![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবনের কথাগুলো শেয়ারের জন্যে এই ছোট্ট শেয়ার বক্সটা যথেষ্ট নয়। কিন্তু আমি এতই সাধারণ যে এর বেশি করার ক্ষমতাও নাই।।।।। এই ছোট্ট সময়েই বুঝে গেছি স্রষ্টার কাছে কিছু চাওয়া ঠিক না। সারাজীবনে আমি তার কাছে কিছুই চাইনি হাত জোড় করে। কিন্তু গত কিছু দিনে রেগুলার হাত জোড় করে প্রার্থনা করে গেছি, তাও আমার জন্যে না। আমার বাবার জন্যে। আমায় ঘিরে যে স্বপ্ন দেখেছেন সেগুলো পূরণ করতেই হাত পেতে ছিলাম স্রষ্টার দ্বারে। কিন্তু তিনি আমার কপাল এতটাই যে খারাপ বানিয়েছেন সেটা তো আর আগে বুঝি নি। বাবা বলত তুই বড় কিছু একটা কর, নিজের জন্যে কিছু কর, তোর মায়ের জন্যে কিছু কর। কিছু কর যাতে সমাজে মাথা উচু করে নিজের নামটা বলতে পারিস। চাকুরি স্বপ্নটাও তারই দেখানো। শেষ মুহুর্তে এসে এভাবে তার করুণ মুখ দেখব এটা ছিল আমার কল্পনার বাইরে।। ভেবেছিলাম রেজাল্ট নিয়ে বাড়ি গিয়ে সারপ্রাইজ দেব। কিন্তু সবার যে সব আশা পূরণ হয় না।।।
নয়াদিল্লি, ১৬ মার্চ- ক্রিকেট বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বেই ইংল্যান্ডের ছিটকে যাওয়ায় আমি অম্তত একটুও অবাক নই। বিশ্বকাপের আগে ত্রিদেশীয় সিরিজে ভারতকে ওরা যখন হারাল, সেটা দেখে কিছু মানুষ ইংল্যান্ডকে নিয়ে আশাবাদী হয়েছিলেন। তাঁরা বিশ্বাস করেছিলেন, এবার ইংল্যান্ড একটা কিছু করবে। কিন্তু অনেকেই ভুলে গিয়েছিলেন, অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের পর তখনও ভারতের হ্যাংওভার কাটেনি এবং বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে প্রথম একাদশ কী হবে, সেটাই মূল লক্ষ্য ছিল। ভুবনেশ্বর কুমারের চোট নিয়ে সমস্যাও দলকে সামলাতে হয়েছে। ভাবনা ছিল, ও সত্যিই পুরোপুরি সুস্হ কিনা, ওর চোট সম্পূর্ণ সারবে কি না। এমনকী বিশ্বকাপে ভুবনেশ্বর যে একটা ম্যাচ খেলেছে, সেখানেও ওকে বিবর্ণ দেখিয়েছে। বিশ্বকাপের বাকি ম্যাচে প্রথম একাদশে ও সুযোগ পেলে অবাকই হতে হবে।
কেন ইংল্যান্ড হেরে গেল, তা নিয়ে অনেক মতামত উঠে আসছে; কিন্তু কেউই আলোচনা করছেন না, কেন এবার বাংলাদেশ এত ভাল খেলছে! কয়েক বছর আগে আইপিএলের মতো বাংলাদেশও শুরু করেছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। আইপিএলের মতো সেখানেও বিদেশি ক্রিকেটারদের সুযোগ দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি দলে খেলার জন্য। এতে বিদেশি ক্রিকেটাররা একটা ম্যাচে নামার আগে কী করে নিজেদের তৈরি করে, সেটা বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা চোখের সামনে দেখার সুযোগ পেয়েছে।
কীভাবে চাপের মুখে ওই সব ক্রিকেটার মাথা ঠান্ডা রাখে, সেটাও দেখে শিখেছে। আত্মবিশ্বাস কয়েক গুণ বেড়ে গেছে। কয়েকজন বিদেশি ক্রিকেটার সম্পর্কে যে একটা সমীহ, বা ভয়ের ব্যাপার ছিল, সেটাও কেটে গেছে। টি২০ ক্রিকেট একজন ক্রিকেটারকে খানিকটা বেপরোয়াও করে তোলে। বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা এখন বুঝে গেছে, আস্কিং রেট একটু বেড়ে গেলেও দু-একটা ওভারে একটু বেশি রান তুলে নিলেই ম্যাচ আয়ত্তে এসে যাবে। ওদের এই পরিবর্তনটা ২০১২ সালের এশিয়া কাপেই দেখা গিয়েছিল। ভারতকে হারিয়ে দিয়েছিল সেবার। ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে একটুর জন্য হেরে গিয়েছিল। ওরা একেবারে ফুরফুরে মেজাজে খেলেছিল। কোনও কঠিন পরিস্হিতিতেই ওদের টলানো যায়নি।
এর মধ্যে সাকিব আল হাসান বিশ্বের নানা জায়গায় টি২০ লিগ খেলে বেড়িয়েছে। দলে সেই অভিজ্ঞতাটা ওর হাত ধরেই এসেছে। বাকিরা সেটার ওপর নির্ভর করে এগিয়েছে। গত শুক্রবার ম্যাচের আগে ওরা নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সাতটা ম্যাচ খেলে সাতটাতেই জিতেছিল। সেগুলো সব ক’টাই নিজেদের দেশে হলেও, বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাস আরও বেড়ে যায়। এটা ঘটনা যে, ওরা টেস্ট রেকর্ডটা এখনও ভাল করতে পারেনি, কিন্তু এবারের বিশ্বকাপে ওদের মধ্যে যে আত্মবিশ্বাস দেখলাম, সেটা ধরে রাখতে পারলে টেস্টেও ওরা ভাল করবে। কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশকে হালকা ভাবে না নিলেই ভাল করবে ভারত। ওরা সবাইকে চমকে দিতেই পারে।
টেস্ট খেলিয়ে দেশ হিসেবে আয়ারল্যান্ড আর স্কটল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার একটা দাবি উঠেছে; কিন্তু বাংলাদেশকে টেস্ট খেলতে দেওয়ার পর যা অভিজ্ঞতা হয়েছে, তা থেকে প্রমাণ হচ্ছে, আইসিসি এবার একটু ধৈর্য ধরলে ভাল করবে। সব আইরিশ ক্রিকেটারই কাউন্টিতে কোনও না কোনও দলের হয়ে খেলে। সেটাও বিদেশি নয়, দেশি ক্রিকেটারের কোটায়। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠবে, তা হলে স্কটল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড কেন আলাদা দেশ হিসেবে খেলবে?
ইংল্যান্ড যদি দেখে, স্কটল্যান্ড বা আয়ারল্যান্ডের কোনও ক্রিকেটার ভাল, সরাসরি তাকে দলে নিয়ে নেয়। অন্য দেশ এটা করতে পারে না। অন্য দেশকে একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যম্ত অপেক্ষা করতে হয় বিদেশি ক্রিকেটারকে খেলাতে গেলে। উল্টোটাও হয়। যখন ইংল্যান্ড মনে করে, সেই ক্রিকেটারকে আর দরকার নেই, ছেঁটে ফেলে। সেই ক্রিকেটার আবার সঙ্গে সঙ্গে আয়ারল্যান্ড বা স্কটল্যান্ডের হয়ে খেলতে পারে। যাঁরা নিয়ম-কানুনের দায়িত্বে আছেন, তাঁদের এই ব্যাপারটার দিকে নজর দেওয়া উচিত।
ব্যাপারটা এখানেই শেষ হয়ে যাচ্ছে না। এর ফলে আইসিসি-তে ইংল্যান্ডের তিনটি ভোট হয়ে যাবে। এমনিতে কোনও দেশের ক্রিকেটার যদি অন্য কোনও দেশের হয়ে খেলতে চায়, তবে চার বছর অপেক্ষা করতে হয়। কিন্তু ইংল্যান্ডের ক্ষেত্রে কিছু উদ্ভট নিয়ম আছে। কারও ঠাকুরদাদা, বা তাঁর বাবা ব্রিটিশ হলেই সে ইংল্যান্ডের হয়ে খেলার যোগ্যতা পেয়ে যায়। এই নিয়মগুলোই ইংল্যান্ডকে আরও সমস্যায় ফেলছে। ওরা সাহসী কিছু সিদ্ধাম্ত না নিলে কিন্তু প্রবল প্রত্যাশা নিয়ে খেলতে নেমেও খুব খারাপ ফল করে বিদায় নেবে।
©somewhere in net ltd.