![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যাহা সত্য তাহা সত্যই
আপনি শিক্ষক। আপনি ছাত্রদের কাছে পিতার মতো এবং হয়তো কারও কাছে স্রষ্টার মতো।
কিন্তু আপনি কখনোই সব ছাত্রের পিতা বা স্রষ্টা নন। তাই আপনি যা খুশি তা বলতে পারেন না।
হ্যাঁ আপনি হিন্দু হোন বা মুসলিম হোন তবুও আপনি শিক্ষকই। আপনি সবার থেকে সম্মান, শ্রদ্ধা পাবেন।
তাই বলে সবার শ্রদ্ধা পেয়ে ধর্মের শ্রাদ্ধ করতে পারেন না।
আপনিতো হাইস্কুলের শিক্ষক কিন্তু আমাদের মাদ্রাসাতেও হিন্দু শিক্ষক আছে। তারমানে এই নয় যে সে তার ধর্ম ছেড়ে দিয়েছে বা মাদ্রাসায়ে হিন্দু ধর্ম শেখাচ্ছেন।
আপনি আপনার জায়গায় ধর্ম তার জায়গায়।
@@
শিক্ষক হিসেবে আপনার কান ধরাতে জাতীয় ইজ্জতে আঘাত লেগেছে। কিন্তু আপনি এটা বুঝলেন না যে আপনি কোথায় আঘাত হেনেছেন।?
@@
বুয়েটের এক শিক্ষকের কথা মনে আছে? প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করায় গ্রেফতারের আগেই শাস্তি শোনানো হয়েছিলো? এবং দ্রুত সময়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
@@
তখন জনতা (সবাই নয়) বাহবা দিয়েছিলো। যে দেশে বাস সেই দেশের প্রাইম মিনিস্টারের নামে কটু কথা?
@@
"সেই প্রধানমন্ত্রী সহো পৃথিবীর কোটি মানুষের প্রিয় ধর্মকে অপমান করার শাস্তি কান ধরে উঠবস? তাতেও জনতার বিবেকে বাধছে?
তাহলে কি তাকে নোবেল দিলে খুশি হতেন?
@@
আমাদের শিক্ষামন্ত্রী তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছেন! স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এর বিরুদ্ধে স্টাটাস দিচ্ছেন! আমজনতা ফেসবুক ফাটিয়ে ফেলছে!
আপনারা এতদিন কই ছিলেন?
@@
"অনেকেই বলছেন এতে করে সমস্ত শিক্ষক সমাজের অপমান হয়েছে! লজিক অফ দ্যা ওয়ার্ল্ড!
চুরি করেছেন আপনি তারমানে কি সবাই চোর??
এদেশে অনেক শিক্ষকের নামে ধর্ষণের অভিযোগ হয়েছে, প্রমানিত হয়েছে এবং অনেকে সাজাও পেয়েছেন। তাহলে কি সব শিক্ষক রেপিস্ট?
আরে ভাই এতো আবেগ দেখাইয়েন না। অপরাধী তার সাজা পেয়েছে (সামান্য হলেও) এতে অন্যদের মান সম্মান মোটেও কমেনি।
@@
আর শিক্ষামন্ত্রী কে বলতে চাই, "কমিটি যদি করতেই হয় তাহলে এভাবে করুন যে কোন প্রতিষ্ঠানের কোন শিক্ষক তার নিজস্ব মতামত, নিয়ম বহির্ভূত বা রাষ্ট্র বিরোধী অথবা সমাজ বিরোধী কিছু শেখাচ্ছে কি না "।
পরিশেষে বলতে চাই, "চোর তার চুরির সাজা পেলে আপনার আমার বাল ও ছেড়া যায়না। তেমনি তিনিও তার সাজা পেয়েছেন। তাতে অন্য শিক্ষকের কিচ্ছু হয়নি "।
বিশ্বাস না হলে আপনার প্রিয় শিক্ষকের কাছে জিজ্ঞেস করে দেখুন।
ধন্যবাদ যদি লেখাটা পড়ে থাকেন।
২| ১৭ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১১
মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: ভাই, যা বলেছেন! আমি আজ পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জের ‘পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের’ প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত স্যার কি বলেছেন তাই জানতে পারিনি। দয়া করে বলবেন আসলে কি ছিলো এমন? ধর্ম, নবী বা আমাদের আল্লাহ্ রাব্বুল ইজ্জতকে নিয়ে কেউ গালী দিলেও কিছুই হবেনা। কারণ, এভাবে কাউকে অপমান করে সমাধান পাওয়া যাবেনা কোনদিনই। বরং নতুন নতুন তাসলিমা নাসরিনদের জন্ম হবে।আমাদের যা করতে হবে তা হলো আমরা সহ্য করে যাব। আল্লাহ একাই তাদের জন্য যথেষ্ট।
৩| ১৭ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৬
নিহার সরকার বলেছেন: মসজিদের ইমাম যেখানে বলল শিক্ষকের দোষ নেই সেখানে তাকে বানিয়ে দিলেন ধর্মের প্রতি অবমাননা কর কথা বলেছেন । যে শিক্ষার্থীর কথা ধরে কাজটা করা হলো সেও বলল যে এমন কিছু হয়নি তখন আপনি কি বলবেন ?
১৭ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:৫২
শরিফুল ইসলাম শোয়াইব বলেছেন: ১) উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আ খ ম নুরুল আলম বলেন, “ঘটনাটি তদন্তে আমার নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলেছি।আমরা তদন্তে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছি। এছাড়া ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার প্রমাণও পেয়েছি।”
.
২) কল্যাণদী পঞ্চায়েত কমিটির সহ-সভাপতি সামসুল হক বলেন, “স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি বা এলাকার কোনো লোকজনের কথা শুনতেন না। নানা অজুহাতে নিয়মিত স্কুলে আসতেন না। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছ থেকে টাকা নিতেন।”
.
৩) ঘটনার সূত্রপাত প্রধান শিক্ষকের মারধরের শিকার দশম শ্রেণির ছাত্র রিফাতের মাধ্যমে।রিফাত বলেন, গত ৮ মে টিফিনের পর পঞ্চম পিরিয়ডের ক্লাস চলছিল। এসময় প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত ক্লাস নিচ্ছিলো। এসময় আমার পেছনে এক ছাত্র হাসাহাসি করায় স্যার আমাকে ডাকলেও আমি শুনিনি। এরপর স্যার এসে আমার কলার চেপে ধরে মারধর করে। এতে আমার শার্ট ছিঁড়ে যায়। এক পর্যায়ে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই।
পরে ক্লাসের সহপাঠীরা তাকে নাকে-মুখে পানি ছিঁটিয়ে সুস্থ করে লাইব্রেরিতে নিয়ে বসায়।” রিফাত বলেন, টিফিনের আগে চতুর্থ পিরিয়ডে শিক্ষার্থীরা চিৎকার ও চেঁচামেচি করলে প্রধান শিক্ষক এসে তাদের বকাঝকা দেয় এবং ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করে।
.
এখন এতগুলো ছাত্রের কথা , অভিভাবকের কথা আপনারা বলছেন ষড়যন্ত্র
অথচ ১ জন মাত্র দোষী হিন্দু শিক্ষকের কথাকে কোন সহিহ হাদিস মনে করে
সত্য বলে প্রচার করে পুরো বাংলাদেশকে কানে ধরাতে চাচ্ছেন ?
.
তাই তো বলি কোনদিন না বলে বসেন -
অমুক শিক্ষক ধর্ষন করেছে এখন পুরো জাতি ই ধর্ষক !!!!!!!
৪| ১৭ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৭
সানি ফরায়েজি বলেছেন: খুব ভাল লিখেছেন৷
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৪
সজিবুল ইসলাম বলেছেন: একমত