নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কবিতা লিখি , গল্প লিখি , মুভি রিভিউ লিখি , বুক রিভিউ লিখি , ফিচার লিখি । এই তো আমার লিখিময় জীবন ।
'মুভিটি দেখেনি এই রকম মানুষ খুব কমই আছে বলে মনে হয় । সৌভাগ্যক্রমে আমি সে সংখ্যালঘুদের মধ্যে নেই । ঘটনাক্রমে 'ইয়ান মারটেল'-এর 'লাইফ অফ পাই' বইটি আমার হাতে আসে । যদিও আগে থেকে জানা ছিল 'লাইফ অফ পাই' মুভিটি ২০০২ সালের বুকার পুরস্কার প্রাপ্ত 'লাইফ অফ পাই' বা 'পাইয়ের জীবন' থেকে অনুসারিত । তবে যেটা জানা ছিল না সেটা হল বইটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে রচিত এবং ... রিচার্ড পার্কার নামের রয়েল বেঙ্গল টাইগারটি একসময় সত্যি সত্যি অস্তিত্বশীল ছিল । যাকে বাংলাদেশের সুন্দরবন থেকেই ধরা হয়েছিল । কেবল তাই নয় - তাকে ধরা আর রির্চাড পার্কার নামকরণের এক অসাধারণ কাহিনী আছে । যা মুভিতে খুব স্বাভাবিকভাবেই এড়িয়ে গেছে । প্রকৃতপক্ষে মুভি দেখাটাই যথেষ্ট নয় বরঞ্চ মুভির পেছনের কাহিনীটি জানাটা মুভি দেখার সার্থকতা । কাহিনীটি নিম্নরূপ -
.
সময় আনুমানিক ১৯৭৪ সাল । সুন্দরবনের কোল ঘেষে এক মেহেদী রাঙা রমনীর লাশ পাওয়া যায় । রমনীটি ছিল এক মানুষখেকো চিতাবাঘের ৭ম শিকার । চিতাবাঘটির দৌরাত্ম্য ছিল বিভীষিকাময় । একে একে আরো অনেকেই চিতাবাঘটির হাতে মারা যায় যাওয়ায় স্থানীয় প্রশাসনের টনক নড়ে । তারা এক পেশাদার শিকারী নিয়োগ করে । শিকারীটি শেষ দুই শিকারের দেহাবশেষ যেখানে পাওয়া গিয়েছিল , তার কাছে এক নদীর তীরের একটি গাছে মাচা বানিয়ে একটা ছাগল বেঁধে রেখে অপেক্ষা করতে শুরু করেন । এইভাবে কয়েকটা রাত কেটে যায় ।
.
এক রাতে দেখা গেলো এক অল্পবয়সী মাদী বাঘ এসেছে । সাথে তার শাবক । অনুমানিক ৩ মাস বয়স । বেড়ালছানাটি অবাক কাজ করলো । সে ছাগলটির দিকে তাকালোই না বরঞ্চ দ্রুত দৌড়ে গিয়ে নদীর তীরে পানি পান করতে শুরু করলো । যেন তার ভীষণ তেষ্টা পেয়েছে । অগত্য বেড়ালের মাকেও তাই করতে হলো । এই ব্যবহার প্রমাণিত হলো বাঘটি মানুষখেকো নয় । তাই শিকারীটি বন্দুক থেকে মাদী বাঘটির গায়ে অজ্ঞান করার ডার্ট ছুঁড়ে দিলো । পরে এলাকাবাসীর সহায়তায় মাদী বাঘটিকে বেহুশ অবস্থায় ধরা গেলো আর তার ভীত সন্ত্রস্ত শাবকটিকেও খুঁজে বের করা গেলো । শিকারীটির নাম ছিল রিচার্ড পার্কার । তিনি ছোট বিড়ালছানাটিকে কোলে তুলে নিলেন । শিকার ছেড়ে দৌড়ে নদীর পানি পান করার সেই দৃশ্যের কথা স্মরণ করে তার নাম দিলেন থার্স্টি । এইভাবে দুই মা-ছেলের জায়গা হয় ভারতের পন্ডিচেরি চিড়িয়াখানায় । তবে কলকাতার এক গর্দভ শিপিং ক্লার্ক একটা গোলমাল পাকিয়ে ফেলে । সে শাবকটির নামের জায়গায় লিখে রিচার্ড পার্কার আর শিকারীটির নাম লিখে থার্স্টি এবং পারিবারিক পদবী লিখে 'নান গিভেন' । সে হতে 'থার্স্টি' হয়ে গেলো 'রিচার্ড পার্কার' আর নামটি দ্যা গ্রেট রয়েল বেঙ্গল টাইগারের জন্য নিঃসন্দেহে মানানসই । কে জানতো একদিন এই প্যানথেরা টাইগ্রিসটিকে পেসিফিক ওসানের এক গ্রেট এডভেঞ্চারে সাক্ষী হবে । :-)
.
আর হ্যাঁ । সেই 'থার্স্টি নান গিভেন' (!) নামক শিকারীটি মানুষখেকো চিতাবাঘটিকে মারতে পেরেছিলেন কিনা জানা নেই । :-)
.
বিঃদ্রঃ - নেটে এই অবিশ্বাস্য কাহিনীর সত্যতা নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুললেও লেখকের দাবী মতে ঘটনাটি সত্য এবং আমি ব্যক্তিগতভাবে লেখকের কাহিনী বিশ্বাস করছি । কারণ এটা ভাবতে শিহরিত হতে হয় এই রকম একটা ঘটনা ঘটেছে :-)
১৩ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:১৮
শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: বেষ্ট অফ লাক দেখতে বসে যান ।
২| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৮
আরিফ-ঢাকা বলেছেন: চিতাবাঘ আর রয়েল বেঙ্গল টাইগার কি একই রকম দেখতে ???
১৩ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৯
শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: এক কেন হবে ?
ঘটনা ক্রমে চিতা বাঘের জায়গায় রয়েল বেঙ্গল চলে এসেছে ? সেটা মানুষখেকো কিনা সেটা শিকারীর বিবেচ্য বিষয়
৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: অসাধাসর একটা মুভি।
৪| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:৫২
রুহুল আমিন খান বলেছেন: মুভিটা দেখেছি এখন বইটা পড়ে ফেলতে হবে
৫| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৫
বনসাই বলেছেন: আমার জানা ছিল না সুন্দরবনে চিতাবাঘ থাকে।
আমার জানা ছিল না বেড়াল ছাগল খেতে পারে।
১৩ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৫
শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: ১৯৭৪ সালের কথা । চিতা বাঘ সে সময়ে ছিলো এবং এখনো আছে । তবে সংখ্যায় বাঘের চেয়ে কম । বিশ্বাস না হলে উইকিপিয়া চেক করেন । আর বাঘ হলো বিড়াল গোত্রের প্রাণী । তাই ছোট বাচ্ছা ঘগুলোকে বিড়ালের মত দেখায় । তাই রূপক অর্থে বাঘকে বিড়ালের বাচ্চা বলেছি । আশা করি বুঝতে পারেছেন
৬| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৭
তারেক ফাহিম বলেছেন: সত্য ঘটনার আলোকে মুভিটি হলে দেখবো
৭| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:৫৪
সুমন কর বলেছেন: মুভিটি দেখে ভালো লেগেছিল।
মুভির পিছনের কাহিনী শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
৮| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:২২
হাসান মাহবুব বলেছেন: মুভিটা থ্রিডিতে দেখসিলাম! কাহিনী ভালা পাইলাম ব্যাফুক।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৩
চিটাগং এক্সপ্রেস বলেছেন: মুভিটি দেখা হয় নি সম্ভবত । যদি সত্য ঘটনা অবলম্বনে হয় তাহলে দেখব