বাংলাদেশের পররষ্ট্রনিতী এবং দায়িত্বশীলতা

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১:১৯

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির মত লেইম ,অন্তঃসারশূন্য আর কাওয়ার্ড নিতী পৃথিবীর কোথাও আছে কিনা জানা নাই। সকলের সাথে বন্ধুত্ব এরকম টাইপের কি যেন একটা নিতী আছে দেখছিলাম। কার মাথায় এসব অদ্ভুত নিতী খেলে আমার জানা নাই। সকলের সাথে বন্ধুত্ব পাতাবেন ঠিক আছে কিন্তু তাই বলে নিজের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে

মায়ানমার বাংলাদেশের আকাশসীমা একের পর এক লঙ্ঘন করছে আমরা প্রতিবাদ জানিয়েই শেষ? কেন আমরা তাদের ড্রোন ও হেলিকপ্টার ভূপতিত করতে পারিনা?

মায়ানমার তাদের দেশের নাগরিকদের উপর নিপীড়ন চালাচ্ছে আর ভুক্তভোগী হচ্ছে বাংলাদেশ। কেন আমরা বলতে পারছিনা, তোমাদের দেশের নিজস্ব সমস্যা, তোমাদের দেশের সীমানার ভেতর যা ইচ্ছা করো। বাংলাদশের ভিতর যেন একটা বার্মিজ কুত্তাও না ঢুকে। সাবধান!

বাংলাদেশের বিজিবি কিডনাপ করে নিয়ে যায় নাসাকা বাহিনী। এসবও আমাদের শুনতে হচ্ছে।

একইভাবে ভারতের সাথে কথিত বন্ধুত্ব চলছে খুবই নতজানু হয়ে। কিন্তু কেন কেন কেন? কুটনৈতিক দিক দিয়ে আমরা এতটা নিরীহ কেন? আমাদের স্বাধীনতা তো কারো দান ছিলোনা। জাতি হিসেবে আমরা অনেক নির্যাতিত ছিলাম ঠিক কিন্তু কখনোই অন্যায়ের কাছে মাথা নত করিনাই। ৫২, ৬৯,৭১ তার প্রমাণ। আমাদের প্রতিবেশী দেশ স্বাধীন হয়েছে একবার আমাদের স্বাধীন হতে হয়েছে দুইবার। আমাদের স্বাধীনতা অন্যদের মত এতটা সস্থা না যে কেউ হরন করার সাহস পাবে। একাত্তরে তো আমরা আরো খারাপ সময় অতিক্রম করে এসেছি। আর এখন তো আমাদের নিজস্ব সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী আছে । তাহলে কেন এত ভয়?
এখন সময় হয়েছে কুটনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে ভাবার। ব্যাঙ্গের মত গর্তে লুকিয়ে থাকলে তেলাপোকা এসে গুঁতা দিবে সেটাই স্বাভাবিক। আপনাদের যদি ওরকম সাহস না থাকে দায়িত্ব ছেড়ে দিন। কোন এক ভিনদেশে বাংলাদেশের পতাকা উড়তে দেখলে আমরা যদি গর্ববোধ করতে পারি তাহলে এসব দায়িত্ব আমরাও নিতে পারবো। এসবের জন্য বাংলাদেশে কম্পিউটার কবে আসছে কিম্বা কবি নজরুলের কবরের পাশে কি লেখা তা জানা লাগেনা। স্পিরিট আর আত্মসম্মানবোধ থাকলেই চলে

A short message to Mayanmar and UN-
তুমি যদি মানবধিকার লংঘন করতে পারো
আমি কেন আমার ভুখন্ডকে পরিষ্কার রাখতে পারবোনা?
দায়িত্ব তো তোমার বেশী ছিল।
তবে কি মানবতার দন্ড জাতিবেধে ১ ইঞ্চি কিম্বা, ০ ইঞ্চি হয়?
এ কেমন মানবতা?

৩ টি +১/-০