![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যাহা সত্য তাহা সত্যই
আপনারা অনেকেই হয়ত জানেন সংবিধান মূলত হয় ২ ধরনের। লিখিত আর অলিখিত। আমাদের দেশের সংবিধান লিখিত।
পৃথিবীর অনেক দেশের সংবিধান ই অলিখিত। যেমনঃ বৃটেন, স্পেন প্রভৃতি। লিখিত সংবিধান আছে ভারত, যুক্তরাষ্ট্র প্রভৃতি রাষ্ট্রের।
এবার আসুন দেখি সংবিধানে কয়টি ভাগ আছে, আমার পোস্ট পড়ার সময় এটি কাজ দিবে,
প্রথম বিভাগ প্রজাতন্ত্র (অনুচ্ছেদ নং ০১-০৭)
দ্বিতীয় বিভাগ রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি (অনুচ্ছেদ নং ০৮-২৫)
তৃতীয় বিভাগ মৌলিক অধিকার(অনুচ্ছেদ নং ২৬-৪৭)
চতুর্থ বিভাগ নির্বাহী বিভাগ(অনুচ্ছেদ নং ৪৮-৬৪)
পঞ্চম বিভাগ আইনসভা(অনুচ্ছেদ নং ৬৫-৯৩)
ষষ্ট বিভাগ বিচার বিভাগ(অনুচ্ছেদ নং ৯৪-১১৭)
সপ্তম বিভাগ নির্বাচন(অনুচ্ছেদ নং ১১৮-১২৬)
অষ্টম বিভাগ মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রন(অনুঃ ১২৭-১৩২)
নবম বিভাগ (ক) বাংলাদেশেরকর্মবিভাগ(অনুচ্ছেদ নং ১৩৩-১৪১)
নবম বিভাগ (খ) জরুরী বিধানবলী(অনুচ্ছেদ নং ১৪১ক - গ)
দশম বিভাগ সংবিধান সংশোধনী(অনুচ্ছেদ নং ১৪২- )
একাদশ বিভাগ বিবিধ(অনুচ্ছেদ নং(অনুচ্ছেদ নং ১৪৩-১৫৩)
- - - - - - - -
@@@ এবার আসুন দেখি সংবিধানে রাস্ট্রধর্ম সম্পর্কে কি আছে, ---
২ ধারা ক। প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম, তবে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টানসহ অন্যান্য ধর্ম পালনে রাষ্ট্র সমমর্যাদা ও সমঅধিকার নিশ্চিত করিবেন [উপরে মিলিয়ে নিন এটা সংবিধানের প্রথমভাগে আছে]
-> ভালো ভাবে লক্ষ্য করুন রাস্ট্রভাষা ইসলাম কিন্তু সকল ধর্মকে সমমর্যাদা ও সমঅধিকার দিয়ে দেয়া হয়েছে । তাহলে অসম অধিকার কে ইস্যু করে ধর্ম নিরপেক্ষতার কথা বলা হচ্ছে কেন, সমান অধিকার তো আছেই ?
@@@ এবার আসুন ধর্ম নিরপেক্ষতা সম্পর্কে কিছু আছি কিনা একটু দেখি, ---
১২ধারা । ধর্ম নিরপেক্ষতা নীতি বাস্তবায়নের জন্য
(ক) সর্ব প্রকার সাম্প্রদায়িকতা,
(খ) রাষ্ট্র কর্তৃক কোন ধর্মকে রাজনৈতিক মর্যাদা দান,
(গ) রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্মীয় অপব্যবহার,
(ঘ) কোন বিশেষ ধর্ম পালনকারী ব্যক্তির প্রতি বৈষম্য বা তাহার উপর নিপীড়ন,
বিলোপ করা হইবে।
-> সুতরাং ধর্ম নিরপেক্ষতা তো দেয়াই আছে !! নেই কোথায় ??
- - - - - - - -
এবার আসুন দেখি সংবিধানে জনগণের পাধান্য কতটুক ?
@@@ ৭ ধারা ৷ (১) প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ; এবং জনগণের পক্ষে সেই ক্ষমতার প্রয়োগ কেবল এই সংবিধানের অধীন ও কর্তৃত্বে কার্যকর হইবে৷
- > এই ধারায় স্পট বলে দেওয়া আছে সকল খমতার মালিক জনগণ, সুতরাং জনগণের মতামত অগ্রাহ্য করে কিসের রাস্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ ?
এবার আবার দেখি দাদাবাবুদের অধিকার কতটুকু ?
@@@ ২৭ ধারা। সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী।
@@@ ২৮ ধারা । (১) কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারীপুরুষভেদ বা জন্মস্থানের কারণে কোন নাগরিকের প্রতি রাষ্ট্র বৈষম্য প্রদর্শন করিবেন না।
-> সংবিধানে স্পষ্টই তাদের ন্যায্য অধিকার দেওয়া আছে, তাহলে কেন এত মিথ্যে নাটক ? এই সব গণ্ডমুর্খের দল কবে যে একটু সাম্প্রদায়িকতা ছাড়তে পারবে !!
- - - - - - - -
এইবার সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন ইস্যু। আগামীকাল যদি এই ইস্যু নিয়ে কেউ লড়াই করে তাহলে সরাসরি রিট আবেদন খারিজ হয়ে যাবে, আর কোন কিছুই লাগবে না।
তা হোলও রাস্ট্রধর্মের ধারা আছে সংবিধানের প্রথম ভাগে, উপরের বিভাগ গুলো আবার দেখতে পারেন।
আবারও বলছি রাস্ট্রধর্মের ধারা আছে সংবিধানের প্রথম ভাগে।
বরং মজার ব্যাপার হোলও এই ভাগের কোন ধারাই পরবর্তন করা যাবে না। দেখুন সংবিধানে কি আছে - ->
@@@
৭ ধারা খ।সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সংবিধানের প্রস্তাবনা, প্রথম ভাগের সকল অনুচ্ছেদ, দ্বিতীয় ভাগের সকল অনুচ্ছেদ, নবম-ক ভাগে বর্ণিত অনুচ্ছেদসমূহের বিধানাবলী সাপেক্ষে তৃতীয় ভাগের সকল অনুচ্ছেদ এবং একাদশ ভাগের ১৫০ অনুচ্ছেদসহ সংবিধানের অন্যান্য মৌলিক কাঠামো সংক্রান্ত অনুচ্ছেদসমুহের বিধানাবলী সংযোজন, পরিবর্তন, প্রতিস্থাপন, রহিতকরণ কিংবা অন্য কোন পন্থায় সংশোধনের অযোগ্য হইবে।
--< অর্থাৎ কোন অবস্থাতেই এই রাস্ট্রধর্ম ইসলাম সংযোজন, পরিবর্তন, প্রতিস্থাপন, রহিতকরণ কিংবা অন্য কোন পন্থায় সংশোধন করা যাবে না ।
আসুন দেখি উপরেল্লিখিত ১৪২ অনুচ্ছেদে কি বলা আছে,
@@@
১৪২ ধারা । এই সংবিধানে যাহা বলা হইয়াছে, তাহা সত্ত্বেও-
(ক) সংসদের আইন-দ্বারা এই সংবিধানের কোন বিধান সংযোজন, পরিবর্তন, প্রতিস্থাপন বা রহিতকরণের দ্বারা সংশোধিত হইতে পারিবেঃ
তবে শর্ত থাকে যে,
(অ) অনুরুপ সংশোধনীর জন্য আনীত কোন বিলের সম্পূর্ন শিরনামায় এই সংবিধানের কোন বিধান সংশোধন করা হইবে বলিয়া স্পষ্টরুপে উল্লেখ না থাকিলে বিলটি বিবেচনার জন্য গ্রহণ করা যাইবে না;
(আ) সংসদের মোট সদস্য-সংখ্যার অন্যূন দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে গৃহীত না হইলে অনুরুপ কোন বিলে সম্মতিদানের জন্য তাহা রাষ্ট্রপতির নিকট উপস্থাপিত হইবে না;
(খ) উপরি-উক্ত উপায়ে কোন বিল গৃহীত হইবার পর সম্মতির জন্য রাষ্ট্রপতির নিকট তাহা উপস্থাপিত হইলে উপস্থাপনের সাত দিনের মধ্যে তিনি বিলটিতে সম্মতিদান করিবেন, এবং তিনি তাহা করিতে অসমর্থ হইলে উক্ত মেয়াদের অবসানে তিনি বিলটিতে সম্মতিদান করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে।
----- অর্থাৎ সংসদ যদি চায় এই সংবিধানের যে কোন ধারা ২/৩ ভাগ ভোটের ভিত্তিতে পরিবর্তন করেতে পারবে, তবে অবশ্যই অবশ্যই সংবিধানের প্রথম ভাগ, দ্বিতীয় ভাগ, মুলনীতি এসব ছাড়া।
সুতরাং সংবিধান রাস্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দেয়ার সুযোগ সংবিধানই রুদ্ধ করে রেখেছে।
.............................................
এরপরও কারো যদি কোন মলমের প্রয়োজন পড়ে দুইটি মহান ব্যাক্তির উক্তি দিচ্ছি, মিলিয়ে দেখে নিয়েন।
১ । মাননীয় প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক বলেছেন, সংবিধানের মৌলিক কাঠামো কোনোভাবেই পরিবর্তন যোগ্য নয়।
সুত্র - প্রথম আলো, ৩০ এপ্রিল ২০১১, শেষের পাতা।
২। গত নির্বাচনের সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন , ‘যা হবে সংবিধান মোতাবেক হবে। তা থেকে এক চুলও নড়ব না’। অর্থাৎ সংবিধান পরিবর্তন করা যাবে না তাই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন !
সুত্রঃ যুগান্তর, ১৯ আগস্ট ২০১৩, প্রথম পাতা।
উপরোক্ত আলোচনা থেকে এটাই প্রস্ফুটিত হোলও - এই সংবিধানের প্রথম ভাগ অর্থাৎ রাস্ট্র ধর্ম ইসলামকে পরিবর্তন আর করা যাবে না।
নোটঃ সংবিধান লিখে সার্চ দিলে গুগলে সংবিধান চলে আসবে।
ধন্যবাদ, ধন্যবাদ সবাইকে।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৬:১২
শরিফুল ইসলাম শোয়াইব বলেছেন: নিচে একটা উত্তর দেওয়া আছে দেখুন।
২| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৪২
আরইউ বলেছেন: রাস্ট্র ধর্মের নেসেসিটিটা কী?
৩| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৫৫
যোগী বলেছেন:
রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম থাকলে কী তুই সেল্ফি তোলা বন্ধ করবি? ইসলামে ছবি তোলা হারাম হজরত মোহাম্মদ (সা.) এর কোন ছবি নাই।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৬:১৪
শরিফুল ইসলাম শোয়াইব বলেছেন: আপনার ছবিটাও পাগলের মতো, কথাগুলো ঠিক তেমনি।
৪| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:১৭
সাদ্দাম হোসেন। বলেছেন: রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের
পর তুরস্কে যা ঘটেছিলো।
ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসাবে
তুরস্ককে
বিশ্বদরবারে তুলে ধরার জন্য
সেখানে
সংবিধান থেকে ইসলামকে
রাষ্ট্রধর্ম
হিসাবে তুলে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশেও
ঠিক একই কারন দেখিয়ে রাষ্ট্রধর্ম
থেকে
ইসলামকে বাতিলের চক্রান্ত
চলছে। তুরষ্কে
১৯২৮ সালের ১০ এপ্রিল সংবিধান
হতে ধর্ম
সংক্রান্ত সব কথাই বাদ দেয়ার
মাধ্যমে
ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হতে বাতিল
করা হয়।
তারপর সেখানে যে পরিবর্তনগুলো
দেখা
যায় তা ছিলো রীতিমতো
উদ্বেগের। অবশ্য
ইসলাম নির্মুলের কিছু উদ্যোগ
রাষ্ট্রধর্ম
বাতিলের আগ থেকেই শুরু করা হয়।
তবে
সেই পথ বাধামুক্ত হয় রাষ্ট্রধর্ম
ইসলাম
বাতিলের পর।
১) ১৯২৫ সালে বিদ্যালয় হতে
কুরআন ও
ধর্মশিক্ষা নিষিদ্ধ করা হয়।
২) ধর্ম মন্ত্রণালয়, মাদরাসা-
মসজিদ বন্ধ
করে দেওয়া হয় এবং হজ্জ-ওমরা
নিষিদ্ধ
করা হয়।
৩) বড় বড় মসজিদগুলোতে নামায
বন্ধ করে
দিয়ে সেগুলোকে জাদুঘর হিসেবে
উন্মুক্ত
করে দেওয়া হয়। তুরস্কের সর্ববৃহৎ
মসজিদ
‘আয়া ছুফিয়া’কে রূপান্তরিত
করেছিলেন
সরকারি জাদুঘরে।
৪) নারীদের জন্য হিজাব পরিধান
বন্ধ করে
দেওয়া হয়। সরকারি নির্দেশে
তুর্কী পুলিশ
রাস্তায় বের হওয়া মুসলিম
মহিলাদের
ওড়না কেড়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলত।
৫) ১৯২৮ সালের ৩রা অক্টোবর
আরবীর অক্ষর
নিষিদ্ধ করে ল্যাটিন বর্ণমালা
চালু করা
হয়। আরবিতে কুরআন পড়া, নামাজ
পড়া ও
আজান দেওয়া নিষিদ্ধ হয়।
৬) তুর্কী ভাষা আরবী হরফে না
লিখে
ল্যাটিন হরফে লিখতে হতো।
৭) সাপ্তাহিক ছুটি হিসেবে
রবিবারকে
নির্ধারণ করা হয়।
৮) তুরস্কবাসীকে ভিন্ন ধরণের
পোষাক
পরতে বাধ্য করা হয়।
৮) মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ঈদকে
বর্জনীয়
ঘোষনা করা হয়।
৯) তুরস্কের অধীন
আজারবাইজানকে
রাশিয়ার কাছে বিক্রি করে
দেওয়া হয়।
১০) বক্তৃতা এবং বিবৃতিতে
নিয়মিত ইসলাম
ও ইসলামী পরিভাষাসমূহ নিয়ে
মিথ্যাচার
ও কুৎসা রটনা করে সেগুলো
বর্জনের প্রতি
সবাইকে আদেশ-নিষেধ করা হয়।
১১) সরকারী লোকদের জামায়াতে
নামায
পড়া নিষিদ্ধ হয়।
১২) ইসলামী নিয়ম অনুযায়ী
সালাম দেওয়াও
নিষিদ্ধ করা হয় । এর পরিবর্তে
সুপ্রভাত
(Good Morning) বিদায় (Good Bye) ও
হ্যান্ডশেক রেওয়াজ প্রবর্তিত হয়।
১৩) ১৯২৫ সালের ২৫শে নভেম্বর
ফেজ ও
পাগড়িকে জাতীয় পোশাক
হিসেবে
বাতিল করা হয় এবং হ্যাটসহ
ইউরোপীয়
পোশাক পরিধান বাধ্যতামূলক
করে সংসদে
সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে গ্রহণ করা হয়।
১৪) হিজরী ক্যালেন্ডার তার
কাছে
অগ্রহণযোগ্য ছিল । এজন্য ১৯২৫
সালের
২৬শে ডিসেম্বর হিজরী সনের
পরিবর্তে
ইংরেজদের তৈরী করা
ক্যালেন্ডার
(গেগ্রিয়ান ক্যালেন্ডার) চালু
করেন । এর
ফলে মুসলিম জগতের সাথে
তুরস্কের দৃঢ়বন্ধন
ছিন্ন হয়ে যায়।
১৫) ইসলামে মূর্তি অগ্রহণযোগ্য ।
তারপরও
১৯২৬ সালের ৩রা অক্টোবর
ইস্তাম্বুলে
কামালের মর্মর পাথরের তৈরী
মূর্তি
স্হাপন করা হয়। তুরস্কে এ দৃশ্য
সর্বপ্রথম।
১৯২৬সালের ৪ঠা নভেম্বর
আঙ্কারার
যাদুঘরের সম্মুখে আরও একটি মূর্তি
স্থাপিত
হয়। এভাবে তুরস্কের সর্বত্র তার
মুর্তি
স্হাপন করা হলো। ছাত্র-
ছাত্রীদের তার
ছবি আঁকা বা মুর্তি বানানো
পাঠ্যসুচীর
অংশ করা হয় ।(বাংলাদেশের
ক্ষেত্রে
মুর্তিকে ভাস্কর্য বলা হয় )।
১৬) ১৯৩৪ সালের ২৬শে নভেম্বর
একটি
আইনের মাধ্যমে সব তুর্কি
নাগরিককে
আহমদ, মুস্তফা প্রভৃতি আরবী নাম
রাখা
নিষিদ্ধ করা হয় ও যাদের এধরনের
নাম ছিল
তা বাদ দিয়ে প্রাচীন তুর্ক নাম
গ্রহণ
বাধ্যতামূলক করা হয়।
১৭) আলেমদের প্রতিষ্ঠানগুলো
ভেঙ্গে
দেয়া হয় এবং আলেমদেরকে
প্রজতন্ত্রের
শত্রু হিসিবে চিহ্নিত করা হয়।
কোন
আলেম তার বিরুদ্ধাচরণ করলে
তাকে সাথে
সাথে হত্যা করা হয়।
১৮) ১৯২৪ সালে ওয়াকফ সম্পত্তি
বাজেয়াপ্ত করে ইমাম, মুযাজ্জিন
ও
আলেমদের অর্থনৈতিকভাবে
বিপর্যস্ত করা
হয়।
সূত্র:
আধুনিক তুরস্কের ইতিহাস লেখক
: ড.
আব্দুল কাদের
৫| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৭
নক্শী কাঁথার মাঠ বলেছেন: সংবিধানে যদি এটা সংযোজন করা যায়, তাহলে অবশ্যই সেটা বাদ দেয়াও সম্ভব। ধর্মনিরপেক্ষতা আছে কি নেই সেটা এখানে বিষয় না। কথা হলো রাস্ট্রের আবার ধর্ম থাকা লাগবে কি জন্য? দেশে মুসলমান বেশি সে জন্য রাস্ট্রধর্ম ইসলাম হতে হবে এটা খুবই বাজে যুক্তি। এমন যদি কখনো হয়, দেশে হিন্দু বেড়ে গেলো, তখন যদি রাস্ট্রধর্ম হিন্দু করা হয়, আপনার দেয়া একই যুক্তি আপনার আর তখন যুক্তিযুক্ত বলে মনে হবেনা। কাজেই একপেশে চিন্তা ভাবনার অভ্যাস আমাদের বাদ দিতে শিখতে হবে। আমার মুসলিম, সে জন্য গায়ের জন্য রাস্ট্রধর্ম ইসলাম রাখবো, এটা হওয়া যে উচিৎ না সেটা আমাদের বুঝতে হবে। ধর্ম পালন করতে কোন রাস্ট্রধর্ম থাকার প্রয়োজন পড়েনা।
৬| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৮
নক্শী কাঁথার মাঠ বলেছেন: ...সে জন্য গায়ের "জোরে" রাস্ট্রধর্ম ইসলাম রাখবো...
৭| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:১৯
হোয়াইট লায়ন বলেছেন: ১৪২ নং অনুচ্ছেদ কি যখন 'রাষ্ট্র ধর্ম হবে ইসলাম' অংশটুকু সংবিধান সংশধনের মাধ্যমে ঢুকানো হয় তখন বলবত ছিল না? সেটা কিন্তু তখনও বলবত ছিল এবং তারপরেও আপনের কথামত তা এই 'অপরিবর্তনীয় প্রথম অনুচ্ছেদেই' ঢোকানো হয়েছিল। তাহলে সে সংশোধনটাই তো অসাংবিধানিক ছিল এবং তাই তা এমনিতেই বাতিল বলে গণ্য হবার কথা আইন কিংবা সংবিধানের দৃষ্টিতে। তাই না?
৮| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৮
বিজন রয় বলেছেন: বাতিল হয়নি, হবে না।
৯| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৬:০৯
শরিফুল ইসলাম শোয়াইব বলেছেন: ফাও চিল্লাচিল্লি করে কী লাভ হইলো? শুধু শুধু নিজেদের ইমেজ নষ্ট করলেন।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৩৮
আহলান বলেছেন: রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম প্রবর্তিত হয়েছিলো রাষ্ট্রপ্রধান এরশাদের দ্বারা , আমা র যতদুর মনে পড়ে। তাতে ধর্মের কি উপকার হয়েছে আমি বুঝি না। রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম তুলে দিলেই বা কি ক্ষতি হবে সেটা ব্যাখ্যা করলে খুশি হইতাম।