নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ

সরকার পায়েল

মানুষ যা অনুভব করে তাই জ্ঞান।

সরকার পায়েল › বিস্তারিত পোস্টঃ

উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার পথে বাংলাদেশ

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৩

আগামী ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ জাতিসংঘের পরবর্তী অধিবেশন l এই অধিবেশনেই বাংলাদেশকে জাতিসংঘ উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি দিবে l আর মাত্র দুইদিন পর এই ঐতিহাসিক ঘটনা হবে l যার এক মাস পূর্বে অর্থনীতি ধ্বংস, অর্থ পাচার দুর্নীতির দায় নিয়ে আওয়ামীলীগ সরকারের পতন হয়েছে l সত্য পরে বের হবে l তবে দেশের রিজার্ভ এখন ২০ বিলিয়নের বেশি নতুন গভর্নর এর দেয়া তথ্য অনুযায়ী l

যাই হোক এই উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার পথের কিছু পেছনের স্মৃতি দেখে নেই,
স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বের হয়ে পূর্ণ উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার পথে বাংলাদেশ। ২০২৬ সালে এ উত্তরণ ঘটবে বাংলাদেশের। জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসির (সিডিপি) গতকাল রাতে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশ সুপারিশ প্রাপ্ত হলো।
জাতিসংঘের নিয়ম অনুযায়ী, কোন দেশ পরপর দুটি ত্রিবার্ষিক পর্যালোচনায় উত্তরণের মানদণ্ড পূরণে সক্ষম হলে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের চূড়ান্ত সুপারিশ পায় ৷ বাংলাদেশ সেই শর্ত পূরণ করে চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি বা ইউএন-সিডিপির ত্রিবার্ষিক পর্যালোচনা সভায় উত্তরণের চূড়ান্ত সুপারিশ পায়৷স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও ঋণে যেসব সুযোগ-সুবিধা পেয়েছে, প্রস্তুতিমূলক সময়েও তা অব্যাহত থাকবে৷

১৯৭৫ সাল থেকে স্বল্পোন্নত দেশের কাতারে থাকা বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে সিডিপির সব শর্ত পূরণ করে ২০১৮ সালে৷ সিডিপির তিনটি সূচকেই বাংলাদেশ শর্ত পূরণ করে অনেক এগিয়ে গেছে৷ উন্নয়নশীল দেশ হতে মাথাপিছু আয় হতে হয় কমপক্ষে ১২৩০ মার্কিন ডলার, ২০২০ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল ১৮২৭ ডলার৷

আমি যতদূর জানি জাতিসংঘ শেখ হাসিনার বাপের সংগঠন না l দেশের অর্থনীতি ধ্বংস, ব্যাঙ্ক টাকা লুট, দেশের সকল অর্থ পাচার হয়ে গেছে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার শেখ হাসিনা সরকার পাচার করে দিয়েছে, দুর্নীতির কোন সীমা পরিসীমা নাই এসকল কিছুর পরে একটি দেশ কিভাবে উন্নয়নশীল দেশের তকমা পায় তা আমি বুঝি না!! যেসকল বুদ্ধিজীবী সুশীলরা এসব বলে তাদের জ্ঞানের সীমাও নাই l তাহলে জাতিসংঘ কি একটি বলদ প্রতিষ্ঠান তারা এসে শেখ হাসিনাকে বলেছে আপনি কি উন্নয়নশীল দেশ শেখ হাসিনা তাদের কোলে বসিয়ে বলেছে হ্যা আর তারা রই রই করে স্বীকৃতি দিয়ে দিবে বিষয়টি এমন হওয়ার কোন যুক্তিও নাই l তাহলে কিভাবে একটি দেশ উন্নয়নশীল দেশ হয় ❓ সবার কাছে এই প্রশ্ন রইলো l

হয়ত ১০ তারিখে এই স্বীকৃতি নিয়ে এসে অনেকে বগল বাজাবে l বলবে দেখো মাত্র এক মাসেই আমরা তোমাদের উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি এনে দিয়েছি ⁉️ কিন্তু সত্য এটাই এই স্বীকৃতি শেখ হাসিনার সরকারের অবদান l তবে এটা শেষ না চূড়ান্ত স্বীকৃতি মিলবে ২০২৬ সালে দেখা যাক এরা দুই বছরে দেশকে কোথায় নিয়ে যায় ‼️মনে রাখতে হবে সীমাহীন দুর্নীতি সীমাহীন অর্থ পাচারের পরও শেখ হাসিনা সরকার দেশকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে নিয়ে গিয়েছিলো l

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৩

কাউছার চৌধুরী বলেছেন: মিস্টার মতিন, একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করে, তার মাসিক বেতন ২০২০ সালে ছিল এক লাখ টাকা, ধরলাম এই ২৪ সালে এসে সে তিনটা ৫ হাজার টাকা করে ইন্টক্রিমেন্ট পেয়ে তার বেতন হলো এক লাখ ১৫ হাজার টাকা।

এখন আমরা একটু তার ভাগ্যের উন্নয়ন দেখি:

ধরলাম, ২০২০ সালে এক ডলারের বিনিময়ে আমরা পেতাম ৮২ টাকা , যেখানে ২০২৪ সালে এক ডলার সমান ১২৫ টাকা.

এবার দেখি, ২০২০সাল: ১,০০,০০০/৮২=$১২১৯.৫১/-
২০২৪ সালে: ১,১৫,০০০/১২৫=$৯২০/-

তাহলে দেখেন মিস্টার মতিন এর ভাগ্যের উন্নয়ন: $২৯৯.৫১ i.e. (২৯৯.৫১*১২৫)=৩৭৪৩৮.৭৫ নাই হয়ে গেল।

এখন আমরা এটাকে কি ধরনের উন্নয়ন বলবো?
আমরা কি মতিন সাহেবের ভাগ্যের উন্নয়ন করতে পেরেছি?
আশা করি উত্তর দিয়ে যাবেন।

এরকম হাজারো প্রশ্ন থাকতে পারে। বারবার শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন, গত ১৫ বছরে বেড়েছে ব্যাংকে হাজার হাজার কোটি টাকা মন্দ ঋণ, প্রশ্নপত্র ফাঁস, এক্সট্রা জুডিসিয়াল কিলিং, বিচার ব্যবস্থা ধ্বংস করা, পুলিশ প্রশাসন নষ্ট করে দেওয়া... এরকম হাজারো প্রশ্ন করা যাবে, যা গত সরকার ধ্বংস করে দিয়েছে। আপনারা বলতে পারেন তবুও তো দেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছে। আপনি যদি বলেন এসবের বিনিময়ে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে দাঁড়াতে চাই। আমরা সাধারণ জনগণ বলবো আমরা উন্নয়নশীল দেশ চাই না আমরা স্থিতিশীল দেশ চাই।

আপনি প্রশ্ন করতে পারেন যে গত ৩০ দিনে তাহলে কি হলো?

আমি উত্তরে বলব সেটা গত ১৫ বছরের রেস যা এখনো কাটেনি।
আমরা আশা করব ফ্যাসিজমের দোসরা যদি শয়তানি না করে তাহলে দেশ একদিন সঠিক পথে হাঁটা শুরু করবে।


০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫০

সরকার পায়েল বলেছেন: অর্থনীতি ধরি যদি আর মতিন সাহেবের কল্পনিক গল্প দিয়ে চলে না l আর এই প্রশ্ন করুন জাতিসংঘকে কারন এই স্বীকৃতি আমি দেইনি দিয়েছে বা দিচ্ছে জাতিসংঘ l এত দুর্নীতির হয়েছে তার প্রমান অবশ্যই আপনার কাছে আছে যেহেতু আপনি সব দুর্নীতি বিষয়ে জানেন l অবাক বিষয় দেখুন এত দুর্নীতি হয়েছে তা আপনি জানেন কিন্তু জাতিসংঘ ঘুনাক্ষরেও টের পায়নি অদ্ভুত বিষয় ‼

যাই হোক শেখ হাসিনার সরকারের দুর্নীতি জায়েজ করার মিশন অবশ্যই জাতিসংঘ নেয়নি এই বিষয়ে আশা করি সবাই একমত হবে l

২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:০৮

কামাল১৮ বলেছেন: এই সরকার এক মাসের ভিতর বাংলাদেশকে মার্কিনের লাল তালিকা ভুক্ত করেছে।এটা বিরাট অর্জন।আর কয়দিন পর জঙ্গি রাষ্ট্রের তালিকায় নাম উঠবে।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:০০

সরকার পায়েল বলেছেন: Point to be noted.

৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ২:৩৫

প্রহররাজা বলেছেন: জংলী জনগনকে ঠিক রাখতে হাসিনার দরকার ছিলো। ইউনুস চুরা জংলী দের মাথায় তুলে রাখসে।

৪| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১:০৭

দূর মিয়া বলেছেন: হাসিনা দুর্নীতি করার পর ও এত উন্নয়ন। আর তারা কোন দুর্নীতি না করেও অভনয়ন! কাউছার কাকার মত ধরাধরি করতে করতে কেউ একজন এসে পেছন দিয়ে আঙুল ঢুকায় দিবে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.