নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শাকরানের রাফখাতা

ছবিকর

Doctor, Photo-enthusiast, Movie-buff, Music-addict, Pluviophile, Poetry-lover, Cat-Person, Nyctophile, Traveloholic

ছবিকর › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রেমপদ্য তিনঃ ছেলেটির অসম্পূর্ণ চাওয়ার সম্পূর্ণ ডিফারেন্সিয়াল ডায়াগনোসিস...

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৮

ছেলেটা বেশি কিছু চায়নি।

শুধু চেয়েছিল, চুলে হাত বুলিয়ে বিলি কেটে কেউ তার ঘুম পাড়িয়ে দিক।

কিংবা, কেউ তার গায়ের উপর পা তুলে দিয়ে জড়িয়ে ঘুমাক।

আর সেই ঘুম ভাঙ্গুক মেয়েটির নিঃশ্বাসে।

চেয়েছিল, তার সকালটা ভরে থাকুক

ভোরের আলোতে নয়, মেয়েটির কালোতে-

ঘুম-চুমু-প্রেম-কাম ও ঘামে।



ছেলেটা আর বেশি কিছু চায়নি।

চেয়েছিল, অফিসে যাওয়ার সময় তার টাইটা একটু ঠিক করে দিক কেউ।

অথবা দেখিয়ে দিক, ওই স্ট্রাইপের শার্টটার সাথে তো কাল প্যান্টটাই তো মানাবে।

কিংবা অফিসে খালি ফোন করে জ্বালাতে থাকুক অবিরত,

হয়ত মিটিংয়ের মাঝে এস.এম.এস এর রিপ্লাইয়ের জন্য,

“ঠিকমত পানি খেয়েছ তো? কিংবা নিয়েছ কি মেডিসিন?”



ছেলেটা আর বেশি কিছু চায়নি।

চেয়েছিল তার জ্বালানো কেউ সহ্য করুক। বা বিরক্ত হয়ে

কেউ বলুক, “আমার লাইফ তুমি কয়লা কয়লা করে দিস।”

কিংবা, গাল ফুলিয়ে কেউ বসে থাকুক। রিপ্লাই না দিক একের পর এক কলের।

দিন শেষে তবুও বসে থাকুক ছেলেটির আসার অপেক্ষায়। ইনবক্সে মেসেজ আসুক,

“সমস্যা কি তোমার? বাসায় আস না কেন??”



ছেলেটা আর বেশি কিছু চায়নি।

চেয়েছিল, কেউ তাকে শাসন করুক। সিগারেট খেতে বারণ করুক।

মুখ থেকে আধ খাওয়া গোল্ডলিফের তামাকের স্টিক

কেড়ে নিক। কিংবা, পাঞ্জাবীর পকেট থেকে বেনসনের প্যাকেটটা।

হঠাৎ করেই তার ধূমপান ছাড়াটা হয়ে উঠুক

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের চেয়েও ইম্পর্টেন্ট কোন ইস্যু।

বাসায় হরতাল হোক। হোক অনশন।

লাগাতার, অবিরাম।



ছেলেটা আর বেশি কিছু চায়নি।

চেয়েছিল, ইচ্ছে করে এনিভার্সারির ডেট ভুলে থাকার ভান করতে।

যাতে কেউ তার উপর রাগ দেখাক, করুক অভিমান ।

রাগ ভাঙ্গাতে যাতে ছুটে যেতে হয় তাকে,

বেইলি রোডের ফুলের দোকান থেকে ‘হার্টস অন ফায়ার’ পর্যন্ত।

ছেলেটি চেয়েছিল, মেয়েটি তার সাডেন সারপ্রাইজে অবাক হোক।

অথবা, ছুটে এসে তার কাঁধে মাথা রেখে কান্না করুক।

“কারো কারো রাগ ভাঙ্গানোর জন্য নাকি দুনিয়া ওলট-পালট করাও যায়েয।”

-ছেলেটা বলেছিল অবলীলায়।



ছেলেটা আর বেশি কিছু চায়নি।

চেয়েছিল, যখন মাঝরাতে খিধে পায়,

না বলা সত্ত্বেও কেউ ফ্রিজ থেকে খাবার গরম করে দিক।

কিংবা, ডেটে গেলে কেউ হঠাৎ করে আবদার করুক ফুচকা খাওয়ার।

তাও আবার বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে? বিলিভ হয়? কী জ্বালা!!

অগত্যা আর কি করা! কে এফ সি বাদ দিয়ে রাস্তার টং দোকানই সই।



ছেলেটা আর বেশি কিছু চায়নি।

চেয়েছিল তার বেসুরো গলার গান শুনুক মেয়েটি।

প্রেরণা হোক, তাড়ণা হোক কবিতার ছন্দগুলোর।

তার আজাইড়া গল্প-কবিতাগুলো পড়ুক বসে বসে।

অথবা, তার বস্তাপচা পুরানো জোকসেও হেসে উঠুক।

কেউ তাকে বলুক, “তুমি এত ফানি কেন?”



ছেলেটা আর বেশি কিছু চায়নি।

চেয়েছিল মেয়েটি বলুক, “বিশ্বসংসার তন্ন তন্ন করে খুঁজে এনো কিন্তু ১০৮টা নীলপদ্ম।”

কিংবা “আমার জন্য পারবে কি বল লিখতে সাতান্নো লাইনের প্রেমপদ্য?”

ছেলেটা আর বেশি কিছু চায়নি।

চেয়েছিল মেয়েটিক বলতে,”তুমি আমার সম্পত্তি নও, সম্পদ।”

অথবা, “তুমি শুধু নারী নও, আমার রমণী।”



বিশ্বাস কর, মেয়ে!

ছেলেটা চেয়েছিল তোমাকে।

এর চেয়ে আর বেশি কিছু সে চায়নি



৫ নভেম্বর, ২০১৩



পুনশ্চঃ বরাবরের মতই এখানে ছেলেটা আর মেয়েটার চরিত্র সম্পুর্ণ কাল্পনিক। কারো সাথে মিলে গেলে তা অনভিপ্রেত কাকতাল মাত্র।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০৪

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: অসংখ্য ভালো লাগা!

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৩

ছবিকর বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.