নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সর্বত্র বিরাজমান ৪ টি বিষয় সংখ্যা , গণিত , আকর্ষণ, গতি । এই চারটি বিষয় থেকেই আসে বা এই চারটি বিষয় থেকেই হয় সৃষ্টি এবং সৃষ্টি পরিচালন প্রক্রিয়া । এই চারটি বিষয়ের দিকে যদি আলোকপাত করি -
সংখ্যা –আমার মতে ১ বা শক্তি বা ঈশ্বর শক্তি। এরিস্টটলের মতে আদি চালক বা আদি কারণ বা আকারের আকার।
গণিত- ১+১ =২ আকারের আকার(যা আকারহীন বা শক্তি) জড়ের সাথে মিলিত হয়ে হয় সৃষ্টি বা আকার। সৃষ্টি পরিচালনের মূল বিষয়টি হচ্ছে এই গণিত। সৃষ্টি পরিচালনের এই গনিতের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে যোগ বা বলা যায় শক্তির নতুন নতুন রূপ যাকে বলি বস্তু । প্রকৃতিতে কোথাও বিয়োগ নেই আছে রূপান্তর বস্তুর এক রূপ থেকে অন্যরুপে রূপান্তর।
আকর্ষণ – দুটি ১ পরস্পরের প্রতি আকর্ষিত হয়ে মিলিত হয় বলেই তৈরি বা সৃষ্টি হয় এই প্রক্রিয়াটি হচ্ছে গণিত।(মিলিত হওয়ার কারণ এটি আমার মতে কারণ আকর্ষণ না থাকলে একে অপরের সাথে মিলিত হতে পারেনা ) , প্রতিটি বস্তুরই নিজস্ব আকর্ষণ শক্তি রয়েছে। আসলে সবই মূলত শক্তি যা বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় রুপান্তরিত বা হয়ে হয় বস্তু। বস্তু রপান্তরিত হয়ে হয় শক্তি। সৃষ্টি প্রক্রিয়ায় এই হচ্ছে মূল খেলা। শক্তি রুপান্তরিত হয়ে হয় বস্তু , বস্তু রুপান্তরিত হয়ে হয় শক্তি।
গতি- ২ টি ১ পরস্পরের প্রতি আকর্ষিত হলে তৈরি হয় গতি নির্দিষ্ট গতিতে তারা একে অপরের সাথে মিলিত হয়ে তৈরি হয় সৃষ্টি । (মিলিত হওয়ার প্রক্রিয়া)
এই প্রক্রিয়াতেও গণিত অর্থাৎ যে গতিতে দুটি ১ মিলিত হচ্ছে সেই গতির পরিমাপ।
এখানে যদি লক্ষ্য করেন তাহলে আমরা যা পাই শুধু সংখ্যা ছাড়া বাকী সব প্রক্রিয়াতেই গণিত বা অঙ্ক বিদ্যমান। তাই এরিস্টটলের সেই অজ্ঞাত কারণ বা সৃষ্টি পরিচালনার বা যে প্রক্রিয়ায় সৃষ্টি পরিচালিত হয় তাকে আমি বলছি গণিত।প্রতিটি অনু পরমানু থেকে মানুষের জানার সীমায় যা কিছু আছে কেবল শক্তি ছাড়া বাকী সকল পদার্থ এই চারটি প্রক্রিয়ার বাইরে নয়। যদিও সব কিছুর মূলই হচ্ছে শক্তি কেননা আকর্ষণ , গতি সবই শক্তি।
আর এই সৃষ্টি পরিচালনার প্রক্রিয়াটি বা গণিত বা গনিতের প্রক্রিয়াটিও খুব সহজ তা হচ্ছে + ১+১+ এভাবেই চলছে সৃষ্টি পরিচালন প্রক্রিয়া যার গন্তব্য অসীমে।এখানে +১ এর অর্থ যেহেতু আমার মতে (০)বলতে কিছু নেই তাই পূর্বে আসবে ১ আর ১ এর পূর্বের ঘটনা বোঝানোর জন্য আসবে + বা মিলিত হওয়া পরেও ঠিক তাই । কিন্তু যেহেতু পূর্ব ও পরের ঘটনা অসীম তাই বোঝানোর চেষ্টা করেছি +১+১+ অর্থাৎ সৃষ্টির পূর্বে ও পরে অসীম ঘটনা। যদিও পদার্থ বিজ্ঞানের কিছু ক্ষেত্রে শূন্য বলতে অসীমকে বোঝানো হয় কিন্তু আমি যে শূন্যের কথা বলছি তা অসীম বোঝানো শূন্য নয় । কিছু নেই বলতে যে শূন্য বোঝানো হয় সেই শূন্য কে বুঝিয়েছি।
আমি অসীমকে বুঝিয়েছি + দিয়ে যেহেতু আমি শূন্য বলতে কিছু নেই বুঝিয়েছি তাই অসীমকে + বলছি। তাই আমার মতে ঈশ্বর শক্তির সিম্বল ১ এবং তার সৃষ্টির বা সৃষ্টি প্রক্রিয়ার সিম্বল ১+১ এবং সৃষ্টি পরিচালন প্রক্রিয়ার সিম্বল + ১ + ১ +
H2O এখানে ১ পরমানু হাইড্রোজেনের সাথে ২ পরমানু অক্সিজেন মিলে তৈরি হয় পানি । পানি সৃষ্টির আগের ঘটনা এর পূর্বের ঘটনা হচ্ছে ১ পরমানু অক্সিজেনের সাথে আরও ১ পরমানু অক্সিজেন মিলিত হয় তারপর ১ পরমাণু হাইড্রোজেনের সাথে মিলে তৈরি হয় পানি । এরপর পানি থেকে তৈরি হচ্ছে জীবন এবং আরও নানা প্রক্রিয়া । কিন্তু পানির আদি ঘটনা কিন্তু সেই ১ এরই যোগফল যা গণিত বা পানি সৃষ্টি প্রক্রিয়া । হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন পরস্পরের আকর্ষণেই মিলিত হয় মিলিত হয় একটি নির্দিষ্ট গতিতে।
আমার মতে এই পুরো প্রক্রিয়া বা সকল কিছু মিলিয়েই ঈশ্বর । ঈশ্বর তার নিজের মাঝেই খেলছে তার আপন খেলা।কেয়ামত বা ধ্বংস বা Judgment day নিয়ে আমাদের যে বিশ্বাস তা এই প্রক্রিয়াকে সমর্থন করে। সৃষ্টি পরিচালন প্রক্রিয়ার একটি হচ্ছে আকর্ষণ । যদি কখন এই আকর্ষণ না থাকে যেমন মাধ্যাকর্ষণ শক্তি যদি কোন কারণে বিকল হয়ে যায় তাহলে কি হবে ? পৃথিবীর যা কিছু আছে সব কিছু মহাশূন্যের দিকে বিচ্ছিন্ন হয়ে চলে যাবে । ইসলামে কেয়ামত সম্পর্কে বলা আছে , সেদিন পাহাড় পর্বত তুলোর ন্যায় উড়তে থাকবে । পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তি বিকল হলে ঠিক এই বিষয়টি হবে । তাহলে সৃষ্টি পরিচালনের অন্যতম একটি বিষয় আকর্ষণ । প্রতিটি বস্তুরই নিজস্ব আকর্ষণ শক্তি আছে। তাই তারা পরস্পর মিলিত হয়ে নতুন সৃষ্টির উদ্ভব হয়। এরিস্টটল প্লেটো ঈশ্বরকে পূর্ব বা আদি ঘটনাতেই রেখে বিশ্লেষণ করেছেন অর্থাৎ তাদের মতে ঈশ্বর বা আদি কারণ বা ১ আর সাথে নিরেট জড়ের মিলিত হওয়ার ফলে তৈরি হল সৃষ্টি । যা ঈশ্বর থেকে সম্পূর্ণ আলাদা হয়ে হচ্ছে নতুন এক সত্তা । কিন্তু এখানে আমার চিন্তায় এই তত্ত্বকে বাঁধা দিচ্ছে আকর্ষণ । তাই নতুন সৃষ্টিকে আমি ঈশ্বরের বাইরে নিতে পারছিনা। আমি ঈশ্বরকে দেখছি আরও বিশাল করে । যার মাঝেই হচ্ছে নানা সৃষ্টি এবং সৃষ্টির নানা চলমান প্রক্রিয়া। একটু কঠিন মনে হয় বা মনে হয় অসম্ভব !!!! মোটেও না । পৃথিবীর প্রতিটি পদার্থ বা বস্তু এই বিষয়টি প্রমাণ করে । সৃষ্টি চলছেই এই প্রক্রিয়াতে। ১ এর মাঝে অনেক ১ এর অঙ্ক বা মিলিত রুপ । একটি পাতা থেকে একটি মানুষ বা মানুষের ক্ষুদ্র একটি চুল কোন কিছুই এই প্রক্রিয়ার বাইরে নয়। একটি পাতা ১ , পাতার গঠনে যদি যাই অনু ,পরমানু, নিউক্লিয়াস,রস , শিরা উপশিরা সব কিছুই একে অপরের সাথে যোগ বা মিলিত হওয়ার ফলই হল পূর্ণাঙ্গ পাতা ।
একটি মানুষ ১ তার মাঝে অনু পরমানু , নিউক্লিয়াস , কোষ , রক্ত মাংস , হাড়, ইত্যাদি সেই একই প্রক্রিয়া ।পানির মতই যদি অনু পরমাণুতে যেয়ে এদের বিভাজন করি তাহলে এদের আদি ঘটনা বা সৃষ্টির কারণে যেয়ে আমরা পাবো অনু পরমানুর যোগ ফল বা অঙ্ক । অনু পরমানু সবই একক যা মিলিত হয়ে সৃষ্টি হয় পদার্থ । বিজ্ঞানের যুক্তি অনুসারে পদার্থের গুনাগুন নির্ভর করে প্রোটন সংখ্যার উপর। প্রোটন , নিউট্রন, ইলেকট্রন এগুলো সব পদার্থের মধ্যে একই রকম। তবে এদের পরিমানের উপর পদার্থের গুনগত পার্থক্য নির্ভর করে। প্রোটন সংখ্যাকে পরমানুর গুনাগুন নির্ধারক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাই একে পারমাণবিক সংখ্যা বলা হয়।
যেমন- স্বর্ণের পারমাণবিক সংখ্যা ৭৯, স্বর্ণের পরমাণুতে প্রটোনের সংখ্যা ৭৯ টি। আবার কার্বনের পরমাণুতে প্রোটনের সংখ্যা ৬ টি। এখন স্বর্ণের পরমানু থেকে ৭৩ টি পরমানু বাদ দিলে তা হয়ে যাবে কার্বন।এখন স্বর্ণের আদি ঘটনায় বা ঘটনার পূর্বের ঘটনায় গেলে আমরা পাই এখানে ৭৯ টি একক প্রোটন অর্থাৎ ৭৯ টি ১ যোগ হয়ে তৈরি হয় স্বর্ণ। কার্বন হয় ৬ টি ১ বা একক প্রোটন যোগ হয়ে এটি কার্বন নামক সৃষ্টি বা ঘটনার পূর্বের ঘটনা ।
একটি ১ এর মাঝে যদি এভাবে অজস্র ১ এর যোগফলে বা গনিতিক প্রক্রিয়া হতে পারে সেখানে ঈশ্বর অনেক বিশাল বিষয়। এখন ভাবার বিষয় একটি ১ এ কত টুকু ১ এর যোগের গানিতিক প্রক্রিয়া হতে পারে। এভাবে যদি দেখি একটি হার্ড ডিস্কে কতটা জায়গা আছে , ২০ গিগা,৪০ গিগা । ঈশ্বরকে যদি একটি হার্ড ডিস্ক ধরি তাহলে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের জানা অজানা সকল কিছুই হচ্ছে এই হার্ড ডিস্কে চলমান গণিত বা সৃষ্টি প্রক্রিয়া এবং সৃষ্টি পরিচালন প্রক্রিয়া ।
আমার ভাবনায় ঈশ্বর, সৃষ্টি ও সৃষ্টি পরিচালন
( ঈশ্বর ১ সৃষ্টি ১+১ সৃষ্টি পরিচালন + ১ + ১ + )
©somewhere in net ltd.