নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শরিফ৭১

আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা....

শরিফ৭১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

The sea of Trees

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:২৫

এটি আর্থার ব্রেনান নামের এক আমেরিকান ভদ্রলোকের গল্প।স্ত্রী বিয়োগের পর তার ভিতরে তীব্র হতাশা ভর করে। সে চলে যায় জাপানের এক বনে যেখানে সবাই আত্মহত্যা করতে যায়। রহস্যে ঘেরা বন। বনের ভিতরে ঢোকার আগে কয়েক জায়গায় পরিবারের কথা ভাবতে বলা হয়েছে, জীবন কত সুন্দর তা বলা হয়েছে নোটিশ বোর্ডে। কিন্তু আর্থার ব্রেনান এত দূর থেকে এসেছে এই নোটিশ দেখে চলে যাওয়ার জন্য না। সে বনের ভিতরে ঢুকে। কিছুদূর যাওয়ার পরই দেখতে পায় মৃত মানুষের কঙ্কাল। সে একটু ভিতরে ঢুকে একটা পাথরের উপরে বসে ঘুমের বড়ি খেয়ে নেয় দুইটা।খাওয়ার পরেই দেখতে পায় এক লোক বনের ভিতরে হাঁটতে হাঁটতে পরে গেল। সে দৌড়ে কাছে যাওয়ার পর দেখল সে একজন জাপানি।আত্মহত্যার জন্যই এসেছিল কিন্তু এখন ফিরে যেতে চায়।কিন্তু ফেরার রাস্তা খুঁজে পাচ্ছে না। আর্থার ব্রেনান তাকে রাস্তা দেখিয়ে দেয়। কিন্তু সেই রাস্তায় গিয়েও জাপানি ভদ্রলোক বের হওয়ার রাস্তা খুঁজে পায় না।তখন আর্থার ব্রেনান এবার তাকে নিজেই রাস্তা দেখাতে যায় এবং এবার সে নিজেও রাস্তা খুঁজে পায় না।এই রহস্যময় বনের রহস্যে আর্থার ব্রেনান ঘুরপাক খেতে থাকে নাকুমি নাকামুরা নামের জাপানি কে সঙ্গে নিয়ে। প্রচণ্ড ঠাণ্ডা, রাত হয়ে যাচ্ছে কিন্তু ফেরার রাস্তা পাওয়া যাচ্ছে না।এর ভিতরে আরও কিছু লাশের দেখাও পেয়ে গেছে আর্থার ব্রেনান।সে নিজেও ততক্ষনে বের হওয়ার জন্য পাগলের মত রাস্তা খুজছে।শেষ পর্যন্ত কি হয়েছিল তা জানতে হলে দেখতে হবে মিল্ক, গুড উইল হান্টিং খ্যাত পরিচালক গাস ভ্যান সান্ট (Gus Van Sant) পরিচালিত ছবি দা সী অফ ট্রিস (The sea of Trees)।আর্থার ব্রেনানের চরিত্রে অভিনয় করেছেন ম্যাথুউ ম্যাকানহে (Matthew McConaughey) এবং অসাধারন অভিনয় করে সিনামাকে অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছেন তিনি। স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন নাওমি ওয়াটস(Naomi Watts), বরাবরের মতই চমৎকার অভিনয় করছেন তিনি। এই ছবি শুধু মাত্র বন থেকে বের হওয়ার রাস্তা খোঁজার না বরং স্বামি স্ত্রীর সম্পর্ক, মানুষের চরিত্র, মানুষের জীবনের নানান প্রশ্নের উত্তরের ছবি এটা। অদ্ভুত সুন্দর এক গল্পের সিনামা এটা। যা মানুষের মন কে আলোড়িত করে প্রবল ভাবে।
ছবির মজার দিক হচ্ছে ছবিতে যে বনের কথা বলা হয়েছে তা বাস্তবেও আছে। এই বনে আত্মহত্যার হার গোল্ডেন ব্রিজের পরেই।বনটি জাপানিদের কাছে আত্মহত্যার সবচেয়ে জনপ্রিয় জায়গা এবং পুরো পৃথিবিতে দ্বিতীয়। বলা বাহুল্য প্রথম স্থান গোল্ডেন ব্রিজ। জাপানি মিথ অনুযায়ী এখানে আত্মারা থাকে। তারা ঘুরে বেরায় এখানে। ফুজি মাউন্টেনের কাছে এই বনের নাম হচ্ছে অওকিগাহারা (Aokigahara) বা সুইসাইড ফরেস্ট বা সী অফ ট্রিস!!।
এই অদ্ভুত বন এবং চমৎকার গল্পের এই ছবি আইএমডিবি রেটিঙ্গে ভাল অবস্থানে নাই(৫.৪) কিন্তু আমার ব্যাক্তিগত রেটিং ৭.৫।ছবির ফিনিশিং ছিল অতি অতি চমৎকার। একটা দারুন ছবির ফিনিশিং যেমন হওয়া উচিত ঠিক তেমনই।এ বছরের মাস্ট ওয়াচ মুভি।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৫০

আনিসা নাসরীন বলেছেন: দেখতে হবে।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৩৪

শরিফ৭১ বলেছেন: দেখে ফেলুন। ফিনিসিংটা অসাধারণ ছিল। অনেকদিন মনে রাখার মত।

২| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:৪৬

ওয়াহিদ সাইম বলেছেন: সম্ভবত ট্যাবলেট খাওয়ার পরই নিঃসংগ আর্থার ব্রেনান সেলুসিনেশনের পাল্লায় পড়েছে।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৩৬

শরিফ৭১ বলেছেন: এই ভাবে ব্যাখ্যা দেওয়া যায়। কিন্তু ফিনিসিং কিন্তু এই ব্যাখ্যা কে ভুল প্রমান করবে। দেখে থাকলে তো বুঝতেই পারছেন কি বলতে চাচ্ছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.