![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বর্তমান বিশ্বে সমসাময়িককালে সবচাইতে জনপ্রিয় লেখকদের একজন পাওলো কোয়েলহো। পরিসংখ্যানের বিচারে, নিঃসন্দেহে ব্রাজিলের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও বেস্ট সেলিং লেখক তিনিই। জীবনদর্শনমূলক ও মিস্টিক ফিকশন ঘরানার বইয়ের লেখক হিসেবে দারুণ খ্যাতিমান এই লেখকের বই সারাবিশ্বে অনুদিত হয়েছে ৮০ টিরও বেশি ভাষায়। দুনিয়াব্যাপী তাঁর রচিত বিভিন্ন বই বিক্রি হয়েছে ৩৫ কোটি কপিরও বেশি। চুম্বনকের মতোই বিপুল সংখ্যক পাঠককে কাছে টেনেছে পাওলো কোয়েলহোর জীবনদর্শন না আত্ম-অনুসন্ধানমূলক বইগুলো। বিশ্বব্যাপী বিরাট সংখ্যক পাঠককূলকে অনুপ্রাণিত করা এই প্রভাবশালী লেখকের জন্মদিন ছিল গতকাল ১৪ আগস্ট।
কিন্তু কী এমন আছে পাওলো কোয়েলহোর বইয়ে, যা তাকে বিশ্বব্যাপী বর্তমানে সবচাইতে জনপ্রিয় লেখকদের একজনে পরিণত করেছে? কেন এত এত মানুষ অনুপ্রেরণা লাভ করছেন পাওলো কোয়েলহোর বইগুলোতে প্রচারিত জীবনদর্শন থেকে? বাঙলায় পাওলো কোয়েলহোর সর্বাধিক বইয়ের অনুবাদক হিসেবে আমি সেই উত্তরটাই খোঁজার চেষ্টা করেছি, যা আজ ভাগ করে নিতে চাই পাঠকদের সাথে।
এই ব্যাপারে বিস্তারিত কথা বলার আগে আমাদের একটু ঘুরে দেখতে হবে পাওলো কোয়েলহোর বৈচিত্রময় ও বর্ণময় জীবনকে।
আসলে, পাওলো কোয়েলহোর নিজের জীবনই তাঁর বই লেখার জন্য প্রাথমিক অনুপ্রেরণার উৎস। তিনি তাঁর পুরো জীবনভর বলতে গেলে মৃত্যুর সাথে করেছেন ঠাট্টা, মুক্ত হয়েছেন উন্মত্ততা থেকে, মাদককে নিয়ে করেছেন ছেলেখেলাও। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন আলকেমি আর জাদু নিয়ে, পর্যবেক্ষণ করেছেন দর্শন আর ধর্মকে, পড়াশুনা করেছেন সীমাহীন, বিশ্বাস হারিয়ে আবার ফিরে পেয়েছেন এবং লাভ করেছেন ভালোবাসার বেদনা ও সুখের অভিজ্ঞতাও। এই বহুমাত্রিক ও বিচিত্র অভিজ্ঞতা ভীত গড়ে দিয়েছে ও সমৃদ্ধ করেছে তাঁর জীবনদর্শনকে। সেই দর্শনগুলোই ফুটে উঠেছে তাঁর রচিত বিভিন্ন বইয়ে যা পড়ে, বুঝে ও হৃদয়ঙ্গম করে নিজেদেরকে সমৃদ্ধ ও উন্নত করার চেষ্টায় ব্যাপৃত হয়েছে পাঠককূলও।
লেখকের বিভিন্ন বইয়ের দিকে তাকালে দেখা যাবে তিনি বিভিন্ন জীবনদর্শন পাঠকের কাছে তুলে ধরার পাশাপাশি, সেসব জীবনদর্শন ধরে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে, জীবনের লক্ষ্যপূরণ করতে এবং জীবনকে বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত করার তাগিদ দিয়েছেন বারবার। সেই হিসেবে লেখক একজন দারুণ অনুপ্রেরণাদায়ী মানুষও বটে!
পাওলো কোয়েলহোর সবচেয়ে জনপ্রিয় ও আলোচিত বই অবশ্যই ১৯৮৮ সালে প্রকাশিত ‘দি আলকেমিস্ট!’ সারাবিশ্বে যেমন জনপ্রিয় ঠিক তেমনি বাংলাদেশের পাঠকদের কাছে অসম্ভব পাঠকপ্রিয় একটি বই এটি।
দি আলকেমিস্ট হলো জীবনের অর্থ ও ব্যক্তিগত নিয়তির অনুসন্ধানকে কেন্দ্র করে লেখা ছোট পরিসরের কিন্তু শক্তিশালী বক্তব্যের এক উপন্যাস। এই কাহিনির মূল চরিত্র সান্তিয়াগো, এক তরুণ আন্দালুসীয় মেষপালক, যে বারবার এক স্বপ্ন দেখে এবং বিশ্বাস করে তার ভাগ্য তাকে গুপ্তধনের সন্ধানে ডাকছে। স্বপ্নের টানে সে নিজ ভূমি ছেড়ে দূর মরুভূমিতে যাত্রা শুরু করে। তার অভিযনের যাত্রাপথে তাঁর পরিচয় হয় বিভিন্ন চরিত্রের সাথে, যারা প্রত্যেকে তাকে দেয় জীবনের নতুন শিক্ষা।
সান্তিয়াগো প্রথমে পরিচিত হয় রহস্যময় রাজা মেলকিজেদেক-এর সঙ্গে, যিনি তাকে “পার্সোনাল লেজেন্ড” বা ব্যক্তিগত কিংবদন্তির ধারণা বোঝান। পরে সে এক ইংরেজ ভদ্রলোকের সঙ্গে দেখা করে, যে আলকেমি শিখতে চায় এবং তাকে জ্ঞানের নতুন দিগন্ত দেখায়। মরুভূমিতে সান্তিয়াগো ভালোবাসার মানুষ ফাতিমার সঙ্গে পরিচিত হয়, যে তাকে শেখায় ভালোবাসা কখনো স্বপ্নকে বাধা দেয় না, বরং তা পূরণের শক্তি জোগায়। শেষে সে আলকেমিস্টের সাক্ষাৎ পায়, যিনি তাকে প্রকৃত আত্ম-উপলব্ধি ও মহাবিশ্বের ভাষা বোঝার পথে এগিয়ে দেন।
দি আলকেমিস্ট আমাদের শেখায় যে প্রত্যেক মানুষের জীবনে একটি স্বপ্ন বা নিয়তি আছে, আর সেই স্বপ্নকে অনুসরণ করাই হলো প্রকৃত জীবনের পথ। সাহস, বিশ্বাস, ভালোবাসা ও ধৈর্য—এসবই হলো জীবনের আসল দর্শন, যা কোয়েলহো সান্তিয়াগোর যাত্রার মাধ্যমে তুলে ধরেছেন।
এই বইয়ের একটি উক্তি ‘যখন তুমি মন থেকে কিছু চাও, পুরো বিশ্ব সেই লক্ষ্যপূরণে তোমার সাহায্যে এগিয়ে আসে’— এখনো বারবার আলোচনায় ফিরে ফিরে আসে বিভিন্ন বইপড়ুয়াদের আড্ডায়। এই ছোট কিন্তু দারুণ তাৎপর্যময় উক্তিটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়, মহাবিশ্বের সাথে আমরা এমনভাবে সম্পর্কিত যে আমাদের লক্ষ্যপূরণের পথে এমন এক শক্তি এগিয়ে আসতে পারে, যা আমরা হয়তো কখনো কল্পনাই করিনি।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটেও এর তাৎপর্য বা প্রাসঙ্গিকতা আমরা খুঁজে নিতে পারি। যেমন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তান যখন ভারতে বিমান হামলা চালায়, তখন ভারতও বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনি ও বাংলাদেশের সেনাবাহিনিকে সহায়তায় এগিয়ে আসে। এর ফলশ্রুতিতে খুব দ্রুতই বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে পাকিস্তানীদের হাত থেকে। আবার, ২০২৪-এর মাঝ বরাবর সময়েও যখন দেশের গণতন্ত্রপ্রেমী মানুষ তৎকালীন আওয়ামী সরকারের পতনের আশা দেখছিল না, তখন কিন্তু স্রেফ একটি কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে দানা বেঁধে ওঠা ক্ষোভের মহাবিস্ফোরণ ঘটে। এর কিছুদিন পরই পতন ঘটে এক স্বৈরাচারী সরকারের, যাদের পতন এত দ্রুত ঘটবে বলে কেউ ভাবেনি। নিঃসন্দেহে বিএনপিসহ দেশের অন্যান্য প্রধান বিরোধীদলের আন্দোলনও যখন কোনো কাজে দেয়নি, সরকারের বিদায় বা পতন যখন আর সম্ভব না বলে মনে হচ্ছিল, তখনই অন্য এক উপায়ে সেই সরকারের পতন হয়।
পাওলো কোয়েলহোর ‘দি আলকেমিস্ট’ বইয়ের সাথে মিল রেখে বলা যায়, তোমার স্বপ্ন নিয়ে যদি তুমি লম্বা রেসের ঘোড়ার মতো এগিয়ে যাও, তাহলে একভাবে না একভাবে তুমি সেই লক্ষ্যপূরণে সক্ষম হবেই, আজ না হয় কাল! লক্ষ্যপূরণে মহাবিশ্বও সাথে থাকে বলে মানুষ যে পথে এগোয় এবং যেসব ক্ষেত্র থেকে সাহায্য আসবে বলে ভাবে, এর বাইরে থেকেও সাহায্য আসতে পারে, লক্ষ্য পূরণে কাজে আসতে পারে ভিন্নধর্মী পন্থাও। কেননা, যত পন্থা ও পথই থাকুক না কেন, এর সবই তো এক মহাবিশ্বেরই অংশ!
‘দি আলকেমিস্ট’ অনেক বেশি খ্যাতি পেয়েছে পাঠকদের কাছে। কিন্তু জীবনদর্শনের গভীরতার দিক দিয়ে কোয়েলহোর অন্যান্য বইও কম নয়। যেমন, তাঁর আরেকটি প্রভাবশালী জীবনদর্শনমুলক বই হলো ‘ম্যানুসক্রিপ্ট ফাউন্ড ইন আক্রা।‘
কোয়েলহোর ম্যানুসক্রিপ্ট ফাউন্ড ইন আক্রা জীবনের গভীর অর্থ খোঁজার এক দার্শনিক গ্রন্থ। ১০৯৯ সালে ক্রুসেডারদের আক্রমণের ঠিক আগ মুহূর্তে জেরুজালেমের মানুষদের উদ্দেশ্যে গ্রিক দার্শনিক “কপ্ট” প্রজ্ঞাময় অনেক বাণী উচ্চারণ করেন। তার কাছে শহরের বাসিন্দারা নানা প্রশ্ন তোলে—ভালোবাসা, ভয়, ব্যর্থতা, একাকিত্ব কিংবা সৌন্দর্যের প্রকৃতি নিয়ে। কপ্ট তাদের বোঝান যে প্রকৃত শক্তি কোনো অস্ত্র বা বাহ্যিক বিজয়ে নয়, বরং অন্তরের শান্তি, মানবিকতা ও ভালোবাসার মধ্যেই নিহিত।
তিনি শেখান, ভয় আমাদের বাঁধা দেয়, অথচ ভালোবাসা মানুষকে মুক্তি দেয়। ব্যর্থতা ধ্বংস নয়, বরং শেখার পথ। জীবনের অর্থ হলো বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য খুঁজে পাওয়া এবং প্রতিটি অভিজ্ঞতাকে গ্রহণ করা। এই গ্রন্থ পাঠককে স্মরণ করিয়ে দেয় যে প্রকৃত জয় মানে নিজের অন্তর্গত সত্যকে খুঁজে পাওয়া ও ভালোবাসায় স্থিত হওয়া। কোয়েলহোর এই রচনায় মানবজীবনের মূল দর্শন হলো—শান্তি, সহনশীলতা ও আত্মজ্ঞান।
এই বইয়ের কিছু উক্তি বা উপদেশ তো রীতিমতো বাঁধাই করে দেয়ালে টাঙ্গিয়ে রাখার মতো। এমনকি এই বইটির অনুবাদক হিসেবে আমাকেও এখনও আলোড়িত করে, অনুপ্রাণিত করে সেই উক্তি বা বাক্যগুলো। বইয়ে দেখা যায়, জেরুজালেমবাসীর উদ্দেশ্যে কপ্ট বলেনঃ
“যে হাল ছেড়ে দেয়, সে-ই পরাজিত; জয়ী তো আর বাকি সবাই…করুণা কর তাদের, যারা কখনও পরাজিত হয়নি! তারা এই জীবনে কখনো জয়ী হবে না।”
কপ্ট বলতে চেয়েছেন, যারা হাল ছেড়ে দেয়, চেষ্টা করে না, তারাই পরাজিত; আর যারা শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যায়, তারা পরাজিত হলেও পরাজয় তাদের স্পর্শ করতে পারে না; সফলতা তাদের না হলেও, তাদের সাধনা ও প্রচেষ্টা দেখে সফলতাও তাদের দূর থেকে কুর্নিশ করে।
কপ্ট আরো বলেছেন, “ভালোবাসা কি জিনিস, তা কেবল পরাজিতরাই জানে…কেননা, জীবনের প্রথম লড়াইটা আমরা ভালোবাসার দুনিয়াতেই লড়ি, আর সাধারণত পরাজিতই হই!”
ভালোবাসা নিয়ে বইয়ে কপ্ট আরও বলেন, “কখনও কখনও যখন মনে হয় একাকীত্ব সবকিছুকে গুড়িয়ে দেবে, তখন প্রতিরোধের একমাত্র উপায় হলো ভালবেসে চলা।“
বইয়ের চরিত্রের মাধ্যমে কোয়েলহো এসব যথার্থই বলেছেন, কেননা বেশিরভাগ সময়েই ভালোবাসা সহজেই পেয়ে গেলে মানুষ সেটার মর্ম বোঝে না। যদি ভালোবাসার ‘যুদ্ধে’ তারা পরাজিত হয় বা ব্যর্থ হয়, তবেই কিন্তু তারা বুঝতে পারে জীবনে ভালোবাসার গুরুত্ব, বুঝতে পারে কতটা তা দামী। তাই তো ভালোবাসার বেদনা একজন সাধারণ মানুষকে বানায় কবি, আর একজন কবিকে করে সমৃদ্ধ।
গভীর জীবনদর্শনের প্রখরতা প্রকাশ পেয়েছে তাঁর রচিত আরেকটি বই ‘ম্যানুয়াল অব দ্য ওয়ারিয়র অব লাইট’ বইয়ে। এখানেও গল্পের ছলে এক বৃদ্ধ প্রাচীন নারী এক জেলে পরিবারের কিশোরকে শেখায় কীভাবে একজন মানুষ হতে পারে এক ‘আলোকিত যোদ্ধা!’
এখানে এক জায়গায় উল্লেখ আছে,“তলোয়ার ব্যবহার করতে শেখার পর আলোকিত যোদ্ধা দেখতে পায় তার সরঞ্জাম এখনও অসম্পূর্ণ। তার এখন দরকার বর্মের। বর্মের খোঁজে যাত্রা করে সে আর শুনতে পায় বিভিন্ন বিক্রয়কারীর কথা।
‘একাকীত্বের বুক-আচ্ছাদন ব্যবহার করুন,’ বলে একজন।
‘সাবধানতার ঢাল ব্যবহার করুন,’ বলে আরেকজন।
‘সেরা বর্ম হচ্ছে কোনোকিছুতে জড়িয়ে না পড়া,’ বলে তৃতীয়জন।
কিন্তু তাদেরকে পাত্তা দেয় না যোদ্ধা। নিজের পবিত্র জায়গায় গিয়ে সে গায়ে জড়িয়ে নেয় বিশ্বাসের আলখেল্লা।
বিশ্বাস ফিরিয়ে দেয় সকল আঘাতকে। বিষকে স্ফটিক স্বচ্ছ পানিতে পরিণত করে বিশ্বাস।“
পাওলো কোয়েলহো এখানে স্পষ্টতই আমাদের জীবনে ‘বিশ্বাস’-এর গুরুত্ব ও কার্যকারিতাকে উল্লেখ করেছেন। যখন সব কিছুই ব্যর্থ হয়, তখন একজন ‘যোদ্ধা’ যদি অটল বিশ্বাসের শক্তিতে বলীয়ান হলে লক্ষ্য পূরণের পথে তাকে আর কিছুই আটকে রাখতে পারে না।
পাওলো কোয়েলহোর লেখার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো তিনি কাব্যিকতার সাথে গভীর জীবনদর্শনসমূহের সাথে মানুষকে পরিচিত করিয়ে তোলেন, কিন্তু তা তিনি করেন অত্যন্ত সহজ-সরল ভাষায় যাতে অতি সহজেই মানুষ তাঁর বই পড়ে নিতে পারে জীবনের দীক্ষা ও সামনে এগোনোর অনুপ্রেরণা। ঠিক এই কারণেই লেখকের জীবনদর্শন এত পরিমাণ মানুষকে কাছে টানে, তাদেরকে দেয় অপরিমেয় অনুপ্রেরণা।
পাওলো কোয়েলহোর বইয়ের একজন অনুবাদক হিসেবে আমিও প্রায়ই অনুপ্রেরণা খুঁজে নিতে চেষ্টা করি তাঁর বিভিন্ন বইয়ের নির্যাস থেকে। যেমন, খারাপ সময়গুলোতে আমি অনুপ্রেরণা বা শক্তি খুঁজে নিতে চেষ্টা করি লেখকের ‘ম্যানুয়াল অব দ্য ওয়ারিয়র অব লাইট’ বইয়ের এই কথাগুলো থেকেঃ
“একদিন, প্রত্যক্ষ কোনো কারণ ছাড়াই, যোদ্ধা বুঝতে পারে লড়াই করার জন্য আগের মতো উদ্যম তার নেই। প্রতিটি কাজকে মনে হয় অর্থহীন। সেসময়ে তার থাকে কেবল একটাই বিকল্পঃ ভালোভাবে লড়াইটাকেই চালিয়ে যাওয়া। দায়িত্ববোধ, ভয় বা যেকোনো কারণে প্রার্থনা করে সে, কিন্তু পথকে ছেড়ে আসে না সে।
সে জানে, তাকে অনুপ্রেরণাদাত্রী দেবদূত স্রেফ চলে গিয়েছে অন্য কোথাও। লক্ষ্যকে কেন্দ্রিভূত রাখে আলোকিত যোদ্ধা আর জান লাগিয়ে লেগে থাকে। এমনকি যখন সবকিছু একেবারে নিরর্থক মনে হয়, তখনও। শীঘ্রই ফিরে আসবে দেবদূত, আর তাঁর পাখার সামান্য সঞ্চালন ফিরিয়ে আনবে যোদ্ধার মনের আনন্দ।“
ব্রাইদা, লাইক দ্য ফ্লোয়িং রিভার, দ্য স্পাই, দি আর্চার এবং ভেরোনিকা ডিসাইডস টু ডাই-এর মতো আরো বেশ কিছু জনপ্রিয় বইয়ের লেখকও পাওলো কোয়েলহো, যেখানেও রাজত্ব করেছে বহুমুখী সব জীবনদর্শন।
প্রিয় পাঠক, পাওলো কোয়েলহোর অনুপ্রেরণাদায়ী জীবনদর্শন হোক আপনার জীবনেরও সামনে এগিয়ে যাবার, আলোকিত হবার সঞ্জীবনী সুধা!
২৫ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১০:৫২
শেহজাদ আমান বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই! পাওলো কোয়েলহোর চারটি বই আমি অনুবাদ করেছি। সেগুলো পড়ার আমন্ত্রণ রইল। বইগুলো রকমারিতে সার্চ দিলে পাবেন।
২| ২৫ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১১:১৭
শেরজা তপন বলেছেন: দ্যা আলকেমিস্ট- এর নাম শুনেছি বহুবার কিন্তু পড়া হয়নি। একটা মুভিওতো হয়েছে মনে হয় এই উপন্যাসের অবলম্বনে
৩| ২৫ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১১:৩১
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ভালো লেখক। উনার দুইটা বই পড়া হয়েছে।
৪| ২৬ শে আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১১:০০
রাজীব নুর বলেছেন: আলকেমিস্ট পড়েছি। ভালো বই। বইটা পড়ার পর আত্মবিশ্বাস বেড়ে গিয়েছিলো।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১০:৩৪
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আপনার পোস্টটি পড়ে পাওলো কোয়েলহোর সম্পর্কে জানতে পারলাম।