নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমেরিকা সমর্থত মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসির বিরুদ্ধে রাজধানী কায়রোতে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। শত শত তরুণ-যুবা এই বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন। ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক মন্দা, নাগরিক স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ এবং ক্রমবর্ধমান দুর্নীতির বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করছেন তারা।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে আরবিসি ইউক্রেনের জানিয়েছে, মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে কায়রোর তাহরির স্কোয়ারের কাছের বড় রাস্তায় বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। তাহরির স্কয়ার সরকারের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক নীতির বিরুদ্ধে মিশরীয় জনগণের বিপ্লবের কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত।
এদিন সেখানেই সরকারের নানা ব্যর্থতার পাশাপাশি ফিলিস্তিন ও গাজা ইস্যুতে সরকারের ব্যর্থতার প্রতিবাদ করেন বিক্ষোভকারীরা। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, বিক্ষোভকারীরা ‘আশ-শাব ইউরিদ ইসকাত আন-নিজাম’ অর্থাৎ ‘জনগণ এই শাসনের পতন ঘটাবে’ বলে স্লোগান দিচ্ছিলেন। এটা একটা বিখ্যাত স্লোগান যা ২০১১ সালে আরব বসন্তের সময় জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসির সরকারের নানা বিতর্কিত নীতির নিন্দা জানিয়েও স্লোগান দেন। এদিনের এই বিক্ষোভের ছবি ও ভিডিওতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম রীতিমতো সয়লাব হয়ে গেছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন মতে, বুধবার (২৫ জানুয়ারি) সাবেক স্বৈরশাসক হোসনি মোবারকের বিরুদ্ধে মিশরীয় ছাত্র-জনগণের বিপ্লবের স্মরণে কায়রো ও অন্যান্য শহরে বড় বিক্ষোভ হওয়ার কথা রয়েছে।
২০১১ সালে আরব বসন্তের সময়ে জেগে ওঠা মিশরের ছাত্র-জনতার ১৮ দিনের গণআন্দোণরের মুখে সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের পতন হয়। এর দুই বছর পর ২০১২ সালে মিশরের ইতিহাসের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচনে প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন মোহাম্মদ মুরসি।
কিন্তু এক বছরের মাথায় ২০১৩ সালের জুলাইয়ে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মুরসিকে উৎখাত করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেন দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক প্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি। ২০১৮ সালে আল-সিসি ফের মিশরের হিসাবে নির্বাচিত হন।
সিসির সরকারের নীতির বিরুদ্ধে শুরু থেকেই বিক্ষোভ শুরু হয়। তবে এসব বিক্ষোভ কঠোরভাবে দমন কর হয়। মুসলিম ব্রাদারহুডের একটি বিক্ষোভে ব্যাপক দমন-পীড়ন চালান। এ বিক্ষোভ দমনে অন্তত ৮০০ আন্দোলনকারীকে হত্যা করা হয়েছে বলে অনেকের ধারণা।
এরপর সর্বশেষ বড় আকারের বিক্ষোভ হয় ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে। গিজা ও মহল্লা শহরে বিক্ষোভকারীরা সিসির পদত্যাগ দাবি করে। তবে সিসির পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ করে ছাত্র-জনতার সেই আন্দোলনকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
মুসলিম ব্রাদারহুড বর্তমানে নিষিদ্ধ মিশরে l নির্বাচিত মোহাম্মদ মুর্সি ছিলেন মুসলিম ব্রাদারহুড এর নেতা এবং ব্রাদারহুড এর নতুন পার্টি (এফ জে পি )ফেয়ার এন্ড জাস্টিস পার্টি এর চেয়ারম্যান l আমেরিকার সহযোগিতায় সিসি সামরিক অভ্যুত্থান করে এবং মোহাম্মদ মুর্সিকে গ্রেফতার করে l সাজানো বিচার চলাকালীন আদালতে মুর্সিকে বিষ প্রয়োগে হত্যা করা হয় l ধারণা করা হয় ইসরাইল মুর্সি হত্যার জন্য দায়ী l মুর্সি এবং মুসলিম ব্রাদারহুড কট্টর ইসরাইল বিরোধী l মুসলিম ব্রাদারহুড হয়ত আবার জেগে উঠবে l
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ২:৫৩
সরকার পায়েল বলেছেন: WORLD WAR 3️⃣ আমি একটি কোড দিয়েছি XVX আপনি যদি এই কোড পৃথিবীর মানচিত্রে বসান বিষয়টি পরিষ্কার হবে অর্থাৎ WEST MIDDLE & EAST এভাবে সাজালে মধ্যপ্রচ্যে V পরে l পূর্ব পশ্চিমে মারবে পশ্চিম পূর্বে মারবে বাকি থাকবে আরব রাষ্ট্র সহজ হিসাবে তাদের সার্ভাইভ করার কথা l
২| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৩৩
মেঘনা বলেছেন: আরবদের মধ্যে এখনো মানবিক গুন প্রকাশ পায় নাই। ঘৃণা ছাড়া সভ্যটাকে দেবার মতো কিছুই তাদের নাই।
৩| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৪
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনার লেখায় এখন কমেন্ট কমে যাওয়ার কারণ কি? ভিউ ও কমে গেছে। অথচ আপনি লাগাতার গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে লিখে যাচ্ছেন।
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:৩৫
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এসব দেশের আর কোন ফিউচার নাই।