নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কাট ইয়োর বডি এর্কোডিং টু ইয়োর ইমেজ

শরৎ চৌধুরী

তুমি তোমার ইমেজ মতইপ্রোফাইল বানাওকি ব্লগেকি জীবনে

শরৎ চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বার্লিনের ডায়েরি ১, ১৭ ঘন্টা ফ্লাইট, প্রথম ডিনার, বুন্ডেসটাগ

১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৩

“এক্সকিউজ মি স্যার, ইউ নিড টু সুইচ অফ দ্যা ফোন।“, কিছুক্ষণ বিরতি, আবার “প্লিজ সুইচ অফ। সুইচ ইট অফ নাও”। টার্কিশ ফ্লাইট এটেনডেন্ট ধারাবাহিকভাবে বেশ কয়েকবার করে বলে যাচ্ছে সামনের সিটে বসা ভদ্রলোককে। আর ভদ্রলোকও বাক স্বাধীনতার মৌলিক অধিকারকে তার সর্বোচ্চ সীমা পর্যন্ত ব্যবহার করে চলেছেন, “হ হ প্লেন ছাইড়া দিসে, না না এখনো উঠে নাই, তুই রাসেলরে কইস বাসায় বাজার দিয়া যাইতে”। টার্কিশ ফ্লাইট এটেনডেন্ট তখনো এসে সেই ভদ্রলোককে মনে করিয়ে দিচ্ছে এবং তার নায়ক সুলভ চেহারা মোবারক ক্রমশ লাল হতে হতে টমেটোর আকার ধারণ করেছে প্রায়। স্যার স্যার বলে কাউরে থামানো বিশেষত বাঙালীকে, যে একটি বিশেষ পরিশ্রমের বিষয় তা তার আর্ন্তজাতিক এটিকেট হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারছে। তো সেই ভদ্রলোক অবশেষে থামলেন, অবশ্য ঠিক তখনি যখন স্থানীয় মোবাইল নেটওয়ার্কের সীমানা প্রায় শেষ। এদিকে ফ্লাইট এটেনডেন্টও তার ধৈর্য্যের পরীক্ষা দিতে দিতে ক্লান্ত প্রায়। আমি বুঝলাম, সামনের সাড়ে সাত ঘন্টা এই দুজনে একটা ইন্টারেস্টিং দ্বৈরথ হবে। আমার অনুমান ভুল ছিল না। সামনের ভিস্যুয়াল ডিভাইসটি নষ্ট, মুভি দেখা, গান শোনার ব্যবস্থা বিপর্যস্ত। বিনোদনের জন্য উপায়ন্তর না দেখে আমিও গ্যালারীতে বসলাম।



জর্মন সরকারের ভিজিটর প্রোগ্রামে আমন্ত্রিত হয়ে, বার্লিন যাচ্ছি। ৩রা অগাস্ট থেকে ৯ই আগস্ট প্রোগ্রাম। প্রোগ্রামের শিরোনাম “ব্লার্গরস জার্নি”। কনফারেন্সের থিম, “সাইবার পলিসি”।

আমাদের ভ্রমণের অফিসিয়াল বয়ান



এখানে কৃতজ্ঞতা স্বীকারের একটা জরুরৎ আছে। এই প্রোগ্রামে আমাকে রেকোমেন্ড করেছেন আরেক বাঙালী। ফলে প্রচলিত যে কথা আছে, “এক বাঙালী যে আরেক বাঙালীর জন্য সুযোগ তৈরি করেন না” এই কথাটা তিনি অনেকাংশে লাঘব করেছেন। তার প্রতি আবারো কৃতজ্ঞতা। আমার সঙ্গী তৃষিয়া নাস্থারান। তিনি সচলায়তনের ব্লগার। যোগ্য মানুষ হিসেবেই দলে আছেন। পনেরোটা দেশের ব্লগারদের মধ্যে দুজন বাঙালী প্রতিনিধি, খারাপ না বিষয়টা। আরো বেশি হলে আরো ভালো।



তো ৩রা আগস্ট এর ভোর ছটা দশের ফ্লাইট ধরতে আমাকে বেশ বেগ পেতে হয়েছিল। ফ্লাইটের ঠিক তিনদিন আগে থেকে জ্বর-কাশি-সর্দি। ইবোলা ভাইরাসের আতংকে ওয়ার্ল্ড হেলথ এর মত আমিও আতংকিত। মানে ইবোলায় যতটা না নয় তারচেয়ে অনেক বেশি জর্মনে ঠিকঠাক পৌছাতে পারবো কিনা সেটা নিয়ে। মা-বাবা-বোন সারারাত ধরে সেবা করে আক্ষরিক অর্থেই বিছানা থেকে দাঁড় করিয়ে দিলেন। চেক ইনের সময় আমি তখনো টলছি। তবে যাবার পথে সিট পাল্টে উইন্ডোতে দুটো সিট পেয়ে গেলাম। ফলে সামনের সিটের চলমান নাটক (মানে সেই ভদ্রলোক এবং টার্কিশ এটেনডেন্ট এর) দেখাটা সহজ হয়েছিল। এই যেমন কিছুক্ষণ পরপর সেই ভদ্রলোক বলছে স্প্রাইট চাই, এটেনডেন্ট বলছে নাই। সে আরো রেগে যেয়ে বলছে তাহলে ওয়াইন চাই। এটেনডেন্ট বলে কোনটা চাও, সে বলে রেড ওয়াইন। আর এডেনডেন্ট বলে হোয়াইট আছে। সে এক কাহীনি। আমি জানালা দিয়ে আকাশ দেখি, মেঘ দেখি। মাঝে মাঝে ছবি তুলি, আবার জ্বরে মটকা মেরে পড়ে থাকি। ইস্তানবুলে চার ঘন্টার ট্রানজিট। একটু ঘোরাঘুরি, একটু কেনাকাটা এভাবে মোটামুটি টলতে টলতে ফাইনাল চেক ইন করে যখন বার্লিনের টেজেল এয়ারপোর্টে পৌছলাম তখন সর্বমোট সতের ঘন্টার জার্নি শেষ করে ফেলেছি।



ইস্তানবুলে নামার আগে।



ইমিগ্রেশন পার হয়ে দেখি মাথা ন্যাড়া, গান্ধী স্টাইলের চশমা পড়া এক ভদ্রলোক চৌধুরী আর ত্রিষিয়া নামের প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাঁড়িয়ে। ইনি মি. সেবাস্টিয়ান।



খুব কি ভুল বর্ননা করেছি?

আমাদের ভিজিটের সবচেয়ে কর্মব্যস্ত ব্যক্তি। সারাদিন ধরে গেস্টদের রিসিভ করা আর হোটেলে পাঠানোর কাজের মধ্যেই আছেন। এমনিতেই ফ্লাইট দেরী করেছে, তার উপর জ্বর এবং মড়ার উপর খাড়ার ঘাঁ হিসেবে ঠিক রাত আটটায় প্রথম অফিসিয়াল ডিনার। এয়ারপোর্ট থেকে মার্সিডিজ বেঞ্জের ক্যাবে করে যখন হোটেল এ পৌছলাম তখনো দিনের আলো থাকলেও, ঘড়িতে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭ টা ৪৫। মানে হোটেলে চেকইন করে একটু সভ্যভব্য হয়ে নীচে নামার সময় মাত্র মিনিট পনেরো। এদিকে সেবাস্টিয়ান খুব চমৎকার করে জানিয়ে দিল, “ইউ মাস্ট বি ভেরি টায়ার্ড, সো উই আর মিটিং এ্যাট এইট, এভরিবডি ইজ ওয়েটিং”। মুখ দিয়ে “কিছু একটা” বেরিয়ে যাচ্ছিল প্রায়। নিজেকে সংযত করে চিবানো হাসি দিয়ে বললাম, “শিওর”। দেশের মান ইজ্জত বলে কথা।



ডিনারে পরিচয় হল বাকীদের সাথে। তবে সবারে আগে কথা হল জিয়াদের সাথে। আগ্রহটা আমারই বেশি। জিয়াদ প্যালেস্টাইনি। প্যালেস্টাইন নিয়ে এদেশের মানুষের উদ্বেগ, দুঃশ্চিন্তা, প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের কথা জানালাম তাকে। মৃত শিশুদের মুখগুলো মনে করে ডিনারের পরিবেশ আমাদের অজান্তেই ভারী হয়ে উঠল। সমবেদনা জানানোর ভাষা খুঁজে পেলাম না। কি এক নিষ্ঠুর এবং একচোখা বিশ্বে আমাদের বসবাস।



ডিনার শেষ করে পরিচয় হল শ্রীলঙ্কান দিনিদুর সাথে। বিড়ি কিনতে গিয়ে জানা গেল তার ইন্টারন্যাশনাল ক্রেডিট কার্ড ঠিক কাজ করছে না। তাই সাড়ে সাত ইউরো ধার দিতে হল। ডিনারেই কথা হল ড. ওডিলা ট্রিবেলের সাথে। তিনি এই আর্ন্তজাতিক ডায়ালোগের মুল পরিকল্পনাকারী। পুরোই ডাক সাইটে নারী। ভীষণ এনার্জেটিক এবং কড়া। পরিচয় হল আমাদের ট্রান্সলেটরের সাথেও। বিনাকা এবং মার্গারেট। সেবাস্টিয়ানের কাছে জানা গেল আগামীকাল আমাদের সবচেয়ে টাইট শিডিউল এবং সবচেয়ে ফর্মালও বটে। সকাল আটটায় লবিতে মিলিত হচ্ছি সবাই ।



আমার রুম থেকে সকালের বার্লিন



বুন্দেসটাগ বা জার্মান গণতন্ত্রের কেন্দ্রে



৪ঠা আগস্ট সকাল সাড়ে আটটা। গলায় গরুর দড়ির মত ট্রান্সলেটর যন্ত্র, কাঁধে ব্যাগ, হাতে সারাদিনের টাইট শিডিউল এবং পুরোই ফর্মাল গেটআপ। মনে করিয়ে দেয়া ভালো যে গতরাতে ঘুমাতে গিয়েছি ভোর সাড়ে চারটায়। বিছানা আরামদায়ক হলেও ম্যাট্রেস তিনতলা উঁচু হবার কারণে কেবলই মনে হচ্ছিল গড়িয়ে পড়ছি কোথাও। এদিকে বীর বাঙালী হয়ে জর্মন ফর্মাল ডিনার শেষ করলেও বুকে জমাট বাঁধা কফ এমনভাবে জেঁকে ধরেছে যে “হাসিলেও কাশিতেছি, এমনকি স্মিত করিয়া একটুখানি মুখ ব্যাকাইলেও”। পিঠের পিছন থেকে এক অদৃশ্য হাত প্রবল আক্রোশে বিপরীত দিকের অংশে অপর এক অদৃশ্য হাতের সাথে প্রবল পাঞ্জায় লিপ্ত, মাঝখানে আমার ফুসফুস তো যায় যায়। এমতাবস্থায় বাঙালী মহা ঔষুধ “সরিষার তেল ডলিবার” কাউকে না পেয়ে মন বড়ই বিক্ষিপ্ত। যাই হোক কয়েক স্তরের সিকিউরিটি চেক শেষ করিয়া অবশেষে বুন্দেসটাগে প্রবেশের অনুমতি মিলল। আমাদের টিমটা একেবারে ছোট নয়। আমাদের ম্যানেজ করাও সহজ নয়। বাকীটা না হয় ছবিতেই দেখে নেয়া যাক।



জার্মান পার্লামেন্ট



জার্মান পার্লামেন্টের সামনে আমি



রাইখস্ট্যাগ নামে পরিচিত এই বিল্ডিং এর কার্যক্রম শুরু হয় ১৮৯৪ থেকে মানে জার্মান এম্পায়ের উত্থানের সাথে। এবং ১৯৩৩ এ পুড়ে যায় এবং পরিবর্তিতে পুন:নির্মিত হয়। আমরা জানলাম যে এই পুন:নির্মাণে ৫০টি দেশের আর্কিটেক্ট এর কাছ থেকে ডিজাইন চাওয়া হয় এবং শেষমেষ ডোম এর ডিজাইনটি জয়ী হয়।



পার্লামেন্টের ভিরতটা স্বচ্ছ কাঁচের তৈরি এবং থিমটা হল গণতন্ত্রের স্বচ্ছতা।



আরেকটি খুব ইন্টারেস্টিং বিষয় হল, আর্কিটেকচারেই দেখানো হয়েছে যে এখানে পার্লামেন্টিরিয়ানরা জনগণের নীচে। তাই তাই জনগণের বসার জায়গা উপরে এবং সংসদ সদস্যদের নীচে। চেয়ারের রং ও মিডিয়াবান্ধব। মানে ব্রডকাস্ট মিডিয়া।



আমাদের ইতিহাস এবং আর্কিটেকচার বোঝাচ্ছেন গাইড। মডার্ন আর্ট সম্মৃদ্ধ বিল্ডিং।



পার্লামেন্ট বিল্ডিং এর নীচে। ছোট্ট করে একটা রুম। অনেকটা গির্জার মত। সামনে বেদী, তেমনি সাথেই লাগোয়া ছোট রুম এ জায়নামাজ। ফলে সংসদ সদস্যরা যারযার মনে করে প্রার্থনা করতে পারেন।



এরপর আমরা নেমে গেলাম নীচে, দুই তলা নীচে দেখা মিলল পুরোনো রাইখস্টাগের স্মৃতিচিহ্ন।





বেশ একটা যাদুঘরই বানিয়ে রেখেছে তারা। সেইসাথে পুরোনো সিটিং এ্যারেঞ্জমেন্ট, এস্কেপরুটের ধংসাবশেষ। পুড়ে যাওয়া রাইখস্ট্যাগ।



আরেকট খুব ইন্টারেস্টিং অংশ হল, রাইখস্ট্যাগের ভেতরের দেয়াল যা পুন:সংরক্ষিত হয়েছে। বিশেষ করে ২য় বিশ্বযুদ্ধর পর। খেয়াল করে দেখবেন রাশিয়ান ভাষা, ১৯৪৫ সন। স্পষ্ট বোঝা যায়।





সংসদ সদস্য এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের স্মৃতিতে তৈরি আরেকটি আর্ট ওয়ার্ক। যা মনে হবে জংধরা ছোট বাক্সের (জুতার বাক্সের মত) দেয়াল। আসলে দারুণ একটা মডার্ণ আর্ট।



মাটির নীচ থেকে এবার আমরা চলে যাচ্ছি উপরে। একদম পার্লামেন্টের ছাদ থেকে দেখবো বার্লিন এবং সেই বিখ্যাত কাঁচের ডোম।



ডোমটা এমনভাবে তৈরি যে কাঁচের জানালা দিয়ে বাতাস ক্রমশ নীচের দিকে যায়। ফলে পুরো বিল্ডিং এ একটা বাতাস প্রবাহ বহাল থাকে। অন্যদিকে এটা স্বচ্ছতা ও পরিবেশের প্রতি কমিটমেন্টেরও প্রতীক। পুরোনো বিল্ডিং এর রোমান আর্কিটেকচারও দেখতে পাবো আমরা। খেয়াল করে দেখবেন বার্লিনে কোন স্কাই স্ক্র্যাপার নেই। এটা ইচ্ছাকৃত।



পার্লামেন্ট দর্শনের পর্ব শেষ করে আমরা চলে যাবো খুব গুরুত্বপূর্ণ মিটিং এ। আমাদের দেশের সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য এই মিটিং গুলো ছিল ভীষণ শিক্ষনীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ। ফিরে আসছি পরবর্তী পর্বে।

মন্তব্য ৪৫ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৪৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:০১

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: সুন্দর ভ্রমন পোস্ট , ছবিগুলুও অসাধারন ।।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:২৪

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা ।

২| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:০৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


আমাদের দেশের পার্লামেন্ট এমন কাঁচ দিয়ে নতুন ভাবে তৈরি করা উচিত।

পোস্টে ভাল লাগা রইল ++++++

আরও ছবি দিয়েন ভাইয়া। ছবিতে মন ভরে নাই।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:২৫

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কান্ডারি। অশেষ শুভেচ্ছা। ছবির সাথে সাথে মিটিং এর নির্যাসও থাকবে। সেগুলো আমাদের ব্লগার পলিসি মেকারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

৩| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:১৮

মামুন রশিদ বলেছেন: ভূমিকা আর প্রথম ছবিটা দেখে ফিদা !

সরেস বর্ণনায় ছবিগুলো আরও প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে । প্রাউড অব ইউ, বাংলা ব্লগার :)

১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:২৮

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: অশেষ কৃতজ্ঞতা মামুন। দয়া করে সাথে থাকুন। মিটিং এর নির্যাস নিয়ে আলোচনা এবং তর্কটা তৈরি করা দরকার। সেটা ব্লগার পলিসি মেকার সবার জন্যই খুব গুরুত্বপূর্ণ।

৪| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:২৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


আগের মন্তব্য ফিরিয়ে নিতেছি। ছবি দেখে এবার পুরোপুরি মন ভরে গেছে।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:২৯

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: হাহাহাহাহা এবার টেক্সটও পড়া শুরু করেন।

৫| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৩৬

ইমিনা বলেছেন: অনেক ইচ্ছা ছিল আপনার বার্লিনের সামগ্রিক ভ্রমন কাহিনী জানার। সেই ইচ্ছাটুকু পূরণ হলো। সে জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ
:) :) :)

ছবি আর বর্ণনা অসাধারন হয়েছে। শুভকামনা সব সময় ।।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৩৮

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: ইমিনা অনেক শুভেচ্ছা ভ্রমণ কাহীনি মাত্র শুরু হল। দয়া করে সাথে থাকুন।

৬| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৪২

ইমিনা বলেছেন: তাই? তাহলে তো দারুন হবে। আপনার বর্ণনা আর পোস্ট করা ছবিতেই আমারও বার্লিন ভ্রমণ হয়ে যাবে :)

১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:০৭

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: আরে বাহ! এমন পাঠকই তো খুঁজছিলাম।

৭| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:০৯

খাটাস বলেছেন: অসাধারণ লাগল। বাসি অভিনন্দন।
তবে প্রথম দুই টা ছবি ছাড়া আপনার হাতের কারিশমা চোখে পড়ে নি।
পরের বারের অপেক্ষায় থাকলাম। +++++

১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:১৭

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: খাটাস অনেক শুভেচ্ছা। আমার তো মূল ভূমিকা ছিল, সোশ্যাল মিডিয়া এনালিস্ট এর। তাই ছবি তোলার মূল ধরণ ডকুমেন্টেশন বড়জোর। আর বাংলাদেশকে রিপ্রেজেন্ট করা অন্যতম প্রধান লক্ষ। আমাদের সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ তর্ক এবং আলোচনা হয়েছে জার্মানীতে, সেসবের জন্য সাথে থাকুন।

৮| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:৫২

ডি মুন বলেছেন: দারুণ সব ছবি আর সেই সাথে বর্ননাও ভালো লাগলো। ++++


অ টঃ আপনার ঠাণ্ডা-কাশি কি সেরেছে? সুস্থ হয়েছেন?

যাহোক, পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:৫৯

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: অনেক অনেক শুভেচ্ছা ডি মুন। ঠান্ডা কাশি খানিকটা সহনীয় হয়েছে মাত্র এখনো পুরোপুরি সারেনি। সাথে থাকুন।

৯| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৭

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: শুভেচ্ছা শরৎ দা !
ছবি আর বর্ণনা অসাধারণ !

১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:০০

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: অনেক অনেক শুভেচ্ছা অভি। অনেক ধন্যবাদ, সাথে থাকো।

১০| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:০০

মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: আরো একটা চমৎকার ভ্রমণ লগ শরৎ দা ....

সাবলীল প্রাঞ্জল বর্ণনা, ঝকঝকে ছবিতে ঠাসা নান্দনিক জায়গাগুলো যেন বার্লিন যাবার পুরোনো ইচ্ছাটা আবারো চাগিয়ে তুললো ভেতর থেকে .....

আর সর্বোপরি আপনার মনোজ্ঞ উপস্থাপনায় আরো একটা পূর্ণ থেকে পূর্ণাঙ্গ ভ্রমণ লগ ...

কিছু ছবি ফেসবুকেই দেখেছিলাম .. আমিতো প্রথমটায় বুঝতেই পারিনি আপনি বার্লিন চলে গেছেন ... ব্লগে না পেয়ে লাগাতার মেসেজ করে যাচ্ছিলাম B-)

প্রিয় ভ্রমণ লগে ৫ম ভালোলাগা ... (+++)

১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:০১

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: অনেক অনেক শুভেচ্ছা নাসিফ। আপনার কমেন্ট খুব উৎসাহ জাগানীয়া। বার্লিনের যাত্রাটা খুবই ফলপ্রসূ হয়েছে। সাথে থাকুন।

১১| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:০১

বোকামানুষ বলেছেন: আমি বুঝলাম, সামনের সাড়ে সাত ঘন্টা এই দুজনে একটা ইন্টারেস্টিং দ্বৈরথ হবে। আমার অনুমান ভুল ছিল না। সামনের ভিস্যুয়াল ডিভাইসটি নষ্ট, মুভি দেখা, গান শোনার ব্যবস্থা বিপর্যস্ত। বিনোদনের জন্য উপায়ন্তর না দেখে আমিও গ্যালারীতে বসলাম। :)

ভাল লাগছে পড়তে পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায়

১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:০৪

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: অনেক অনেক শুভেচ্ছা আর ধন্যবাদ। এই না হলে সত্যিকারের পাঠক। সাথে থাকুন।

১২| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:০৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: শুধু চমৎকার ভ্রমন কাহিনীই নয়, এক গুচ্ছ চমৎকার ছবিও। অনেক কিছু জানা হলো, দেখাও হলো।

ধন্যবাদ, অন্যমনস্ক শরৎ।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:০৫

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: অাপনাকেও অশেষ শুভেচ্ছা আর কৃতজ্ঞতা আশরাফুল, মনোযোগী পাঠক হিসেবে সাথে থাকার জন্য। সামনেও সাথে থাকুন।

১৩| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:১৫

আজাইরা পেচাল বলেছেন: চমৎকার লেখা!

১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:০৬

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: অনেক অনেক শুভেচ্ছা, পরবর্তী পর্বেও সাথে থাকুন।

১৪| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:০১

ক্যপ্রিসিয়াস বলেছেন: চমৎকার বর্ননা আর সব ছবি। পরের পর্বের আশায় রইলাম। ধন্যবাদ

১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:০৬

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ক্যপ্রিসিয়াস। সাথে থাকুন।

১৫| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:১৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ভাইয়া আরেকবার পড়ে গেলাম :) :) :)

১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:২৩

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কান্ডারি। শুভেচ্ছা অশেষ।

১৬| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৪৯

সোহানী বলেছেন: দারুন শরৎ দা। আমার ও খুব ভালো লেগেছিল ওদের তৈরী বিল্ডিং স্ট্রাকচার, বিশেষ করে পার্লামেন্ট ভবন ও যাদুঘর।

চমৎকার লিখা ও ছবির জন্য আবারো ধন্যবাদ। ভালো লাগা সহ +++++

১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৫৫

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: অনেক অনেক শুভেচ্ছা সোহানী, কৃতজ্ঞতা অশেষ। সাথে থাকুন পরবর্তী পর্বের জন্য।

১৭| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৪১

জাফরুল মবীন বলেছেন: ভ্রমণ বৃত্তান্ত সরস হলে যে সেটা কতটা সুখপাঠ্য হতে পারে এবং বর্ণনার সাথে মানানসই ছবি সমৃদ্ধ হলে সেটা যে কতটা জীবন্ত হয়ে উঠতে পারে তা আপনার ভ্রমন কাহিনী পড়ে বার বার মনে হচ্ছে।আমিও কান্ডারির মত মুগ্ধমনে বার কয়েক পড়েই মন্তব্য লিখছি।

এখানে যেমন ভ্রমণ কাহিনীর আনন্দ পেলাম;আমি তীব্রভাবে আশা করি পরবর্তী পর্বে অনেক কিছু শেখার আনন্দে অবগাহিত হবো।

আমাদের সাথে এসব কিছু শেয়ার করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।ভাল থাকবেন।সাথে আছি শেষ পর্যন্ত....

১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:৩২

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা মবীন। আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক খুশি হলাম। পরবর্তী পর্বে ছবির সংখ্যা কম হবে তবে জরুরী কিছু আলোচনা আসবে নিশ্চিত। সাথে থাকুন।

১৮| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:০০

জনাব মাহাবুব বলেছেন: দারুন সব ছবি, সাথে সুন্দর বর্ণনা B-) B-) B-)

ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম +++++++++++

১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:২০

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: অশেষ শুভেচ্ছা মাহাবুব। সাথে থাকুন।

১৯| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৯

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: একটা ভ্রমণ কাহিনী যেমনটি হলে তা উপভোগ্য হয়ে ওঠে তার সকল গুনাগুন আছে পোষ্ট। অনেক ভালোলাগা রইল।

বাংলাদেশের ব্লগারদের প্রতিনিধি হয়ে বার্লিন ব্লগার্স জার্নি কনফারেন্সে গেছেন সেজন্য আপনাকে অভিনন্দন। এ বিষয়ে আরো ডিটেইলস জানতে চাই।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫১

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: প্রিয় মৃদুল অশেষ শুভেচ্ছা আর কৃতজ্ঞতা। সাথে থাকার জন্য অশেষ ধন্যবাদ, দেখুন পরের পর্ব : বার্লিনের ডায়েরি ২, বিদেশে বাংলাদেশ এবং মিটিং মিনিটস (ছবি কম কথা বেশি)

২০| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:২৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনার এই পোষ্টের জন্য অনেক আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছিলাম। ভ্রমনের কাহিনী তো অবশ্যই জানার ইচ্ছে ছিল পাশাপাশি যে ডায়লগে অংশগ্রহন করেছিলেন স্টেকহোল্ডার প্রেক্ষাপট থেকে তার ব্যাপারে জানার ভীষন আগ্রহ তৈরী হয়েছিল।

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ যে প্রচুর ব্যস্ত থাকা স্বত্তেও আপনার অভিজ্ঞতা আমাদের সামনে শেয়ার করেছেন!

১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৩৩

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: প্রিয় কাভা তোমার অংশগ্রহণ, পোষ্টটাকে সম্মৃদ্ধ করলো অনেক। ২য় পোষ্টে দেখবে, ডায়ালগের একটি নিবিড় এবং সূক্ষ পরিক্রমা। এই যে লিংক: Click This Link
শুভেচ্ছা অশেষ।

২১| ২২ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩১

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ১ম কিস্তিতো ভালোই লাগলো,আমরাও ভার্চুয়াল জার্মান ভ্রমণ শুরু করলাম। সামনে দেখি কি কি আছে… :)

২৪ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:২৮

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: বাহ! বেশ তো। সাথে থাকুন। যেমন আছেন।

২২| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৪ ভোর ৪:৫৩

আরমিন বলেছেন: ছবিগুলো ভালো লাগলো, বর্ণনাও ভাল লাগছে!
++++

২৪ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৩১

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছা আরমিন। আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। সাথে থাকুন।

২৩| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:৫৩

মূহুর্ত বলেছেন: এতো সুন্দর কেরে !!!!!!! :-B :-B :-B

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.