![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবনের কথাগুলো শেয়ারের জন্যে এই ছোট্ট শেয়ার বক্সটা যথেষ্ট নয়। কিন্তু আমি এতই সাধারণ যে এর বেশি করার ক্ষমতাও নাই।।।।। এই ছোট্ট সময়েই বুঝে গেছি স্রষ্টার কাছে কিছু চাওয়া ঠিক না। সারাজীবনে আমি তার কাছে কিছুই চাইনি হাত জোড় করে। কিন্তু গত কিছু দিনে রেগুলার হাত জোড় করে প্রার্থনা করে গেছি, তাও আমার জন্যে না। আমার বাবার জন্যে। আমায় ঘিরে যে স্বপ্ন দেখেছেন সেগুলো পূরণ করতেই হাত পেতে ছিলাম স্রষ্টার দ্বারে। কিন্তু তিনি আমার কপাল এতটাই যে খারাপ বানিয়েছেন সেটা তো আর আগে বুঝি নি। বাবা বলত তুই বড় কিছু একটা কর, নিজের জন্যে কিছু কর, তোর মায়ের জন্যে কিছু কর। কিছু কর যাতে সমাজে মাথা উচু করে নিজের নামটা বলতে পারিস। চাকুরি স্বপ্নটাও তারই দেখানো। শেষ মুহুর্তে এসে এভাবে তার করুণ মুখ দেখব এটা ছিল আমার কল্পনার বাইরে।। ভেবেছিলাম রেজাল্ট নিয়ে বাড়ি গিয়ে সারপ্রাইজ দেব। কিন্তু সবার যে সব আশা পূরণ হয় না।।।
জীবনে মোটামুটি সব শ্রেণীর মানুষের সাথে মেলামেশা হয়েছে। তার মধ্যে বিশ্লেষণ করে দেখলাম মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষগুলোর জীবন রোমাঞ্চক। আমি নিজে একজন মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে। মাসের ২০ তারিখ কাগজেভর্তি মোটা মানিব্যাগে আছে আর ১৯৩ টাকা। সে জানে কিভাবে অনায়াসে বাকি ১৩ বা ১৪ দিন চালানো যায়। সে তপ্ত রোদের মধ্যে ঘামে ভেজা শার্ট পরে হাঁটতে পারে। কারণ সে জানে ২০ টাকা রিক্সা ভাড়ার মূল্য কত। সে রাস্তার পাশের টং এর বাসি বনরুটি আর পানসে চা খেতে পছন্দ করে। পৃথিবীর সহজলভ্য খাবার এটি। মোবাইলে ২ টাকা নিয়ে চলতে পারে ৫ থেকে ১০ দিন। ২ টাকা মাকে মিসকল দেয়ার জন্য। মাঝেমধ্যে মায়ের আওয়াজটা খুব শুনতে ইচ্ছে করে তাই। ঘুম থেকে দুপুর ১টায় উঠে যাতে সকালের নাস্তা খেতে না হয়। তাই বলে ভাববেন না আমরা অভাবে নিমজ্জিত। আমরা যেমন কেএফসি-তে খেতে পারি ঠিক তেমনি রাস্তার পাশের সস্তা হোটেলেও খেতে পারি। আমাদের সীমাবদ্ধতা নেই। আমরা জীবন নামক পার্থিব জিনিসটাকে খুব কাছ থেকে দেখতে পারি, উপভোগ করতে পারি, ছুঁতে পারি, অনুভব করতে পারি।
©somewhere in net ltd.