নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শরীফ হোসেন সাঈদ

সপ্ন দেখতে ভালোবাসি।

শরীফ হোসেন সাঈদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অবৈধ এবং আন-অফিসিয়াল মোবাইল ফোন নিবন্ধনের মাধ্যমে কিভাবে বৈধ করবেন?

১৪ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:০৬



আপনারা তো অনেকেই জানেন, সম্প্রতি বি টি আর সি থেকে একটি বিশেষ নির্দেশ জারি হয়েছে, ১লা জুলাই ২০২১ সালের পর কোন আন-অফিসিয়াল ফোন বাংলাদেশের নেটওয়ার্কে চলবে না।

এর পর থেকে অনেকেই এই নিয়ে ভীষণ চিন্তিত এবং উদ্বিগ্ন যে আপনার বন্ধু বা পরিবারের সদস্য আপনাকে দেশের বাইরে থেকে ফোন পাঠিয়েছেন।

অনেকেই দেশে থেকেই দাম কমের আশায় আন-অফিসিয়াল স্মার্টফোন কিনেছেন যাদের ফোনের আই এম ই আই নম্বর এস এম এস করলে বি টি আর সি এর ডাটাবেস পাওয়া যায় না।


অনেকেই এই নিয়ে জানতে চান যে,
তাদের অন-অফিসিয়াল ফোন বাংলাদেশের নেটওয়ার্কে নিবন্ধন করতে পারবেন কিনা?
এই ফোন ব্যবহার করলে ভবিষ্যতে কোন সমস্যা হবে কিনা?
যদি আন-অফিসিয়াল ফোন ব্যবহার করতেই চাই, তাহলে কি করতে হবে?
এরজন্য কোন ট্যাক্স প্রদান করতে হবে কিনা?
ট্যাক্স প্রদান করতে হলে কি পরিমান ট্যাক্স প্রদান করতে হবে?

এ সব কিছু নিয়ে আলোচনা করবো আমাদের এই আর্টিকেল। আশা করি আর্টিকেল আপনাকে সঠিক তথ্য এবং গাইডলাইন দিবে যা আসলেই আপনার জন্যে সহায়ক।

চলুন শুরু করি।

বি টি আর সি নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী, ৩০ শে জুন পর্যন্ত সময়সীমা ছিলো, যে সময়সীমার মধ্যে অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন নিবন্ধন করার নির্দেশ ছিলো।

যারা এখনো পর্যন্ত তাদের ফোন নিবন্ধন করেন নাই বা নিবন্ধন করতে হবে কিনা?
যত প্রকার আন-অফিসিয়াল ফোন আছে, তা সয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হয়ে যাবে। এ জন্য আপনাকে কোন পদক্ষেপ নিতে হবে না, কোন ট্যাক্স প্রদান করতে হবে না এবং আপনাকে বিটি আর সি ওয়েবসাইটে যেয়ে নিবন্ধিত করতে হবে না।

যদি আপনি সেই আন অফিসিয়াল মোবাইলের ভিতর বাংলাদেশি কোন সীম প্রবেশ করিয়ে থাকেন এবং তা ব্যবহার করতে থাকেন।

তার মানে ৩০ শে জুন ২০২১ সালের আগে যত প্রকার আন-অফিশিয়াল ফোন রয়েছে সেই ফোনগুলিতে যদি একবারের জন্যে হ্যান্ডসেটে প্রবেশ করানো হয় তবে তাহলে মোবাইল ফোনটি সয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হয়ে যাবে।

আপনার হয়ত একটা বিষয়ে সংশয় থাকতে পারে, আপনার মোবাইল টি নিবন্ধিত আছে কিনা? তা জানতে যদি বিটিআরসি কে এস এম এস করে থাকেন এবং দেখেন সেখানে আপনার মোবাইলটির আই এম ই আই নিবন্ধিত নেই। তাহলে ভয় বা ঘাবড়ানোর কোন কারণ নেই, কারন আপনার ফোন নিবন্ধিত করার জন্য এখনো সময় আছে।

আপনার এই রেজিস্ট্রেশন প্রসেসটি এখনো চলমান আছে সুতরাং অল্প কিছু দিনের মধ্যেই আপনি জানতে পারবেন আপনার ফোনটি নিবন্ধিত আছে কিনা?

এস এম এস এর মাধ্যমে ইচ্ছা করলেই জানতে পারেন আপনার মোবাইলটি এখনও নিবন্ধিত আছে কিনা? এবং আপনারা আনঅফিসিয়াল মোবাইল ফোন টি বি টি সিএল ডাটাবেজের নিবন্ধন হয়ে গিয়েছে কিনা?

৩০ শে জুনের আগে যদি দেশের বাইরে বাইরে থেকে কোনো আনঅফিসিয়াল ফোন এসে থাকে তবে কোনো চিন্তার কারন নেই কারণ পহেলা জুলাই থেকে সকল আন অফিসিয়াল ফোনটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হয়ে যাবে।

পহেলা জুলাই এর পর থেকে যেসব ফোন আসবে হোক সেটা কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে অথবা অন্য যে কোন উপায়ে তাদের ক্ষেত্রে কি নিয়ম প্রযোজ্য?
সেক্ষেত্রে আপনাকে বিটিসিএলের রেজিস্ট্রেশন অবশ্যই করতে হবে।

আপনি যদি দেশে বাইরে থেকে কোন ফোন আনেন কিংবা বাইরের দেশ থেকে কেউ যদি আপনাকে মোবাইল ফোন পাঠায়, হতে পারে আপনার বন্ধু বা আত্মীয় স্বজন তাহলে আপনাকে ৫৭% ট্যাক্স বাংলাদেশ সরকারকে পরিশোধ করতে হবে।

আপনি যদি দুটি ফোন নিয়ে আসেন তাহলে কোন ট্যাক্স আপনাকে প্রদান করতে হবে না।

বাংলাদেশ ফোন দুটি প্রবেশের পর আপনি বাংলাদেশি নেটওয়ার্কের যে কোন সিম প্রবেশ করানোর পর সর্বোচ্চ দশ দিন পর্যন্ত ফ্রিতে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। অর্থাৎ এর জন্য আপনাকে কোন অর্থ বাংলাদেশ সরকারকে প্রদান করতে হবে না।

কিন্তু সেই ক্ষেত্রে আপনার নির্দিষ্ট কিছু ডকুমেন্ট আছে যা অবশ্যই আপনাকে জমা দিতে হবে।

৩০ জুনের পর অর্থাৎ পহেলা জুলাই থেকে নতুন মোবাইল ফোন কিনবেন তাদের জন্য কি নিয়ম?
বিভিন্ন অনলাইন এবং অফলাইন মার্কেটপ্লেস থেকে অনেকে তাদের ব্যক্তিগত জরুরী প্রয়োজনে কম দামে মোবাইল ফোন কিনতে আগ্রহী থাকেন।

ব্র্যান্ড নিউ হোক আর সেকেন্ড হ্যান্ড মোবাইল হোক, ফোন কেনার আগে অবশ্যই আই এম ই আই যাচাই করে নিবেন যে এটি বিটিসিএলের নিবন্ধিত আছে কিনা?

সেক্ষেত্রে আপনি মোবাইলে এসএমএস দিয়ে জানতে পারেন অথবা বিটিসিএলের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকেও জানতে পারেন।

এক্ষেত্রে আপনাদের সচেতন থাকতে হবে, যদি নিবন্ধিত না হয়ে থাকে তাহলে আদৌ নিবন্ধনের কোন সুযোগ আছে কিনা বা সুযোগ থাকলে সেক্ষেত্রে

এখন যারা কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে এই মোবাইল ফোনটি পাঠাবেন অর্থাৎ আপনার বন্ধু বা পরিবারের কোন সদস্য যদি আপনাকে একটি মোবাইল ফোন উপহার দেয় সেক্ষেত্রে আপনাকে ট্যাক্স প্রদান করতে হবে কিনা?
সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে ট্যাক্স প্রদান করতে হবে।

প্রশ্ন করতে পারেন কিভাবে?

আপনাকে যে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে এই ফোনটি পাঠানো হবে সেই কুরিয়ার সার্ভিস কে অবশ্যই ট্যাক্স প্রদান করে বাংলাদেশে আনতে হবে।

সেই কর বা ট্যাক্সের টাকা অবশ্যই আপনার কুরিয়ার সার্ভিসকে পরিশোধ করতে হবে।

এক্ষেত্রে চার্জ হবে ৫৭%।

এর মানে হলো আপনার মোবাইলের সাথে যে ক্যাশ মেমো বা রিসিভ কপি আসবে তার ৫৭ শতাংশ আপনাকে কর পরিশোধ করতে হবে।

অর্থাৎ প্রতি ১০০ টাকায় আপনাকে ৫৭ টাকা কর হিসেবে প্রদান করতে হবে।

ধরুন যদি আপনার মোবাইলের দাম ১০ হাজার টাকা হয়ে থাকে তাহলে ৫ হাজার ৭০০ টাকা আপনাকে কর বা ট্যাক্স হিসেবে প্রদান করতে হবে।

কিন্তু যারা নিজেদের সাথে মোবাইল ফোন বহন করবেন এবং আপনি যদি বিদেশ থেকে আপনার পরিবার বা বন্ধুর জন্য মোবাইল সঙ্গে করে নিয়ে আসেন তবে সেক্ষেত্রে নিয়ম কি?
সেক্ষেত্রে নিয়মের কিছু ভিন্নতা আছে।

প্রবাসী কোন ব্যক্তি যদি দেশের বাইরে থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করে এবং সর্বোচ্চ ২ টি ফোন তার সঙ্গে বহন করে সেক্ষেত্রে তাকে কোন ট্যাক্স বা কর পরিশোধ করতে হবে না।

কিন্তু যদি দুইটার বেশি মোবাইল ফোন বহন করে এবং বাংলাদেশ প্রবেশ করে তাহলে তাকে অবশ্যই ৫৭% কর পরিশোধ করতে হবে। তবে সে ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৬ টি মোবাইল বহন করতে পারবেন।

যারা কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বাইরের দেশ থেকে বাংলাদেশ ফোন আনতে ইচ্ছুক তাদেরকে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।

যদি কেউ আপনাকে মোবাইল ফোন উপহার দিতে চায় তাহলে তার সাথে করে নিয়ে আসা বা বহন করা সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

আশা করি দেশের বাইরে থেকে কোন মোবাইল ফোন কিনে আনার সময় বা কেউ মোবাইল ফোন উপহার দিলে কিভাবে আপনাকে মোবাইল ফোন নিবন্ধন করতে হবে সেই সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারনা পেয়েছেন। ভবিষ্যতে নতুন মোবাইল ফোন কিনতে গেলে কি কি বিষয়ে সচেতন হতে হবে নিশ্চয়ই জানতে পেরেছেন।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:২৬

ফুয়াদের বাপ বলেছেন: প্রবাস থেকে যারা ২ টা মোবাইল ফোন সাথে করে আনবে তাদের মোবাইলগুলো কি স্বয়ংক্রিয় নিবন্ধন হয়ে যাবে নাকি নিবন্ধন করাতে হবে কোন প্রক্রিয়ায়?

২| ১৪ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:১২

রিফাত হোসেন বলেছেন: আপনার পোস্টটি গুছিয়ে লিখতে পারেন নাই। আপনি কয়েকটা বিষয় নিয়ে টেনে লম্বা করেছেন অযথা। মাইনাস বাটনটার অভাব অনুভব করছি।

৩| ১৬ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১২:১৬

মোবারক বলেছেন: তথ্য সূত্র দিলে আরও উপকার হতো। প্রবাসীরা ২ মোবাইল ও ট্যাক্স সূত্র

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.