নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিকাশমান অর্থনীতির জোট ব্রিকসের সদস্য দেশগুলো নতুন মুদ্রা আনতে চাইলে তাদের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে বলে জানিয়েছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় শনিবার তিনি নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এ তথ্য জানান। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এক পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, ‘একটি নতুন ব্রিকস মুদ্রা তৈরি করা হবে না বা শক্তিশালী মার্কিন ডলারের জায়গায় অন্য কোনো মুদ্রাকে সমর্থন করা হবে না—এমন প্রতিশ্রুতি আমাদের প্রয়োজন। না হলে তারা ১০০ শতাংশ শুল্কের মুখোমুখি হবে। বিস্ময়কর মার্কিন অর্থনীতিতে তাদের ব্যবসার আশা বন্ধ করা উচিত।’
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ব্রিকসের প্রধান লক্ষ্যগুলোর একটি ছিল, ডলারের বিকল্প একটি মুদ্রা ব্যবস্থা তৈরি করা। বর্তমানে যেকোনো আন্ত-রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ ও ঋণের ক্ষেত্রে মুদ্রা হিসেবে মার্কিন ডলার ব্যবহার করা হয়। বিশ্বব্যাংক নিয়ন্ত্রিত বৈশ্বিক আর্থিক ব্যবস্থার মূল মুদ্রাও মার্কিন ডলার।
এই কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্রদের জন্য যেকোনো দেশকে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা দেওয়া অনেক সহজ হয়ে যায়। এসব নিষেধাজ্ঞায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে রাশিয়া, ইরান ও চীন।
ব্রিকসের প্রতিষ্ঠাতা ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও সাউথ আফ্রিকার। এ বছরের সম্মেলনে প্রথমবারের মতো নতুন সদস্য দেশ হিসেবে অংশ নেয় ইরান, সৌদি আরব, মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইথিওপিয়া।
এর আগে গত সপ্তাহে ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প জানান, ক্ষমতা নিয়েই তিনি মেক্সিকো-কানাডার পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ কর আরোপ করতে চান। সেইসঙ্গে চীন থেকে আমদানি হওয়া পণ্যেও অতিরিক্ত ১০ শতাংশ কর আরোপ করা হবে বলে জানান নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আমেরিকা নিজেও বেকায়দায় সাথে ইউরোপকেও সমস্যায় ফেলেছে l এখনও এই যুদ্ধ করে নিজেদের ক্ষতি করেই যাচ্ছে l বিশেষ করে জ্বালানি খাতে একটি দীর্ঘ সমস্যা তৈরী হয়েছে রাশিয়ার গ্যাস ছাড়া ইউরোপ অচল তারা গ্যাস নিচ্ছে চোরা পথে l অন্য দিকে চীন ভারত ফায়দা নিচ্ছে l
এখন চীনকে হুমকি দিচ্ছে শতভাগ ট্যাক্স আরোপ করবে l চীন হুমকি দিয়েছে পণ্য সাপ্লাই বন্ধ করে দিবে আমেরিকায় যদি ট্যাক্স আরোপ করে l যদি তাই হয় তাহলে লাভ হবে চীনের বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর তখন কম মূল্যে তাদের সেসকল পণ্য সাপ্লাই করবে নতুন নতুন অফার দিয়ে অন্য দেশগুলোর সাথে সম্পর্ক ভালো করে সেখানেও পণ্য দিবে l তখন বাধ্য হয়ে আমেরিকা তৃতীয় দেশ থেকে চীনের উৎপাদিত পণ্য নিবে তখন বেশি খরচেই পণ্য নিতে হবে কারন মাঝখানে মিডিয়া মানি চলে যাবে l সুতরাং আমেরিকা নিজের বাঁশ রেডি করছে বলেই মনে হয় l
এবার ব্রিকস অঞ্চল নিয়ে বলছে নতুন মুদ্রা আনলে তাদের উপর ট্যাক্স বসাবে l ব্রিকস তো গঠন হয়েছেই এজন্য আমেরিকা ইউরোপ বাদ দিয়ে এরা নিজেদের মধ্যে নতুন ব্যবসায়িক অঞ্চল তৈরী করা l ইউরোপ আমেরিকা ভারী শিল্প রপ্তানি করে হালকা শিল্প আমদানি করে l গাড়ি, বিমান, অস্ত্র, জাহাজ, মেশিন না ক্রয় করলে দেশ অচল হবে না এগুলোর ভালো বিকল্প ব্রিকস অঞ্চলেই আছে l ফলে ভারী শিল্পেও লস করতে হবে ইউরোপ আমেরিকার l অন্যদিকে খাদ্য, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য, কাপড় নিতে বেশি খরচ করতে হবে যার বেশিরভাগ ব্রিকস অঞ্চলের কাছে আছে l অর্থাৎ ব্রিকস অঞ্চল হালকা শিল্পে উন্নত বিশেষ করে চীন l যেখানে ইউরোপ আমেরিকার অবস্থা বেশ করুন হালকা শিল্প উৎপাদনে l
ফলে যে কোন ভাবেই হোক বিশ্ব বাণিজ্য এবং বিশ্ব রাজনীতি এখন কোনভাবেই আমেরিকা ইউরোপের হাতে নেই l যতই হম্বি তম্বী করুক সবই সার ‼️ আগেই বলেছিলাম ট্রাম্প পরবর্তী আমেরিকা বিশেষ করে এবারের আমেরিকা এবং ইউরোপের জন্য আসলেই দুর্দিন অপেক্ষা করছে l
০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২
সরকার পায়েল বলেছেন: ধন্যবাদ l
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৫৪
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ভালো লিখেছেন।