| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বনলতা-সেন
বাংলাদেশ এমন একটি জায়গা যেখানে 'আমার ওটা ভালো লাগেনি' এই কথাটা বলতে গেলেও হয়তো বা ভাবতে হয় কথাটি উষ্কানিমূলক কি না, সমাজ কি ভাববে বলা ঠিক হবে কি না! আসলে এমন পরিবেশে বড় হয়ে নিজেও অনেকটা এমন ব্যক্তিত্বের অধিকারী হয়ে গিয়েছি। ঐ যে বলে না? জন্ম-মানুষ কি বলবে?-মৃত্যু ... আমাদের জীবনটাও এরকম। তাই ভাবলাম বাস্তবে না হো ভার্চুয়ালি তো এমন কোথাও যাওয়া যাবে যেখানে মানুষ কি বলবে? এটাকে এতটা পাত্তা না দিলেও চলে, যাই হোক। আমি অতি সাধারন একটি বালিকা। বিতর্কিত বিষয়ে জড়ানো পছন্দ করিনা। তাই তর্কাতর্কি না করলেই ভালো। আমার কবিতা গল্প লেখার প্রতি ঝোঁক আছে... মাঝে মাঝে ছবি আঁকার চেষ্টা করি। প্রচন্ড রকমের স্বাধীনচেতা, নারীদের ক্ষমতায়ন কামনা করি, কিছুটা নারীবাদি। সবার ওপরে মনুষ্যত্বের ধর্ম এটাই বিশ্বাস করি।
তুমি সামাজিক কুসংষ্কার দ্বারা পরিচালিত একটি খেলনা পুতুল,
আর আমি, মনুষত্ব্যের গুণে পরিচালিত তারকার সম উজ্জ্বল নক্ষত্র
তুমি লোভী কুকুরের সামনে বস্ত্রহীনা দুশ্চরিত্রা!! আমি নই!
আমি বস্ত্রহীন করি আমার কবিতার পত্রে আমার হৃদয় কে!!
তুমি তোমার পৃথিবীর মতই স্বার্থপর, আমি নই
আর তাই আমি আমার সব কিছুকে বাজি রেখে দিতে পারি “আমি” হব বলে!
তুমি একজন অবলা, ঘরের কোণে জীবন গড়ে নেয়া গৃহিনী, আমি নই!
আমি নারী, আমি শক্তি, আমি জীবন!!
তুমি তোমার স্বামীর, তার বিজিত সম্পত্তি, আমি নই
আমি সকলের, আমি নিজেকে বিলিয়ে দেই আমার শুভ্র চেতনা আর বাঁধহীন ভাবনার মাঝে!!
তুমি তোমার চুলে মেশিন লাগাও, মুখ লাল কর হাজারো রঙের বাহারে, আমি নই
আমার চুলে আদরের পরশ বুলিয়ে যায় মুক্ত বাতাস, আমার মুখ রক্তিম করে তোলে সূর্যের কিরণ!
তুমি একজন গৃহবধু, বাধ্য, বশ্য, ক্লান্ত, পুরুষশাসিত সমাজের শিকলে আবদ্ধ, আমি নই!
আমি উদ্দাম, ছুটে চলা এক অশ্বের মত, পদধ্বনির সাহায্যে দিগন্ত রাঙ্গিয়ে দেই!
কবি
জুলিয়া দ্য বার্জোস
অনুবাদঃ বনলতা সেন
২|
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:০৫
বনলতা-সেন বলেছেন: আসলেই :/
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:০৯
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: কবিতার অনুবাদ? অসম্ভব কঠিন কাজ!