নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শেহজাদ আমান

একজন সাংবাদিক ও সমাজকর্মী

শেহজাদ আমান

একজন সাংবাদিক ও সৃষ্টিশীল লেখক

শেহজাদ আমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

জেন জি কি ডার্ক সাইড অব দ্য মুন??

০১ লা জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০৮



বর্তমান জেনারেশন জেড বা জেন জি নিয়ে আমার ভাবনা -১

জেন জি বা জেনারেশন জেড বর্তমানে বহুল আলোচিত এক টার্ম। বিশেষ করে দেশে জুলাই গণঅভ্যূত্থানের সময় ও এর পরের সময়কালে এই টার্মটি আরো বেশি আলোচিত হয়ে ওঠে, যখন অনেকেই এই গণঅভ্যূত্থানের সফলতার পিছনে এই জেন জির প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণের ভূমিকাকেই প্রধান নিয়ামক হিসেবে উল্লেখ করেন। দেশের বিভিন্ন মিডিয়াতে এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে ক্রমাগত স্তূতি করা হয় এই জেনারেশনের। কিন্তু কারা এই জেন জি? জেনারেশন বা প্রজন্ম হিসেবে কতটা শক্তপোক্ত ও সামর্থ্যবান এই জেন জি?
জেন জি বলতে তাদেরই বোঝানো হয় যাদের জন্ম ১৯৯৭ থেকে ২০১২-এর ভিতরে। অর্থাৎ এখনো পর্যত যাদের বয়স ১৩ থেকে ২৮, তারাই জেন জি।

বিভিন্ন বিদেশি জার্নাল ও সমাজবিজ্ঞান বিশেষজ্ঞদের মতে, জেন-জি’র কিছু পজিটিভ সাইড যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে কিছু নেতিবাচক দিকও…জেনজিরা বলতে গেলে টেকনোলজি নির্ভর এক প্রজন্ম। স্বাধীনচেতা, বেশ উদারমনের, স্মার্ট, চটপটে হয়ে থাকে এরা। কিন্তু অন্যদিকে, ক্রমাগত সোশ্যাল মিডিয়া নির্ভর হবার কারণে এবং দিনের বড় অংশ এতে মত্ত থাকায় কোনোকিছু নিয়ে খুব গভীরভাবে চিন্ত করার বা সেই চেষ্টা করার সুযোগ পায় না এদের বেশিরভাগই। বই পড়া, খেলাধূলা করার মতো জিনিসে ওদের আগ্রহ দেখা যায় বেজায় কম। এই কারণে ওদের চিন্তার গভীরতা খুব কমই দেখা যায়। এজন্যই অনেকে বলে, জেন-জি ভাবে কম, অ্যাকশনে যায় বেশি। এই কারণে হুটহাট করে আগ্রাসী হয়ে যাওয়া, বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠা এবং প্রতিক্রিয়াশীলতার মাত্রা এদের ভিতর দেখা যায় খুব বেশি। এরা হয়ে থাকে সেনসিটিভ বা স্পর্শকাতর বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। এ কারণে সংযমবোধ ও আত্মনিয়ন্ত্রণ দেখা যায় কম।

তাহলে তারা কি 'ডার্ক সাইড অব দ্য মুন' বা 'চাঁদের অন্ধকার দিক'??

প্রসিদ্ধ আন্তর্জাতিক জার্নাল ইমপেরিয়াম পাবলিকেশন-এ প্রকাশিত এক মেডিকেল প্রবন্ধ অনুযায়ী, টেকনোলজির উপর অতি নির্ভরতা ও প্রজন্ম হিসেবে ধীরস্থির বৈশিষ্ট্যের না হবার কারণে এদের মধ্যে অস্থিরতার মাত্রা দেখা যায় তাদের আগের প্রজন্মের চেয়ে বেশি। অ্যাংজাইটি, ডিপ্রেশন, মুড সুইংয়ের মতো জিনিসে এদের অনেকেই আক্রান্ত হয়।

তাই, বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশাল সংখ্যায় জড় হয়ে কোনো অঘটন বা মব তৈরি করে ভায়োলেন্স সৃষ্টি করার প্রবণতা এদের অনেকের ভিতরই দেখা যায়। আবার, এদের চিন্তাভাবনার গভীরতা কম থাকায় অনেকেই এদেরকে উসকে দিয়ে, মিসগাইড করে কার্যসিদ্ধি করতে পারে অনেক দুষ্টুচক্রও। ‘হাইপ,’ ‘ভাইরাল,’— এসব জিনিস দিয়ে খুব বেশি প্রভাবিত হয় এই জেনজিরা। কোনো জিনিস হাইপ পেলে বা ভাইরাল হলে দেখা যায় এদের বেশিরভাগই সেটার পিছনে ছোটে। ভালমন্দ বিচার করতে আর যায় না। তারা যেন মনে করেঃ “এই জিনিসের এত্ত হাইপ, এটা তো ভালোই হবে।“

এই প্রবণতা রোধ করতে জেন জি’র ছেলেমেয়েদেরকে আরো বেশি করে সামাজিক হওয়ার ও চিন্তাশীলতার চর্চা করার পরামর্শ দিয়েছেন জেন্ডার বিশেষজ্ঞরা। এজন্য অভিভাবক ও সিনিয়ারদের রয়েছে এদের প্রতি যথাযথ টেক কেয়ার ও গাইডেন্সের দায়িত্ব।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৩

ফেনিক্স বলেছেন:


জেন-জি হচ্ছে ইউরোপ, আমেরিকা, জাপান ও অষ্ট্রেীয়ার জন্য প্রয়োজ্য; বাকী এশিয়া, আফ্রিকা, দ: আমেরিকা ও বাংলাদেশের জন্য নয়।

বাংলাদেশের জন্য জেনারেশন-প্রশ্নফাঁস, জেনারাশন-জল্লাদ ও জেনারেশন-এফ প্রয়োজ্য।

০১ লা জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১০

শেহজাদ আমান বলেছেন: খুব একটা খারাপ বলেননি। জেন জি বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের পতনে খুব কার্যকরী ভূমিকা রেখেছিল। কিন্তু এরা গত নয়মাসে যা দেখিয়েছে, তাতে বলতেই হয় এরা স্রেফ 'পুরনো ভবন ভাঙ্গার শ্রমিক, কিন্তু নতুন ভবন বিনির্মাণের কারিগর নয়!'

২| ০১ লা জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৯

শায়মা বলেছেন: জেন জি এর কোনো সামাজিক পারিবারিক বন্ধন নিয়ে চিন্তা ভাবনার সময় নেই। তারা বেশিভাগ সময় ফ্যামিলি ডিটাচড হয়ে যাচ্ছে।
নিজেদেরকে সবজান্তা মনে করে ডিজিটাল কারিশমা দেখিয়ে বাবা মাকে তাক লাগাতে চায়! :)

০১ লা জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩৯

শেহজাদ আমান বলেছেন: হতে পারে, তবে এদের সবাই এমন না। এদের ভিতর রিলিজিয়াস সেন্টিমেন্টের কিছু ছেলেমেয়ে আছে, যারা পারিবারিক বন্ধনকে গুরুত্ব দেয়। যদিও এদের অনেকেই আবার একটু ডানপন্থা বা উগ্রবাদের দিকে ঝুঁকে পড়ে :(

৩| ০১ লা জুন, ২০২৫ রাত ৮:১৩

কামাল১৮ বলেছেন: এরা প্রান শক্তিতে বলিয়ান।কিন্তু মস্তিষ্কের পরিপক্কতা এখনো হয় নাই।বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতার অভাবে কল্পনা প্রবন হয়।

০১ লা জুন, ২০২৫ রাত ৮:২৫

শেহজাদ আমান বলেছেন: কল্পনাটাও এরা ঠিকমতো করতে পারে না। এদের কল্পনা ও হুজুগকে কৌশলে প্রচাভিত করে অনেকেই এদের বিভ্রান্ত করে কুপথে পরিচালিত করে থাকে।

৪| ০১ লা জুন, ২০২৫ রাত ৮:২২

কামাল১৮ বলেছেন: প্রপার গাইড দিতে পারলে এদের দিয়ে অনেক ভালো কাজ করিয়ে নেয়া যায়।যেটা করেছিলো কামাল আতাতুর্ক।ইউনুস এতেরকে অন্ধকার গুহায় ঠেলে দিয়েছে।ওখান থেকে বেরিয়ে আসা তাদের জন্য কঠিন হবে।

০১ লা জুন, ২০২৫ রাত ৮:৪৫

শেহজাদ আমান বলেছেন: একদম। ডঃ ইউনুস যে এমন লোক, সেটা কেউ ভাবতে পারিনি আমরা ৬-৭ মাস আগেও। এই জেনারেশনের এই বেপথু হওয়ার দায় তিনি এবং তাঁর সরকার এড়াতে পারে না।

৫| ০১ লা জুন, ২০২৫ রাত ১০:২৭

ফেনিক্স বলেছেন:



লেখক বলেছেন: খুব একটা খারাপ বলেননি। জেন জি বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের পতনে খুব কার্যকরী ভূমিকা রেখেছিল।

-আপনার মাথায় এখনো ইনটেল প্রসেসর। শেখ হাসিনার পতন ঘটায়েছে আমেরিকান ক্যু।

০১ লা জুন, ২০২৫ রাত ১০:৩৯

শেহজাদ আমান বলেছেন: দেশি-বিদেশি বিভিন্নরকম ষড়যন্ত্র থাকতে পারে; কিন্তু এটা তো সত্য সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ এই আন্দোলনে ছিল। এটাও তো সত্য যে হাসিনার পতন ঘটাও জরুরি ছিল। :)

৬| ০২ রা জুন, ২০২৫ রাত ১:৫৭

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: জেন জি রা যাদের কাছ থেকে শিক্ষা পেয়েছে ঠিক তাদের মতোই আচরণ করছে। দোষ এখানে আগের জেনারেশনের জেন জিদের নয়।

০২ রা জুন, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৭

শেহজাদ আমান বলেছেন: জেন জি যদি ক্রেডিট পায়, তবে তাদের কুকীর্তির জন্য ডিসক্রেডিটও তাদের মাথা পেতে নিতে হবে। আর ছেলের অপরাধের জন্য বাপকে সাজা দেওয়া যেমন সাজে না, তেমনি জেন জির অপরাধের জন্য তাঁর আগের প্রজন্মকে দায়ী করাও ঠিক না।

৭| ০২ রা জুন, ২০২৫ সকাল ৯:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: বাংলাদেশে জেনজি নাই। আছে কিশোর গ্যাং।

০২ রা জুন, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৯

শেহজাদ আমান বলেছেন: জেন জি আছে, কিশোর গ্যাংও আছে। খালি কিশোর গ্যাং নিশ্চয় জুলাইয়ের আন্দোলনে ছিল না। তরুণ, এবং সর্বধরনের মানুষই জুলাই গণঅভ্যূত্থানে অংশ নিয়েছিল। তবে, জেন জিকে যেভাবে মহমান্বিত করা হয়, সেটা থেকে অনেক দূরে তাদের অবস্থান। আর এখন তো এরা পুরাই গেছে গা!

৮| ০২ রা জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:০১

আধুনিক চিন্তাবিদ বলেছেন: জেন-জি এর যেই নেগেটিভ দিকগুলো উল্লেখ করলেন, আমার মতে এইগুলো শুধু বর্তমান সময়ের জন্যই প্রযোজ্য না। বরং অতীতেও ওই বয়সী ছেলেমেয়েদের ভিতরে ওই জিনিসগুলো ছিল। তার মানে ওই বয়সী সব ছেলেমেয়ের ভিতরেই ওই ধরনের বৈশিষ্ট্যগুলো থাকে।

০২ রা জুন, ২০২৫ রাত ৮:৩২

শেহজাদ আমান বলেছেন: আগে তো স্মার্টফোন ও এত্ত এত্ত অনলাইন জিনিসপত্র ছিল না। আগের তরুণেরা বই পড়ত, আড্ডা মারত, খেলাধুলা করত। এখনকার তরুণেরা সেগুলো করে না। তাই তাদের ভিতর গভীরতা নেই এবং এরা অস্থির এক প্রজন্মই বটে।

৯| ০২ রা জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫৩

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: জুলাই আন্দোলনের সব বড়ো স্টেক হোল্ডার চাকুরিপ্রত্যাশী ছাত্রসমাজ ও প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি ! তারা ঘরে ফিরে গিয়েছে। সাধারণ ছাত্ররা এসব মববাজি, টেন্ডারবাজি বা সেনাবাহিনীকে হুমকি দেয়ার মতো কাজে নাই।

০২ রা জুন, ২০২৫ রাত ৯:০৪

শেহজাদ আমান বলেছেন: খারাপ বলেননি!
মববাজি, টেন্ডারবাজি করছে ও সেনাবাহিনিকে যারা হুমকি দিচ্ছে, তারা হচ্ছে কিংস পার্টি এবং এর কথিত সমর্থকেরা। আর এরা বাংলাদেশের তরুণ ওচ হাত্র, কোনোটাকেই প্রতিনিধিত্ব করে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.