নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কাট ইয়োর বডি এর্কোডিং টু ইয়োর ইমেজ

শরৎ চৌধুরী

তুমি তোমার ইমেজ মতইপ্রোফাইল বানাওকি ব্লগেকি জীবনে

শরৎ চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফুল ও শেকড় বিষয়ক অর্কেষ্ট্রা

০৯ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১১:২০



ঐ শব্দকুঞ্জন, যা ছিল তোমার পায়ে পায়ে

যার ডাকনাম ছিল নুপূর

সে, বিগত বিকেলে

সন্ধ্যার আলোতে

চলে গেছে দূরে



শুনেছি গাজীপুরের জঙ্গলে পাওয়া গেছে

তাকে বহনকারীর লাশ

নিথর

উহু, হত্যা করার সুযোগ সে দেয়নি

কাউকে

এমনকি নুপূর

সেও বিস্রস্ত পোশাকে হেলেদুলে হাঁটেনি



বেশ একটা সিনেমেটিক

আবহাওয়ায়

উড়ে গিয়েছিল নুপূরের ওড়না

ভোঁ ভোঁ ভোঁ

ব্যাস এতটুকুই

এরপর সব নিশ্চুপ

কোন ধস্তাধস্তির সিন ছিল না



অনেকেই জানতো না

তবে সে সন্ধ্যার ঠিক পরের রাতটুকু ছিল

জোড়া চাঁদের

মানে যখন

সূর্য্য আর চাঁদের প্রভাব ছিল সমান

অবশেষে খাঁটি সাম্যবাদ

মানুষতো চাঁদের প্রেমের পড়ে

আর সূর্যের উপাসনা করে

মানুষ তো চির বৈষম্য বিবাগী



কিন্তু সেইসব শব্দরা যারা লুকিয়ে থাকে

অন্যসব চিৎকারের আড়ালে

অন্যসব নৈঃশব্দের আড়ালে

তারা নেকড়ের মত সেদিন

ঠিক মাইকেল জ্যাকসনের থ্রীলারের মত

ধীরে ধীরে বদলে গিয়েছিল

এরপর তাদের বড় বড় নখ দিয়ে

নপূরের বহনকারীকে

আঁচড়ে আঁচড়ে খুলে ফেলেছিল

রক্তে-গন্ধে-মাংসে

সম্পূর্ণ রঙ্গীন



কেউ এগিয়ে আসেনি

কোনো সিনেমেটিক ফ্রেমও নয়

তোমার পেলব পায়ের

কড়া-পরা পাতার নীচে

দেবে গিয়েছিল একখন্ড রূপার পাত

কারুকাজ করা

শাঁখারী বাজার থেকে শখ করে কেনা

অথচ কেউ তাকে

একবিন্দু হত্যা করেনি

অথচ কেউ

একবিন্দু অভিনয় করেনি

তবুও একটা নাটক হয়েছিল

রক্তে-গন্ধে-মাংসে

সম্পূর্ণ রঙ্গীন



এরপর মর্গ হয়েছিল

এরপর কান্না হয়েছিল

এরপর পত্রিকার কোণায়

খবরও হয়েছিল

অথচ কেউ তাকে হত্যা করেনি

সে জৈষ্ঠী পূর্ণিমার রাতে শুধু শুনতে চেয়েছিল

অর্কেষ্ট্রা

ফুল ও শেকড় বিষয়ক

রক্তে-গন্ধে-মাংসে

নুপূর রঙ্গীন।



















মন্তব্য ২৫ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১১:৩৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: বেশ বেশ!

০৯ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১১:৪৬

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: আহা অনেক থ্যাংকু থ্যাংকু।

২| ০৯ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১১:৪৬

সময়ের ডানায় বলেছেন: মানুষতো চাঁদের প্রেমের পড়ে
আর সূর্যের উপাসনা করে
মানুষ তো চির বৈষম্য বিবাগী

৩| ০৯ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১১:৪৭

সময়ের ডানায় বলেছেন: অসাধারণ কবিতা +++

০৯ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:২৪

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: অনেক শুভেচ্ছা ডানায়।

৪| ০৯ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:২৩

কাগজের নৌকা (রাসেল হোসেন) বলেছেন: কবিতা পড়তে পড়তে হারিয়ে গিয়েছিলাম

অনেক বেশি সুন্দর ভাইয়া :) +++++

০৯ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:২৫

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নৌকা। তাও ভালো আপনি আবার ফিরে এসেছেন।

৫| ০৯ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:২৫

মামুন রশিদ বলেছেন: অর্কেস্ট্রার করুণ বিষণ্ন সুর লেগে আছে পুরো কবিতার পরতে পরতে ।

০৯ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৩

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: হ্যা, এটাকে উপেক্ষা করার কোন গত্যান্তর নেই আসলে। শুভেচ্ছা অশেষ।

৬| ০৯ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:২০

শের শায়রী বলেছেন: প্রতিটা শব্দ আলাদা করে মাথায় ব্যাঞ্জনা তৈরী করছে।

তবে তাই হবার কথা কারন প্রিয় শরৎদা যে শব্দের কারিগর।

অসাধারন

১০ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১০:১১

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: অনেক অনেক শুভেচ্ছা শায়রী। আপনার ভালো পোষ্টের ধারাবাহিকতা অব্যহত থাকুক।

৭| ০৯ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


মুগ্ধ হোলাম মনে হল অর্কেস্ট্রা শুনছি +++

১০ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১০:১২

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: অনেক অনেক শুভেচ্ছা কান্ডারি। আপনার শ্রুতিময়তা বহাল থাকুক।

৮| ০৯ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৭

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:


দুর্দান্ত !!!!
পাঠে মুগ্ধ।

আপনার প্রত্যেকটি কবিতা ভিন্ন আঙ্গিকের। এত চমৎকার সব কবিতা লেখার পরেও আমি কখন দেখিনি আপনাকে কেউ কবি নামে সম্বোধন করতে। তাই প্রিয় শরৎ দা কে আমি আজকে থেকে কবি শরৎ দা নামে ডাকবো।

শুভকামনা নিরন্তর!!!!

১০ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১০:৩১

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: শুভেচ্ছা শোভন। বেশ মজার একটা প্রসঙ্গ তুললেন তাই কিছু কথা বলছি এই সুযোগে।

সম্বোধনের ইতিহাস বিষয়ে মজার অভিজ্ঞতা বলি। ব্লগের প্রথম পর্যায়ে আমার পরিচিত কবি হিসেবেই ছিল। ব্লগের বাইরে এবং সাহিত্য সার্কেলে সেই পরিচয় এখনো বহাল আছে কিছুটা। যদিও ইতোমধ্যে ফটোগ্রাফার হিসেবে সবাই চেনা ও ডাকা শুরু করল। এমনকি শিক্ষকরাও পরিচয় দেয়া শুরু করল, "এই হল শরৎ, ফটোগ্রাফার"। যদিও একাডেমিক হিসেবে কাজের পরিধি নেহায়েত কম নয়। বাংলা ব্লগ নিয়ে বাংলাদেশের প্রথম দিককার আন্র্তজাতিক পর্যায়ের গবেষণা শেষ করেছি ৫ই ফেব্রুয়ারি সংঘটিত হবার ৬ মাস আগেই। সেটা এখনো নানানভাবে রেফার্ড হচ্ছে। মজার বিষয় হল নৃবিজ্ঞানী হিসেবে পরিচয়টা আবার এর মধ্যে কেমন যেন গৌণ হয়ে উঠল। মানে ব্লগার ও সোশ্যাল মিডিয়া এনালিস্ট এবার বেশ প্রাধান্য পেতে থাকলো। আমার আগ্রহের কোন বিষয় কিন্তু আমি কখনো ছেড়ে দেইনি।

ফলে সময়, মনোযোগ এবং চারপাশের মানুষজনের পরিবর্তনের সাথে সাথে নানানভাবে নানান পরিচয় মুখ্য হয়ে উঠেছে। ফলে পরিচয়ের বহুমাত্রিক সংকট ও সম্ভাবনার মধ্য দিয়েই আমার অভিযাত্রা। হাহাহাহাহাহা। ভিস্যুয়াল এন্থ্রোপলজি পড়াচ্ছি প্রায় ছ মাস যাবৎ, ফলে শিক্ষক পরিচয়টা আবার সামনে আসছে। আমি সম্ভবত নিজেই এই পরিচয় পালাবদলের কারণ। সেইসাথে আরেকটা নুক্তা যুক্ত করি, শরৎ চৌধুরী ও মঈন জালাল চৌধুরী একই ব্যক্তি হওয়ায় আমি ধর্ম পরিচয় থেকে অবস্থান পরিচয় বিষয়ক নানান কিছুর মুখোমুখি হই। হাহাহাহাহা।

আপনি আমাকে কবি শরৎ হিসেবে ডেকে পরিচয়ের আরেকটি মাত্রা যুক্ত করবেন নিঃসন্দেহে। এজন্য অশেষ শুভেচ্ছা।

কিন্তু এসব থেকে একটা নিগুঢ় শিক্ষা আছে, এক মানুষই বহুমাত্রিক। আসলে সব মানুষই বহুমাত্রিক।

৯| ০৯ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:৩০

হাসান মাহবুব বলেছেন: কবিতার বিষয়বস্তু নিষ্ঠুর কিন্তু প্রকাশে এক অদ্ভুত কোমল ঝংকার।

১০ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১০:৩৩

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: হাসান কি চমৎকার পাঠ। একজন লেখকই কেবল এত সহজে কথার সুর ও অর্থের এমন ডাইসেক্শন করতে পারে। শুভেচ্ছা অশেষ।

১০| ০৯ ই জুন, ২০১৪ রাত ৯:৪৩

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: আপনার কবিতা কথা বলে ~! বেশ সাবলীল এবং জোড়ালো ভাবেই বলে !

১০ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১০:৪২

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ অভি, অশেষ শুভেচ্ছা।

১১| ১১ ই জুন, ২০১৪ রাত ১:৩৭

রোমেন রুমি বলেছেন:
শব্দের শক্তি :)

১৫ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:০৮

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: অশেষ শুভেচ্ছা রুমি।

১২| ১২ ই জুন, ২০১৪ রাত ১:২৫

সাদরিল বলেছেন: কবিতার সাথে সংযোজিত ছবিটা দারুন হয়েছে। ঐ ছবি দেখেই কি কবিতা লেখা নাকি কবিতা লিখে ছবি বসিয়ে নিয়েছেন?

শুনেছি গাজীপুরের জঙ্গলে পাওয়া গেছে
তাকে বহনকারীর লাশ

এই দুই লাইনের সাথে ছবিতে থাকা জফুলগুলর কি কোন মিল আছে???

১৫ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:১৩

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: সাদরিল, আপনার পূর্বানুমানের বরাত দিয়েই বলছি, কবিতাটা আগে লেখা হয়েছে। আর কবিতার সাপেক্ষে কোন ছবি দেবো যখন ভাবছি, তখনি গুগল থেকে পাওয়া গেলো ছবিটা। ছবি আর কবিতার সামঞ্জস্যতার জন্য নিজেকে এই ফাঁকে একটু বাহবা দিতেই পারি। বিশেষ করে আপনার কমেন্টের পর হাহাহাহা।

"শুনেছি গাজীপুরের জঙ্গলে পাওয়া গেছে
তাকে বহনকারীর লাশ" এই দুইয়ের সাথে ফুলগুলোর কোন সরাসরি সংযোগ নেই আসলে। কেননা সৎভাবে বলতে গেলে আমার মাথায় গাজীপুরের জাতীয় উদ্যানের ভোর বেলার একটা স্মৃতিই চিত্রকল্প হিসেবে ঘুরপাক খাচ্ছিল। শুভেচ্ছা অশেষ।

১৩| ১২ ই জুন, ২০১৪ রাত ৮:০৮

ঢাকাবাসী বলেছেন: চমৎকার শব্দচয়নে সুন্দর কবিতা।

১৫ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:১৪

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ঢাকাবাসী। শুভেচ্ছা জানবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.