নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ

সরকার পায়েল

মানুষ যা অনুভব করে তাই জ্ঞান।

সরকার পায়েল › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজনীতির হাটে রাজাকারের সাটার বন মাগার !!!

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৯

বাংলাদেশ বিভিন্ন কারণেই যা আসে পাশের দেশ থেকে একটু আলাদা করে তুলে ধরা যায় । দীর্ঘদিন পাকিস্তানের সাথে থাকা , ভারতের পার্শ্ববর্তী দেশ আরেক পাশে বার্মা প্রতিটি দেশেই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা চরম আকারে থাকলেও এখানে তা নেই । যা আছে তা সংখ্যা লঘু অত্যাচার যার মাত্রা পার্শ্ববর্তী দেশ গুলোর চেয়ে অনেক কম ফলে একে আমরা দাঙ্গা বলি না। জন সচেতনতা এর অন্যতম মূল কারণ কিছু ক্ষেত্রে কিছু সরকারের সচেতন পদক্ষেপের প্রশংসা না করলেই নয় । এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সাম্প্রতিক রামুর বৌদ্ধ বিহারে হামলা এবং সরকারের দ্বারা তা পুনঃ নির্মাণ যা অবশ্যই প্রশংসার দাবী রাখে।



কিন্তু আমর আলচ্য বিষয় তা নয় আমার আলোচনার মূল বিষয় রাজনীতি বা রাজনীতির ধারার পরিবর্তন । যা এদেশে বা ভারত উপমহাদেশে একটি ভালো ব্যবসা হিসেবে বিবেচিত। কিন্তু এই রাজনীতির ধারা সব সময় এক থাকেনা । নানা কারণে নানা সময়ে তা পরিবর্তিত হয়। আমাদের দেশেও হবে । ১/১১ রাজনীতির ধারা পরিবর্তনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে । এর পর থেকেই রাজনীতির নানা মেরুকরন শুরু হয়েছে। যদিও এই ধরনের রাজনৈতিক ঝড়ে বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই দেশ বিরোধী বা স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির লাভ হয় । কিন্তু জন সচেতনতার ফলে ১/১১ পরবর্তীতে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির জয় যাত্রা হয় । এর পুরো সফলতার দাবিদার একমাত্র জনতা। রাজনৈতিক দলকে এই সাফল্যের অংশীদার করতে আমার বেশ কার্পণ্য রয়েছে নানা কারণে । তবে সফলতার ফল একটি রাজনৈতিক দল সম্পূর্ণ রূপে আস্বাদন করেছে তাতে সন্দেহ নাই কিন্তু সফলতার দাবী তারা করতে পারেনা ।যা হোক এটি অন্য বিশ্লেষণ।



রাজনৈতিক পরিবর্তনের মূল জায়গাটি বা টার্নিং পয়েন্ট কিন্তু এই ১/১১ পরবর্তী সময়টি। যারা রাজনীতি নিয়ে ব্যবসা করে তারা খুব ভালো ভাবে বুঝেছে যে স্বাধীনতা বিরোধী চোখে ধুলো দেয়া রাজনীতি আর চলবেনা। তার উপর রাজাকারদের ফাঁসির রায় স্বাধীনতা বিরোধী রাজনীতিকে তার অন্তিম সময়ে নিয়ে গেছে। যে যাই বলুক এই রায় যে জামাত শিবির রাজাকারের অপ রাজনীতি ধ্বংসের শেষ ঘণ্টা তাতে সন্দেহ নেই ।



অনেকে মনে করে বা বলে বি এন পি বা ১৮ দল ক্ষমতায় গেলে এই রায় মানবেনা রাজাকার ছেড়ে দেবে । আমার ধারণা এই সুযোগ ওরা হেলায় হারাবেনা । বঙ্গবন্ধুর আসামীদের জেলে ভরে আঃ লীগ বিদায় নেয় বি এ ন পি তাদের জামাই আদরে রাখলেও মুক্ত করেনি । কারণ খুব পরিষ্কার জনতার কাছে জবাব দেয়া এবং বিরোধী শক্তিকে পদানত করে রাখা । এতে তাদের রাজনীতিতে অনেক ফায়দা এবং বিরোধী শক্তিকে ইচ্ছে মত ব্যবহার করা যায় । জামাত শক্তিশালী হলে বি এ ন পির তেমন লাভ নেই বরং দুর্বল হলেই ভালো। আঃ লীগ বা বি এ ন পি কেউই চাইবেনা ৩য় কোন শক্তি বা দল রাজনীতিতে শক্ত অবস্থানে আসুক সহজ হিসাব ।



পরের বার যদি বি এ ন পি বা ১৮ দল না আসে তা হলে তাদের অস্তিত্তের প্রশ্নে পড়তে হবে দলটি হয়ত ভেঙ্গে যাবে । আবার যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে অন্তরদন্দ ও দুর্বল সাংগঠনিক অবস্থানের কারণে হয়ত সরকার পতন হবে। যে ভাবেই আসুক বা যাই হোক স্বাধীনতা বিরোধী রাজনীতি যে শেষ তা হয়ত বুঝতে রাজনৈতিক ব্যবসায়ীদের আরেকটু সময় লাগবে । কিন্তু এই অপ রাজনীতির আর সুযোগ নেই তা সত্য। রাজাকারের রায়ের মধ্য দিয়ে এবং বি এন পির নিসচুপ অবস্থান তা প্রমান করে। এই জন্য অবশ্যই আঃ লীগ কে সাধু বাদ জানাতে আমার কোন কার্পণ্য নাই । তারা এই বিচারের রায়ের সফলতার দাবিদার কোন সন্দেহ নাই।



কিন্তু বিপদ আঃ লীগের জন্য আরও বেড়েছে বই কমেনি । আমার ধারণা যদি ঠিক হয় সে ক্ষেত্রে আঃ লীগ অপ্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক শক্তিতে পরিণত হবে। শেখ হাসিনা যদি অতি বিচক্ষনতার সাথে দল চালায় সে ক্ষেত্রে কিছু সময় আঃ লীগ রাজত্ব করবে রাজনৈতিক ময়দানে তা সত্য। কিন্তু সেই সাথে আঃ লীগ ভাঙ্গার নতুন নতুন হিসাবও যে আঃ লীগের মধ্যেই হবে তাও সত্য। এবারের ক্ষমতার হালুয়া রুটি সংস্কার বাদীরা পায়নি যা সরকারের শেষ সময় পর্যন্ত বিদ্যমান । এতে দুটি বিষয় প্রমাণ হয় ১ শেখ হাসিনার রাজনৈতিক দক্ষতা ২ ভবিষ্যতে যাই হোক সংস্কারবাদীরা আর কখনও শক্ত অবস্থানে যাবেনা । ফলে দলের ভিতরে প্রাসাদ ষড়যন্ত্র চলমান আর এর সাথে যদি সেনা বাহিনীর ক্যু যোগ হয় তখন এই নাটকের হোতারা অন্য দলের উপর নির্ভর করবেনা তাদের দুর্বল অবস্থানের কারণে এবং নতুন প্লাটফর্ম করবেনা ১/১১ তে এই থিওরি মার খাওয়ার কারণে । এর কোনটিই টেকসই নয় ।



সে ক্ষেত্রে আঃ লীগের এক অংশ নিতে পারলে এক ঢিলে অনেক পাখি। ১ স্বাধীনতার পক্ষের অরজিনাল লেবাস ২ অভিজ্ঞ রাজনৈতিক ব্যবসায়ীদের দলে ভেড়ানো এছাড়া আরও বেশ কিছু ফায়দা আছে । মন্দের ভালো এই যে স্বাধীনতা বিপক্ষের কথা বা রাজনীতি সম্পূর্ণ শেষ হয়ে যাবে । তখন যে রাজনৈতিক দল থাকবে সবাই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের কথাই বলবে। সেই সাথে রাজাকারও তখন মইরা সাফ ফলে সব ক্ষেত্র প্রস্তুত হয়ে যাবে। তবে কে ক্ষমতা বা দল বা রাজনীতির ব্যবসা সফলতার সাথে চালাবে নির্ভর করে রাজনৈতিক নেতৃত্ব কতটা দক্ষ ও দূরদর্শী হবে ।



এই প্রক্রিয়াটি হয়ত প্রায় আরও এক যুগের মত লাগবে কিন্তু আঃ লীগ যে ভাঙবে এবং স্বাধীনতা বিরোধী রাজনীতি যে শেষ হয়ে যাবে তাতে সন্দেহ নেই । বিষয় কেবল সময়ের , স্বাধীনতা বিরোধী রাজনীতি আগে শেষ হবে তারও বেশ কিছু পরে আওয়ামী লীগ ভাঙ্গবে।



আমি দুটি বিষয় বলেছি রাজনৈতিক ব্যবসায়ী এবং রাজনৈতিক ব্যবসা । রাজনীতি যে একটি লাভজনক ব্যবসা তাতে কোন সন্দেহ নাই এর এই ব্যবসায়ী দলে যারা আছে তারা নামে নেতা হলেও নিজের ফায়দা বা মুনাফাই তাদের মূল লক্ষ্য । তাই আপনি রাজনৈতিক ব্যবসায়ীদের নেতা বলতে পারেন ।



কিন্তু প্রকৃত সত্য এই যে বঙ্গবন্ধুর পরে এই দেশে আর কোন সত্যিকারের রাজনৈতিক নেতার জন্ম হয়নি ।যা আছে সব একই বাতিল ফেরকা টুটা ফাটা মাল। আর এই গুলারে নিয়েই চলবে দেশ ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.