংঘে সাধারন পরিষদে সদস্য পদ লাভ।জাতিসংঘে নিরাপওা পরিষদের নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশ আসন লাভ।ভারতের সাথে গংঙ্গার পানি বন্টন সাময়িকভাবে সমাধান করা হয়,সমাধানের ফর্মূলা এতোটা স্পষ্ট ছিলো যে ভারতে সরে যাওয়ার কোন পথ ছিলো না,পরে এই বিষয়ে কোন আপওি করা হয়নি।

তিন সদস্য বিশিষ্ট আল কুদুস কমিটিতে বাংলাদেশ অন্তর্ভুক্তি।১৯৮১ সালে ইসলামী সম্মেলন সংস্থা (OIC) সহ সভাপতি পদ লাভ করে বাংলাদেশ।১৯৭৭ সালে বাংলাদেশ জোট নিরপেক্ষ ব্যুরোর সদস্য লাভ করে। দক্ষিন এশিয়ায় সার্ক প্রতিষ্ঠা করেন প্রেসিডেন্ট জিয়া

নারী উন্নয়নের অগ্রদূত বলা হয় জিয়াউর রহমান বীর উওমকে।মহিলাদের স্বাবলম্বী করার উদ্দেশ্য তিনি প্রথম মহিলাদের চাকরির ক্ষেএে ১০ ভাগ কোটা নির্ধারণ করেন।১৯৭৮ সালে প্রথম স্বতন্ত্র মহিলা মন্ত্রনালয় চালু করেন এবং মহিলা মন্ত্রী নিয়োগ করেন।কর্মজীবি মহিলা হোস্টেল ব্যবস্থা করেন। বাংলাদেশ মহিলা পুলিশ জিয়াউর রহমানই প্রতিষ্ঠা করেন ১৯৭৬ সালের ৮ ই মার্চ এবং ও আনসার বাহিনীতে মহিলাদের সম্পৃক্ততা করেন।মেয়েদের ফুটবল খেলার আনুষ্ঠানিক ও প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দেন প্রেসিডেন্ট জিয়া।গ্রাম প্রতিরক্ষা দলে মহিলাদের অন্তর্ভুক্ত করেন প্রথম শহীদ জিয়া ৩৫ লক্ষ সদস্য অন্তর্ভুক্ত হয়।

তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রনালয় বাংলাদেশে প্রথম স্থাপন করেছিলেন মহান রাষ্ট্রনায়ক শহীদ জিয়াউর রহমান বীরউওম।
গনমাধ্যম উন্নয়নে প্রেসিডেন্ট জিয়া - বাংলাদেশে প্রেস ইনস্টিটিউট স্থাপনকরেন, চিকিৎসক, আইনজীবী ও সৈনিকদের নীতিমালা আছে তাই সাংবাদিকদের নীতিমালা চালু করেন।১৯৭৯ সালে সাংবাদিকদের গৃহসংস্থানের জন্য জমি বরাদ্ধ করেছিলেন।আজকের জাতীয় প্রেস ক্লাব নির্মান করেন নিজস্ব অর্থায়নে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উওম। বেকার সাংবাদিকদের পেশায় ফিরিয়ে আনার পদক্ষেপ নিয়েছিলেন তার মধ্যে অন্যতম ‘উওর জনপদ’ ও দৈনিক বার্তা প্রকাশনী।সাংবাদিকদের স্বাধীনতার জন্য প্রনীত আইন বাস্তবায়ন করে ‘ বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল’ প্রতিষ্ঠা করেন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উওম।

শিশুদের জন্য জিয়াউর রহমান —ঢাকা শাহবাগে শিশু পার্ক প্রতিষ্ঠা করেন ।বাংলাদেশ শিশু একাডেমী ভিওিপ্রস্তর স্থাপন করেন ১৯৭৬ সালে এবং ১৯৭৭ সালে ১৫ জুলাই ভবন উদ্ভোধন করেন।জাতীয় শিশু পুরুস্কার প্রতিযোগিতা ব্যবস্থা করেন।ঢাকার শ্যামলীতে শিশু হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন।শিশুর প্রতিভা বিকাশের জন্য প্রতি বছর নতুন কুড়ি অনুষ্ঠান আয়োজন করেন।

বিশেষ দৃষ্টি ছিলো শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতির দিকে।জাতীয় লোকসংগীত উৎসব,নাট্যে উৎসব,জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনী,বেতার টিভি সম্প্রচারন,বিটিকে রঙিন সম্প্রচার,জাতীয় টিভি পুরুষ্কার,চলচ্চিএ জাতীয় পুরুষ্কার,সুস্থ ধারার চলচ্চিএ নির্মাণ করতে তহবিল গঠন,ফিল্ম ইনস্টিটিউট ও আর্কাইভ চালু করে প্রেসিডেন্ট জিয়া।

৫২ ভাষা শহীদ এর প্রতি সম্মান জানিয়ে একশে পদক এবং ভাষা আন্দোলন,শিক্ষা,সাহিত্য-সংস্কৃতি, সাংবাদিকতা,জনসেবা,বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি,সংঙ্গীত,খেলাধুলা,শিল্পকলা এবং মুক্তিযুদ্ধ উন্নয়ন সহ ইত্যাদি বিষয়ে উপর রাষ্ট্রীয় স্বীকৃত দিয়ে “ স্বাধীনতা দিবস পুরুস্কার “ চালু করেন প্রেসিডেন্ট জিয়া।

স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছিলেন প্রেসিডেন্ট জিয়া ,তার সংঙ্গে কূটনৈতিক সফরে যাওয়া খোরশেদ নামে এক যুবদল নেতা ছিলেন এবং একজন ADC ছিলেন তার নাম ছিলো মো: আমির। তারা দুজনে ক্ষমতা অপব্যবহার অপরাধে তাৎক্ষনিক যুবদল নেতা কে আজীবন বহিষ্কার ও ADC আমির কে চাকরী থেকে বহিষ্কার করেন প্রেসিডেন্ট জিয়া।

ধর্ম মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করে সকল মানুষের স্ব স্ব ধর্ম পালনের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধিকরণ করেন। ধর্মীয় অনুশাসন নামাজ, রোজা, হজ, জাকাতের প্রতীক প্রেসিডেন্ট জিয়া ছিলেন বিনয়ী এবং আল্লাহ অনুগত। পবিত্র কাবাঘরের অভ্যন্তরে প্রবেশের দুর্লভ সুযোগে তিনি ইবাদতে এতটা গভীর নিমগ্ন ছিলেন যে তাঁর সফরসঙ্গীরা তাঁকে বেরোতে না দেখে পুনঃপ্রবেশ করে দেখলেন কাবা শরিফের মূল মেঝে পরিষ্কার করার ঝাড়ন বুকে রেখে অশ্রুভরা চোখে দুই হাত তুলে আল্লাহর করুণা ভিক্ষা চাইছেন।

বাংলাদেশের পক্ষের শক্তির কাছে গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তির কাছে জিয়াউর রহমান একটি সাহসের নাম জাতীয়তাবাদী শক্তির কাছে জিয়াউর রহমান মানেই মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ।

শহীদ জিয়া বীর-উত্তম তাঁর প্রতিষ্ঠিত বিএনপির দলীয় সংগীত হিসেবে যে গানটি গ্রহণ করেছিলেন কাকতালীয়ভাবে তাঁর নিজের বেলায় একাকার হয়ে গেল। ‘প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ—জীবন বাংলাদেশ আমার মরণ বাংলাদেশ’-এর মতো জনগণের জিয়ার প্রথম পরিচয় চট্টগ্রাম বেতারে স্বাধীনতার ঘোষণায়, আবার জনতার জিয়ার শারীরিক সমাপ্তিও সেই বাংলাদেশের চট্টগ্রামের মাটিতে। তাইতো বলা হয়, বাংলাদেশের ধানের শীষে—জিয়া তুমি আছ মিশে এই পঙক্তিতে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৭:১৭

আধুনিক চিন্তাবিদ বলেছেন: কোন দলের অন্ধ সমর্থক না হয়ে পক্ষপাতহীন লেখা লিখলে হয়তো অন্যদের সমর্থন পাবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.