নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নির্বাচনের আগে বেশ কিছু জায়গায় কমেন্ট করেছিলাম বিপদ আসবে পাহাড় থেকে l নির্বাচনের পর প্রথম বিপদ সেখান থেকেই আসলো l আল্লাহর রহমতে আমাদের সেনাবাহিনীর দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার কারনে সেই বিপদ কিছুটা কেটেছে তবে নির্মূল হয়নি l
এরপর কি কোনদিক থেকে আসবে বিপদ আঁচ করতে পারিনি l তবে আসবে তা নিশ্চিত ছিলাম l আসলো দেশের ভিতর থেকেই l কোটা বিরোধী আন্দোলন সেই বিপদ l স্রোতের বিপরীতে কথা হয়ে যাচ্ছে l এই মুহূর্তে কেউ এই ধরনের কথা বক্তব্য শোনার বা বোঝার মত অবস্থায় নেই l সবাই এখন বিপ্লবী সবাই বিপ্লব চায় ভাবার সময় নাই l কিন্তু না বলেও উপায় নেই l একদন ঠিক সত্য বের হয়ে আসবে l নিজের বক্তব্যর পক্ষে সাফাই দেয়ার জন্যে বলছি একটু ভাবুন তো কি হয়েছিল ১৫/১৮ তারিখ!? কেন শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে এলো?? কেউ কি ভেবেছেন?? সবাই বিপ্লবের ব্যস্ত ভাবার সময় কই?
বিবিসি র একটি লিংক দিলাম দেখুন তো কি হয়েছিল!!
https://www.google.com/amp/s/www.bbc.com/bengali/articles/c728x1dwnz8o.এমপি
১০ই জুলাই, বুধবার:
কোটা পুনর্বহাল করে হাইকোর্টের আদেশের ওপর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চার সপ্তাহের স্থিতাবস্থা, ৭ই আগস্ট পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য।
বিপ্লবীরা ৭ আগস্ট পর্যন্ত সময় দিলো না বা তাদেরকে সময় দিতে দেয়া হলো না l অনুঘটক হিসেবে ছাত্রলীগের বাড়াবাড়ি হামলা মূল প্ল্যানের জন্যে বিশাল প্লাস পয়েন্ট হলো l এ থেকে প্রমান হয় আওয়ামীলীগের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক পর্যায়ে মীর জাফর বিদ্যমান l ছাত্রলীগের এখানে কি কাজ?! কে কারা ছাত্রলীগকে মাঠে নামিয়েছে??
শুরু হলো আন্দোলন সব কিছু প্ল্যান মত এগুচ্ছে l দরকার লাশ গুলি হলো ১৫০/২০০+ (মতান্তরে ) কোমল প্রাণ ঝরে গেলো l সরকারের হিসাবও যদি ধরি ১৪৩ জন মানুষ মারা গেলো l পুলিশ গুলি করেছে তৃতীয় পক্ষ করেছে কিন্তু গুলি হয়েছে এবং পুলিশ গুলি করেছে সত্য এতে কোন সন্দেহ নাই l কে নির্দেশ দিলো গুলি করতে?? আন্দোলন কি এমন পর্যায়ে গেছে গুলি করতে হবে?? এই সরকার কেন বদ্ধ উম্মাদ হলেও কোন সরকার এই ১৪৩ জন মানুষ হত্যার হুকুম দিবে না l তাহলে কেউ নির্দেশ দিয়েছে l খেয়াল রাখতে হবে এক জায়গায় নয় গুলি হয়েছে প্রায় প্রতিটি বড় শহর বা জেলাতে নয় শুধু ঢাকাতে নয় l অর্থাৎ পুলিশের সর্বোচ্চ পর্যায়েও রয়েছে মীরজাফর আর এটা খুব স্বাভাবিক l
দুই বিষয় পরিষ্কার
১ আওয়ামীলীগ দলের সর্বোচ্চ পর্যায়ে বিশাল বড় ফাঁক বা মীরজাফরদের উপস্থিতি l
২ পুলিশ বা প্রশাসন পর্যায়ে মীরজাফর বা বেঈমানদের উপস্থিতি এটি অবশ্য যথারীতি l
এত কিছু আয়োজনের পেছনে একমাত্র কারন শেখ হাসিনাকে হত্যা এবং হত্যা পরবর্তী অবস্থায় কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা তৈরী হতে না দেয়া l ঠিক শেখ মুজিব হত্যার পূর্বে অবিকল পরিস্থিতি তৈরী করা হয়েছিল কৃত্রিম খাদ্য সংকট দুর্ভিক্ষ তৈরী করে জনগণকে বিরূপ মনোভাব তৈরী করা হয়েছিল যার ফলে নির্বিঘ্নে বঙ্গবন্ধু হত্যা সম্ভব হয়েছিল l অবিকল পরিস্থিতি এখন তৈরী l
কেউ মেনে নেয়ার মত অবস্থায় নেই তার পরেও বলতে বাধ্য হচ্ছি এত বড় হত্যাকান্ড একটি সাবোটাজ l এটি বড় প্ল্যানের একটি অংশ যার বন্দুক টার্গেট করা শেখ হাসিনার দিকে l জানি কেউ এই কথা মেনে নেয়ার অবস্থায় নেই কিন্তু যুক্তি এবং অভিজ্ঞতা তাই বলে l
এখন আসি শেখ হাসিনার দোষ কি? তাকে কেন হত্যা করতে হবে?
এখানে বলে রাখি এটি আন্তর্জাতিক খেলা এখানে শুধু শেখ হাসিনা নয় আরও অনেক দেশের রাষ্ট্র প্রধান এই টার্গেট এ আছে l ভারতের মোদী, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট, সৌদি যুবরাজ সালমান, আমিরাতের বাদশা বা আমির সহ ব্রিকস সদস্য রাষ্ট্র বা সহযোগী রাষ্ট্র বিশেষ করে ভবিষ্যতে যোগদানের ইচ্ছুক রাষ্ট্রগুলোর রাষ্ট্র ওরক্সহান বা নীতি নির্ধারক রেড লাইনে আছেন l উদ্দেশ্য যে কোনভাবে ব্রিকস এর নতুন মুদ্রা এবং নতুন ডলার বিহীন পেমেন্ট সিস্টেম বন্ধ করা l
কারন নতুন ব্রিকস মুদ্রা যদি আসে বা অন্তত ডলার বিহীন লেনদেন যদি ব্রিকস সদস্য রাষ্ট্রগুলো একমত হয় তাহলে ন্যাটো অঞ্চলে ১০০ পারমানবিক বোমা মারলেও এত বড় ক্ষতি হবে না l কেবল এই একটি সিদ্ধান্ত ডলার বিহীন লেনদেন পুরো ন্যাটো সম্রাজ্য বিলীন করার জন্যে যথেষ্ট একটি গুলি খরচ না করেও l আর এটা ন্যাটো কোনভাবেই মেনে নেবে না l
কিন্তু রাষ্ট্র প্রধান হত্যা করেও ন্যাটো সফল হবে কিনা আমার সন্দেহ আছে l কারন ডলার থেকে মুক্তি এখন ইউরোপ ছাড় বাকি পুরো বিশ্ব চাছে বা একমত l তাহলে প্ল্যান বি এর দিকে যাবে ন্যাটো তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ l তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ শুরু করতে বিন্দু মাত্র দ্বিধা করবে না ন্যাটো l আর চীন রাশিয়া তা খুব ভালো ভাবে জানে তাদের বর্তমান বিভিন্ন কার্যক্রম দিয়ে তারাও বুঝিয়ে দিয়েছে তারা প্রস্তুত l অর্থাৎ আমরা খুব দ্রুত আরেকটি বিশ্ব যুদ্ধ পেতে যাচ্ছি প্রায় নিশ্চিত l
এখন পআগের প্রশ্নের উত্তর দেই কেন শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে হবে?
তার দোষ অনেক -
১ যুদ্ধপরাধী বিচার এবং ফাঁসি l
২ পদ্মা সেতু নির্মাণ
৩ BRICS যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত l (এটাই এখন অন্যতম কারন )
সর্বশেষ জামাতের রাজনীতি নিষিদ্ধ এছাড়া অসংখ্য কারন আছে l তবে শেখ হাসিনা যা করে দিয়ে গেছেন তা যথেষ্ট বঙ্গবন্ধু এই পর্যন্ত পারতো কিনা আমার সন্দেহ আছে l শেখ হাসিনার আর তেমন কিছু করার নেই l বাকিটুকু আমাদের এগিয়ে নিতে হবে l তবে যদি শেখ হাসিনার কাছে এই মুহূর্তে আমার কিছু চাওয়ার সুযোগ থাকতো আমি চাইতাম, আজকে এই মুহূর্তে অনুষ্ঠানিকভাবে BRICS এবং RCEP তে বাংলাদেশ যোগ দান করুক l
শেখ হাসিনা আপনি যা দিয়ে গেছেন তা আমাদের একশো বছর এগিয়ে দিয়েছেন l হ্যা আপনি ভুল ত্রুটির উর্দ্ধে না কারন আপনি মানুষ ভুল হবেই l আমি একজন বাংলাদেশি হিসেবে আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ l জানিনা কাল কি হবে? যাই হোক আশা করি আজ যেমন বিল্পবী চেতনা নিয়ে সবাই বিপ্লবী হয়েছেন সেই চেতনা অব্যাহত থাকবে l কারন আমাদের এই বিপ্লবী চেতনাই সম্বল l
শত্রুর জন্যে বলে রাখি কি নিবি নে আমরাও প্রস্তুত l একজন শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে যে স্থানে নিয়ে গেছে তা থেকে ফেরানোর শক্তি তোদের নেই l বাংলাদেশ আর কখনোই পেছনে তাকাবে না কারন আমরা এখন জানি কিভাবে এগিয়ে যেতে হয় l
বিশেষ দ্রষ্টব্য : এই ধরনের বক্তব্য মেনে নেয়ার মত অবস্থা এখন না কিন্তু সবার কাছে বিনীত অনুরোধ রইলো ভুল না বোঝার জন্যে l কোটা বা নিরীহ শিক্ষার্থী হত্যার আন্দোলন খাটো করার কোন উদ্দেশ্য আমার নেই l বরং কেন এই হত্যা হয়েছে তা জাতির জানা অনেক বেশি প্রয়োজন l
©somewhere in net ltd.