নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"বাংলাদেশ"কে ব্র্যান্ডিং করতে না পারার বিষয়টি কেবল বিনিয়োগ বা ব্যাবস্থাপনাগত বিপর্যয় নয়; পেছনের লুকানো রাজনৈতিক অর্থনীতিটি দুটি ইন্ড্রাস্ট্রী এবং একটি রাষ্ট্র প্রকল্পের সম্মিলিত ব্যর্থতার ফলাফল। বাংলাদেশের বিজ্ঞাপন ইন্ডাষ্ট্রীর প্রায় পুরোটাই ভারত নির্ভর করে গড়ে উঠেছে, কি ট্রেনিং, কি টেকনোলজি, কি এডমিন্সষ্ট্রেশন, কি পারফর্মার; সর্বপোরি শিক্ষায়। ফলে একদিকে কেবল নিজেদের ইন্সিটিউশন বা ফার্ম থাকলেই হয় না; দরকার নিজস্ব ক্ষমতায়ন, সাংস্কৃতিক উপকরণকে শক্তিশালী বানানোর কৌশল। এত নির্ভরতা থাকলে কৌশল; কর্মে রূপান্তরিত হওয়াটা মুশকিল। গণমাধ্যমের বিন্যাসেও একই নির্ভরতা পরিষ্ফূটিত।
ক্রিকেট ইন্ডাস্ট্রীর কথা যদি মনে করি তাহলে দেখতে পাবো যে গত কয়েক মাসের টেস্ট স্ট্যাটাস জনিত বাহাস আসলে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বিশেষ অর্থনৈতিক সুবিধাকে বৈধ করার উপায় হিসেবেই ব্যবহৃত হয়েছে। রাষ্ট্র প্রকল্প স্বয়ং উপমহাদেশের রাজনীতিতে ভীষণ রকম ভারত নির্ভর। মানে ঘরোয়া রাজনীতিতে সেটার ফলাফল তো দিনের আলোর মত পরিষ্কার। বর্তমান সরকারের ইয়েস কার্ড পাওয়াটাও সেটারই অংশ। ভাষা বাস্তবতা গঠন করে, এবং স্যাটেলাইট রাজনীতিতে, যে হিন্দী বাস্তবতা বিগত ১৫ বছরে নির্মিত হয়েছে তাতে আমাদের সবারই অবদান কম নয়। যদিও দোষের বেলায় কেবল গৃহিনীদেরই দোষ। কেন কারিশমার বুক, উর্মিলার পাছা, মাধুরীর হাসি, শাহরুখের কান্না, সালমানের বডি বাংলাদেশের পুরুষকুল কখনোই গিলেন নাই? আমি তো চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি, কালকে সানি লিওন আর সালমানের শো হলে, এই দেশের মানুষ লক্ষ টাকা দিয়ে হলেও টিকিট কাটবে, এই ভিড় ঠেকানো যাবে না। আমাদের তথাকথিত সুশীল সমাজেরও একটি বড় অংশের বুদ্ধিবৃত্তিকে পাটাতন তৈরি হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ কেন্দ্রীকতায়। সেটা ঘটনার নানান ব্যখ্যায়, পুরুষ্কার প্রাপ্তীতে, সিদ্ধান্তে, পলিসি তৈরিতে প্রতিফলিত হয়। নয়া উদারবাদী অর্থনীতিতে এই ক্ষমতা যেমন সরাসরি তেমন হেজেমনিক। ভারত, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস লেখে গুন্ডে সিনেমায়। বাববাহ!।
বাংলাদেশের দূর্ভাগ্য হল "প্রগতিশীল" হতে হলে তারে "ভারতপন্থী" আর "ইসলামীক" হতে হলে তারে "পাকি তথা মধ্যপ্রাচ্যপন্থী" হতে হয়। এই বাই-পোলারিটির ছাড়ান নাই। নতুন মোড়কে এই পানীয় "জাতীয়তাবাদ", "সাংস্কৃতিক সুরক্ষাবাদ", "ধর্ম রক্ষাবাদ" , "আধুনিকতাবাদের" নামে গিলতে হয়। পৃথিবীতে কারক-চালক-প্রচারক ধর্ম এখন একটাই সেটা নব্য উদারনৈতিক পুঁজিবাদ। রাষ্ট্রের তরুণ প্রজন্ম যাতে লাইনে থাকে সেজন্য নতুন নতুন চাকচিক্য দিয়ে তাদের ব্যস্ত রাখা হয়। সামাজিক মাধ্যম হল সেই প্রক্রিয়ার নতুন অস্ত্র। কি বিশ্বাস হয় না?
তাহলে একটা পরস্পর বিরোধীতা আপনাদের সামনে দেই, আর্ন্তজাতিকভাবে বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং যেখানে ভারতের আঁচলের নীচে দেবে গেল সেখানে ফ্লাশ মবের মূল কার্যকারিতা কি? তারুণ্যের উচ্ছাস? দেশকে ভালোবাসার বহি:প্রকাশ? নাকি স্বতস্ফূর্ত আনন্দ অংশগ্রহণ মাত্র? নাকি কেবলই শেয়ার? আপনাদের সকল পরিশ্রম আর প্রচেষ্টা কিভাবে সংজ্ঞায়িত হচ্ছে সেটা নিয়ে ২য় বার ভেবেছেন কি? যেদিন দেশে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি ঘটেছে ঠিক সেদিনই কনসার্ট, কেন? বিনোদন দিয়ে প্রতিবাদ, প্রতিরোধ হ্যান্ডেল করা/ ডাইভার্ট করার পদ্ধতিটি আমেরিকান, আমি এটাতে কোন দেশপ্রেম দেখি না।
আমার কাছে বড় প্রশ্ন আরেকটি। মনে করা যাক সত্যিকার দেশপ্রেম দিয়ে বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং করা হল, কিন্তু সেটা কি সেভাবেই প্রতিষ্ঠিত হবে যেভাবে আমরা চাই? ধর্ম জুজু, দেশ জুজু, ভারত জুজু, দিয়ে বিষয়টা বোঝাবুঝির সময় আসলে অনেক আগেই শেষ। প্রতিবেশী রাষ্ট্র সে যেই হোক না কেন তার সবসময়ই রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক স্বার্থ আছে, ফলে সেই প্রেক্ষীতে ভারত পাকিস্তান আমার কাছে সমান সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ। যে কোন রকম আগ্রাসন, প্রলোভন থেকে রক্ষা পাবার উপায় আত্ম-সংবরণ, আত্ম-নিয়ন্ত্রণ এবং না বলার কৌশল। তা না হলে আমরা সব সময়ই রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক দাস ই হয়ে থাকবো।
২| ১৭ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৭:৪৭
নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: বহির্বিশ্বে পত্রিকা বের করতে হবে ভালো লেবেলের , মিডিয়া কাভারেজ নাই আমাদের দেশের । এটা অনেক বড় একটা সমস্যা ।
১৭ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:৩১
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: এই সামাজিক যোগাযোগের যুগে পত্রিকার চেয়ে মনে ব্রডকাস্ট মিডিয়া সবচেয়ে ভালো কাজ করবে।
৩| ১৭ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৭:৫৬
মামুন রশিদ বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষণ ।
১৭ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:২৮
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: অশেষ শুভেচ্ছা আর ধন্যবাদ।
৪| ১৭ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৮:৩৮
ইমিনা বলেছেন: ব্যাক্তিগত অনুভূতি থেকে রাষ্ট্রীয় কার্যপরিকল্পনা, সর্বত্রই ভেজাল মনের স্বার্থবাদী দেশপ্রেমের লাল সবুজ প্রকাশনা। অামার ঠোঁটের কোণে হঠাৎ একটুকরো তাচ্ছিল্যতার হাসি ফুটে উঠে আর নাম দিতে না পারা এক অদ্ভূদ যন্ত্রনায় ভেতরটা কেমন করে উঠে ।
১৭ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:২৮
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: তাচ্ছিল্যের হাসির সময় কিন্তু শেষ....ইমিনা। শুভেচ্ছা জানবেন।
৫| ১৭ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৮:৪৮
সীমানা ছাড়িয়ে বলেছেন: ভারত অনেকটাই আমাদের রুটে ঢুকে গিয়েছে। চাইলেই আমরা ভারতকে ছাড়িয়ে নিজস্বতা তৈরি করতে পারছি না। এখান থেকে পরিত্রানেরও কোন উপায় দেখছি না।
১৭ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:৩০
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: বিষয়টা শুধু ভারতের না, এমন ঘটনা সবার ক্ষেত্রেই ঘটবে যদিনা আমরা সতর্ক হই।
৬| ১৭ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৮:৫৪
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: একটা উপায় আছে:
দেশরে ভালোবাসেন?
নিজের ভাষা নিজের গান নিজের টিভি নিজের গুণীজন নিয়া মত্ত থাকেন বেশি বেশি। এত দারুণ করে থাকেন যাতে বাকীর বলে কি হয় ঐখানে দেখি তো। সবার কাছ থেকে শেখার রাস্তার খোলা রাখেন। কিন্তু শেখেন নিজেরে আরো মহৎ এবং আত্মনির্ভরশীল করার জন্য। দেশরে এতই ভালোবাসেন যে হিন্দী ইংরেজী তার নিজের জায়গায় যাতে আপনা আপনি চলে যায়। ইংরেজী: নিজেদের মহত্ব ও অর্জন সারা বিশ্বে জানানোর জন্য একটা কৌশল। বেশি ভাষা শেখা এমনিতেই ভালো, তবে সেক্ষেত্রে আমি ফরাসি, স্প্যানিশ এবং চাইনিজ বেশি শিখতে বলব, হিন্দী চলে আরকি। আমার কোন বিদ্বেষ নাই, কিন্তু প্রেমটা একটু বেশি, নিজের প্রতি নিজের দেশের প্রতি, নিজের ভাষার প্রতি। সেটাই স্বাভাবিক না?
৭| ১৭ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:০৬
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: বিশ্লেষণধর্মী লেখা -----
১৭ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:২৩
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ লায়লা।
৮| ১৭ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:১৯
সীমানা ছাড়িয়ে বলেছেন: সত্যি বলতে কি সবচেয়ে ভাল উপায় হিন্দি চ্যানেল সব বন্ধ করে দেয়া। কারন কোন না কোন একটা জায়গা থেকে শুরু করতে হবে। মানুষের অভ্যাস একদিনে পরিবর্তন হবে না। আর এত মানুষের অভ্যাস এক সাথে পরিবর্তন করাটাও প্রায় অসম্ভব। হিন্দি চ্যানেল বন্ধ করে বাংলা চ্যানেল প্রমোট করা - এটাই সবচেয়ে ভাল শুরু হতে পারে। শুরুতে অনেক বাধা-বিঘ্ন আসবে। কিন্তু এক পর্যায়ে মানুষ ঠিকই অলটারনেটিভ বেছে নিবে।
১৭ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:২৩
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: যেই সাংস্কৃতিক রাজনীতির অংশ আমরা তাতে হিন্দি চ্যানেল বন্ধ করা একটা বিরাট চ্যালেঞ্জ হবে । বাংলা চ্যানেল প্রমোট করাই শুধু নয় (অর্থাৎ, হিন্দী বিনোদনে বাংলা ভাষান্তর নয় শুধু) এ দেশীয় বিনোদন এবং শিক্ষাকে বিকশিত করতে হবে।
৯| ১৭ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:২২
সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: অতি গুরুত্বপূর্ণ কিছু পয়েন্ট। চিন্তার উদ্রেক ঘটিয়ে দিলো। দৈনন্দিন জীবনের কার্যক্ষেত্রে এখন যদি বা কিছুটা পরিবর্তন আসে।
১৭ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:২০
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: এটা একটা সামষ্টিক চর্চার বিষয় আবির। নিজের ভাষা এবং দেশের সাথে মর্যাদার সম্পর্ক তৈরি না হলে দৈনন্দিন জীবনের কার্যক্ষেত্রে কোন প্রভাব তৈরি করবে না।
১০| ১৭ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:২৬
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমাদের নিজ ভাষা বাংলা কে সাইডে রেখে ইংরেজিকে অতিরিক্ত প্রাধান্য দিলে এইরকম অধপতন হবেই। কোরিয়া জাপান ও প্রতিবেশী থাইল্যান্ড মালয়েশিয়া সবাই নিজ মাতৃভাষাকে মুলভাষা হিসেবে ব্যাবহার করছে। আরব দেশগুলোও ইংরেজি নিয়ে মাতামাতি করে না।
ভারত ও পাকিস্তান ইংরেজি প্রাধান্য দেয় কারন তাদের একাধিক আঞ্চলিক ভাষা সমন্যয় করতে, তাদের ইংরেজি প্রয়জন। আমাদের সেইরকম প্রয়জনিয়তা নেই। কোরিয়া জাপানের মত আমাদের একটিই ভাষা। এত সমৃদ্ধ বিশাল জনগোষ্ঠির একক ভাষাকে অবহেলা করাতে আমাদের এই অধপতন।
১৭ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:১৮
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: আমাদের নিজ ভাষা বাংলা কে সাইডে রেখে হিন্দী/ইংরেজি গণমাধ্যমকে অতিরিক্ত প্রাধান্য দেয়াটা সাংস্কৃতিক আধিপত্যের একটা এভিন্যু তৈরি করার কোন মানে ছিল হাসান?
ইংরেজিতে দক্ষ হবার সাথে বাংলার মুখ্যত কোন প্রতিরোধ নেই যতক্ষণ না এটি সাংস্কৃতিক রাজনীতিতে বাংলাকে হারিয়ে দেয়। এই কথা হিন্দীর ক্ষেত্রেও সমানভাব প্রযোজ্য।
১১| ১৭ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:৩৮
আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: .
===================================
টি-২০ বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্টান
প্রসঙ্গে মুখ খুললেন দেশের জনপ্রিয়
গায়িকা সাবিনা ইয়াসমিন ,-
দীর্ঘ সংগীত জীবনে দেশে -বিদেশে
অনেক বিখ্যাত শিল্পীদের সঙ্গে গান
গেয়েছি , কিন্তু এমন অসম্মান আর
দেখেনি । আমাদেরকে গুরু মেরে জুতা
দান করা হয়েছে ।
==================================
১৭ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:১৩
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: হ্যা, মর্মান্তিক, বেদনাদায়ক।
১২| ১৭ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:৪৭
বোধহীন স্বপ্ন বলেছেন: যেদিন দেশে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি ঘটেছে ঠিক সেদিনই কনসার্ট, কেন?
এই প্রশ্নটা মাথায় অনেক ঘুরপাক খেয়েছে, জবাব পাই নি।
আসলে মূল উদ্দেশ্য হল তরুনদের কিছু একটাতে ব্যস্ত রাখা, গোয়েবলসের মত। যেমন কিছুদিন হল পৃথিবীর সর্ব-বৃহৎ জাতীয় পতাকা প্রদর্শন, আবার সামনে আসছে লাখো কন্ঠে জাতীয় সংগীত গাওয়া। আমাদের মত গরীব দেশে এতসব অকারণ খরচের কোন প্রয়োজনীতা তো দেখি না।
আবার এর প্রচারের পিছনেরও কিন্তু যথেষ্ট টাকা ঢালা হচ্ছে, পথে পথে বিলবোর্ডের কেরিক্যাচারে ভরে গেছে। শুধু কেবল দেশপ্রেমের চেতনার জন্যই এতকিছু? নাকি ভিন্ন কোন উদ্দেশ্য আছে?
১৭ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:১২
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: দেশপ্রেমের বিষয়টি আরো গভীরে এবং দৈনন্দিন চর্চার বিষয় হয়ে উঠুক। শুভেচ্ছা অনেক।
১৩| ১৭ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:৫৯
ঢাকাবাসী বলেছেন: ভাল বিশ্লেষন।
১৭ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:১০
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ অনেক।
১৪| ১৭ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:০০
শাহ আজিজ বলেছেন: যে কোন বিষয় বা ব্যাবস্থাকে প্রতিষ্ঠিত করতে গেলে তার প্রাক প্রস্তুতি থাকতে হয় । গত ৪৩ বছরে যে গ্যাপ সৃষ্টি হয়েছে তা পুরনের আশা নেই। আপনাদের আশা অনুযায়ী ক্লাস ৮পাস হচ্ছে আপনাদের চূড়ান্ত এইম অফ লাইফ । অন্যদের দোষ দিয়ে লাভ কি । চীন জাপান কোরিয়া ভারত খুব ভালো করেই জানে বাঙ্গালকে কোন আঙ্গুল দিয়ে গুতালে সুড়সুড়ি পাবে আর কোন আঙ্গুলে ধেই ধেই করে নাচবে । আদম নির্ভর অর্থনীতির দেশে ইংরেজি ছাড়া আর কোন অপশন আছে কিনা । ৯০ টি পৃথিবী বিখ্যাত ব্র্যান্ড বাংলাদেশে পোশাক বানায় , আপনি একটা বাংলা ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠা করতে কতদিন সময় নেবেন , ওদের প্রতিষ্ঠার সময়টুকু জানুন না। হাতির ঝিলে মাথা ভিজিয়ে ঠাণ্ডা করুন ।
সাম্প্রতিক সময়ে চীন আর ভিয়েতনামের উত্থান পর্ব জানুন । কিছুটা হলেও দিকনির্দেশনা পাবেন । ওদের ঘোষক আর মাজার সমস্যা নেই ।
১৭ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:০৮
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: ৪৩ বছরেও আশা নেই? "আপনাদের আশা অনুযায়ী ক্লাস ৮পাস হচ্ছে আপনাদের চূড়ান্ত এইম অফ লাইফ । " এই আপনারা কারা? আমি বুঝিনি।
"আদম নির্ভর অর্থনীতির দেশে ইংরেজি ছাড়া আর কোন অপশন আছে কিনা ।" ইংরেজি শিক্ষার সাথে নিজেদের ব্র্যান্ডিং করার তো কোন বিরোধীতা নেই। কিন্তু নিজেদের অস্তিত্ব বিলীন করে না যাওয়ার জন্যই এত কথা।
"৯০ টি পৃথিবী বিখ্যাত ব্র্যান্ড বাংলাদেশে পোশাক বানায় , আপনি একটা বাংলা ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠা করতে কতদিন সময় নেবেন , ওদের প্রতিষ্ঠার সময়টুকু জানুন না। হাতির ঝিলে মাথা ভিজিয়ে ঠাণ্ডা করুন । "
আমার মাথা ঠান্ডা আছে বলেই এখনো আপনার সাথে কথা বলছি। নিজেদের ব্র্যান্ডিং করার একট দারুণ সুযোগের সদ্বব্যবহার না হওয়ার কথাটাই বিশ্লেষণে বলছি।
আমাদের এখানে ঘোষক/জনক/দেশ/জন এবং জামাত সকল সমস্যাই তো প্রকট। কিন্তু এটা ধরে বসে থাকলে তো, "চীন আর ভিয়েতনামের উত্থান পর্ব" জনিত হাহুতাশে নিমজ্জিত হতে হবে।
আপনার কথাটাই বলি বরং, আঙ্গুল নিয়ে বেশি ব্যস্ত না হয়ে, চুলকানি দেবার প্রবণতা রোধ করতে হবে কারণ আহার করার মতই মলত্যাগ করাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু তাই বলে মলত্যাগ করা তো বন্ধ করা যাবে না।
১৫| ১৭ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:২৪
মেলবোর্ন বলেছেন: অন্যমনস্ক শরৎ ভাই এ বিষয়ে আপনার মত কিছু ব্লগার ছারা আর কারো তেমন কোন লিখা চোখে পরেনি আমারা যে মোহে আর তালে তালে দিন পার করে দিচ্ছি পিছন দিয়ে বিশাল বাশ দিলেও সেটা দেখার সময় পাচ্ছিনা এক না জানার কারনে দুই নিজের বিকল্প ব্যবস্থা না থাকার কারনে এবং সর্বোপরি নিজের দেশ কে বা নিজের উপর বিস্বাস না থাকার কারনে ,
আমরা এখনো স্বাধীন হয়েও পরাধীন আছি আগে ছিলো বৃটিশ তার পর পাকি বর্তমানে ভারত এই ইউ এস এর আগ্রাসন আর আমরা তো ফ্লাস মব না মজমা জমিয়ে নাইচ্চা মনে হচ্ছে সব উদ্ধার করে ফেলেছি। আমাদের না আছে দেশের খনিজের খরব, না আছে শিল্প ও সংস্কৃতির খবর না আছে ভোটের খবর। সবাই নিজের ধান্দায় ব্যস্ত যার ফলে সুদুর প্রসারী কোন পরিক্লপনা আমাদের নেই যা দিয়ে বলতে পরবো যে না আমরা ১৫ বছরে দেশটা নিজের মত করে গড়ে তুলেছি।
১৭ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:০৯
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: নিজের দেশকে ভালোবাসা ছাড়া আর তো কোন বিকল্প নেই। ধন্যবাদ।
১৬| ১৭ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:৩৩
দালাল০০৭০০৭ বলেছেন: বিশ্লেষণধর্মী লেখা খুব ভালই লাগল দাদা।
১৭ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৭
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: অশেষ শুভেচ্ছা আর কৃতজ্ঞতা।
১৭| ১৭ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:৫০
এহসান সাবির বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষণ ।
ধর্ম জুজু, দেশ জুজু, ভারত জুজু, দিয়ে বিষয়টা বোঝাবুঝির সময় আসলে অনেক আগেই শেষ। প্রতিবেশী রাষ্ট্র সে যেই হোক না কেন তার সবসময়ই রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক স্বার্থ আছে, ফলে সেই প্রেক্ষীতে ভারত পাকিস্তান আমার কাছে সমান সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ। যে কোন রকম আগ্রাসন, প্রলোভন থেকে রক্ষা পাবার উপায় আত্ম-সংবরণ, আত্ম-নিয়ন্ত্রণ এবং না বলার কৌশল। তা না হলে আমরা সব সময়ই রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক দাস ই হয়ে থাকবো।
১০০% সহমত।
১৭ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৬
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: অনেক শুভেচ্ছা আর ধন্যবাদ সাবির।
১৮| ১৭ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৪১
চিরতার রস বলেছেন: শিরোনামে "ব্র্যান্ডিং" বানানটা ঠিক করে দিন।
১৭ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৬
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, ঠিক করে দিয়েছি।
১৯| ১৭ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:১৭
নাহিদ রুদ্রনীল বলেছেন: চমত্কার বিশ্লেষন
১৭ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:২৩
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: শুভেচ্ছা রুদ্র।
২০| ১৭ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:২৮
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: পোষ্ট বুকমার্কড। আবার ফিরে আসব এই পোষ্টে।
১৮ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:৪০
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ কাভা।
২১| ১৭ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০০
মুহাম্মদ এরশাদুল করিম বলেছেন: যে কোন রকম আগ্রাসন, প্রলোভন থেকে রক্ষা পাবার উপায় আত্ম-সংবরণ, আত্ম-নিয়ন্ত্রণ এবং না বলার কৌশল।
++++++++
১৮ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:৪১
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: শুভেচ্ছা করিম।
২২| ১৭ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:১৫
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
শাহ আজিজ ছাগল নাকি?
বলে - চীন আর ভিয়েতনামের ঘোষক আর মাজার নেই?
চীন ও ভিয়েতনামের ঘোষক আছে, মাজার আছে, পিতাও আছে। (মাওসেতুং-হোচিমিন)
কিন্তু এসব বিতর্কিত করার জন্য রাজাকার নেই, নেই রাজাকারদের মুত্রখোড়।
১৮ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:৪২
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: সময়টা সামনে এগুবার ঘোষক-পিতাজনিত বিতর্কে আটকে থাকার নয়। শুভেচ্ছা হাসান।
১৮ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:৫৪
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: শাহ আজিজ এর পরের কমেন্ট কিন্তু অনেক চমৎকার। ফলে অনুরোধ করি আপনি তাকে বিশেষ বিশেষণ থেকে মুক্তি দেবেন। শুভেচ্ছা জানবেন।
২৩| ১৭ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:৩৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অন্যমনস্ক শরৎ বলেছেন: একটা উপায় আছে:
দেশরে ভালোবাসেন?
নিজের ভাষা নিজের গান নিজের টিভি নিজের গুণীজন নিয়া মত্ত থাকেন বেশি বেশি। এত দারুণ করে থাকেন যাতে বাকীর বলে কি হয় ঐখানে দেখি তো। সবার কাছ থেকে শেখার রাস্তার খোলা রাখেন। কিন্তু শেখেন নিজেরে আরো মহৎ এবং আত্মনির্ভরশীল করার জন্য। দেশরে এতই ভালোবাসেন যে হিন্দী ইংরেজী তার নিজের জায়গায় যাতে আপনা আপনি চলে যায়। ইংরেজী: নিজেদের মহত্ব ও অর্জন সারা বিশ্বে জানানোর জন্য একটা কৌশল। বেশি ভাষা শেখা এমনিতেই ভালো, তবে সেক্ষেত্রে আমি ফরাসি, স্প্যানিশ এবং চাইনিজ বেশি শিখতে বলব, হিন্দী চলে আরকি। আমার কোন বিদ্বেষ নাই, কিন্তু প্রেমটা একটু বেশি, নিজের প্রতি নিজের দেশের প্রতি, নিজের ভাষার প্রতি। সেটাই স্বাভাবিক না?
কিন্তু সেই কাজটার মেইনষ্ট্রীমটাই যে তাদের দখলে!! এই দখলী সত্ব দখলের কোন উপায় আছে কি?
আপনি লাখ টাকি ইনভেস্ট করে দেশপ্রেমের উপর সলিড জিনিষ বানাইলেন-ষ্পন্সর খুজতে গেলে হাতে হারিক্যান!!!!
কতবার বিনিয়োগ করবেন???
ভাল প্রোগ্রাম স্ক্রীপ্ট দেবেন-সাইডে ঠেলে দিয়ে ট্রিপল ডাব্লিউ সমৃদ্ধ বস্তাপচা অনুষ্ঠা গেলাবে!!!!!
তবে!!!!
১৮ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:৪৫
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: এর মধ্যে থেকেই বিশেষত কনজিউমার চরিত্র বাদ দিয়ে কাজ করতে হবে। খুব সত্য যে বিনিয়োগের অর্থনীতি রাজনীতি বিচ্ছিন্ন নয়; যদিও আমরা প্রায়ই সেটা ভুলে যাই। বস্তাপঁচা প্রোডাক্ট গেলা থেকে নিজেকে রক্ষা করার উপায় হল বর্জন করা, এইসব বিকারকে বর্জন করা।
২৪| ১৭ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:৪০
ক্যাপ্টেন ম্যাকক্লাস্কি বলেছেন:
মার্কিন দেশে বিদেশীরা Made in Bangladesh নামে "ব্র্যান্ডিং" করছে।
সবাই খারাপ বললেও আমি একে ইতিবাচক বলেই মনে করছি।
১৮ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:৪৭
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: আমি এটা কোনভাবেই ইতিবাচক মনে করি না। "কিন্তু সেটা কি সেভাবেই প্রতিষ্ঠিত হবে যেভাবে আমরা চাই?" তা তো হল না। হল কেবল সেই বিশেষ এ্যাপারাল এর স্টান্টবাজি, যেখানে বাংলাদেশকে বাজেভাবে রিপ্রেজেন্ট করা হল।
২৫| ১৭ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:৪৫
বোকামন বলেছেন:
আমি বাংলায় কথা কই
আমি বাংলায় ভাসি
বাংলায় হাসি
বাংলায় জেগে রই
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে
করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখেশুনে খেপে গিয়ে-করি বাংলায় চিৎকার
চিৎকারের সংখ্যাটাও কমে যাচ্ছে ....
কারণ আমরা বিনোদিত হতেই উৎসাহ পাচ্ছি..
বুঝতে পারলেন ! শরৎ
১৮ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:৪৮
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: বিনোদন=নিয়ন্ত্রণ=নির্বোধকরণ।
চমৎকার কমেন্টের জন্য শুভেচ্ছা অশেষ।
২৬| ১৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:২৫
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: আমাদের মূল জনসংখ্যার নব্বই ভাগেরই কাউন্সেলিং দরকার সবার আগে।
১৮ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:৪৮
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: খুব সত্য। ফলে সেটা এই গণমাধ্যম ব্যবহার করেই অর্জন করা দরকার।
২৭| ১৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১:৪৭
রাসেলহাসান বলেছেন: ছোট থেকেই যদি টেলিভিশনে সবাই তাদের সংস্কৃতি গুলো দেখেই বড় হয় তাহলে মনে মনে কেন তাদের প্রতি আমাদের টান থাকবেনা? আপনি মনে হচ্ছে নিজেও এর শিকার নন? কি বলতে গেলে সহজ বাস্তবে রুপ দেওয়াটা অনেক কঠিন! এগুলো পরিবর্তন করতে গেলে প্রায় সব কিছুর নতুন সংস্করন দরকার!! যা মোটেও সম্ভব নয় বা হবেনা বলে আমি মনে করি! আর এটাই সত্য!
১৮ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:৫০
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: আপনি মনে হচ্ছে নিজেও এর শিকার নন? অবশ্যই তাই। এবং সেটাকে প্রতিরোধ করতে পেরেছি বইয়ের হাত ধরে। বিনোদনের নির্বুদ্ধিতার ফাঁদ এ পড়ে নয়।
তবে এটা একদিনের কাজ নয়, বহুদিনের।
২৮| ১৮ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:১১
শাহ আজিজ বলেছেন: শরৎ , আমার মন্তব্যটি ছিল আমার উপরের করা সকল মন্তব্য ও আপনার লেখার কিয়দংশ নিয়ে ।
আপনারা বলতে আমি সবাইকে বুঝিয়েছি , কারন এই পাপ থেকে কারোই নিষ্কৃতি নেই । গতবছর গনজাগরন মঞ্চ থেকে এবছর ইসলামি ব্যাঙ্ক হতে শহর সৌন্দর্যের ভিক্ষা এসবই আমাদের পাপ । ক্লাস ৮ নিয়ে ফাপড়ে পড়েছিলাম ৯১ এ আরেক শক্তিমত্তার দেশে , যারা আমায় জিজ্ঞাসা করেছিল তোমাদের লোকেরা কি রাষ্ট্র প্রধান হিসাবে গৃহবধূ আর অল্প শিক্ষিত লোকদের পছন্দ করে কিনা। আমি নিরুত্তর ছিলাম । উপরে লেখা তাবৎ বিষয়াবলী আপনাকে নিয়ে নয় বরং আমি আপনার যুক্তিকে আরও প্রচণ্ডতা দিতে নিজের খেদ প্রকাশ করেছি । হাসান কালবৈশাখী আমায় ছাগল বলে ফেললেন , আপনি আমার অনুসারিত , কষ্ঠ পেলাম ।
আমি যৌবন কাটিয়েছি চীনে সেই ৮২ থেকে , দেখেছি তাদের উত্থান সশরীরে , অংশ গ্রহনে । ওরকম জাতীয়তাবাদী চেতনা নিয়ে আমরাও একটি উত্থান পর্ব ঘটাতে পারি এ বিশ্বাস আমার আছে । আমি এখন পর্যন্ত ওয়াকিবহাল এজন্য যে চীনের মেশিনারিজ স্থাপনায় আমি দোভাষ এর কাজ করি । আমি এগুলো করতে গিয়ে নিজেকে পুরো আপডেট রাখি । হাসান কিতাবি জ্ঞান দিয়ে মাও আর হো এর কথা বলবেন না , কিছুই হয়না তাদের জন্ম মৃত্যু দিনে । আমরা খুটি নাটি বিষয়কে এড়িয়ে , স্ক্রুতিনাইজ না করে সামনে এগুতে পারব না ।
আমি শরতের ব্রান্ডিএর বিষয়ে ঐক্য মত বলেই আলোচনায় নেমেছি ।
প্রতিবেশী ভারত ক্ষমতাশালী এবং এখানেই প্রশ্ন আসছে আমরা কিভাবে অগ্রসর হবো । টেকনোলজিতে অনগ্রসর রাষ্ট্র বা জাতি পাশের অগ্রসরমানকে সহযোগিতা করে কৌশল জানার ও দ্রুত কুশলি তৈরির । এ উদাহরন ভুঁরি ভুঁরি আমার কাছে । কিন্তু কে করবে বা কে নেবে এই কৌশল বাস্তবায়নের দায়দায়িত্ব ? ডাঙ গুলি খেলা পাপন বা জীবনে ব্যাট বল ছোয়নি কিন্তু রাস্তায় হেঁটেছে অজস্র এমন কুতুবেরা বসে আছে খেলাধুলার শীর্ষ আসনে ! আমরা টোটাল ফেইলুরে আছি বলেই হার্ট পাম্প করলে কিডনি কাজ করেনা বা ডায়ালাইসিস করলেও হার্ট বারবার রিফিউজ করছে । সামগ্রিক ব্যাবস্থাপনায় পরিবর্তন আনতে গেলে গোটা খোল নলচা পাল্টাতে হবে ।
কে পালটাবে ।
রাজনৈতিক অধিকার ই তো ব্র্যান্ডিং হয়ে বসে আছে ।
১৮ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:৫৩
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: "আমি যৌবন কাটিয়েছি চীনে সেই ৮২ থেকে , দেখেছি তাদের উত্থান সশরীরে , অংশ গ্রহনে । ওরকম জাতীয়তাবাদী চেতনা নিয়ে আমরাও একটি উত্থান পর্ব ঘটাতে পারি এ বিশ্বাস আমার আছে । আমি এখন পর্যন্ত ওয়াকিবহাল এজন্য যে চীনের মেশিনারিজ স্থাপনায় আমি দোভাষ এর কাজ করি । আমি এগুলো করতে গিয়ে নিজেকে পুরো আপডেট রাখি । হাসান কিতাবি জ্ঞান দিয়ে মাও আর হো এর কথা বলবেন না , কিছুই হয়না তাদের জন্ম মৃত্যু দিনে । আমরা খুটি নাটি বিষয়কে এড়িয়ে , স্ক্রুতিনাইজ না করে সামনে এগুতে পারব না ।"
চমৎকার একটি বিষয় বলেছেন। আপনাকে আরো চমৎকারভাবে এই শক্তিকে কাজে লাগানোর আহবান জানাই।
"সামগ্রিক ব্যাবস্থাপনায় পরিবর্তন আনতে গেলে গোটা খোল নলচা পাল্টাতে হবে ।" আমার কাছে মনে হয় গণমাধ্যম ব্যবহার করেই এটা করা দরকার। এজন্য ক্রিটিক্যাল পাঠ থাকাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তবে যতটা না সবার তার চাইতে বেশি এদেশের নীতি নির্ধারকদের।
২৯| ১৮ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:৪৯
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
হো চি মিন এর জন্মদিনে মাতামাতি নেই কে বললো, ব্যাপক আছে, ছুটিও আছে।
ছুটি আছে জর্জ ওয়াশিংটনের জন্মদিনেও, মাতামাতিও ব্যাপক।
কামাল আতাতুর্ককে নিয়ে মাতামাতি কম করেনা তুর্কিরা। জাতীয় ছুটিও আছে জন্মদিনে।
গত ২০ বছরে কর্পরেট আগ্রাসনে চীনে মাওকে নিয়ে মাতামাতি কমে আসলেও জন্মদিন বাতিল করা হয়নি।
এদেশী রাজাকারদের মুল দেশ পাকিদেশেও কায়দেয়াজম নিয়ে মাতামাতি হয়, ছুটিও আছে।
পার্শবর্তি ভারতেও গান্ধি, নেহেরু, শুভাস বোসকে নিয়ে আছে ব্যাপক মাতামাতি।
জাতীয় নেতাদের সম্মান দিলে উন্নয়ন থেমেযায়! ব্র্যান্ডিং থেমেযায়,
এসব যারা বলে তারা সেয়ানা ছাগু।
৩০| ১৯ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:০০
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন:
২৩ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:০৬
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: কি হল বাঙালী মুখ ব্যাজার ক্যান?
৩১| ২০ শে মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৭
জনসাধারণের মধ্যে একটি মলিন পট্টবস্ত্র বলেছেন: সুন্দর বিশ্লেষণ
২৩ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:২২
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পট্টবস্ত্র।
৩২| ২০ শে মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৮
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: যখন বৃদ্ধেরা চুপচাপ, যুবকেরা বিভ্রান্ত এবং নাবুঝ মানুষেরা উচ্চকিত হয়, তখন এরকম ভুল প্রচার, ভুল ব্র্যান্ডিং আসে ফলাফল হয়ে। একে প্রতিরোধ করাটাও অনেক সময়ের ব্যাপার।
২৩ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:২৪
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: এবং নাবুঝ মানুষেরা উচ্চকিত হয়, এবং দুর্নীতি উদযাপিত হয় তখন অপ-ব্যবহার শব্দটি আরো শক্তিশালী, জোরালো হয়। কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ শঙ্কু।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৭:৪৫
নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: আমাদের উচিত বাংলা নাম দিয়ে কোম্পানি চালু করা । এতে বাংলা নাম ব্র্যান্ডিং হবে এবং সাথে দেশেরও । সুপার করা উচিত বাংলাদেশের পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে । গার্মেন্টস সহ আরও অনেক প্রোডাক্ট এতে প্রাধান্য পাবে ।