নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিন্তায় মুক্ত - ভাষায় প্রকাশে ভীত , কল্পনার সীমানা মহাকাশ ছাড়িয়ে - বাস্তবতায় পা বাড়াই না সীমানার বাহিরে

শান্তনু চৌধুরী শান্তু

কবিতা লিখি , গল্প লিখি , মুভি রিভিউ লিখি , বুক রিভিউ লিখি , ফিচার লিখি । এই তো আমার লিখিময় জীবন ।

শান্তনু চৌধুরী শান্তু › বিস্তারিত পোস্টঃ

বুক রিভিউ - \'Harry Potter and the Cursed child\'

১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:২১

ভূমিকা - প্রতিদিন পেশার তাগিদে অজস্র পড়া হচ্ছে তবে এর কোনটাই আত্মতৃপ্তির যথেষ্ট নয় । অবশেষে নিজের সাথে যুদ্ধ করে নতুন আনকোরা বইটাকে বের করলাম । আজকে তাকে চেখেই ছাড়বো । খাবার আগে গন্ধ শুঁকে নিলাম । উফ্ নতুন পৃষ্ঠার মায়াময় গন্ধ । ঘ্রানেই যেহেতু অর্ধভোজন সে হিসেবে বইটা অর্ধেক পড়া শেষ । বইটির নাম 'Harry Potter and the Cursed child' । জে কে রওলিং তথা হ্যারী পটার ইউনির্ভাসের একজন ডাইহার্ট ফ্যান হওয়ায় এই বই পড়া আমার দায়িত্ব ও কর্তব্য ।
.
কাহিনী সংক্ষেপ এবং কিঞ্চিৎ স্পয়লার এলার্ট :
.
কাহিনী শুরু হয়েছে হ্যারী পটার এন্ড দ্যা ডেথলী হেলোজের শেষ দৃশ্য থেকে । যেখানে হ্যারী পটার ও জিনি উইজলী তাদের তিন সন্তান জেমস পটার , অ্যালব্যাস সেভেরাস পটার ও লিলি পটারকে নিয়ে কিংস ক্রস রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্ম নম্বর পৌনে দশে এসেছে । সাথে আছে রন উইজলী ও হারমায়নী গ্রেঞ্জার এর সন্তান রোজ উইজলী গ্রেঞ্জার । দিনটা অ্যালব্যাস সেভেরাস পটার তথা অ্যাল-এর হগওয়ার্টসে যাওয়ার প্রথম দিন । অ্যালের ধারণা সে গ্রিফিন্ডরের হাউজের বদলে স্লিদারিন হাউজে চলে আসতে পারে । হ্যারী তাকে অভয় দেয় । কাহিনীর শুরু এখানেই ।
.
বিখ্যাত পিতার সন্তান হিসেবে অ্যাল ভীষণ মানসিক চাপে থাকে । যা ক্রমে ক্রমে পিতার প্রতি বিদ্বেষে পরিণত হয় । এই বিদ্বেষ ভর্তি দুনিয়ায় একমাত্র স্বস্তি তার বন্ধু স্করপিয়ান ম্যালফয় । যে কিনা একই রকম ট্রমার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে । তার কুখ্যাত পিতার অতীতের বোঝা তাকেও বহন করতে হচ্ছে । যাদু দুনিয়ায় তাকে নিয়ে গুজব আছে স্করপিয়ান স্বয়ং ডার্কলর্ড ভোল্ডেমোর্টের সন্তান । কথিত আছে ম্যালফয় পরিবারে যখন কোন সন্তান হচ্ছিল না তখন তখন স্করপিয়ানের মাকে টাইম টার্নারের মাধ্যমে অতীতে পাঠানো হয়েছিল যেন সে ডার্কলর্ডের সন্তানের মা হতে পারে ! এই নিয়ে স্করপিয়ানের জীবন অ্যালের চেয়ে দুবির্ষহ । দুইজনই যে যার পিতাকে অনেকাংশ ঘৃণা করে ।
.
একদিন হ্যারীর কাছে নিহত সেড্রিক ডিগরীর বৃদ্ধ পিতা আমোস ডিগরী আসে । তিনি জানতে পেরেছে সম্প্রতি একজন ডেথ ইটারের কাছ থেকে হ্যারী একটি টাইম টার্নার পেয়েছে । তিনি চান এই টাইম টার্নার দিয়ে হ্যারী যেন সেড্রিকেকে ফিরিয়ে আনে । হ্যারী কঠোরভাবে না করে দেয় । বিষয়টি অ্যাল শুনে এবং সিদ্ধান্ত নেয় যেভাবে হোক সে টাইম টার্নার চুরি করে সেড্রিককে ফিরিয়ে আনবে । তার এই টাইম ট্রাভেলের সঙ্গী হয় স্করপিয়ান ও রহস্যময়ী মেয়ে ডেলফি এবং তাদের একটি সামান্য পরিবর্তন পুরো উইয়ার্ড দুনিয়াকে উল্টে পাল্টে দেয় ।
.
পুরো বইয়ের বাকি অংশটা টাইম ট্র্যাভেলে ভর্তি । হ্যারী পটার ইউনির্ভাসের টার্নিং পয়েন্টগুলোকে তুলে আনা হয়েছে । বইয়ের শেষাংশে এতটাই টানটান উত্তেজনা ছিল যে ভুলে গেছি কখন ৩টা ঘন্টা কেটে গেছে ।
.
আলোচনা-সমালোচনা : বইটা সহজবোধ্য ভাষায় সহজে উপভোগ্য হলেও লেখনিতে কমতি সহজে ধরা পড়ে । কারণ বইটি জে কে রওলিং এর নিজের হাতের লিখা নয় । বরঞ্চ তার দেখানো পথে জন টিফেনি (প্রতিভাবান স্ক্রিপ্ট রাইটার) ও জ্যাক থর্ন (বিখ্যাত মঞ্চ নাটক পরিচালক) যৌথভাবে জ্যাক থর্ন এর মঞ্চ নাটকের ভিত্তিতে নাটিকাটি উপন্যাসের ফ্লেবারে রচিত । অর্থ্যাৎ হ্যারী পটারের সিরিজের টেষ্ট পাইনি তথা হ্যারী পটারের অন্যান্য বইয়ের তুলনায় রীতিমতো গার্ভেজ। তবে মঞ্চে নাটকটি মাঠ মাতিয়েছে বলে ভালো রিভিউ এসেছে ।
.
তাছাড়া বর্তমানে টাইম ট্রাভেল খুব জনপ্রিয় একটি জনার হলেও এভেঞ্জার এন্ড গেইমে টাইম ট্রাভেলকে যেভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে তাতে মনে হয় না আমি আর কোন টাইম ট্রাভেল পড়ে বা দেখে মজা পাবো ।
.
সর্বশেষ : এখানে না বলে পারছি না , বইয়ের আগাগোড়া অ্যালবাস কেন্দ্রিক হলেও আমার কাছে মূল চরিত্র লেগেছে স্করপিয়ান ম্যালফয়কে । সর্বোপরি নাটিকা/উপন্যাসটি হ্যারী পটার ফ্যানদের নস্টালজিয়ায় কারণে সহজেই উপভাগ্য । তবে মনে হয়না একে নিয়ে কোন মুভি/ টিভি সিরিজ হতে পারে বা করা উচিত।
.
ব্যক্তিগত রেটিং - ৬/১০।
.
বিশেষ দ্রষ্টব্য - বইটির অনুবাদ অনলাইনে পাওয়া যায় চাইলে পড়ে নিতে পারবেন ।

শান্তনু চৌধুরী শান্তু

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:৩৪

বিজন রয় বলেছেন: হ্যারী পটার কি আসলেই ভাল নাকি হুজুগ বা হাইপ?

আমার অক্ষমতার জন্য ক্ষমা করবেন।

১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:৪৪

শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: আসলেই ভালো । তবে এটা আসলে টিন এইজের জন্য । এই বয়সটা পেরিয়ে এলে ভালো নাও লাগতে পারে । তবে আমরা যারা এই সিরিজ পড়ে বড় হয়েছি তাদের কাছে এর আবেদন সব সময় থাকবে । ধন্যবাদ

২| ১৪ ই জুন, ২০২০ রাত ১:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: দেখে্ছি। চমৎকার।

১৪ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:০২

শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: ধন্যবাদ :)

৩| ১৪ ই জুন, ২০২০ সকাল ৭:৫৪

কল্পদ্রুম বলেছেন: হ্যারি পটারের বইগুলো নিয়ে অনেক স্মৃতি জড়িত।এই বইটা পড়ার আগ্রহ পাইনি দুটো কারণে।একটা হলো হ্যারি পটারের কাহিনী হ্যারিকেই দিয়েই সমাপ্তি রাখতে চাই।ডেথলি হ্যালোজের শেষে এসে যে অনুভূতি পেয়েছিলাম সেটাই স্মৃতিতে থাকুক।আর একটা হলো এটা জে কে রাওলিং এর লেখা উপন্যাস না।

১৪ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:০৩

শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: কথা ঠিক । তবে কৈশোরের আনন্দ ফিরে পাওয়ার প্রত্যাশায় এইগুলো পড়া হয় । শুভ কামনা :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.