নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ

সরকার পায়েল

মানুষ যা অনুভব করে তাই জ্ঞান।

সরকার পায়েল › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেয়ামত বা ধ্বংস এবং বিষণ্ণতা

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৪৫

আমরা মানবজাতি অনন্তকাল বাঁচতে চাই । আমাদের চিন্তা চেতনা ঘিরে শুধু টিকে থাকা । মানবতা নামের শব্দ ও বিষয়টি কয়েকদিন আগ পর্যন্ত এরকম ছিল , মানুষ ও মানুষের ন্যায় জীবন যাপন করাই মানবতা।আসলেই কি এগুলো মানুষের প্রকৃত চাহিদা ??



চাকুরীগত কারনে সংবাদ মাধ্যমে প্রবেশের বেশ সুযোগ পাই । সেখানে কয়েকদিন একটা বিষয় লক্ষ্য করলাম । 'মানুষের মৃত্যু' আমাদের কাছে কত সহজ ও স্বাভাবিক একটা বিষয় । কোথাও কোন ঘটনা ঘটলো , একজন আরেকজনকে জিজ্ঞেস করে কয়টা মরেছে ? যে মৃত্যু গুলোর কথা বলছি তা তাৎক্ষনিক ঘটিত কোন ঘটনা । কিন্তু জিজ্ঞাসা করার ক্ষেত্রে অবাক হয়ে খেয়াল করি মানুষের ভাবটা । তেমন কোন অভিব্যাক্তি নেই । মরেছে তা মরতেই পারে ।



এই বিষয়টি বা এই অভিব্যাক্তিটি কিন্তু সব ক্ষেত্রে বা পুরো মানব সমাজে একই । মৃত্যু মানুষকে এখন তেমন নাড়া দেয়না এমনকি নিজের মৃত্যুও না । হয়ত নিজে মারা গেলে তারপর যদি বলা হয়, তুমি মারা গিয়েছ । হয়ত একটু অবাক ও দুঃখ পাবে কিন্তু তারপর তা মেনে নেবে ।



ধীরে ধীরে মানুষের জীবনের প্রতি আগ্রহ কমে যাচ্ছে । কারণ সৃষ্টির শুরু থেকে আজ পর্যন্ত জীবন প্রণালী বা জীবনে কি আছে তা মানুষ জানে । পূর্বের মানুষের কাছ থেকে ও তাদের অভিজ্ঞতা থেকে জীবন সম্পর্কে তাদের ধারণা প্রায় পরিস্কার । নিয়ম ও প্রথাগত কিছু ভিন্নতা ছাড়া সমগ্র মানবজাতির জীবন প্রণালী প্রায় এক । তেমন কোন নতুনত্ব মানুষের জীবনে নেই । আর এই কারণেই মানুষ জীবনের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে ।



অনন্ত যুগ ধরে চলা একই প্রক্রিয়া সমস্যা , সমাধান ও মৃত্যু



যদি এভাবেই চলতে থাকে বা মানুষের জীবনে নতুন কিছু না আসে তাহলে হয়ত এক সময় মানুষ বেঁচে থাকার আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে । মানব সৃষ্টির শুরুতে কিছু বিষয়ের মধ্যে একটি ছিল বিষণ্ণতা । আদম সৃষ্টির কিছুদিন পরই বিষণ্ণতায় ভোগা শুরু করে । যদিও সে স্বর্গে ছিল । তখন খোদা তাকে হাওয়া দিলো । আদম আবার প্রাণ প্রাচুর্যে ভরে উঠলো ।



কিন্তু বিষয়টি হল' বিষণ্ণতা ', যদিও বেঁচে থাকার জন্য মানুষের সামনে নানা চাহিদা তৈরি করা । কিন্তু মানুষ জেনে গেছে বা জানে এই চাহিদা কিভবে মেটানো যায় আর এর স্বাদ বা অনুভূতি কি ?



বলা হয় ' বিষণ্ণতা ' একটি রোগ । কিন্তু আমি বলবো বিষণ্ণতা একটি জিন বা হরমোন গত বিষয় যা সৃষ্টির শুরু থেকেই মানুষের মনে রোপণ করা । যা জীবনের সময়ের সাথে সাথে বেড়ে ওঠে ।



আসলে জীবন কি জীবনের শত জটিলতার সমাধান করে লাভ কি ? মৃত্যু হলেই তো সব শেষ । মানুষ নিজের, নিজের পূর্ব পুরুষের জীবনের জটিলতা দেখতে দেখতে ও তা সমাধান করে করে প্রায় ক্লান্ত । কারণ মানুষ এখন জানেনা মৃত্যুর পর কি ? তারা জীবিতাবস্থায় যা করছে আসলে তা মৃত্যুর পর কোন মুল্য আছে কিনা ?



আত্মা বা মন সব সময়ই নতুন কিছু জানতে চায় বা এক শব্দে আত্মার চাহিদা জ্ঞান । আর প্রতিটি সমস্যা সমধান করে মানুষ সেই জ্ঞান পায় । যত ছোট সমস্যাই হোক । কিন্তু মানুষের জীবনে কি সমস্যা ও তার সম্ভাব্য সমাধান সম্পর্কে মানুষের জ্ঞান সম্পূর্ণ । সে এখন নতুন কিছু জানতে চায় ।



ধরি , পৃথিবী ধ্বংস হলোনা । এভাবেই চলতে থাকলো । এতে কি হবে ? আমার ধারণা মানুষের কাছে পৃথিবী হয়ে যাবে বন্দীশালার মত । সে আকাশের অসীমের দিকে তাকাবে আর মুক্তির নেশায় ছট ফট করবে । একসময় নিজেকে শেষ করে দিবে ভাববে এটাই মুক্তি ।



আর সৃষ্টিকর্তা তা জানে । জানে বলেই সে কেয়ামত বা ধ্বংস নামক বিষয়টি রেখেছে । আপাতত আমরা যা জানি । কেয়ামত বা ধ্বংসের পর যে বিষয়টি মানুষের সামনে তা হল স্বর্গ , নরক । যেখানে পৃথিবীর সম্পূর্ণ বিপরীত অবস্থা চির সমাধান অথবা চির সমস্যা পরিস্থিতি । যা সম্পূর্ণ নতুন এক অবস্থা মানুষের কাছে । অথবা যে পরস্থিতির সামনেই আসুক কিন্তু অবশ্যই পৃথিবীর অবস্থা থেকে সম্পূর্ণ নতুন এক অবস্থা হবে তা ।



মানুষ সর্বদাই নতুন কিছুর সন্ধানে থাকে আর তা না পেলেই মানুষ বিষণ্ণতায় ভুগতে শুরু করে । বিষণ্ণতা কোন রোগ নয় , এটি মানুষের আত্মার খুব স্বাভাবিক একটি চাহিদা । নতুন কিছু জানার বা জ্ঞানের চাহিদা । এই চাহিদা পূরণে একটি পরিবর্তনের প্রয়োজন । পরিবর্তনের এই প্রক্রিয়াটি হচ্ছে কেয়ামত বা ধ্বংস । যার মাধ্যমে মানুষের সামনে আসবে নতুন এক অধ্যায় যা মানুষের সম্পূর্ণ অজ্ঞাত।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.