নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কাট ইয়োর বডি এর্কোডিং টু ইয়োর ইমেজ

শরৎ চৌধুরী

তুমি তোমার ইমেজ মতইপ্রোফাইল বানাওকি ব্লগেকি জীবনে

শরৎ চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

অনলাইন নৈতিকতার অলি-গলিতে

২৬ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:৫৮




এমন একটা দুনিয়ায় বসবাস করছি যেখানে গ্লোবাল ডিজিটাল স্পেসে জনগণের সংখ্যা ৫.৩৫ বিলিয়ন,যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৬৬% এবং বাৎসরিক প্রবৃদ্ধি ২-৩% সেখানে অনলাইন নৈতিকতা জিনিসটা কতটা কমপ্লেক্স সেইটা অনুমান করা অনেকের জন্য চাপের।

নৈতিকতা বিষয়টাও ইউনিভার্সাল না। যদিও আমাদের মনে ইউনিভার্সাল নৈতিকতা ও লোকাল নৈতিকতার একটা ঘোলাটে ধারণা আছে। তবে যেইটা এক কালচারে মোরাল তা অন্য কালচারে মোরাল নাও হইতে পারে এই বিষয়টা আমরা বুঝতে পাির। তাই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে এই বিষয়টা অনুমান করা যে, চিন্তা কিংবা বস্তু সব কিছুই মোরাল হইতে পারে। বা নৈতিক মূল থাকতে পারে। যেমন পতাকা। পতাকা একটা বস্তু কিন্তু এর নৈতিক মূল্য আছে। কাদের কাছে আছে? প্রথমত যাদের পতাকা তাদের কাছে এবং দ্বিতীয় একট গ্লোবাল অনুমানও আছে যে “পতাকা” জিনিসটা সম্মানের।

প্রযুক্তি জিনিসটা যে “মোরাল” কিছু না এমনটা অনেক আধুনিক চিন্তার লোকই দাবী করেন। যদিও মানুষের কাছে প্রযুক্তি, মোরাল একটা বিষয়। গান, বাদ্যযন্দ্র, রেডিও, টেলিভিশন, ইন্টারনেট, কম্পিউটার, ইন্টারনেট, মোবাইল যা কিছু আছে তার একটা মোরাল মূল্য মানুষের কাছে আছে। যেই আধুনিক মানুষ দাবী করেন তার কাছে প্রযুক্তি মানে প্রযুক্তি মোরাল কিছু না একটি নিউট্রাল বিষয়। বাস্তবতায় তিনি নিজেও মোরালের কােছ বন্দী, তিনিও একটি মোরাল জাজমেন্ট করছেন। আমার দাবী, এমনকি “বিশুদ্ধ” গণিতও মোরাল। পরিপ্রেক্ষিত যদি এমন হয় কোন একটি দেশ সবসময় বড়াই করতে থাকে, “আমরাই শূণ্য” আবিষ্কার করেছি বাকীরা মুড়ি খাও। সেটি মোরাল হয়ে পড়ে। তাই মানুষের পক্ষে সবকিছুকে মোরাল বানানো সম্ভব। কার মোরাল ভালো কারটা খারাপ এইটাও একটি মোরাল জাজমেন্ট। এবং রাজনৈতিক।

এবার একটু নৈতিকতার সরল বোঝাপড়া দেখা যাক। নৈতিকতা বলতে এমন কিছু নীতি, মূল্যবোধ ও আচরণবিধিকে বোঝায়, যা ভালো ও খারাপ বা ঠিক ও ভুলের পার্থক্য নির্ধারণ করে এবং মানুষের আচরণকে সঠিক পথে চালিত করে। এটি এক ধরনের নৈতিক দিকনির্দেশনা, যার মাধ্যমে ব্যক্তি ও সমাজ কোন কাজ, ইচ্ছা বা চরিত্র ভালো না খারাপ—তা বিচার করে। এই বোঝাপড়া যদি প্রযুক্তিতে প্রয়োগ করি তাতে মনে হতেই পারে সার্ভারের বা বাইটসের কি দোষ। সেকি আর সঠিক বেঠিক বোঝে? মিসাইল কি আর বোঝে সঠিক বেঠিক? আসলে বোঝে। কারণ তাকে বলা হয়েছে কোনটা সঠিক কোনটা বেঠিক। নিজেদের দেশের পারমানবিক বোমা আত্মরক্ষা আর অন্যদেশের পারমানবিক সম্ভাবনা- বিশ্বের জন্য হুমকির মত বিষয়টা।

আর তাই প্রযুক্তি কোথায় উদ্ভাবিত হয়েছিল, কি উদ্দেশ্যে হয়েছিল, কারা নিয়ন্ত্রণ করছে একটি মোরাল প্রশ্ন। যেমন আপনাদের সকলের মোবাইল একটি অনৈতিক আড়িপাতা যন্ত্র। যারা এর উদ্ভাবনকারী তারা এটি জানেন প্রথম থেকে আর আপনারা জানলেন ২৫ বছর পর। এই জানা না জানা একটি মোরাল প্রশ্ন। না জানলে মোরাল প্রশ্নও ওঠেনা।

অনলাইন স্পেস বলে যা আপনারা জানেন তার উপর আপনার এক্তিয়ার একটি মোরাল প্রশ্ন। ফলে স্কলাররা কি বলেন একটু দেখি, তথ্য-নৈতিকতা ও ইন্টারনেটের নৈতিক দর্শন বিষয়ে Luciano Floridi – The Ethics of Information এ বলছেন ডিজিটাল জগৎ “ইনফোস্ফিয়ার”-এর অংশ, যেখানে তথ্যের অস্তিত্বগত মর্যাদা ও নৈতিক মূল্য আছে। Helen Nissenbaum – Privacy in Context এ বলছেন গোপনীয়তার মর্ম শুধু গোপন রাখা নয়; বরং প্রসঙ্গভিত্তিক সঠিক তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিত করা। Sherry Turkle – Alone Together এ দাবী করছেন ইন্টারনেট ছদ্ম-সঘনতা (illusory intimacy) তৈরি করে, যা সহমর্মিতা হ্রাস ও নৈতিক শূন্যতা ডেকে আনে। Safiya Umoja Noble – Algorithms of Oppression দেখাচ্ছেন সার্চ ইঞ্জিন ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে বর্ণবাদ ও লিঙ্গবাদ এম্বেডেড থাকে। Virginia Eubanks – Automating Inequality বলছেন কল্যাণ ও আবাসন ব্যবস্থায় ব্যবহৃত স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি দরিদ্রদের প্রতি নৈতিক সিদ্ধান্ত আরোপ করে। এসব প্রযুক্তি দরিদ্র মানুষকে পূর্বানুমানভিত্তিক সন্দেহভাজন হিসাবে দেখায়, মর্যাদা হ্রাস করে। Sasha Costanza-Chock – Design Justice এর বলছেন: প্রযুক্তি নিরপেক্ষ নয়; তা ক্ষমতাধর গোষ্ঠীর মূল্যবোধ প্রতিফলিত করে। অনলাইন নৈতিকতার ভিত্তি হতে হবে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অভিজ্ঞতার উপর, সিলিকন ভ্যালির নয়। Sarah T. Roberts – Behind the Screen পরিষ্কার করে বলছেন অনলাইন নৈতিকতা অদৃশ্যভাবে বাস্তবায়ন করেন কনটেন্ট মডারেটররা, যারা শোষণের শিকার। ন্যায়সংগত ডিজিটাল ইকোসিস্টেমের জন্য মডারেটরদের ন্যায্য শ্রমপরিবেশ নিশ্চিত করা আবশ্যক। ফেসবুক মডারেটররা মানসিক আঘাত পেয়ে অদৃশ্য “ডিসপোজেবল” শ্রমিকে পরিণত হন। সংস্কৃতি-সীমান্তে নৈতিকতা: গ্লোবাল সাউথের কণ্ঠ Nishant Shah – Digital Natives with a Cause? গ্লোবাল সাউথের তরুণরা পশ্চিমা মানদণ্ড শুধু অনুসরণ করে না; তারা ডিজিটাল টুল দিয়েই নৈতিক এজেন্সি প্রয়োগ করে।
Payal Arora – The Next Billion Users এ বলছেন পশ্চিমা ডিজিটাল নৈতিকতা ভুলভাবে ধরে নেয় নাগরিক ব্যবহারই নৈতিক; আসলে বিনোদন অযৌক্তিক নয়। প্ল্যাটফর্ম শাসন, বাকস্বাধীনতা ও সেন্সরশিপ বিষয়ে Lawrence Lessig – Code and Other Laws of Cyberspace অনলাইন নৈতিকতা পরিবেশে কোড করা—নিয়ম সফটওয়্যারে লেখা থাকে। নৈতিকতা শুধুমাত্র ব্যবহারকারীর কাজ নয়; প্ল্যাটফর্ম কী অনুমতি দেয় তাও এর অংশ। Zizi Papacharissi – Affective Publics অনলাইন নৈতিকতা গড়ে ওঠে আবেগ—আশা, রাগ, ভয়, সংহতি—ঘিরে। Ang Peng Hwa – Ordering Chaos এশীয় রাষ্ট্রগুলো অধিকতর শৃঙ্খলাভিত্তিক ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণ পছন্দ করে, অধিকারভিত্তিক নয়। Sunil Abraham – সেন্টার ফর ইন্টারনেট অ্যান্ড সোসাইটি থেকে বলছেন, দক্ষিণ এশিয়ায় রাষ্ট্রীয় নজরদারি “খারাপ উপাদান” ঠেকানোর নামে নৈতিকতার মোড়কে আসে। সত্যিকারের নৈতিকতা অর্থ নাগরিক অধিকার, স্বচ্ছতা ও স্বাধীনতা রক্ষা—শুধু “শৃঙ্খলা” নয়। আর আপনাদের শরৎ চৌধুরী Resistance Sociality বোঝাতে গিয়ে বলেন যে আমরা আর পুরানো অনলাইন স্পেসে নাই হাইব্রিড সমাজে পরিণত হয়েছি।


তাহলে এই দেশের অনলাইন নৈতিকতার যদি একটা মোটামুটি আউটলাইন তৈরি করি তাহলে এখানে কীভাবে তথ্যপ্রযুক্তি লোকালাইজ হয়েছে, কীভাবে এগিয়েছে, কি কি মেজর ঘটনা ঘটেছে, রাষ্ট্রের সাথে আইনের সাথে সম্পর্ক কি কি এবং সবচেয়ে জরুরি মানুষ কেমন পাল্টে গেছে সেটি বোঝা জরুরি। ছোট করে বললে নব্বইয়ের দশকের শেষ থেকে শুরু করে আস্তে আস্তে অনলাইন সমাজ তৈরি হতে শুরু করেছে। মোবাইল, ইন্টারনেট ঢুকেছে, নিজেদের সামাজিক প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে যেমন ব্লগ তৈরিকরে এবং পরে গ্লোবাল জায়ান্ট যেমন ফেইসবুকের সামনে টিকতে পারে নাই। একটা বড় সোশ্যাল মিডিয়া মুভমেন্ট দেখেছে যেমন শাহবাগ, রাষ্ট্র তার সবশক্তি দিয়ে জনগণকে নিয়ন্ত্রণের জন্য ডিজিটাল স্পেসকে ব্যবহার করেছে, সমাজে একে অপরের প্রতি আক্রমণ করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে, সমাজের গভীর নৈতিক পরিবর্তন ঘটেছে। অনলাইন ব্যবহার মানে থাকাকে ক্রিমিনালাইজ করা হয়েছে। পাবলিক-প্রাইভেটের ধারণা বদলে গেছে। নৈতিকতার ধারণা বদলে গেছে। মানে অলফলাইন সমাজই বদলে গেছে। মানুষের নৈতিক ভিত্তি উল্টেপাল্টে গেছে। একেতো গ্লোবাল জায়ান্টদের লোভ এর কারণে ৩ থেকে ৯৩ বছরের সবার জন্য মনোযোগ অর্থনীতি গোপনে কাজ করছে। এটি নৈতিক ভিত্তিকে পাল্টে দিচ্ছে। যেমন কোভিডের সময় থেকে আমাদের মোস্ট পার্সোনাল স্পেস আমরা বিক্রী করতে বাধ্য হলাম অনলাইন বিজনেস করার জন্য। এর শুধু সুফল আছে তা না, কুফলও আছে। মনোযোগ পাবার জন্য যার যা কিছু আছে নিয়ে যখন বিবেচনাবোধ ছাড়াই ঝাঁপ আমরা দিলাম কিংবা দেয়ানো হল তার ইম্প্যাক্ট তো সমাজে পড়বে। কেলেংকারী নরমাল হতে শুরু করল। প্রথম যখন কেউ অনলাইন সেক্স করেছিলেন তাদেরকে কি জানানো হয়েছিল যে তিন পর্যায়ে আপনাদের দুজনা আটকা পইড়া গেছেন কিন্তু। প্রথমে জায়ান্ট কর্পোরেশন, এরপর রাষ্ট্র এবং গোয়েন্দা বাহিনী এবং এরপর একে অপরের বিরুদ্ধে। এই মহা পরিবর্তন সামাল দেবার ব্যবস্থা কিএই সমাজ রেখেছে নাকি নৈতিক আর তাই খুবই বাস্তব থ্রেটের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ আছে? যেখানে “সত্য” একটা কমান্ডে তৈরি করার বিষয় সেখানে “নৈতিক” কি আসলে? কে ব্যখ্যা করে? কারটা টিকে? কে ফাঁদ পাতে, কে পড়ে? “নৈতিকতা” নিজেই বিমুঢ় হয়ে বসে থাকে। একটি ভয়ংকর ব্যবস্থায় সবাই নিমজ্জ।

এবার একটু অফলাইন স্পেসে আসি। এই যে প্রযুক্তিকে “নৈতক নিরপেক্ষ” হিসেবে ব্যবহার শুরু করে এখন ব্যবহৃত হচ্ছি তার পেছনে অনেকগুলি “অনৈতক” সিদ্ধান্ত আছে। যে পরিমাণ মনোযোগ আর বিনিয়োগ দরকার ছিল অনলাইন স্পেসের পেছনে তার এক বিন্দুও হয়নি বাংলাদেশে। বরং নতুন “নৈতিকতা” তৈরি করা হয়েছে। আর বানানো হয়েছে সবাইকে “অপরাধী”। সস্তায় নিয়ন্ত্রণ রাখার বুদ্ধি। মানুষের ন্যুনতম অধিকারকে গণ্য করা হয়নি। ট্রেনিং এবং শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়নি। বলা হয়নি, “বাবা তুমি যে স্ক্রীণ নিয়ে মজা পাচ্ছো এইটা এডিকশন”। হিরোইন এর চেয়েও। ভিন্ন ভিন্ন প্রজন্মের জন্য যে গাইডলাইন ও রাষ্ট্রব্যাপী কর্মসূচী নেয়ার প্রয়োজন ছিল তার কি হয়েছে? আজ ২৫ বছর পরে নতুন প্রজন্ম কেন এমন হচ্ছে এমন বলার কোন মানে নাই।

এই দেশের কুড়মুড়ে টপিক নৈতিক অবক্ষয় কিন্তু নৈতিকতা কীভাবে নির্মিত হয় সেটার পেছনে একটা আলাপও দেখবেন না। কার কোন গোপনাঙ্গ দেখা গেল এটি হয়ে উঠেছে নৈতিকতার ভিত্তি। ফলে পরস্পর বিপরীতধর্মী নৈতিকতা আর চর্চার যে বাস্তবতা সেটাকে আর ভন্ডামী বলার কোন ভিত্তি আসলে নাই। একটা সমাজে তো আসলে চাদরের মত একটা নৈতিকতা থাকেনা। তবুও স্পিরিট থাকে। কিন্তু ক্রমাগত ভায়োলেন্স খেতে খেতে তো এখন আর সেই সেন্সিটিভি নাই। আরো আরো “অনৈতিক” যা মনোযোগ নিয়ে নেবে সেটার জন্য সবাই উৎসাসে উদ্যোমী হয়ে পড়েছে। এটি একটি গভীর রাজনৈতিক পরাজয়। জম্বির মত জনগণ তৈরি করার রাজনীতি। মানুষ ভিন্ন নতুন কিছু তৈরি করার সফল প্রোজেক্ট। কিন্তু আপনি তো মানুষ আপনার “নৈতিকতার”, “গোপনীয়তার” জৈবিক প্রয়োজন আছে। এই যে ম্যানুফ্যাকচারড এক্সাইটমেন্ট তার দাম আপনি দিচ্ছেন প্রতিনিয়ত। চরম আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে আছেন। বাইপোলার আছেন। পপুলিস্ট আছেন। অনলাইন নৈতিকতা আর তাই অলিতেগলিতে নাই রাজপথ দাপীয়ে বেড়াচ্ছে। সকল গোত্র তাদের রাজনৈতিক স্বার্থে “নৈতিকতার” রাজনীতি করছেন। কিন্তু আপনি তো মানুষ “অনৈতিক” ডাক্তার কিংবা বাসার কাজের লোক কোনটাই আপনাকে ছাড়বে না। ছাড়ছে না। একসময় আর এডাপ্ট করতে পারবেন না, সুইসাইড করবেন। করছেনও।

অনলাইন অফলাইনকে খেয়ে ফেলেছে। এরপর বাকী আছে এ.আই.। এই আসলো। অনৈতিক এ.আই. এর সামনে টিকতে পারবেন তো?

শরৎ চৌধুরী, ২৬শে জুন ২০২৬







মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৫:২১

অপলক বলেছেন: অনলাইন অফলাইনকে খেয়ে ফেলেছে...অনৈতিক এ.আই এর সামনে টিকতে পারবেন তো?

স্মার্ট ডিভাইস ব্যবহার থেকে দূরে থাকুন। কোন তথ্য নেট দুনিয়ায় ছাড়বেন না। যা একবার নেটে আপলোড হয়, তা আর কখনও মুছে যায় না। তথ্য শুধু এন,আই,ডি বা ছবি বা ভিডিও ছাড়া না, কোথাও লাইক মারা, কোথাও লিঙ্ক শেয়ার করা, কোন কন্টেন্ট স্বার্চ দেয়া, মোবাইল বা ল্যাপটপ ব্যবহারের সময় আপনার ছবি জিমেইল বা ফেসবুক যখন তখন তুলে ফেলে , আনেকেই জানে না। মাইক্রোফোনে সব সময় কথা পাছ হয়। আমরা জানি না।

এ.আই আমাদের সব কিছু কালেক্ট করে স্মার্ট ডিভাইস থেকে। স্মার্ট প্রিন্টার, স্মার্ট এসি, সিসি ক্যামেরা বা যে কোন ডিজিটাল স্মার্ট ডিভাইজ আমাদের তথ্য কালেক্ট করে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কিছুই না এক বিশাল তথ্যভান্ডার ছাড়া। আমাদের এখনই সাবধান হওয়া্ উচিত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.