নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ

সরকার পায়েল

মানুষ যা অনুভব করে তাই জ্ঞান।

সরকার পায়েল › বিস্তারিত পোস্টঃ

বেশ্যা বৃত্তি, অবৈধ মাদক ব্যবসা,জুয়া থেকে প্রাপ্ত আয় জাতীয় অর্থনীতিতে যোগ করুন- ই ইউ

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:১৬

পশ্চিমা বিশ্ব সভ্যতার শিখরে সভ্যতার প্রতীক । ইউরোপকে ধরা হয় সভ্যতার মাতৃভূমি হিসেবে। আজ সেই সভ্যতার কি অবস্থা ! কি ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মুখোমুখি আজ ইউরোপ ! কি অবস্থায় কোন পরিস্থিতিতে কোন পর্যায়ে অর্থনীতি গেলে আজ বেশ্যার আয় অর্থনীতিতে যোগ করতে হয় ! কোন অবস্থায় অবৈধ মাদক জুয়ার আয় অর্থনীতিতে যোগ করতে হয় !

৩য় বিশ্ব বলে আমাদের হাসি ঠাট্টা করা হয় । ভারতে নাকি পৃথিবীর সবচেয়ে বেশী মানুষ খোলা স্থানে মল ত্যাগ করে। বাংলাদেশ যখন তলাবীহিন ঝুড়ি ছিল তখন কি আমাদের অর্থনীতিতে বেশ্যার আয় , মদ জুয়ার আয় যোগ করতে হয়েছিল কিংবা ৭২ এর দুর্ভিক্ষে ??? খোলা স্থানে মল ত্যাগ করা ভারতের কি অর্থনীতিতে বেশ্যার পয়সা মদ জুয়ার পয়সা যোগ করতে হয়েছিল? সবাই জানে না ৩য় বিশ্বের একটি ছোট দেশের অর্থনীতিতেও বেশ্যার আয় অবৈধ মাদক জুয়ার আয় যোগ করেনি কোনদিন করবেওনা।
যেদিন করবে সেদিন জনতা আগে সরকারকে শেষ করবে। তারপর যদি ভাতের পয়সা না থাকে স্ত্রী সন্তান নিয়ে পানিতে না হয় আগুনে ঝাঁপ দিয়ে মরবে। এই হল ৩য় বিশ্বের মানুষের মানসিকতা ।

ভারতে বাংলাদেশে বহু কৃষক শ্রমিক প্রতি বছর গলায় ফাঁস নেয় অভাবের কারণে । কিন্তু ঘরের মেয়েদের দেহ বিক্রি করতে দেয়না ঘরের আব্রু কি ৩য় বিশ্বের মানুষ জানে। বেশ আগে একটি পোস্ট দিয়েছিলাম পৌরুষ , নারীর অধিকার ও আমাদের ইতিহাস । তার কিছু অংশ উদ্ধৃত করলাম ,

যুগ যুগ ধরে চলা নিয়ম বা প্রথা আমাদের উপমহাদেশে এবং মধপ্রাচ্যের দেশগুলোতে , নারী ঘরে থাকবে , পুরুষ বাইরে পরিশ্রম করে নারীর ভরণ পোষণের ব্যবস্থা করবে । কেন ???

কারণ এই সমাজের পুরুষদের বিশ্বাস তারা তাদের সন্তান ও নারীদের ভরণ পোষণের ও তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা তারা করতে সক্ষম । এই জন্য তার ঘরের নারীকে বাইরে পরিশ্রম করতে হবেনা । এখানে মুলত নারীকে ছোটো করা হয়নি বরং তাকে বাইরে তুলনামূলক কঠিন কাজের মুখোমুখি না করে একজন পুরুষ তা করবে মূল কথাটা এই । যদিও সমাজের অনেক পুরুষ এর ফায়দা নিয়ে নারীর উপর অত্যাচার চালায় এবং তার অধিকার অনেকাংশে সম্পূর্ণ হরন করে । কিন্তু সমাজের পুরুষদের ধারনা বা বিশ্বাস তারা তাদের নারী ও সন্তানদের সব চাহিদা পুরনে একা সক্ষম । এটা যুগ যুগ ধরেই বংশানুক্রমে এই সমাজের পুরুষদের বিশ্বাস । এই বিশ্বাস একজন পুরুষের পৌরুষ বলে বিবেচিত হয় । এছাড়া আরও লক্ষণীয় , তারা যত কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হোক পৈত্রিক ভিটা মাটি ছাড়তে চায়না । সাময়িক ছেড়ে গেলেও বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই ফিরে আসে বা আসার আকাঙ্খা মনে ধারন করে ।

পশ্চিমাদের নারী অধিকারের ডাক । কেন ???

এটা আজ শুধু পশ্চিমা নয় বরং সময়ের ডাক । কিন্তু পশ্চিমারা এই ডাক দিয়েছে আরও বহু আগে তাদের নিজেদের প্রয়োজনেই । মুলত পশ্চিমা বেশীরভাগ জাতি উদ্বাস্তু তারা নানা সময়ে নানা কারনে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে বসতি স্থাপন করেছে । এটা হয়েছে যুগ যুগ ধরে বংশানুক্রমে এবং যা এখনো চলমান । ফলে তাদের জীবন যাপন প্রক্রিয়া ছিল তুলনা মুলক অনেক কঠিন । যেখানের বাস্তবতা অনেক সময় এমনও দাড়ায় যখন নিজের খাদ্য যোগাড় করা কঠিন হয়ে পরে । যার প্রভাব সরাসরি পরে তাদের মানসিকতায় ও সমাজে । যখন একজন পুরুষ তার নিজের নিরাপত্তা ও খাদ্য যোগাড় তার জন্য কঠিন হয়ে পরে তখন অন্যের জন্য তা করাটা স্বাভাবিকভাবেই অস্বাভাবিক । ফলে ছেলে , বুড়ো , মেয়ে সবাই একসাথে কাজে বা নিজের অভাব মেটানোর জন্য রাস্তায় নেমে আসে । বিষয়টা হয়ে দাড়ায় যে যে যার যার বা HIS HIS WHO'S WHO'S । পুরুষ তাদের নারী , সন্তান বা পরিবারের দায়িত্ব নেয়ার মানসিকতা হারিয়ে ফেলে ।

আমার এই কথার যুক্তি পশ্চিমাদের জীবন প্রণালী , তাদের পারবারিক বন্ধন ও মানসিকতার দিকে দৃষ্টিপাত করলে পাওয়া যাবে । ডিভোর্সের হার, বৃদ্ধাশ্রম , বাচ্চাদের ডে কেয়ার সেন্টার এগুলো ওদের তৈরি সামাজিক অসুস্থতা । যা আজ সারা বিশ্বে ভাইরাসের মতো ছড়িয়ে গেছে ।

আরও একটি লাইন ছিল বোল্ড করা ,

পৃথিবীর সব অস্বাভাবিক ও অসংলগ্ন রীতির জন্ম কোথায় এবং কেন ? উত্তর - পশ্চিমে এবং মানসিক দৈন্যতা থেকে মুক্তির চেষ্টা ।

পশ্চিমারা জাতিগতভাবেই অসৎ ও কাপুরুষ । যা তারা যুগে যুগে স্বাক্ষর রেখে গেছে ।


আমার মত একটি সামান্য মানুষের মনের খুব সাধারণ দুটি কথা কিন্তু আজ তা কত জীবন্ত কত বাস্তব!! পশ্চিমারা জাতিগত ভাবেই অসৎ ও কাপুরুষ ।

মাদ্রিদ , বার্সেলোনা দুটোই স্পেনের বিখ্যাত শহর । এই দুটি শহরের নামের অনুকরণেই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ দুটি ফুটবল টিমের নাম রিয়াল মাদ্রিদ , বার্সেলোনা যেখানে পৃথিবীর সবচেয়ে নামি এবং দামী খেলোয়াড় মেসি, রোনাল্ডোরা আছে। আসুন দেখি আজ তাদের অর্থনীতির কি দশা , লিঙ্ক দিয়েছি সেই লিঙ্ক থেকেই কয়েকটি লাইন উদ্ধৃত করছি ,

> Of that amount some €9 billion, or 0.87 percent of total GDP came from the inclusion of activities including drug trafficking, prostitution and illegal gambling into Spain's GDP.

Prostitution made up 0.35 percent of the new total while drug trafficking comprised 0.50 percent.

> The changes to Spain's GDP are a result of new EU reporting requirements, meaning countries now have to provide details on what proportion of gross domestic product is based on activities as diverse as people smuggling, contraband cigarettes and prostitution.

> The institute said it consulted "academic and scientific studies" and official reports and surveys to estimate income from illegal activities, in line with the standards set by the EU statistics body Eurostat.

> Eurostat ordered countries to provide data on lucrative activities such as prostitution and drug-dealing on the grounds that they were a trade carried out willingly by participants.

> "It is simply a matter of applying a decision by Eurostat, which was made to harmonize calculation methods" across EU countries, the official told AFP.

>Italy on Monday published its own revised GDP figure, which rose by 3.8 percent when the new norms were applied.

> Britain has estimated that counting illegal activities could add €12.3 billion to its production, just below one percent of its GDP for 2013.

এই হচ্ছে আজকের সভ্যতার চরম শিখরে থাকা ইউরোপের চিত্র।

পশ্চিমের বিষয়ে নতুন বলার কিছু নাই । আছে উপলব্ধির ৩য় বিশ্বের যেখানে আমরা আছি বা যেখানে ছিলাম সেখান থেকে কি আমরা এটি কল্পনাও করতে পারি বা দেশের বা এশিয়ার কোন অর্থনীতিবিদ বা কোন রাজনীতিবিদ এই ধরনের একটি বিষয় কখনো কল্পনাও করতে পারে বা পেরেছিল । অথচ ওরা কত সাবলীলভাবে নিজেদের সবচেয়ে ঘৃণিত কুৎসিত রূপ পৃথিবীর সামনে নিয়ে আসে। একটু কুণ্ঠা লজ্জাবোধ, আত্ম সম্মান , বীরের জাতি বলে দাবী করা , সভ্যতার ধারক বাহক বলে দাবী করা এই পঙ্গু অথর্ব গোষ্ঠী ইউরোপের হয়না !!!!

অবাক বিস্ময়ে দেখি পৃথিবীর একটি পত্রিকাও এ নিয়ে একটি বিরুপ মন্তব্য করেনা। বেশ্যা , নেশাখোর জুয়াড়ির আয় দেখিয়ে ইউরোপের অর্থনীতি আবার চাঙ্গা হচ্ছে পশ্চিমা মিডিয়া তা কত মাধুর্যের সাথে প্রচার করছে , দেখো আমরা নপুংসুক সরকার পায়েল নামের একটা ছাগল সব সময় বলে কিন্তু ঐ বেটা ছাগল জানেইনা যে নপুংসুক আমরা জাতিগত ভাবেই। আমাদের মিডিয়াও কিছু মাত্র উচ্চবাচ্য করেনি। সেলুকাস কি বিচিত্র নপুংসুক এই ইউরোপ !!!!!!

এশিয়ার ৩য় বিশ্বের নেতাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই বিশেষ করে চীনের প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে। চীনের নেতৃত্বে ব্রিকস হয়েছে যেখানে বাংলাদেশও যোগ দিয়েছে। দেশের বর্তমান সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা না দেখালে তা আসলে হবে অন্যায় । ভুল ত্রুটি সরকারের আছে কিন্তু অর্থনীতি এগিয়ে নিতে যে পরিকল্পনা সরকারের ছিল তা আসলেই প্রশংসার দাবী রাখে।

আজ আমাদের তারল্য যে কোন সময়ের তুলনায় রেকর্ড প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলারের বেশী , আজ আমরা খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ , খাদ্য রপ্তানি করছে বাংলাদেশ। কেউ যদি বলে এটা এমনি এমনি হয়েছে আমার কিছু বলার নাই । শুধু এটুকু মনে করিয়ে দিতে চাই কৃষিতে সরকারের ভর্তুকি কি পরিমাণ ছিল তা একটু দেখুন ।

পশ্চিম শেষ এই পশ্চিমের আর কখন শুরু হবেনা । কয়েক দিন আগে ডলারের পতনের কথা বলেছিলাম আজ ইউরোপের বাস্তবতা দেখালাম। ইউরোপের অর্থনীতি পতনের মূল এবং একমাত্র কারণ জাতিসংঘ আমি কাঙ্গালি সরকার পায়েল আজ বললাম কাল তা সত্য হবে । যত দ্রুত সম্ভব এই জাতি সংঘ নামের গ্যরাকল থেকে বের হয়ে অবিলম্বে কেবল এশিয়ার দেশগুলোকে নিয়ে নতুন একটি কার্যকর জোট করতে হবে। অবশ্য ব্রিকস গঠনের মাধ্যমে সে পরিকল্পনা অনেক এগিয়ে গেছে।

ইউরোপের অর্থনীতি পতনের মূল কারণ জাতিসংঘ বা মিত্র শক্তি । কারণ এই যাতি সংঘ আম্রিকা ব্রিটেন নামক কিছু জুয়াড়ি এবং পাগল দ্বারা চালিত। আর এই জুয়াড়িরা নিজের দেশের সম্পদ বাজি রেখে কেবল অস্ত্র বানিয়েছে এবং সারা বিশ্বে চুরি করার জন্য পৃথিবীর নানা জায়গায় যুদ্ধ বাঁধিয়েছে। যুগ যুগ যাবত এই যুদ্ধের খরচ বহন করতে গিয়ে আর অস্ত্র তৈরি করতে গিয়ে আজ আম্রিকা ইউরোপের এই করুন দশা। অনেকবার বলেছি ইসরাইল একটি আম্রিকার বা মিত্র শক্তির ভৃত্যদের কলোনী । এটি যুগ যুগ ধরে চালিয়েছে ইউরোপ আম্রিকা। পুরো পৃথিবীর সম্পদ দখলের স্বপ্ন বিলাসীতায় ভোগা মিত্র শক্তি আজ দীন ভিখারি হওয়ার পথে।

তবু অবামার আস্ফালন যাতি সংঘের মেকি হুঙ্কার । অথচ ওরা যে কতটা ফাঁকা কতটা অর্বাচীন তা প্রমাণ হয় নাম মাত্র একটি ফালতু সংগঠন আই এস আর বিরুদ্ধে জোট গত যুদ্ধ । মূলত এটি আসলে কিছুই না পশ্চিমের মিডিয়ার একটি বানানো ফানুস । ইরাকে জবাই করে অবামা সৈন্য পাঠায় ৩০০ তাও দূতাবাস রক্ষায় কি হাস্যকর ! বিমান হামলা করছে তাও আরব শেখদের ভিক্ষার পয়সায় । সৈন্য পাঠালে খরচ বাড়বে তাই তা আম্রিকা নাকচ করেছে । আরও মজার সার্কাস করেছে এই কালা ক্লাউন এবার ইউক্রেনে ১২ জন সৈন্য পাঠিয়েছে আম্রিকা । তখন খুব ইচ্ছা করছিল পুতিনের মুখটা দেখতে হাসতে হাসতে মনে হয় পুতিন বিষম খেয়েছে , বলদটা করে কি !!!!

বেশ্যা বৃত্তি ইউরোপ সহ বিশ্বের অনেক দেশে বৈধ করেছে । কিন্তু অবৈধ মাদক কবে কোথায় বৈধ ছিল ? এখন ই ইউ বলছে অবৈধ মাদকের আয় অর্থনীতিতে যোগ করতে তার মানে কি ? অবৈধ মাদক -ইয়াবা , আফিম , হেরোইন , গাজা চরস সহ সকল নেশা দ্রব্য ব্যবসা বৈধ ??? তাহলে এরা বিশ্বকে কোথায় নিয়ে যেতে চায় ? এদের উদ্দেশ্য কি ? পুরো পৃথিবীকে সমাজের সকল ঘৃণিত নষ্ট বিষয় দিয়ে ভরিয়ে দেয়া ?????? ই ইউ পৃথিবীকে অভিশপ্ত করার বৈধতা দিয়ে দিয়েছে। ওদের ধ্বংস অনিবার্য । পরমানুর আগুনে খাক হয়ে যাবে ইউরোপ , পরমানুর আগুনে খাক হয়ে যাবে আম্রিকা । তখন একটু দয়া সাহায্য করার কেউ থাকবেনা । মিথ্যা অহমিকায় আজ ইউরোপ অন্ধ। পৃথিবীকে দেখাতে হবে আজও ওরা শক্তিশালী অর্থনীতির মালিক তাই যা খুশি তাই যোগ করে তা দেখাতে হবে। কিন্তু কতদিন ? আসলে এসব করে ইতিহাসের কলঙ্ক হওয়া ছাড়া ইউরোপের আর তেমন কিছুই হচ্ছেনা। ওদের এই কলঙ্ক ইতিহাসের যে কোন কলঙ্কের চেয়ে কালো তা সন্দেহ নেই। ইতিহাস বলবে।

হয়ত সেইদিন খুব দূরে না যাতি সংঘ এবং ই ইউ ঘোষণা করবে , ভিক্ষা এবং চুরির পয়সা জাতীয় আয়ে যোগ করুন ।নেতিয়ে যাওয়া অর্থনীতি সটান দণ্ডায়মান করুন।

ও মা মারে ও বাবারে ও সরকার তোদের পায়ে ধরি মান থাকতে যাতি সংঘ ছাড় !!! বেশ্যার , ভিক্ষার পয়সা খাওয়াইস নারে বাবা !!!!

লিঙ্ক - Drugs and sex trade lift Spain's GDP by €9 billion

ব্রিটেনের অর্থনীতি নিয়ে প্রথম আলোর রিপোর্ট


মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.