নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কাট ইয়োর বডি এর্কোডিং টু ইয়োর ইমেজ

শরৎ চৌধুরী

তুমি তোমার ইমেজ মতইপ্রোফাইল বানাওকি ব্লগেকি জীবনে

শরৎ চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

সৎকার বিহীন শহরে, রক্তের দাগ থাকেনা

২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:৩৭

বনানী ফ্লাইওভার থেকে নীচে নামছি। অফিসের দিকে আজ একটু সকাল সকালই ছুটছি। ফ্লাইওভারের ঢাল শেষ হলেই আর্মি স্টেডিয়াম, এরপর মাছরাঙ্গা টেলিভিশন, এরপর বনানী গোরস্তানে ঢোকার রাস্তাটা...। পুরোটাই ছক কাটা।



সামনের একটা সবুজ সিএনজিকে পাশ কাটিয়ে, ঠিক সামনেই দেখি একটা নিশান এসইউভি দাঁড়িয়ে আছে। ওটাকে বামে রেখে পাশ কাটিয়ে সামনে যেতে না যেতেই দেখি রাস্তার ডানদিকে ছোপ ছোপ রক্ত। আর্মি স্টেডিয়ামে ঢোকার মুখে একটা ছোট জটলা। একজন বয়স্ক বৃদ্ধা মহিলাকে শুইয়ে রাখা হয়েছে ফুটপাতে। তাঁর ডানদিক থেকে থকথকে রক্তের ধারা ফুটপাতের আইল্যান্ড থেকে গড়িয়ে গড়িয়ে পড়ছে এবং এসইউভির ড্রাইভার তাকে পানি খাওয়াচ্ছেন।



এক্সিডেন্টটা ঘটেছে পাঁচ থেকে সাত মিনিট আগে। একটি মিনি ভ্যান প্রচন্ড গতিতে এসে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে গেছে। মরণঘাতি আঘাতে বৃদ্ধা মহিলার ডান পা ফেটে ভেঙ্গে মাংস বেরিয়ে একটা ভয়াবহ অবস্থা। তিনি যে তখনো বেঁচে আছেন সেটাই একটা বিষ্ময়। কিন্তু আশ্চর্যজনক হল একটু দূরে পাশেই আর্মির অনেকে ঘুরে বেড়ালেও কেউ সাহায্য করতে এগিয়ে আসছে না।



নিকটবর্তী হাসপাতালে নেয়াটা খুব জরুরী। তাই প্রথমেই ফোন দিলাম, একজন সাংবাদিক ছোট ভাইকে, এরপর আরেকজনক ব্লগারকে। যদিও সকাল সকাল বলে কাউকেই পাওয়া গেল না। আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধু ডিএমপির...। ওকে ফোন দিয়ে ঘুম ভাঙ্গালাম। আমার বন্ধুটি স্থানীয় পুলিশদের জানিয়ে দিল। এদিকে সময়ও ফুরিয়ে আসছে। এসউইভির ড্রাইভার রশিদ তখনো বৃদ্ধাকে পানি খাওয়ানোর চেষ্টা করছে। ঠিক সে সময় রাস্তার ওপাশ দিয়ে একটা পুশিল ভ্যান যাচ্ছিল; সেটাকে থামিয়ে একজন সাব ইন্সপেক্টরকে আসতে বললাম। তিনি এলেন, আমার বন্ধুর সাথে তার কথাও হল। এদিকে মহাসড়কে শ্রেফ বিবেকের কারনে থেমে থাকা গুটি কয়েক মানুষজন না পারছিলেন থামতে না পারছিলেন ছেড়ে যেতে। রশিদ এবং আমি পুলিশের কাছে সেই অর্ধমৃত, গরীব, টোকাই, হয়তো ভিক্ষুক বৃদ্ধাকে বুঝিয়ে দিতে গিয়েই একজন জানালেন, সেই বৃদ্ধা সেই মুহুর্তে মারা গেছেন, (ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজেউন ...)। এইভাবে তিনি আমাদের সবাইকে মুক্তি দিয়ে দিলেন। গুটি কয়েক মানুষের জটলাটা ফিকে হয়ে এল। ডিএমসিতে নেয়া ঠিক হবে কিনা, পোষ্ট মর্টেমে কতটাকা খরচ হবে পরিবারে, সেটা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে এক একজন করে সরে যেতে থাকলো। শেষ পর্যন্ত টিকে রইলাম আমি আর রশিদ। পরস্পরের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে যখন আবার বাইক স্টার্ট দিয়েছি তখন জানিওনা কখন খালি পেটেই সিগারেট ধরিয়ে ফেলেছি। আর ঠিক পেছনেই নতুন নতুন টায়ারের ঘষায় রক্তের দাগ ততক্ষণে প্রায় শুকিয়ে গেছে।



এই শহরটা নিষ্ঠুর অনেক; এই শহরে মানুষ মরলেও অন্য মানুষ আর এগিয়ে আসেনা। তাদের থাকে পুলিশের ভয়, বিব্রত হবার ভয়। এই শহরের মানুষগুলো যান্ত্রিক-নির্বিকার, পাশে একটা আস্ত স্টেডিয়াম অথচ সেখানে মৃত্যু-পথযাত্রীকে সাহায্য করার কেউ থাকেনা। এই শহরে কবর হয়না, এই শহর একজন আস্ত মানুষের মৃত্যুতেও সময় দেয় না। গরীব মানুষটার লাশ আরো গরীব হয়ে যায় থেঁতলে যাবার পর। গরীব লাশের রক্তের বিনিময়ে শহরে গড়ে ওঠে নতুন নতুন ফ্লাইওভার আর সেখানে চলে নতুন নতুন টায়ারের গাড়ী।

মন্তব্য ২৯ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:৪১

শ্রীঘর বলেছেন: এসব পুঁজিবাদেরই সফল আয়োজন!

২| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:৪৯

ঢাকাবাসী বলেছেন: আর করার নেই মনে হয়! সব পুলিশ ব্যাস্ত হাজার কোটি টাকা খরচ করে নতুন আর কি রেকর্ড করা যায়, হাসপাতালে ফ্যান নেই, রাস্তায় মানুষ লাশ হয়ে পড়ে থাকবে। এদেশে মানুষ অনেক ......... তাই মনে হয়।

৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:৫৯

আমি সাদমান সাদিক বলেছেন: এই শহরটা নিষ্ঠুর অনেক; এই শহরে মানুষ মরলেও অন্য মানুষ আর এগিয়ে আসেনা। :| :|

৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৩২

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: অমানবিক , এরা মানুষ কে মানুষ মনে করেনা । এরা শকুনের মত
এদের নখরে প্রতিনিয়ত রক্তের দাগ ।

৫| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৫৬

রোহান খান বলেছেন: জন্মের দায় মিটিয়ে দিয়ে গেল আমার মা....।

৬| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:০২

দেওয়ান কামরুল হাসান রথি বলেছেন: কততা অমানবিক আমরা আমাদের বিবেক।

৭| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:০২

দেওয়ান কামরুল হাসান রথি বলেছেন: কততা অমানবিক আমরা আমাদের বিবেক।

৮| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:১১

দেওয়ান কামরুল হাসান রথি বলেছেন: আমি সিউর না ইন্ডিয়াতে নাকি নতুন নিয়ম করেছে কোন ব্যাক্তি এক্সিডেন্ট করলে তাকে যে প্রথম দেখবে সাথে সাথে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।

ক্রাইম পেট্রোলে একটা বাস্তব কাহিনী দেখেছিলাম, যে এক ব্যাক্তি হোন্ডার সাথে এক্সিডেন্ট করে রাস্তায় পরে আছে আর যারা হোন্ডায় ছিলো তারা তাকে হাঁসপাতালে না নিয়ে পালিয়ে গেলো। লোকটা অনেকক্ষণ রাস্তায় পরে থেকে শেষ পর্যন্ত মারা গেলো। যখন তার লাশ উদ্ধার হল ডাক্তারের ভাষ্যমতে তাকে সাথে সাথে আনলে বাচানো যেত।

সত্যি সেলুকাস কি বিচিত্র আমাদের এ দেশ হয়তো আমার এক্সিডেন্ট করা শরীর এভাবে একদিন রাস্তায় নিথর পরে থাকবে। সবাই দেখবে কিন্তু কেউ হাস্পতালে নিবেনা।

৯| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:১৭

মুগলী নন্টে বলেছেন: অমানবিক...........এক শহর।

১০| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৩৩

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: আমরা কতই অমানবিক!!!
কবে আমাদের বিবেক জাগ্রত হবে???


আপনার দেখা এই ঘটনাটা সত্যি সত্যি বিবেকে একটা দাগ কেটে দিয়ে গেল।

১১| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৩৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: এয়ারপোর্ট রোডের এই অংশটা খুবই বিপদজনক। এখানে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। এখানে রাস্তাপারাপারের জন্য কোন বৈধ সিস্টেম নাই। যা আছে তা হলো নেভি হেড কোয়াটাররের সামনে দুইটা স্পীড ব্রেকার! কিছুদিন আগে নেভী হেড কোয়ার্টারের সামনে এমন একটা ঘটনা ঘটেছিল।

বৃদ্ধার ঘটনাটিতে খুবই মন খারাপ লাগছে।

১২| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৫৬

হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: আমি খুব সাধারণ একজন মানুষ।আমি ভাবছি আমি নিজে অই পরিস্থিতিতে কি করতাম? আমার যদি অই মুহুর্তে খুব জরুরী কোন কাজ থাকত তাইলে সেটা স্যাক্রিফাইস করে আমি কি আহত বৃদ্ধাকে সাহায্য করতে এগিয়ে যেতাম? নাকি ‘ যে বৃদ্ধা কে হিট করছে সে একটা অমানুষ’, ‘বৃদ্ধা নিজেই কাণ্ডজ্ঞানহীন’, ‘এসব সরকারের দায়িত্ব’, ‘ আসলে পৃথিবীটা খুব সবার্থপর হয়ে গেছে’ এসব ডায়লগ দিতে দিতে নিজের কাজে চলে যেতাম!
ধরা যাক কোন কারনে আমি অই মুহুর্তে মানুষ হিসেবে প্রথম শ্রেণীর হয়ে গেলাম। বৃদ্ধাকে কোলে তুলে নিলাম। হসপিটালে নিয়ে যাব। আমি বাজি ধরে বলতে পারি কোন সিএনজিওয়ালা যেতে রাজী হবে না। পাবলিক জ্ঞান দেবে কিন্তু হেল্প করবেনা। ধরা যাক কোন কারনে অই মুহুর্তে সিএনজিওয়ালা, পাবলিক সবাই মানুষ হিসাবে প্রথম শ্রেনির হয়ে গেল। নিকটস্থ হসপিটালে নিয়ে গিয়ে আপনি চাইলেই ইমার্জেন্সিতে ভর্তি করাতে পারবেন না।
তাইলে দ্রুত চিকিৎসা পেলে দুর্ঘটনায় আহত যে ব্যক্তি টি বাঁচতে পারতেন আমাদের ঢাকা শহরের নাগরিক বাস্তবতায় পরিসঙ্খ্যানগত কারনে তিনি মারা যাবেন।
এই বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে এই বাস্তবতায় বাস করা মানুষের এরকম একটা সংজ্ঞা দেয়াই যায়- যে প্রানী নিজে যতক্ষন বিপদে পড়ে নাই ততক্ষন অন্যের বিপদ কে উপহাস করিয়া নিজের সবার্থ লইয়া ব্যস্ত থাকে তাহার নাম মানুষ।

১৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:১১

হাসান মাহবুব বলেছেন: মন খারাপ লাগলো ঘটনাটা পড়ে। তবে আপনি তো তাও কিছু করার চেষ্টা করেছিলেন। সেইসব মানুষের কথা ভাবি, বিবেক যাদের একটুও পোড়ায় না, কত সুখে আছে তারা!

১৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:২৯

জমরাজ বলেছেন: খুবই মর্মান্তিক। ইট পাথরে ঘেরা শহরে মানুষের মনও আজ ইট-পাথর হয়ে গেছে। অস্বাভাবিক মৃত্যুগুলো আর তেমনভাবে তাদের মনে রেখাপাত করেনা।

প্রতিদিন খুন,হত্যা,রাহাজানি,গুম,এ্যাকসিডেন্ট ইত্যাদির ভিড়ে মানুষের মন নামক জিনিসটাই মরে গেছে। আর এসব দেখতে দেখতে চোখও অভস্ত হয়ে গেছে । এখন আর চোখে পানি আসে না।

টাকার কাছে বিবেকবোধ ও মনুষ্যত্ববোধও বিক্রি হয়ে গেছে।

মনটা খারাপ হয়ে গেল।

১৫| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:১৬

বভেট বলেছেন: মন খারাপ করে দেয়া পোস্ট।

১৬| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:২৬

অন্ধবিন্দু বলেছেন:


অন্যমনস্ক শরৎ,
ঘুমোতে দেন। মৃতদের জেগে থাকতে নেই ...

১৭| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৩৫

ঢাকাবাসী বলেছেন: দুনিয়াতে সবচাইতে নিকৃস্ট ড্রাইভার আর ট্রাফিক সিস্টেম হলো বাংলাদেশের। ড্রাইভার এরকম খুন করে ধরা পড়লেও মন্ত্রী বিশেষ করে নৌমন্ত্রী আসবে তাকে বাঁচাতে।

১৮| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৪

তানভীরএফওয়ান বলেছেন: ড্রাইভার এরকম খুন করে ধরা পড়লেও মন্ত্রী বিশেষ করে নৌমন্ত্রী আসবে তাকে বাঁচাতে!!!!!!!

১৯| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: এরকমটাই হয়ে যাচ্ছে সবাই আস্তে আস্তে। একজন মানুষ মারা যাচ্ছেন, কারো কোন ভ্রূক্ষেপই নেই!

২০| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০০

এহসান সাবির বলেছেন: দুঃখজনক।

মন খারাপ হয়ে গেল।

২১| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:০০

বোধহীন স্বপ্ন বলেছেন: তবু ভালো আমরা চায়নাদের পর্যায়ে চলে যাইনি। উৎসুক জনতা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কিছু করতে না পারলেও শোক প্রকাশ করে।

২২| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:১২

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: অমানবিক জীবনযাত্রা!

২৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:০০

স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
গরীব মানুষটার লাশ আরো গরীব হয়ে যায় থেঁতলে যাবার পর। গরীব লাশের রক্তের বিনিময়ে শহরে গড়ে ওঠে নতুন নতুন ফ্লাইওভার আর সেখানে চলে নতুন নতুন টায়ারের গাড়ী।

মনুষ্যত্ব জাগ্রত হোক এই প্রত্যাশা !!

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে দাদা !

২৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:০২

মামুন রশিদ বলেছেন: খুব খারাপ লাগলো । আমরা ক্রমশ বোধ-অনুভূতি শূন্য হয়ে যাচ্ছি ।

২৫| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:৩৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


দুঃখজনক

২৬| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:৫৭

রোহান খান বলেছেন: আপনাদের বা আমাদের কারউ না কারউ বন্ধু বা ভাই ই এ কাজটি করেছেন ( ড্রাইভার, এক্সিডেন্ট)। যিনি করেছেন তার বন্ধু বা অন্য কেউ অবশ্যই জানবেন। খুজে বার করুন। উনার উপযুক্ত শাস্তি হওয়া উচিৎ।

২৭| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:০৩

আরজু পনি বলেছেন:

:(

২৮| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:০৪

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
//এইভাবে তিনি আমাদের সবাইকে মুক্তি দিয়ে দিলেন।// :(

২৯| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৪৭

অদৃশ্য বলেছেন:



আহ্‌... এসব কথা শুনলে এমন শব্দই মুখ থেকে বেড়িয়ে আসে... আর সামনা সামনি দেখলে মুখ বন্ধ করে অনেক ব্যস্ততার ভান করে সামনে থেকে যত তাড়াতাড়ি পালিয়ে যাওয়া যায়... বাস্তবটা মনে হয় এমনই, খুবই হতাশার...

বৃদ্ধা মহিলা মারা গ্যাছেন জেনে অনেক ভালো লাগছে... সে বেঁচে থাকলে হয়তো তার জীবনের পরবর্তী সময়টা আরও অনেক ভয়াবহতার মধ্য দিয়ে যেত... মরে গিয়ে যেমন আমাদের সবাইকে বাঁচিয়ে দিয়ে গেলেন ঠিক তেমনি তিনিও প্রতিমুহূর্তের মৃত্যুর স্বাদ উপভোগের হাত থেকে বেঁচে গেলেন...

ওপারে শান্তিতে থাকুন তিনি এই প্রার্থনা...


আর আপনাদের মতো মানবিক বোধে জগ্রত মানুষদের স্যালুট...
শুভকামনা...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.