নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঐ যে, কি যেন ছিল দিনটা
ঘুম থেকে উঠে
শুনতে পাওয়া দূরে মানুষের হইচই
শহরের কেন্দ্রে, কিসের যেন উৎসব কেঁপে ওঠে বুকটা
বাহাদুর বাজারে রিকশা আর মানুষের মিছিল
বাঁধানো একটা ছবি, গলায় জুতার মালা
গগন বিদারী চিৎকার, আকাশে ছোঁড়া ঢিল
আরো দূর, দূর এক রাজধানীতে পতন হয়েছে এক রাজার
সে এক ভীষণ স্বৈরাচার
গুলি করেছিল এক খোলা পিঠের কালো মানুষ
নূর হোসেন, কি ছিল দরকার
বিজয়ের পর সাদা সাদা শাড়ী-পাঞ্জাবীতে কোলাকুলি
তারা মিষ্টি মিষ্টি হাসেন
টেলিভিশন, বিটিভি
পত্রিকায় রক্তাক্ত জ্বলজ্বল
আরো এক শহীদ ডাক্তার মিলন
তখনো জিলা স্কুল অনেক দূরে
সকালের কাগজ বারোটায় ঢোকে শহরে
আট আনায় চা আর বেয়াল্লিশ টাকা কেজি গুরুর মাংস
বড়দের আহ্লাদে জীবনের অর্ধেক ধংস
তখন জাহানার ইমাম দূরে, স্মৃতি বইয়ের লেখিকা
কেমন একটা কাঁদো কাঁদো মা মা
থমকে যাওয়া খানিকটা
স্যাটেলাইট, নতুন চ্যানেল
শহরের চোলাচালানকারীর ছাদেই প্রথমবার
কালো তারের সে এক বিরাট কারবার
ডিডি ওয়ান, মেট্রোর পরে আরো চ্যানেল ছয়টা
ছাদে ছাদে জমা হল ওল্টানো কালো ডিশ
গুনে শেষ করা যায় না কয়টা
ভিডিও দোকানে দশ টাকায় ভাড়া পাওয়া
চোলি কা পিছে ক্যায়া হ্যায়
ফুনাই ভিসিপি, সনি ভিসিআর
আর যারা রিকশাওয়ালার কালো পিঠ দেখতে দেখতে
লোকসভায় যায়, মঞ্চটঞ্চ, আবৃত্তি টাবৃত্তি করে
তাদের কারো কারো কাছে ওয়াকম্যান
ম্যাডোনা, মাইকেল জ্যাকসন, জেমস, এলআরবি ঘুরে
তারা আবার একশত চল্লিশ টাকায় মুক্তির গানের ফ্যান
ঐখানে তারা আরো শিল্পীদের উত্তেজনা কষ্ট জানে
খুব কষ্টের সেই স্মৃতি খুব করে তাদের টানে
চোখ বুজলেই চারুকলায়, নাট্যকলায় ভর্তির স্বপ্ন
আজিজ মার্কেট, লিটল ম্যাগ
কবিতা লেখার যত্ন
নিয়ম করে শহীদ মিনারে দেয়া ফুল
আর তিনটাকার ঝালমুড়িতে
পাঁচ টাকার পিঁয়াজ মরিচ দাবী করে হুলুস্থুল
টিডিকে ক্যাসেটে বারোটা বাছাই করা গান
প্রেম নিবেদন করে
একটা চুমুর জন্য দুইমাস অপেক্ষা
তুত বাগানে স্বপ্নের খানখান
চটি পড়ে, বিডিআর এ সিনেমা দেখতে যাওয়া
কাজের মেয়ের দিকে লোলুপ দৃষ্টি দেয়া
সেইসব কাজের মেয়ে, কোন এক মাঝি আর কষ্টের গল্প
তারা সিরিয়াস সাহিত্যে পড়ে
উত্তেজিত হয় অনেক, নিবেদিত হয় অল্প
সেই বিনীত কাজের মেয়েরা
তাদের ভেজাস্বপ্নে আসে
বুকে নিয়ে সমাজ বদল
ইলিয়াস আর মানিক ভাসে
উফ! বই বই সংস্কৃতি সংস্কৃতি
হুমায়ুন আর ইকবাল, মিলন আর গুণ
খেলারাম খেলে যা, বেড়ে ওঠার ঘূণ
সে এক সাংস্কৃতিক, বিরাট হইচই
চায়ের কাপে ধর্ম বিজ্ঞানের খই
সনি পেরিয়ে আরো এক সংস্কৃতির শুরু
সাতানব্বই
ক্রিকেটে খোঁজা হিরু
তারপর সবকিছু ভেঙ্গে পড়ে
অনাধুনিক ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল
অনাধুনিক মানুষের দল পালে পাল
অনাধুনিক কবিদের দলে ভরে যাওয়া রাঢ়িখাল
রহমান আর ছফা সব দফারফা
আল মাহমুদ
উফ বিরাট অ-সাংস্কৃতিক
আর রবীন্দ্রনাথ
বিরাটতম
বিরাটের সাথে বিরাটের মারামারি
ইন্ডাস্ট্রীতে কম্পিটিশন
রাজাকারের গাড়ীতে দেশের পতাকা
রক্ত জমেছে সংস্কৃতিতে
সবকিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে
কিছু একটা করতে হবে
করতে হবে তাড়াতাড়ি
স্মৃতিবাজদের ঘুম নেই
দেশ জুড়ে অপ-সংস্কৃতি মাতম
আর তখনি আলোর উদয়
আর আসে আই
কেটে যায় অন্ধকার
আলোর কাটতি বাড়ে
সংস্কৃতি কোথা পাই
আর এনজিও হাসে, ইন্ডাস্ট্রী হাসে
নোবেল প্রাইজ হাসে
ম্যাগসেসেও হাসে
পাবলিক হাসে
প্রাইভেটও হাসে
জলপাইও হাসে
এরশাদও হাসে
ব্লগও হাসে
ফেইসবুকও হাসে
অনেক লড়াইয়ের পর সংস্কৃতি এল ফিরে
স্মৃতিতে অম্লান সবার ঘরে ঘরে
ঐ যে ঐ দিনটা
যে দিনটা ভুলায়া দিসিলো যে হাওয়া
ঐ যে ঐ রাতটা যে রাতটা ভুলায়া দিসিলো
ভবন
জগতের বোঝাপড়া মগবাজারে হোত যখন
স্মৃতিবাজরা নিয়া আসে ঐ দিন
স্মৃতিবাজরা নিয়া আসে তখন
আর পাবলিক হাসে
আর প্রাইভেট হাসে
আর স্মৃতিবাজরা আসে
আর স্মৃতি ইন্ডাস্ট্রী হাসে
ঐ যে, কি যেন ছিল দিনটা
বিকালে সবাই হুটহাট
বিরাট প্রতিবাদ
স্মৃতি ফাঁকি দিয়া নিরন্তর বোঝাপড়া
সেইদিন, সেইদিন সবার স্মৃতি ছিল খাড়া
সেইদিন সবাই কাজটাজ বাদ দিয়া
জমায়েতে দাড়ানো কষ্টের স্মৃতি নিয়া
সেইসব দিনে কেউ গিয়েছিল চাঁদে
তেতুলের আঠা ধরা পড়েছিল
বই পোড়ানোর ফাঁদে
সেইসবতো স্মৃতি এখন
সেইসব উঁকি মেরে দেখা ক্লিপ
জ্বী-বাংলা চেইঞ্জ করতে যেয়ে
নিউজ স্ক্রলের ফ্লিপ
এখন সুদিন, সুখেরও সময়
বিদেশের নানান স্মৃতি পুরষ্কার ঘরে আসে
স্মৃতিবাজদের অনেক কষ্টের পর
সংস্কৃতি খুশি খুশি মনে হাসে
এখন সুদিন, সুখেরও সময়
বিত্তে-শ্রেণীতে-লিঙ্গে-ধর্মে আর নেই কোন ভেদাভেদ
সেই এরশাদ, সেই ক্রিকেটে সবাই মেটায় খেদ
এখন সুদিন, সুখেরও সময়
স্মৃতি ইন্ডাস্ট্রীতে সবাই স্মৃতি শ্রমিক
ইন্ডাস্ট্রী ঠিক করে নতুন স্মৃতির দিক
এখন সুদিন, সুখেরও সময়
আমরা প্রতিদিন বিস্মৃতি খাই
দায়িত্ব দিয়েছি ইন্ডাস্ট্রীকে
শুধু ভেজাস্বপ্নটা চাই।
শরৎ চৌধুরী, হিগাশি হিরোশিমা।
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:০৬
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: পাঠক যে এত দীর্ঘ কবিতা পড়বে সেটাই অপ্রত্যাশিত। প্রথমত ধন্যবাদ পড়ার জন্য দ্বিতীয়ত ধন্যবাদ মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য। শুভেচ্ছা অশেষ।
২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৮:৩৬
ফারিহা নোভা বলেছেন: বিশাল স্মৃতিচারন- বেশ ভাল লিখেছেন।
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:০৭
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: শুভেচ্ছা নোভা। আপনি যে পড়ে ফেলেছেন তাতেই বিস্মিত অনেক। কৃতজ্ঞতা।
৩| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:১৩
আরজু পনি বলেছেন:
আপনার লেখা পড়ার শুরুতে আমি ঢোক গিলে নেই আগে, তারপর পড়া শুরু করতে করতে ভাবি, পনি বুঝতাসোস তো?
বেশ কিছু বিষয় উঠে এসেছে আপনার ধারালো লেখায়।
শুভেচ্ছা রইল, শরৎজি।
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:০৯
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: পনি পুরোটা পড়ে ফেলেছেন আপনি। এটা তো খুব সহজ করে লেখাই। বোঝাতে কি পেরেছি? অশেষ ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা পনি।
৪| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৯
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অসাধারণ!!! আমার সময়ের ঘড়িতে যেন আমি ঘুরে এলাম। ছোট্ট একটা ফ্রেমে, বিশাল কিছু ধারণ করা... +++
অসম্ভব ভালোলাগা কবিতাটিতে লাইক দিয়ে প্রিয়তে তুলে রাখলাম, মাঝে মাঝে পড়া যাবে।
ভালো থাকুন সবসময়, শুভকামনা।
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:১২
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: মানুষ, শুভেচ্ছা অশেষ। কৃতজ্ঞতা বিশেষত এই জন্য যে, একটা কবিতার পুরো ফ্রেমজুড়ে ঘুরে বেড়ানোর মত কঠিন কাজটি করেছেন। সার্থক পাঠক। সার্থক আমার লেখা। শুভ কামনা সবসময়।
৫| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:০৯
বিজন রয় বলেছেন: অনেক দিন পর লিখলেন।
বরাবরের মতোই অর্থবহ।
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:১৫
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: অনেক দিন পরই লিখলাম। তনুর ধর্ষণমৃত্যু হারিয়ে যাওয়াটা ভোগাচ্ছিল খুব। তাই ইতিহাসের একটা পাঠ তৈরি করলাম কতটুকু এগিয়েছি আসলে?
৬| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:১৩
ফয়সাল রকি বলেছেন: চমৎকার স্মৃতিগুলো...
যাইহোক, আপনার দেশের বাড়ি কি দেশের উত্তরের একটা শহরে যেখানে গোরা শহীদ বড় মাঠ আছে? (নিতান্ত কৌতুহল বশত প্রশ্নটা করলাম)
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:১৮
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: আমার দেশের বাড়ী ঢাকাতেই কিন্তু নিজের শহর বলতে দিনাজপুর বুঝি এখনো। দিনাজপুর নিশ্চয়ই ভুলে গেছে। কিন্তু আমি ভুলতে পারি না। আমাকে চোখ বেঁধে দিলেও আমি এখনো সোজা রামসাগর চলে যেতে পারবো।
৭| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:২১
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খুব খুব ভালো হইছে! স্মৃতিকাতরতা সকলের মধ্যেই আছে।
কারো বেশি বা কম!
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:০৩
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: স্মৃতিবাজ আমরা সবাইরে। শুভেচ্ছা অশেষ আর কৃতজ্ঞতা।
৮| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:২৬
ফয়সাল রকি বলেছেন: আপনি যেহেতু দিনাজপুরকে ভুলেন নি, কাজেই দিনাজপুরও নিশ্চয়ই আপনাকে ভুলে নি।
অনেকদিন নিশ্চয়ই দিনাজপুর যাননি... গেলে অনেক পরিবর্তন দেখবেন, পরিচিত শহরটাকে এখন অপরিচিত মনে হবে।
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:০৭
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: আহারে, দিনাজপুরটা কি বদলে গেল? আসলেই দীর্ঘ সময় যাওয়া হয়নি। জানিনা কেন দিনাজপুরকে নিয়ে আমার ভীষণ প্রেজুডিস আছে, এটার বদলানো মেনে নিতে পারিনা কোনক্রমেই। কালিতলা, সুইহারি, মিশন রোড, জিলা স্কুল। কালিতলার কৃষ্ণচূড়াটাকি আছে এখনো?
৯| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৩২
হাসান মাহবুব বলেছেন: ওয়াও!
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:০৮
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: হাসান পড়লেন পুরোটা? কৃতজ্ঞ ম্যান। শুভেচ্ছা রইল।
১০| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:২৯
এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: সেরা স্মৃতিচারন ।
দারুন ভাল লাগা শরৎ দা
স্যাটেলাইট, নতুন চ্যানেল
শহরের চোলাচালানকারীর ছাদেই প্রথমবার
কালো তারের সে এক বিরাট কারবার
ডিডি ওয়ান, মেট্রোর পরে আরো চ্যানেল ছয়টা
ছাদে ছাদে জমা হল ওল্টানো কালো ডিশ
গুনে শেষ করা যায় না কয়টা
ভিডিও দোকানে দশ টাকায় ভাড়া পাওয়া
চোলি কা পিছে ক্যায়া হ্যায়
ফুনাই ভিসিপি, সনি ভিসিআর
স্মৃতিবাজদের ঘুম নেই
দেশ জুড়ে অপ-সংস্কৃতি মাতম
আর তখনি আলোর উদয়
আর আসে আই
কেটে যায় অন্ধকার
আলোর কাটতি বাড়ে
সংস্কৃতি কোথা পাই
আর এনজিও হাসে, ইন্ডাস্ট্রী হাসে
নোবেল প্রাইজ হাসে
ম্যাগসেসেও হাসে
পাবলিক হাসে
প্রাইভেটও হাসে
জলপাইও হাসে
এরশাদও হাসে
ব্লগও হাসে
ফেইসবুকও হাসে
অনেক লড়াইয়ের পর সংস্কৃতি এল ফিরে
স্মৃতিতে অম্লান সবার ঘরে ঘরে
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:১৪
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: অনেক শুভেচ্ছা মায়া। স্মৃতি চারণের সাথে সাথে এটা আসলে স্মৃতি রাজনীতির কথাও বলতে চেষ্টা করেছে। ক্ষমতা কীভাবে স্মৃতির মধ্য দিয়ে তৈরি হয় সেটা একটা দেখার মত বিষয় এবং কীভাবে বিস্মৃতি ব্যাচে সেটাও।
আবারো অশেষ কৃতজ্ঞতা।
১১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৯
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
দেশের রাজনীতিরে কয়েক লাইনে সেঁটে দিলেন, কবি! মুগ্ধ হলাম।
রাজনৈতিক মহাকাব্য
শুভেচ্ছা প্রিয় অন্যমনস্ক শরৎ.....
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৩৭
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ মাঈন। কৃতজ্ঞতা অশেষ। ব্যক্তির রাজনীতি যাত্রা আর কি।
১২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৪১
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
ওপরে একটি প্রতিমন্তব্য পড়ে হাসলাম। আমি কিন্তু পুরো কবিতাটিই পড়েছি। চেনা বিষয় কিনা!
১৩| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৫৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সেই রাজা গেছে-প্রজার সংগে রঙ্গোন্মাদ
গেছে সেই সূখের স্মৃতির দিনও
নষ্টালজিক টিডিকে, চুমুর অপেক্ষা
বিবর্তনের জোয়ারে ভেসে গেছে
নীতি, নৈতিকতা, বোধ, চেতনা
সামষ্টিকতা থেকে ব্যক্তিকেন্দ্রিকতায় উত্তরন
না অধ:পতন- সুশীল আনন্দে মেকি হাসিতে
সেলফিতে, ষ্ট্যাটাসে...রক্তে নি:বীর্য শীতলতা
হাওয়া গেছে ভবন গেছে
স্বপ্ন গেছে আশাও গেছে
চেতনার পাল তোলা নৌকো-ডুবেছে
আব্রু বাঁচাতে নদীতে যে নারী
মাঝরাতে উদ্ধারকারীর কামলোভে
বেঁচে থেকেও মরে বারবার-
শশশশশশশ তিপ্পান্ন, চুয়ান্ন.. সাতান্ন
সবাই স্মৃতি কাতর হও।
স্মৃতিতেই বলো আজকের কথা কাল!
এখন সুদিন, সুখেরও সময়
স্মৃতি ইন্ডাস্ট্রীতে সবাই স্মৃতি শ্রমিক
ইন্ডাস্ট্রী ঠিক করে নতুন স্মৃতির দিক ।
আপনার কবিতার ভাইরাস ছুঁয়ে গেলতো তাই..
আপনারই ষ্টাইল কপি করা!
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৩৯
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: অশেষ শুভেচ্ছা আর ধন্যবাদ।
১৪| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৩৩
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: পুরাটাই পড়ছি, স্মৃতির পোড়া গন্ধ পেয়েছি যেন । ভাল লাগলো বেশ ।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৪০
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: অনেক শুভেচ্ছা আর ধন্যবাদ কথা।
১৫| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৪৪
প্রামানিক বলেছেন: কবিতায় স্মৃতিচারণ পড়ে খুব ভাল লাগল। শুভেচ্ছা রইল।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৪০
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ প্রামানিক।
১৬| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৫১
অন্ধবিন্দু বলেছেন:
সেই পুরনো ঘ্যানর ঘ্যানর। কত কলায় তাকে স্মরন করার অপচেষ্টা কবি। অকুন্ঠ প্রশংসা সহ হুমায়ন আজাদের মত বলি, বাঙলার বিবেক খুবই সন্দেহজনক। হাহ হাহ হাহ।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৩৬
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: কত কলায় তাকে স্মরন করার অপচেষ্টা কবি। কাকে স্মরণ করা? কোন মহানায়ক? পরিষ্কার করেন তো। আপনার প্রিকনসিভ নোশন মর্মান্তিক জায়গায় পৌছেছে।
১৭| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:০৩
সোহানী বলেছেন: ইতিহাস ভিত্তিক + স্মৃতিচারণ কবিতায় অনেক অনেক ভালোলাগা। +++++++++++++
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৪১
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: অশেষ শুভেচ্ছা আর কৃতজ্ঞতা সোহানী।
১৮| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:১৪
ডি মুন বলেছেন: এক কবিতায় অনেককিছু।
টুকরো টুকরো শব্দে ধরা দেয়া স্মৃতির আলোড়ন। খুব ভালো লাগল।
আর সেই সাথে কবিতার শেষে আমাদের বর্তমান অবস্থাটা তুলে ধরেছেন সুন্দরভাবে।
বনবিড়ালের দেশে বিস্মৃতি খেয়েই ইঁদুরদের বেঁচে থাকা কিংবা বাঁচা-মরার মাঝখানে ঝুলে থাকা।
২০ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:৩৯
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: ক্ষমতা নানান স্মৃতিবাজ তৈরি করে। তারা স্মৃতির ওপর জোর দেয়া নতুন স্মৃতি তৈরি করে। লড়াইটা শেষ পর্যন্ত স্মৃতিরই। শুভেচ্ছা অশেষ।
১৯| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:৩৭
উল্টা দূরবীন বলেছেন: দারুণ
২০| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:০০
মহেড়া বলেছেন: আপনার পুরো কবিতা পড়তে বাধ্য করলেন। সকল মন্তব্যগুলোও পড়লাম। মন্তব্য করবার সাহস আমার নেই। দেশটা বুকের ভেতর আছে। মানুষগুলো চোখে। আমি যেন একটি স্বাধীন দেশকে নানাভাবে নেড়ে দেখলাম। নিজের স্বপ্ন নিজেকে ঘুমুতে দেয় না। আপনি যেন সেই ঘুমে দিলেন আরেকটু আগুন ঢেলে। এখনো কবি আছে বেঁচে। বাংলাদেশ এগুবে। তবে আমি আমার ব্যাক্তিগত একটা মন্তব্য দিই ভাই। ( পরিবর্তনের জন্যে পরিবর্তন দরকার তাতে মানুষের ভীমরতি কাটে। আমি ক্ষমতার পরিবর্তনের কথা বলছি। )
২১| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৪০
দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: অনেক বড় কবিতা পড়তে পারব কিনা ভাবছিলাম কিন্তু পড়তে গিয়ে দেখলাম ,এ সৃতিতো আমার মনের ডাইরিতে আছে ।
একটা লাইনও বাদ দিতে পারলাম না । অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।
২২| ০৬ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৮
এম মিজানুর রহমান বলেছেন: সব জান্তার মত ভাসা ভাসা পড়ি নি। এত কস্ট কিভাবে চেপে রেখেছিলেন ভাই। প্রতিটা পাতার ভাজ খুলেই আমি আপনার নাক বথেকে বেরিয়ে আসা গরম বাতাসে তা আচ করতে পারলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
২৩| ০৮ ই মে, ২০১৬ সকাল ৭:৩৯
অবনি মণি বলেছেন: পড়ে গেলাম!
২৪| ১৩ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৫
বিজন রয় বলেছেন: নতুন পোস্ট দিবেন নাকি?
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:৫১
পাজল্ড ডক বলেছেন: স্মৃতিবাজ! উপহাস টা প্রকট।