![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশ এমন একটি জায়গা যেখানে 'আমার ওটা ভালো লাগেনি' এই কথাটা বলতে গেলেও হয়তো বা ভাবতে হয় কথাটি উষ্কানিমূলক কি না, সমাজ কি ভাববে বলা ঠিক হবে কি না! আসলে এমন পরিবেশে বড় হয়ে নিজেও অনেকটা এমন ব্যক্তিত্বের অধিকারী হয়ে গিয়েছি। ঐ যে বলে না? জন্ম-মানুষ কি বলবে?-মৃত্যু ... আমাদের জীবনটাও এরকম। তাই ভাবলাম বাস্তবে না হো ভার্চুয়ালি তো এমন কোথাও যাওয়া যাবে যেখানে মানুষ কি বলবে? এটাকে এতটা পাত্তা না দিলেও চলে, যাই হোক। আমি অতি সাধারন একটি বালিকা। বিতর্কিত বিষয়ে জড়ানো পছন্দ করিনা। তাই তর্কাতর্কি না করলেই ভালো। আমার কবিতা গল্প লেখার প্রতি ঝোঁক আছে... মাঝে মাঝে ছবি আঁকার চেষ্টা করি। প্রচন্ড রকমের স্বাধীনচেতা, নারীদের ক্ষমতায়ন কামনা করি, কিছুটা নারীবাদি। সবার ওপরে মনুষ্যত্বের ধর্ম এটাই বিশ্বাস করি।
টিনেজ বয়সটা খুব মজার, স্পেশালি যখন টিনেজ মেয়েগুলি আকাশ কুসুম স্বপ্ন দেখতে থাকে যে সাত সাগর তেরো নদী পার থেকে বলিউট হিরো বা ওয়ান ডিরেকশন বয়েজদের মতো কোন খুব ড্যাসিং একটা রাজকুমার তার জন্য পৃথিবী জয় করে আনবে। আর টিনেজ ছেলেগুলি স্বপ্ন দ্যাখে পাশের বাড়ির বেলকনিতে পাতাবাহার গাছে জল দিতে আসা সমবয়সী মেয়েটিকে নিয়ে... একটা মুহুর্তের জন্য তার হাতটা ধরে একটা বিকেল কাটাবে ভেবে।
ছেলেগুলি হয় খুব সাদামাটা, একটা ধূসর রঙের চেক শার্ট, কালো ফ্রেমের চশমা, স্কুল লাইফের ছেড়া ঢিলা লম্বা ব্যাগ আর চশমার গ্লাসের পিছনে এক মুঠো রঙীন স্বপ্ন এভাবেই ওদের দিনগুলো চলে যায় ঐ স্বপ্নগুলোকে আঁকড়ে ধরে। আর মেয়েগুলি বিশেষ করে মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়েগুলি আকাশ ছোঁয়া স্বপ্নের দিকে হাত বাড়িয়ে বসে থাকে। যে তাদের রাজকুমার বাইকে করে মুঠো মুঠো প্রেম ভালবাসা নিয়ে এসে তাদের নিয়ে যাবে অজানা অট্টালিকার মাঝে। যেখানে সেই মেয়ে থাকবে সিংহাসনে তার প্রেমের রাজ্যের রাণী হয়ে। আর কোনো মেয়ের ছিটেফোটা থাকবেনা সেখানে... তাদের রাজপুত্র তাদের এনে দেবে বাহারী শাড়ি, দামী চুড়ি, বিলাসবহুল জীবন আর অনেক অনেক রোমান্স... মেয়েগুলো খুব বোকা হয়... ওরা ভাবে এমন পারফেকশন রাস্তায় রাস্তায় হেঁটে বেড়ায়... আজান মামার টঙে, ক্লাসের লাস্ট বেঞ্চে, বাজাজ বাইকের ওপর ভর দিয়ে, লাইব্রেরিতে নিশাচর হয়ে থাকা আঁতেল ছেলেটার মাঝে, থ্র্যাস মেটালে হেড ব্যাং দেয়া একটু ছন্নছাড়া ছেলেটার মাঝে কিংবা উচ্চাভিলাষী এক বেকার ছেলের মাঝেই হয়তো পারফেকশন লুকিয়ে আছে... ভুল তখন হয়না, ভুল হয় যখন এ ‘হয়তো’ টা ‘অবশ্যই’ এ পরিণত হয়... আরে বোকা মেয়ে! এ দুনিয়ায় পারফেকশন বলে কিছু নেই... সবারই কিছু ডার্ক সাইড থাকে... আর যখন এ ডার্ক সাইড টা এক্সপোজ হয় তখন সাজানো স্বপ্নগুলো কাঁচের গ্লাসের মতো ঝনঝন করে ভেঙে পড়ে... আর মৃত্যু হয় একটি স্বপ্নের একটি প্রেম কাহিনীর...
ছেলেগুলো তো আরো গাধা। ওরা ভাবে মেয়েরা বুঝি ওদের নিষ্পাপ মিষ্টি চেহারার মতোই কোমল হয়... ওরা জানেনা মেয়েদের ডার্ক সাইড ছেলেদের থেকেও কালো হয়... একটা মেয়ে কতটা নিষ্ঠুর হতে পারে এটা এক্সপিরিয়েন্স ছাড়া কেউ বলতে পারবেনা। মেয়েগুলো সবসময় ভাবে ওরা যা চাচ্ছে যা বুঝছে তাই বোধ হয় ঠিক... একটা হৃদয়কে ক্ষতবিক্ষত করবার আগে ওরা ভেবেও দ্যাখেনা যে এটা কাপড়ের পুতুল নয়... একটা মেয়ে আলিফ লায়লার রূপসী ডাইনীগুলোর থেকে কিন্তু কম কিছু না।
প্রেম বিষয়টা খুবই জটিল। সিলেবাসে এমন কোন সাবজেক্ট থাকলে গণহারে ফেইল আসতো। উপরওয়ালা সহায় এমন কোন সাবজেক্ট নেই...
২| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৮
হোয়াইট টাইগার বলেছেন: জাগতিক সমস্যা গুলো যখন ছোট করে দেখা হয় তখন ই মানবীয় প্রেমটা বড় হয়ে ওঠে ।প্রেম টেম কিছু না নৈতিকতা ও সমরূপ রূচিবোধ টাই মুখ্য
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০২
বনলতা-সেন বলেছেন: কচি বয়সে ওই মানবীয় বস্তুটাই এদের কাছে Biggest priority হয়ে দাঁড়ায়
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
৩| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩২
চিলেকোঠার চঁড়ুই বলেছেন: কিছু মিছু ব্যতীক্রম রয়েই যায়।টিন এজটা বাস্তবতার ধুলোতে গড়াগড়ি করে একদিন বার্ধ্যক্যে পৌছায়।তবুও তারা হাত ছেড়ে দেয়না কখনোই,ডায়াবেটিস নিয়ে ঘুড়ে বেড়ায় প্রতিটা সকাল,পার্কের চারপাশে পিচহীন পথে....
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৭
বনলতা-সেন বলেছেন: আপু, ব্যতিক্রমটা ঐ কিছুর মধ্যেই থেকে যায়। এখানে মেজরিটি নিয়ে কথা বলা হয়েছে। আপনি যদি নিজেকে ব্যতক্রমের অন্তর্ভুক্ত মনে করেন তাহলে তো অনেক ভালো আপনার জন্য এ লেখাটা নয়। এখানে সমাজের বেশিরভাগ টিনেজ প্রেম ও টিনেজ ছেলেমেয়েদের খেয়ালগুলোকে তুলে ধরেছি
৪| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪০
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ভাই, ভাইই বললাম। বলার কারণ আছে। এতো নারী বিদ্বেষ কেন? আমি যাদের চিনি তারা কেউই এমন নয়, আর ভাল খারাপ সব খানেই আছে। ছেলে কিংবা মেয়ে। ডার্ক সাইডটা ইগনোর করা যায় সহজেই। অন্তত উচিত
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪২
বনলতা-সেন বলেছেন: ভাই আপনি আমাকে ভাই বললে ভাই হবোনা কারন আমি আসলেই বোন আপনি যাদের চিনেন তারা সবাই কি অনুর্ধ উনিশ? এখানে টিনেজ মেয়েদের কথা বলা হয়েছে। সব মেয়েদের কথা না। আমি নিজেও টিনেজ বয়স পার করে আসছি বান্ধবী আর বন্ধুদের বান্ধবীদের দেখছি। ডার্ক সাইড এত সহজে ইগনোর করা যায়না। ডার্ক সাইড কে আপন করে নিতে হয়। সেটা সবাই পারেনা্.
বাস্তবতা খুবই তিক্ত। মেনে না নিতে চাইলেও বাস্তবতা এরকম ই। মেয়েরাও অধিকাংশ এরকম ই।
৫| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৬
কল্লোল পথিক বলেছেন: ভাল লেগেছে
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪২
বনলতা-সেন বলেছেন: ধন্যবাদ সময় নিয়ে পড়ে মন্তব্য করার জন্য
৬| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫১
আখেনাটেন বলেছেন: ছোটকালের সেই ফানুসগুলো -- পরে জীবনে সন্ঞ্জীবনীর ভূমিকা পালন করে। যদি তা পিছলা খেয়ে পপাতধরণীতল না হয়।
সুনীলের একটা উপন্যাসে পড়েছিলাম যে মেয়েরা টিনেজ বয়সে প্রেম করে কিন্তু সেই প্রেমিকের সাথে বিয়ে না হয়ে অন্য কারো সাথে বিয়ে হয় তারা নাকি পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মেয়ে হয়। জানিনা কেন? যেহেতু আমি মেয়ে নয়। আর ও ব্যাটা সুনীল মেয়ে না হয়েও মেয়েদের সুখ কিসে তা উদ্ধার করল কিভাবে?
তবে যাইহোক ঐ বয়সটায় ছেলেদের চাইতে মেয়েদের রিস্ক বেশি। কচুপাতার পানির মত টলমল অবস্থা। যেকোন সময় ছলাৎ।
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৫
বনলতা-সেন বলেছেন: তারা সুখী হয় কি না জানিনা তবে বিয়েটা যে অন্য কারো সাথে হয় এটা একশত ভাগ সত্যি। মেয়েদের রিস্ক বেশি, ছেলেরাও ধোকা খায়। ধোকাগুলোও এই মেয়েগুলোই দেয়.
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
৭| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৩৭
রুদ্র জাহেদ বলেছেন: এসব বেশ টলমল এখন।ভালো লেগেছে টিনেজ আখ্যান
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৪
বনমহুয়া বলেছেন: বলছে আপনারে? মেয়ে নিকে মেয়েদের নামে বদনাম করেন? কষ্ট পাইলাম