![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যাহা সত্য তাহা সত্যই
হিটলারের আর্মিতে আমন গোয়েথ নামের
একজন অফিসার ছিলেন। প্রচণ্ড রকমের নিষ্ঠুর
এবং বর্বর। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে জার্মানি
পোল্যান্ড দখল করে নিয়ে সেখানে যে
কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প করেছিল সেটার কমান্ডার
ছিলেন তিনি। উনার বর্বতার দুইটা উদাহরণ দিই;-
-প্রচণ্ড ঠান্ডার মধ্যে ইহুদি মেয়েদের নগ্ন
করে তুষারে হাঁটাতেন তিনি।
-একটা সুন্দরী ইহুদি মেয়েকে প্রতিদিন নিয়মিত
ধর্ষণ করতেন তিনি। শুধু ধর্ষণ করেই ক্ষান্ত
হতো না, মারধরও করত।
মেয়েটা জিজ্ঞাসা করল;-
তুমি রেইপ করছ করো আবার মারছ কেন?
গোয়েথ উত্তর দিলেন,"এতক্ষণ কেন মারছিলাম
জানি না। এখন মারছি কারণ তুমি জিজ্ঞাসা করেছ কেন
মারছি তাই।"
ক্ষমতায় থাকলে মানুষ নিষ্ঠুর হয়, নির্যাতন করে।
নির্যাতনের পাশাপাশি একটা আসুরিক আনন্দ নিতে চাই।
বাংলাদেশে কোন হিটলারের কনসেন্ট্রেশন
ক্যাম্প নেই তবে ক্ষমতায় আওয়ামীলীগ
আছে।
টাঙ্গাইলের মধুপুর বনাঞ্চলে ভাইকে গাছের
সাথে বেঁধে রেখে ভাইয়ের সামনেই
বোনকে ধর্ষণ করলো ক্ষমতাসীন দলের
সংগঠন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের দুই নেতা।
দেশের যেকোন একজন মানুষের বোনকে
আওয়ামীলীগের লোকজন চাইলেই ধর্ষণ
করতে পারে। অনেক পরিশ্রম আর খাটুনি করে
তারা দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন
করছে। এইটুকু অধিকার তাদের থাকবে না?
অবশ্যই আছে।
কিন্তু বোনকে ভাইয়ের সামনে ধর্ষণ করা
কেন?
-ঐ যে একটা আসুরিক আনন্দ নেওয়া।
ফেনীতে ২০১৩ সালে মা-মেয়েকে
একসাথেই ধর্ষণ করেছিল দাগনভূঞা উপজেলার
ভাইস চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন মামুন ও তার
সাঙ্গপাঙ্গরা। প্রথমে দিনেদুপুরে বাজার থেকে
মেয়েকে তুলে নিয়ে যায়। তারপর মাকে
ফোন করিয়ে নিয়ে এসে মা-মেয়ে
দুজনকেই ধর্ষণ করে।
আচ্ছা, এটা কি কোন সভ্য দেশ? এখানে কি
মানুষেরা থাকে?
মা-মেয়ের ধর্ষণের ভিডিও এবং নগ্ন ছবিও তুলে
নেয় তারা। ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের
করলে সেই ছবি এবং ভিডিও কিছুদিন আগে
অনলাইনে ছেড়ে দেয় আওয়ামীলীগের ঐ
ধর্ষক নেতাকর্মীরা।
অর্থাৎ, নিষ্ঠুরতা এবং বর্বরতার শেষ পর্যায়ে চলে
যাওয়া। ক্ষমতায় তো আমরাই আছি। তাই না!
বগুড়া জেলার শিবগঞ্জে যুবলীগ নেতা
মোফাজ্জেল হোসেন ও তার চ্যালারা সংখ্যালঘু
এক কিশোরীকে তুলে নিয়ে গিয়ে রাতভর
ধর্ষণ করে পরদিন সকালে ফেরত দিয়ে
গেছে।
-হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে সংখ্যালঘু পরিবারের এক
শিশুকে ধর্ষণ করেছে যুবলীগ নেতা।
-বান্দরবানের রুমাতে বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের
বিজয় উদযাপনে এক আদিবাসী তরুণীকে ধর্ষণ
করেছে আওয়ামীলীগেত চ্যালাচামুণ্ডারা।
-খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার কবখালী
ইউনিয়নে আদিবাসী এক কিশোরীকে ধর্ষণ
করেছে সেখানকার ছাত্রলীগ শাহরিয়ার
হোসেন সোহেল।
এগুলো টুকিটাকি বিবরণ মাত্র। সব লিখলে তো
রামায়ণ-মহাভারত সাইজের বই হয়ে যাবে। কি পাহাড় কি
সমতল! সমগ্র বাংলাদেশে ধর্ষণের রাজত্ব
কায়েম করেছে আওয়ামীলীগ। ৫৬ হাজার
বর্গমাইলের বাংলাদেশ হয়ে উঠেছে ধর্ষণের
ভূমি, ধর্ষকদের অভয়ারণ্য।
প্রগতিশীল ব্যক্তিদের খুন করা হচ্ছে, সংখ্যালঘু
নির্যাতন ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস বেড়েই চলেছে
দিনদিন। ইসলামিক মৌলবাদের উত্থানও হচ্ছে
একেবারে জোরেশোরে। আগে ছিল শুধু
জেএমবি, এখন আছে আনসারুল্লাহ, আইএস,
হিজবুল্লাহ তাহবীর, শহীদ হামজা ব্রিগেড আরও
কত।
আর ৯০% মুসমানের ভোটের লোভে
আওয়ামীলীগ যত ধর্মান্ধতা আর মৌলবাদকে
তোষণ করেই চলেছে।
ধর্ষণ তো এখন বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক।
এত এত কিছুতে সরকার বিব্রত হয় না। এগুলো
ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের গৌরব। সরকার শুধু
বিব্রত হচ্ছে ব্লগারদের কারণে।
তাই এই স্ট্যাটাসটি লিখলাম সরকারকে আর একটু
বিব্রত করার জন্য।
আপাতত এই দেশে সবাই কাকের মত চোখ বন্ধ
করে ভালো আছে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে!
-নাস্তিক মেরেছে কুপিয়ে বেশ করেছে।
আরও মারুক।
-চোখ বন্ধ রেখেই বলেন দেশে কোন
আইএস নেই, জেএমবি নেই, আনসারুল্লাহ নেই।
সব রুপকথা! সব ভালো মুসলমান এই দেশে।
-ধর্ষণ হয়েছে?
তাতে কি ভারতে আরও বেশি হয়। এসব বলে
দেশের মানসম্মান কমাবেন না।
বছর দশেক পর যখন অসহী মুসলমানেরা(!)
বোমা মেরে মেরে ইসলাম কায়েম করবে
আইএসের মত, নিজের মেয়েটা কিংবা বোন
যখন ধর্ষিত হবে তখন বুঝবেন দেশ এগিয়ে
যেতে যেতে কোথায় গিয়ে ঠেকেছে।
সেই পর্যন্ত ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। দেশ
এগিয়ে যাচ্ছে। পাগলের সুখ প্রলাপে!
©somewhere in net ltd.